পরিচ্ছেদঃ ২২. বিবাহের বিবিধ প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ৫২. যায়দ ইবন আসলাম (রহঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ তোমাদের কেউ কোন স্ত্রীলোককে বিবাহ করিলে অথবা দাসী ক্রয় করিলে তবে উহার ললাট (কপালের উপরের চুল) ধরিয়া বরকতের দোয়া করিবে। আর উট ক্রয় করিলে তবে উহার কোহান (উটের পিঠের কুঁজ)-এর উপরিভাগ ধরিয়া অভিশপ্ত শয়তান হইতে আল্লাহর আশ্রয় চাহিবে।
بَاب جَامِعِ النِّكَاحِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِذَا تَزَوَّجَ أَحَدُكُمْ الْمَرْأَةَ أَوْ اشْتَرَى الْجَارِيَةَ فَلْيَأْخُذْ بِنَاصِيَتِهَا وَلْيَدْعُ بِالْبَرَكَةِ وَإِذَا اشْتَرَى الْبَعِيرَ فَلْيَأْخُذْ بِذِرْوَةِ سَنَامِهِ وَلْيَسْتَعِذْ بِاللَّهِ مِنْ الشَّيْطَانِ
Yahya related to me from Malik from Zayd ibn Aslam that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "When you marry a woman or buy a slave-girl, take her by the forelock and ask for baraka. When you buy a camel, take the top of its hump, and seek refuge with Allah from Shaytan."
পরিচ্ছেদঃ ২২. বিবাহের বিবিধ প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ৫৩. আবুয-যুবায়র মক্কী (রহঃ) হইতে বর্ণিত, এক ব্যক্তি অন্য এক লোকের নিকট ভগ্নীর বিবাহের পয়গাম দিয়াছে। সেই ব্যক্তির নিকট কেহ উল্লেখ করিল যে, উক্ত স্ত্রীলোকে ব্যভিচার করিয়াছে। উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ)-এর নিকট এই সংবাদ পৌছিলে তিনি সেই লোককে মারিলেন অথবা মারিতে উদ্যত হইলেন। অতঃপর বলিলেনঃ তোমার এই খবর বলার কি প্রয়োজন ছিল?
بَاب جَامِعِ النِّكَاحِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ الْمَكِّيِّ أَنَّ رَجُلًا خَطَبَ إِلَى رَجُلٍ أُخْتَهُ فَذَكَرَ أَنَّهَا قَدْ كَانَتْ أَحْدَثَتْ فَبَلَغَ ذَلِكَ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ فَضَرَبَهُ أَوْ كَادَ يَضْرِبُهُ ثُمَّ قَالَ مَا لَكَ وَلِلْخَبَرِ
Yahya related to me from Malik from Abu'z-Zubayr al-Makki that somebody asked a man for his sister in marriage and the man mentioned that she had committed fornication. Umar ibn al-Khattab heard about it and he beat the man or almost beat him, and said, "What did you mean by giving him such information?"
পরিচ্ছেদঃ ২২. বিবাহের বিবিধ প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ৫৪. রবী’আ ইবন আবু আবদুর রহমান (রহঃ) হইতে বর্ণিত, কাসেম ইবন মুহাম্মদ এবং উরওয়াহ ইবন যুবায়র (রহঃ) তাহারা উভয়ে বলিতেন, যে ব্যক্তির চারজন স্ত্রী রহিয়াছে এবং সে উহাদের একজনকে তালাক আল-বাত্তা (তিন তালাক) প্রদান করিয়াছে, এমতাবস্থায় সে ব্যক্তি ইচ্ছা করিলে বিবাহ করিতে পারিবে। (তালাকপ্রাপ্তা) স্ত্রীর ইদ্দত শেষ হওয়ার অপেক্ষা করিবে না।
بَاب جَامِعِ النِّكَاحِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ الْقَاسِمَ بْنَ مُحَمَّدٍ وَعُرْوَةَ بْنَ الزُّبَيْرِ كَانَا يَقُولَانِ فِي الرَّجُلِ يَكُونُ عِنْدَهُ أَرْبَعُ نِسْوَةٍ فَيُطَلِّقُ إِحْدَاهُنَّ الْبَتَّةَ أَنَّهُ يَتَزَوَّجُ إِنْ شَاءَ وَلَا يَنْتَظِرُ أَنْ تَنْقَضِيَ عِدَّتُهَا
Yahya related to me from Malik from Rabia ibn Abi Abd ar-Rahman that al-Qasim ibn Muhammad and Urwa ibn az-Zubayr said that a man who had four wives and then divorced one of them irrevocably, could marry straightaway if he wished, and he did not have to wait for the completion of her idda.
পরিচ্ছেদঃ ২২. বিবাহের বিবিধ প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ৫৫. রবী’আ ইবন আবু আবদুর রহমান (রহঃ) হইতে বর্ণিত, কাসেম ইবন মুহাম্মদ এবং উরওয়াহ ইবন যুবায়র (রহঃ) তাহারা উভয়ে ওয়ালীদ ইবন আবদুল মালিকের নিকট যে বৎসর তিনি মদীনাতে আগমন করিয়াছিলেন সেই বৎসর অনুরূপ ফতওয়া দিয়াছেন। তবে কাসেম ইবন মুহাম্মদ এই প্রসঙ্গে স্ত্রীকে (একত্রে না দিয়া) বিভিন্ন মজলিসে তিন তালাক দেওয়ার কথা তাহার নিকট উল্লেখ করিয়াছেন।
بَاب جَامِعِ النِّكَاحِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ الْقَاسِمَ بْنَ مُحَمَّدٍ وَعُرْوَةَ بْنَ الزُّبَيْرِ أَفْتَيَا الْوَلِيدَ بْنَ عَبْدِ الْمَلِكِ عَامَ قَدِمَ الْمَدِينَةَ بِذَلِكَ غَيْرَ أَنَّ الْقَاسِمَ بْنَ مُحَمَّدٍ قَالَ طَلَّقَهَا فِي مَجَالِسَ شَتَّى
Yahya related to me from Malik from Rabia ibn Abd ar-Rahman that al-Qasim ibn Muhammad and Urwa ibn az-Zubayr gave the same judgement to al-Walid ibn Abd al-Malik in the year of his arrival in Madina except that al-Qasim ibn Muhammad said that he divorced his wife on various occasions. (i.e. not at one time).
পরিচ্ছেদঃ ২২. বিবাহের বিবিধ প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ৫৬. সাঈদ ইবন মুসায়্যাব (রহঃ) বলেন, তিন (প্রকার) বস্তুতে বিদ্রুপ নাই- (১) নিকাহ (২) তালাক (৩) মুক্তি প্রদান।
بَاب جَامِعِ النِّكَاحِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّهُ قَالَ ثَلَاثٌ لَيْسَ فِيهِنَّ لَعِبٌ النِّكَاحُ وَالطَّلَاقُ وَالْعِتْقُ
Yahya related to me from Malik from Yahya ibn Said that Said ibn al-Musayyab said, "There are three things in which there is no jest:
marriage, divorce, and setting free."
পরিচ্ছেদঃ ২২. বিবাহের বিবিধ প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ৫৭. রাফি ইবন খাদীজ (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি মুহাম্মদ ইবন মাসলামা আনসারীর কন্যাকে বিবাহ করেন। সে তাহার স্ত্রীরূপে থাকিতেই বৃদ্ধা হয়। রাফি’ সেই বৃদ্ধা স্ত্রীর বর্তমানে আর একজন যুবতীকে বিবাহ করেন এবং পূর্ব স্ত্রী অপেক্ষা যুবতী স্ত্রীর দিকে অধিক ঝুঁকিয়া পড়েন। বয়োপ্রাপ্ত স্ত্রী তাহার নিকট তালাক কামনা করেন আল্লাহর কসম দিয়া। তিনি স্ত্রীকে এক তালাক দিলেন। অতঃপর তাহাকে অবকাশ দিয়া রাখিলেন। যখন ইদ্দত অতিবাহিত হওয়ার সময় সন্নিকট হইল তাহার দিকে প্রত্যাবর্তন করিলেন। কিন্তু তিনি পুনরায় যুবতী স্ত্রীর দিকে আকৃষ্ট হইয়া পড়িলেন। ফলে (প্রথম) স্ত্রী কসম দিয়া তালাক কামনা করেন। আবার তাহাকে এক তালাক দিলেন। ইদ্দত যাওয়ার পূর্বে আবার প্রত্যাবর্তন করিলেন (অর্থাৎ পুনরায় স্ত্রীর মতো গ্রহণ করিলেন)। অতঃপর পুনরায় যুবতী স্ত্রীর দিকে বেশি ঝুঁকিয়া পড়েন। ফলে প্রথমা স্ত্রী আল্লাহর কসম দিয়া আবার তালাক কামনা করে। তখন তিনি বলিলেনঃ চিন্তা করিয়া দেখ, এখন মাত্র আর এক তালাক অবশিষ্ট আছে। যুবতী স্ত্রীর দিকে মনোযোগ বেশি থাকিবে তাহা তুমি লক্ষ্য করিয়াছ। এই অবস্থার উপর ইচ্ছা করিলে থাকিতে পার। আর ইচ্ছা হইলে বিবাহ বিচ্ছেদও করিতে পার। স্ত্রী উত্তর দিল, আমাকে এইভাবেই থাকিতে দাও; ফলে তাহাকে এইরূপে রাখা হয়। রাফি’ উহাতে কোন ক্ষতি মনে করিতেন না। যখন (স্ত্রী) স্বেচ্ছায় এই অবস্থায় থাকিতে রাযী হয়।
بَاب جَامِعِ النِّكَاحِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ أَنَّهُ تَزَوَّجَ بِنْتَ مُحَمَّدِ بْنِ مَسْلَمَةَ الْأَنْصَارِيِّ فَكَانَتْ عِنْدَهُ حَتَّى كَبِرَتْ فَتَزَوَّجَ عَلَيْهَا فَتَاةً شَابَّةً فَآثَرَ الشَّابَّةَ عَلَيْهَا فَنَاشَدَتْهُ الطَّلَاقَ فَطَلَّقَهَا وَاحِدَةً ثُمَّ أَمْهَلَهَا حَتَّى إِذَا كَادَتْ تَحِلُّ رَاجَعَهَا ثُمَّ عَادَ فَآثَرَ الشَّابَّةَ فَنَاشَدَتْهُ الطَّلَاقَ فَطَلَّقَهَا وَاحِدَةً ثُمَّ رَاجَعَهَا ثُمَّ عَادَ فَآثَرَ الشَّابَّةَ فَنَاشَدَتْهُ الطَّلَاقَ فَقَالَ مَا شِئْتِ إِنَّمَا بَقِيَتْ وَاحِدَةٌ فَإِنْ شِئْتِ اسْتَقْرَرْتِ عَلَى مَا تَرَيْنَ مِنْ الْأُثْرَةِ وَإِنْ شِئْتِ فَارَقْتُكِ قَالَتْ بَلْ أَسْتَقِرُّ عَلَى الْأُثْرَةِ فَأَمْسَكَهَا عَلَى ذَلِكَ وَلَمْ يَرَ رَافِعٌ عَلَيْهِ إِثْمًا حِينَ قَرَّتْ عِنْدَهُ عَلَى الْأُثْرَةِ
Yahya related to me from Malik from Ibn Shihab that Rafi ibn Khadij married the daughter of Muhammad ibn Maslama al-Ansari. She was with him until she grew older, and then he married a young girl and preferred the young girl to her. She begged him to divorce her, so he divorced her and then he gave her time until she had almost finished her idda period and then he returned and still preferred the young girl. She therefore asked him to divorce her. He divorced her once, and then returned to her, and still preferred the young girl, and she asked him to divorce her. He said, "What do you want? There is only one divorce left. If you like, continue and put up with what you see of preference, and if you like, I will separate from you." She said, "I will continue in spite of the preference." He kept her in spite of that. Rafi did not see that he had done any wrong action when she remained with him in spite of preference.