পরিচ্ছেদঃ ১০. আযাদীর ইখতিয়ার অর্থাৎ স্ত্রী কর্তৃক তালাকের অধিকার প্রাপ্তির পর নিজের অধিকার প্রয়োগের বর্ণনা
রেওয়ায়ত ২৫. কাসিম ইবন মুহাম্মদ (রহঃ) হইতে বর্ণিত-আয়েশা উম্মুল মু’মিনীন (রাঃ) বলিয়াছেনঃ বরীরা (রাঃ) সম্পর্কে তিনটি আহকাম জারি করা হইয়াছিল। তিনটির সুন্নত বা আহকামের একটি ছিলঃ তাহাকে আযাদ করা হয় এবং তাহাকে আযাদীর পর স্বামীর সহিত থাকার ব্যাপারে ইখতিয়ার প্রদান করা হয়। (দ্বিতীয় সুন্নত এই) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন, যে কর্তা আযাদ করিবে সেই সম্পত্তির উত্তরাধিকার লাভ করবে। (তৃতীয় সুন্নত এই)-রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বরীরা (রাঃ)-এর গৃহে প্রবেশ করিলেন। তখন ডেকচিতে মাংস সিদ্ধ হইতেছিল। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-র খিদমতে রুটি এবং গৃহে মওজুদ ব্যঞ্জন উপস্থিত করা হইল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেনঃ আমি কি ডেকচিতে মাংস সিদ্ধ হইতে দেখি নাই? (তবে আমার নিকট মাংস পেশ না করার কারণ কি?) তাহারা বলিলেনঃ হ্যাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তবে উহা ছিল এমন মাংস যাহা বরীরাকে সদকা স্বরূপ দেওয়া হইয়াছিল। আপনি তো সদকার বস্তু আহার করেন না। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, উহা বীরার জন্য ছিল সদকা কিন্তু (বরীরা মালিক হওয়ার পর) উহা আমাদের জন্য হইতেছে হাদিয়া।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْخِيَارِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ أَنَّهَا قَالَتْ كَانَ فِي بَرِيرَةَ ثَلَاثُ سُنَنٍ فَكَانَتْ إِحْدَى السُّنَنِ الثَّلَاثِ أَنَّهَا أُعْتِقَتْ فَخُيِّرَتْ فِي زَوْجِهَا وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْوَلَاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ وَدَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالْبُرْمَةُ تَفُورُ بِلَحْمٍ فَقُرِّبَ إِلَيْهِ خُبْزٌ وَأُدْمٌ مِنْ أُدْمِ الْبَيْتِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَلَمْ أَرَ بُرْمَةً فِيهَا لَحْمٌ فَقَالُوا بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ وَلَكِنْ ذَلِكَ لَحْمٌ تُصُدِّقَ بِهِ عَلَى بَرِيرَةَ وَأَنْتَ لَا تَأْكُلُ الصَّدَقَةَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هُوَ عَلَيْهَا صَدَقَةٌ وَهُوَ لَنَا هَدِيَّةٌ
Yahya related to me from Malik from Rabia ibn Abi Abd ar-Rahman from al-Qasim ibn Muhammad that A'isha umm al-muminin, said, "There were three sunnas established in connection with Barira:
firstly was that when she was set free she was given her choice about her husband, secondly, the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said about her, 'The right of inheritance belongs to the person who has set a person free,' thirdly, the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, came in and there was a pot with meat on the boil. Bread and condiments were brought to him from the stock of the house. The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, 'Didn't I see a pot with meat in it?' They said, 'Yes, Messenger of Allah. That is meat which was given as sadaqa for Barira, and you do not eat sadaqa.' The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, 'It is sadaqa for her, and it is a gift for us.'
পরিচ্ছেদঃ ১০. আযাদীর ইখতিয়ার অর্থাৎ স্ত্রী কর্তৃক তালাকের অধিকার প্রাপ্তির পর নিজের অধিকার প্রয়োগের বর্ণনা
রেওয়ায়ত ২৬. নাফি’ (রহঃ) হইতে বর্ণিত, আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) বলিতেনঃ কোন ক্রীতদাসী কোন ক্রীতদাসের স্ত্রী থাকিলে অতঃপর সেই ক্রীতদাসীকে (মালিক কর্তৃক) আযাদ করা হইলে তবে স্বামী তাহার সহিত সহবাস না করা পর্যন্ত (বিবাহে থাকা না থাকার ব্যাপারে) ক্রীতদাসীর ইখতিয়ার থাকিবে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি তাহার স্বামী তাহার সহিত সহবাস করার পরে সে ধারণা করে যে, ইখতিয়ারের সম্পর্কে সে অজ্ঞ ছিল তবে তাহাকে সত্যবাদিনী মনে করা হইবে না, তাহার অজ্ঞতার দাবি গ্রহণযোগ্য হইবে না, সহবাসের পর তাহার ইখতিয়ারও অবশিষ্ট থাকিবে না।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْخِيَارِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ فِي الْأَمَةِ تَكُونُ تَحْتَ الْعَبْدِ فَتَعْتِقُ إِنَّ الْأَمَةَ لَهَا الْخِيَارُ مَا لَمْ يَمَسَّهَا قَالَ مَالِك وَإِنْ مَسَّهَا زَوْجُهَا فَزَعَمَتْ أَنَّهَا جَهِلَتْ أَنَّ لَهَا الْخِيَارَ فَإِنَّهَا تُتَّهَمُ وَلَا تُصَدَّقُ بِمَا ادَّعَتْ مِنْ الْجَهَالَةِ وَلَا خِيَارَ لَهَا بَعْدَ أَنْ يَمَسَّهَا
Yahya related to me from Malik from Nafi that Abdullah ibn Umar said that a female slave who was the wife of a slave and then was set free, had the right of choice as long as he did not have intercourse with her.
Malik said, "If her husband has intercourse with her and she claims that she did not know, she still has the right of choice. If she is suspect and one does not believe her claim of ignorance, then she has no choice after he has had intercourse with her."
পরিচ্ছেদঃ ১০. আযাদীর ইখতিয়ার অর্থাৎ স্ত্রী কর্তৃক তালাকের অধিকার প্রাপ্তির পর নিজের অধিকার প্রয়োগের বর্ণনা
রেওয়ায়ত ২৭. উরওয়া ইবন যুবায়র (রহঃ) হইতে বর্ণিত, বনী আদী (بنى عدى) কর্তৃক আযাদীপ্রাপ্ত জনৈক ক্রীতদাসী যাহার নাম যাবরা ছিল, সে উরওয়া ইবন যুবায়রের নিকট ব্যক্ত করিয়াছে যে, সে জনৈক ক্রীতদাসের স্ত্রী ছিল তখন সে (নিজেও) ক্রীতদাসী ছিল। পরে তাহাকে মুক্তি প্রদান করা হয়। সে বলিল, অতঃপর নবীপত্নী হাফসা (রাঃ) আমাকে ডাকিয়া পাঠাইলেন এবং বলিলেনঃ আমি তোমাকে একটি সংবাদ বলিব, তুমি তাড়াতাড়ি কোন সিদ্ধান্ত নিবে তাহা আমি পছন্দ করি না। তোমার স্বামী তোমার সাথে মিলিত না হওয়া পর্যন্ত তোমার অধিকার তোমারই উপর ন্যস্ত থাকিবে। তবে তোমার স্বামী তোমার সহিত মিলিত হইলে তোমার কোন অধিকার থাকিবে না। সে বলিল, ইহার উত্তরে আমি বলিলাম, আমি তাহাকে তালাক দিলাম, পুনরায় তালাক, পুনরায় তালাক, তাহাকে তিন তালাক দিয়া পরিত্যাগ করিল।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْخِيَارِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ أَنَّ مَوْلَاةً لِبَنِي عَدِيٍّ يُقَالُ لَهَا زَبْرَاءُ أَخْبَرَتْهُ أَنَّهَا كَانَتْ تَحْتَ عَبْدٍ وَهِيَ أَمَةٌ يَوْمَئِذٍ فَعَتَقَتْ قَالَتْ فَأَرْسَلَتْ إِلَيَّ حَفْصَةُ زَوْجُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَدَعَتْنِي فَقَالَتْ إِنِّي مُخْبِرَتُكِ خَبَرًا وَلَا أُحِبُّ أَنْ تَصْنَعِي شَيْئًا إِنَّ أَمْرَكِ بِيَدِكِ مَا لَمْ يَمْسَسْكِ زَوْجُكِ فَإِنْ مَسَّكِ فَلَيْسَ لَكِ مِنْ الْأَمْرِ شَيْءٌ قَالَتْ فَقُلْتُ هُوَ الطَّلَاقُ ثُمَّ الطَّلَاقُ ثُمَّ الطَّلَاقُ فَفَارَقَتْهُ ثَلَاثًا
Yahya related to me from Malik from Ibn Shihab from Urwa ibn az- Zubayr that a mawla of the tribe of Banu Adi called Zabra told him that she had been the wife of a slave when she was a slave-girl. Then she was set free and she sent a message to Hafsa, the wife of the Prophet, may Allah bless him and grant him peace. Hafsa called her and said, "I will tell you something., but I would prefer that you did not act upon it. You have authority over yourself as long as your husband does not have intercourse with you. If he has intercourse with you, you have no authority at all." Therefore she pronounced her divorce from him three times.
পরিচ্ছেদঃ ১০. আযাদীর ইখতিয়ার অর্থাৎ স্ত্রী কর্তৃক তালাকের অধিকার প্রাপ্তির পর নিজের অধিকার প্রয়োগের বর্ণনা
রেওয়ায়ত ২৮. মালিক (রহঃ)-এর নিকট রেওয়ায়ত পৌঁছিয়াছে সাঈদ ইবন মুসায়াব (রহঃ) হইতে। তিনি বলেনঃ এমন কোন পুরুষ যে উন্মাদ বা রুগ্ন সে যদি কোন মহিলাকে বিবাহ করে, তবে সেই মহিলাকে অধিকার দেওয়া হইবে। যদি সে ইচ্ছা করে তাহা হইলে সেই স্বামীর সঙ্গে অবস্থান করিবে, আর যদি ইচ্ছা করে বিচ্ছেদ ঘটাইবে।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْخِيَارِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّهُ قَالَ أَيُّمَا رَجُلٍ تَزَوَّجَ امْرَأَةً وَبِهِ جُنُونٌ أَوْ ضَرَرٌ فَإِنَّهَا تُخَيَّرُ فَإِنْ شَاءَتْ قَرَّتْ وَإِنْ شَاءَتْ فَارَقَتْ
Yahya related to me from Malik that he had heard that Said ibn al-Musayyab said that if a man married a woman, and he was insane or had a physical defect, she had the right of choice. If she wished she could stay, and if she wished she could separate from him.
পরিচ্ছেদঃ ১০. আযাদীর ইখতিয়ার অর্থাৎ স্ত্রী কর্তৃক তালাকের অধিকার প্রাপ্তির পর নিজের অধিকার প্রয়োগের বর্ণনা
রেওয়ায়ত ২৯. মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে ক্রীতদাসী কোন ক্রীতদাসের অধীনে থাকা অবস্থায় তাহার সঙ্গে সঙ্গম বা তাহাকে স্পর্শ করার পূর্বে স্বাধীন হইয়া যায় এবং নিজের স্বাধীন অধিকার নিজে গ্রহণ করিয়া লয় তবে সে মোহর পাইবে না। আর ইহা এক তালাক বলিয়া গণ্য হইবে। মাসয়ালা আমাদের নিকটও তাহাই।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْخِيَارِ
قَالَ مَالِك فِي الْأَمَةِ تَكُونُ تَحْتَ الْعَبْدِ ثُمَّ تَعْتِقُ قَبْلَ أَنْ يَدْخُلَ بِهَا أَوْ يَمَسَّهَا إِنَّهَا إِنْ اخْتَارَتْ نَفْسَهَا فَلَا صَدَاقَ لَهَا وَهِيَ تَطْلِيقَةٌ وَذَلِكَ الْأَمْرُ عِنْدَنَا
Malik said that if a slave-girl, who was the wife of a slave, was set free before he had consummated the marriage, and she chose herself, then she had no bride-price and it was a pronouncement of divorce. That was what was done among them.
পরিচ্ছেদঃ ১০. আযাদীর ইখতিয়ার অর্থাৎ স্ত্রী কর্তৃক তালাকের অধিকার প্রাপ্তির পর নিজের অধিকার প্রয়োগের বর্ণনা
রেওয়ায়ত ৩০. মালিক (রহঃ) ইবন শিহাব (রহঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছেন যে, যখন কোন পুরুষ তাহার স্ত্রীকে অধিকার প্রদান করে এবং স্ত্রী নিজেকেই গ্রহণ করে তাহা হইলে ইহা তালাক বলিয়া গণ্য হইবে না।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমি যাহা শুনিয়াছি তন্মধ্যে ইহাই উত্তম।
মালিক (রহঃ) অধিকার প্রাপ্ত মহিলা সম্পর্কে বলেনঃ যখন কোন মহিলাকে তাহার স্বামী অধিকার প্রদান করে, অতঃপর সেই স্ত্রী নিজ সত্তাকেই গ্রহণ করে তাহা হইলে ইহা তিন তালাক বলিয়া গণ্য হইবে। আর যদি স্বামী বলে যে, তোমাকে শুধুমাত্র এক তালাকের অধিকার প্রদান করিতেছি, তবে এইরূপ কথা বলার অধিকার স্বামীর নাই।
মালিক (রহঃ) বলেন, ইহাই উত্তম এই ব্যাপারে যাহা আমি শুনিয়াছি।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি স্ত্রীকে অধিকার প্রদান করে, অতঃপর স্ত্রী বলিল, আমি এক তালাক গ্রহণ করিলাম এবং স্বামী বলিলঃ আমি এইরূপ ইচ্ছা করি নাই স্বরং আমি তোমাকে পূর্ণ তিন তালাকের অধিকার প্রদান করিয়াছি। স্ত্রী যদি এক তালাক ব্যতীত গ্রহণ না করে তবে সে এই স্বামীর বিবাহে থাকিবে। এই অবস্থায় বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটিবে না।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْخِيَارِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّهُ سَمِعَهُ يَقُولُ إِذَا خَيَّرَ الرَّجُلُ امْرَأَتَهُ فَاخْتَارَتْهُ فَلَيْسَ ذَلِكَ بِطَلَاقٍ قَالَ مَالِك وَذَلِكَ أَحْسَنُ مَا سَمِعْتُ
قَالَ مَالِك فِي الْمُخَيَّرَةِ إِذَا خَيَّرَهَا زَوْجُهَا فَاخْتَارَتْ نَفْسَهَا فَقَدْ طَلُقَتْ ثَلَاثًا وَإِنْ قَالَ زَوْجُهَا لَمْ أُخَيِّرْكِ إِلَّا وَاحِدَةً فَلَيْسَ لَهُ ذَلِكَ وَذَلِكَ أَحْسَنُ مَا سَمِعْتُهُ قَالَ مَالِك وَإِنْ خَيَّرَهَا فَقَالَتْ قَدْ قَبِلْتُ وَاحِدَةً وَقَالَ لَمْ أُرِدْ هَذَا وَإِنَّمَا خَيَّرْتُكِ فِي الثَّلَاثِ جَمِيعًا أَنَّهَا إِنْ لَمْ تَقْبَلْ إِلَّا وَاحِدَةً أَقَامَتْ عِنْدَهُ عَلَى نِكَاحِهَا وَلَمْ يَكُنْ ذَلِكَ فِرَاقًا إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى
Yahya related to me that Malik heard Ibn Shihab say, "When a man gives his wife the right of choice, and she chooses him, that is not divorce."
Malik added, "That is the best of what I have heard."
Malik said that if a woman who had been given the right of choice by her husband chose herself, she was divorced trebly. If her husband said, "But I only gave her the right of choice in one," he had none of that. That was the best of what he had heard.
Malik said, "If the man gives his wife the right of choice and she says, 'I accept one', and he says, 'I did not mean that, I have given the right of choice in all three together,' then if she only accepts one, she remains with him in her marriage, and that is not separation if Allah, the Exalted wills."