পরিচ্ছেদঃ ৩. মহর ও উপঢৌকন

রেওয়ায়ত ৮. সাহল ইবন সা’দ সায়িদী (রাঃ) হইতে বর্ণিত—রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের নিকট একজন মহিলা আসিয়া বলিল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। আমি আমার সত্তাকে আপনার জন্য হিবা (দান) করিলাম। ইহা বলার পর সে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করিল। অতঃপর এক ব্যক্তি দাঁড়াইয়া বলিলঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনার প্রয়োজন না থাকিলে এই মহিলাকে আমার সঙ্গে বিবাহ দিন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম বলিলেন, এই মহিলাকে মোহরানা বাবদ দিবার মতো তোমার কিছু আছে কি? লোকটি বলিল, আমার নিকট আমার এই তাহবন্দ (পরিচ্ছদ-লুঙ্গি অথবা পায়জামা) ব্যতীত আর কিছু নাই। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেনঃ তোমার এই তাহবন্দ উহাকে প্রদান করিলে তোমার নিকট কোন পরিচ্ছদ থাকিবে না। তাই তুমি অন্য কিছু তালাশ কর। সে ব্যক্তি বলিল, আমি কিছু পাইব না। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেনঃ তুমি একটি লোহার আংটিও পাও কিনা দেখ। সে তালাশ করিল। কিন্তু কিছুই পাইল না। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহাকে বলিলেন, কুরআনের কিছু অংশ তোমার জানা আছে কি? সে সূরার নাম উল্লেখ করিয়া বলিল, অমুক অমুক সূরা আমার কণ্ঠস্থ আছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন, কুরআন শরীফের যে কয়টি সূরা তোমার কণ্ঠস্থ আছে সেইগুলির বিনিময়ে (সম্মানে) এই মহিলাকে আমি তোমার নিকট বিবাহ দিলাম।

بَاب مَا جَاءَ فِي الصَّدَاقِ وَالْحِبَاءِ

حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي حَازِمِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ السَّاعِدِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَاءَتْهُ امْرَأَةٌ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي قَدْ وَهَبْتُ نَفْسِي لَكَ فَقَامَتْ قِيَامًا طَوِيلًا فَقَامَ رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ زَوِّجْنِيهَا إِنْ لَمْ تَكُنْ لَكَ بِهَا حَاجَةٌ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَلْ عِنْدَكَ مِنْ شَيْءٍ تُصْدِقُهَا إِيَّاهُ فَقَالَ مَا عِنْدِي إِلَّا إِزَارِي هَذَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنْ أَعْطَيْتَهَا إِيَّاهُ جَلَسْتَ لَا إِزَارَ لَكَ فَالْتَمِسْ شَيْئًا فَقَالَ مَا أَجِدُ شَيْئًا قَالَ الْتَمِسْ وَلَوْ خَاتَمًا مِنْ حَدِيدٍ فَالْتَمَسَ فَلَمْ يَجِدْ شَيْئًا فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَلْ مَعَكَ مِنْ الْقُرْآنِ شَيْءٌ فَقَالَ نَعَمْ مَعِي سُورَةُ كَذَا وَسُورَةُ كَذَا لِسُوَرٍ سَمَّاهَا فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ أَنْكَحْتُكَهَا بِمَا مَعَكَ مِنْ الْقُرْآنِ

حدثني يحيى عن مالك عن ابي حازم بن دينار عن سهل بن سعد الساعدي ان رسول الله صلى الله عليه وسلم جاءته امراة فقالت يا رسول الله اني قد وهبت نفسي لك فقامت قياما طويلا فقام رجل فقال يا رسول الله زوجنيها ان لم تكن لك بها حاجة فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم هل عندك من شيء تصدقها اياه فقال ما عندي الا ازاري هذا فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ان اعطيتها اياه جلست لا ازار لك فالتمس شيىا فقال ما اجد شيىا قال التمس ولو خاتما من حديد فالتمس فلم يجد شيىا فقال له رسول الله صلى الله عليه وسلم هل معك من القران شيء فقال نعم معي سورة كذا وسورة كذا لسور سماها فقال له رسول الله صلى الله عليه وسلم قد انكحتكها بما معك من القران


Yahya related to me from Malik from Malik from Abu Hazim ibn Dinar from Sahl ibn Sad as-Saidi that a woman came to the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, and said, "Messenger of Allah! I have given myself to you." She stood for a long time, and then a man got up and said, "Messenger of Allah, marry her to me if you have no need of her." The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "Do you have anything to give her as a bride-price?" He said, "I possess only this lower garment of mine." The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "If you give it to her you will not have a garment to wear so look for something else." He said, "I have nothing else." He said, "Look for something else, even if it is only an iron ring." He looked, and found that he had nothing. The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "Do you know any of the Qur'an?" He said, "Yes. I know such-and-such a sura and such-and-such a sura," which he named. The Messengerof Allah, may Allah bless him and grant him peace, said to him, "I have married her to you for what you know of the Qur'an."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ সাহল বিন সা'দ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মুয়াত্তা মালিক
২৮. বিবাহ সম্পর্কিত অধ্যায় (كتاب النكاح) 28/ Marriage

পরিচ্ছেদঃ ৩. মহর ও উপঢৌকন

রেওয়ায়ত ৯. সাঈদ ইবন মুসায়্যাব (রহঃ) হইতে বর্ণিত—উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি এমন কোন মহিলাকে বিবাহ করিল যেই মহিলার পাগলামি, কুষ্ঠ ও শ্বেত রোগ রহিয়াছে, উক্ত ব্যক্তি সেই মহিলার সাথে সহবাস করিলে সে মহিলা পূর্ণ মোহরানার হকদার হইবে এবং উক্ত মহিলার অভিভাবকের উপর সেই মোহরানার অর্থদণ্ড বর্তাইবে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি উক্ত মহিলার অভিভাবক, যে তাহাকে বিবাহ দিয়াছে তাহার পিতা বা ভাই অথবা এমন কোন আত্মীয় হয়, যে মহিলার রোগের খবর জানে, তবে তাহার স্বামীকে মোহরানার অর্থ ফেরত দিতে হইবে। পক্ষান্তরে যদি উক্ত মহিলার অভিভাবক তাহার চাচাত ভাই অথবা তাহার আযাদকৃত গোলাম অথবা তাহার গোত্রের অন্য কোন লোক হয়, যাহার সম্পর্কে ধারণা করা যায় যে, সে তাহার রোগের খবর জানে না। তবে তাহার উপর অর্থদণ্ড বর্তাইবে না। উক্ত মহিলা মোহরানার নিম্নতম পরিমাণ অর্থ রাখিয়া মোহরানার অবশিষ্ট অংশ স্বামীকে ফেরত দিবে।

بَاب مَا جَاءَ فِي الصَّدَاقِ وَالْحِبَاءِ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّهُ قَالَ قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ أَيُّمَا رَجُلٍ تَزَوَّجَ امْرَأَةً وَبِهَا جُنُونٌ أَوْ جُذَامٌ أَوْ بَرَصٌ فَمَسَّهَا فَلَهَا صَدَاقُهَا كَامِلًا وَذَلِكَ لِزَوْجِهَا غُرْمٌ عَلَى وَلِيِّهَا
قَالَ مَالِك وَإِنَّمَا يَكُونُ ذَلِكَ غُرْمًا عَلَى وَلِيِّهَا لِزَوْجِهَا إِذَا كَانَ وَلِيُّهَا الَّذِي أَنْكَحَهَا هُوَ أَبُوهَا أَوْ أَخُوهَا أَوْ مَنْ يُرَى أَنَّهُ يَعْلَمُ ذَلِكَ مِنْهَا فَأَمَّا إِذَا كَانَ وَلِيُّهَا الَّذِي أَنْكَحَهَا ابْنَ عَمٍّ أَوْ مَوْلًى أَوْ مِنْ الْعَشِيرَةِ مِمَّنْ يُرَى أَنَّهُ لَا يَعْلَمُ ذَلِكَ مِنْهَا فَلَيْسَ عَلَيْهِ غُرْمٌ وَتَرُدُّ تِلْكَ الْمَرْأَةُ مَا أَخَذَتْهُ مِنْ صَدَاقِهَا وَيَتْرُكُ لَهَا قَدْرَ مَا تُسْتَحَلُّ بِهِ

وحدثني عن مالك عن يحيى بن سعيد عن سعيد بن المسيب انه قال قال عمر بن الخطاب ايما رجل تزوج امراة وبها جنون او جذام او برص فمسها فلها صداقها كاملا وذلك لزوجها غرم على وليها قال مالك وانما يكون ذلك غرما على وليها لزوجها اذا كان وليها الذي انكحها هو ابوها او اخوها او من يرى انه يعلم ذلك منها فاما اذا كان وليها الذي انكحها ابن عم او مولى او من العشيرة ممن يرى انه لا يعلم ذلك منها فليس عليه غرم وترد تلك المراة ما اخذته من صداقها ويترك لها قدر ما تستحل به


Yahya related to me from Malik from Yahya ibn Said that Said ibn al-Musayyab had said that Umar ibn al-Khattab said, "If a man marries a woman who is insane, or has leprosy or white leprosy, without being told of her condition by her guardian, and he has sexual relations with her, she keeps her bride-price in its entirety. Her husband has damages against her guardian."

Malik said, "The husband has damages against her guardian when the guardian is her father, brother, or one who is deemed to have knowledge of her condition. If the guardian who gives her in marriage is a nephew, a mawla or a member of her tribe who is not deemed to have knowledge of her condition, there are no damages against him, and the woman returns what she has taken of her bride-price, and the husband leaves her whatever amount is thought to be fair."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মুয়াত্তা মালিক
২৮. বিবাহ সম্পর্কিত অধ্যায় (كتاب النكاح) 28/ Marriage

পরিচ্ছেদঃ ৩. মহর ও উপঢৌকন

রেওয়ায়ত ১০. নাফি’ (রহঃ) হইতে বর্ণিত, উবায়দুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)-এর কন্যা আবদুল্লাহ্ ইবন উমর (রাঃ)-এর পুত্রের স্ত্রী ছিলেন এবং তাহার মাতা ছিলেন যায়দ ইবন খাত্তাব (রাঃ)-এর কন্যা। তাহার সহিত তলব সহবাসের পূর্বে তাহার স্বামীর মৃত্যু হইল। অথচ তাহার মহর ধার্যকৃত ছিল না। স্বামীর মৃত্যুর পর তাহার মাতা মোহরানা দাবি করিলেন। আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) বলিলেন, তিনি মহর পাইবেন না। যদি তাহার পাওনা থাকিত, তবে আমরা অবশ্যই দিতাম এবং তাহার হক আদায় করিতে কোন প্রকার ক্রটি করিতাম না। কন্যার মাতা এই কথা মানিলেন না। যায়দ ইবন সাবিত (রাঃ) তাহাদের উভয়ের মীমাংসাকারী নিযুক্ত হইলেন। তিনি রায় দিলেন যে, কন্যা মোহরানা পাইবেন না। তিনি স্বামীর সম্পদে উত্তরাধিকারিণী হইবেন।

بَاب مَا جَاءَ فِي الصَّدَاقِ وَالْحِبَاءِ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ ابْنَةَ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ وَأُمُّهَا بِنْتُ زَيْدِ بْنِ الْخَطَّابِ كَانَتْ تَحْتَ ابْنٍ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ فَمَاتَ وَلَمْ يَدْخُلْ بِهَا وَلَمْ يُسَمِّ لَهَا صَدَاقًا فَابْتَغَتْ أُمُّهَا صَدَاقَهَا فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ لَيْسَ لَهَا صَدَاقٌ وَلَوْ كَانَ لَهَا صَدَاقٌ لَمْ نُمْسِكْهُ وَلَمْ نَظْلِمْهَا فَأَبَتْ أُمُّهَا أَنْ تَقْبَلَ ذَلِكَ فَجَعَلُوا بَيْنَهُمْ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ فَقَضَى أَنْ لَا صَدَاقَ لَهَا وَلَهَا الْمِيرَاثُ

وحدثني عن مالك عن نافع ان ابنة عبيد الله بن عمر وامها بنت زيد بن الخطاب كانت تحت ابن لعبد الله بن عمر فمات ولم يدخل بها ولم يسم لها صداقا فابتغت امها صداقها فقال عبد الله بن عمر ليس لها صداق ولو كان لها صداق لم نمسكه ولم نظلمها فابت امها ان تقبل ذلك فجعلوا بينهم زيد بن ثابت فقضى ان لا صداق لها ولها الميراث


Yahya related to me from Malik from Nafi that the daughter of Ubaydullah ibn Umar whose mother was the daughter of Zayd ibn al- Khattab, married the son of Abdullah ibn Umar. He died and had not yet consummated the marriage or specified her bride-price. Her mother wanted the bride-price, and Abdullah ibn Umar said, "She is not entitled to a bride-price. Had she been entitled to a bride-price, we would not have kept it and we would not do her an injustice. "The mother refused to accept that. Zayd ibn Thabit was brought to adjudicate between them and he decided that she had no bride-price, but that she did inherit.


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ নাফি‘ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মুয়াত্তা মালিক
২৮. বিবাহ সম্পর্কিত অধ্যায় (كتاب النكاح) 28/ Marriage

পরিচ্ছেদঃ ৩. মহর ও উপঢৌকন

রেওয়ায়ত ১১. মালিক (রহঃ)-এর নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, উমর ইবন আবদুল আযীয (রহঃ) তাহার খিলাফতকালে জনৈক কর্মকর্তার নিকট এই মর্মে পত্র লিখিলেন যে, বিবাহ প্রদানকারী তিনি পিতা হউক বা অন্য কেহ স্বামীর নিকট হইতে কোন প্রকার উপঢৌকন বা সম্মানীর শর্ত করিয়া থাকিলে স্ত্রী দাবি করিলে সে উহা পাইবে।

মালিক (রহঃ) সেই মহিলা সম্পর্কে বলেন, যে মহিলাকে তাহার পিতা বিবাহ দিয়াছে এবং কন্যার মোহরানাতে কন্যার পিতা নিজের জন্য কিছু উপঢৌকনের শর্ত করিয়াছে। তবে যেই সব শর্তে বিবাহ সংঘটিত হইয়াছে, সেই সব প্রাপ্য হইবে কন্যার, যদি সে দাবি করে। আর যদি তাহার স্বামী সহবাসের পূর্বে তাহাকে তালাক দেয় তবে শর্তকৃত উপঢৌকন হইতে স্বামী অর্ধেক পাইবে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি তাহার অপ্রাপ্ত বয়স্ক পুত্রকে বিবাহ দেয়, যে পুত্র কোন সম্পদের মালিক নয়। বিবাহ অনুষ্ঠানে যদি সে পুত্র সম্পদের মালিক না থাকে তবে মহর ওয়াজিব হইবে তাহার পিতার উপর। আর যদি পুত্র সম্পদের মালিক থাকে তবে পিতা স্বয়ং মহর-এর দায়িত্ব গ্রহণ না করিয়া থাকে তবে পুত্রের সম্পদ হইতে মহর আদায় করিতে হইবে। কেননা পুত্র পিতার কর্তৃত্বাধীন থাকিলে এবং পুত্র অপ্রাপ্ত বয়স্ক হইলে এই বিবাহ পুত্রের জন্য অপরিহার্য হইবে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ কোন ব্যক্তি সহবাসের পূর্বে তাহার কুমারী স্ত্রীকে তালাক দিল। কন্যার পিতা তাহার কন্যার অর্ধেক মহর মাফ করিয়া দিল। কন্যার পিতা যে পরিমাণ মহর মাফ করিয়া দিল সে পরিমাণ মহর না দেওয়া স্বামীর জন্য বৈধ হইবে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ উপরিউক্ত মাস’আলার দলীল এই যে, আল্লাহ তা’আলা কুরআনুল করীমে ইরশাদ করিয়াছেন ‏(‏إِلاَّ أَنْ يَعْفُونَ‏) “যদি না স্ত্রী মাফ করিয়া দেয়।” ইহাতে ঐ সকল স্ত্রীলোকের কথা বলা হইয়াছে যাহাঁদের সহিত তাহাদের স্বামীগণ সহবাস করিয়াছে। (‏أَوْ يَعْفُوَ الَّذِي بِيَدِهِ عُقْدَةُ النِّكَاحِ‏) অথবা যাহার হাতে বিবাহ বন্ধন রহিয়াছে সে মাফ করিয়া দেয়।[1]

আয়াতে উল্লিখিত “যাহার হাতে বিবাহ বন্ধন রহিয়াছে” দ্বারা উদ্দেশ্য হইতেছে, কুমারী কন্যার পিতা এবং ক্রীতদাসীর মালিক যাহাদের হাতে বিবাহ বন্ধনের অধিকার রহিয়াছে।”

মালিক (রহঃ) বলেনঃ এই বিষয়ে আমি এইরূপ শুনিয়াছি এবং আমাদের মদীনাবাসীর আমলও অনুরূপ।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ ইহুদী অথবা খ্রিস্টান মহিলা ইহুদী অথবা খ্রিস্টান স্বামীর বিবাহ বন্ধনে থাকিলে এবং ইহুদী অথবা খ্রিস্টান মহিলা স্বামীর সহিত সহবাসের পূর্বে মুসলিম হইলে তবে মহর তাহদের প্রাপ্য হইবে না ।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ দীনার-এর এক-চতুর্থাংশের কম পরিমাণ মহর-এর বিনিময়ে মহিলাকে বিবাহ দেওয়া আমি বৈধ মনে করি না। এই পরিমাণই হইতেছে সর্বনিম্ন পরিমাণ, যাহাতে চোরের হাত কাটা হয়।

بَاب مَا جَاءَ فِي الصَّدَاقِ وَالْحِبَاءِ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ كَتَبَ فِي خِلَافَتِهِ إِلَى بَعْضِ عُمَّالِهِ أَنَّ كُلَّ مَا اشْتَرَطَ الْمُنْكِحُ مَنْ كَانَ أَبًا أَوْ غَيْرَهُ مِنْ حِبَاءٍ أَوْ كَرَامَةٍ فَهُوَ لِلْمَرْأَةِ إِنْ ابْتَغَتْهُ قَالَ مَالِك فِي الْمَرْأَةِ يُنْكِحُهَا أَبُوهَا وَيَشْتَرِطُ فِي صَدَاقِهَا الْحِبَاءَ يُحْبَى بِهِ إِنَّ مَا كَانَ مِنْ شَرْطٍ يَقَعُ بِهِ النِّكَاحُ فَهُوَ لِابْنَتِهِ إِنْ ابْتَغَتْهُ وَإِنْ فَارَقَهَا زَوْجُهَا قَبْلَ أَنْ يَدْخُلَ بِهَا فَلِزَوْجِهَا شَطْرُ الْحِبَاءِ الَّذِي وَقَعَ بِهِ النِّكَاحُ قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يُزَوِّجُ ابْنَهُ صَغِيرًا لَا مَالَ لَهُ إِنَّ الصَّدَاقَ عَلَى أَبِيهِ إِذَا كَانَ الْغُلَامُ يَوْمَ تَزَوَّجَ لَا مَالَ لَهُ وَإِنْ كَانَ لِلْغُلَامِ مَالٌ فَالصَّدَاقُ فِي مَالِ الْغُلَامِ إِلَّا أَنْ يُسَمِّيَ الْأَبُ أَنَّ الصَّدَاقَ عَلَيْهِ وَذَلِكَ النِّكَاحُ ثَابِتٌ عَلَى الْابْنِ إِذَا كَانَ صَغِيرًا وَكَانَ فِي وِلَايَةِ أَبِيهِ قَالَ مَالِك فِي طَلَاقِ الرَّجُلِ امْرَأَتَهُ قَبْلَ أَنْ يَدْخُلَ بِهَا وَهِيَ بِكْرٌ فَيَعْفُو أَبُوهَا عَنْ نِصْفِ الصَّدَاقِ إِنَّ ذَلِكَ جَائِزٌ لِزَوْجِهَا مِنْ أَبِيهَا فِيمَا وَضَعَ عَنْهُ قَالَ مَالِك وَذَلِكَ أَنَّ اللَّهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى قَالَ فِي كِتَابِهِ إِلَّا أَنْ يَعْفُونَ فَهُنَّ النِّسَاءُ اللَّاتِي قَدْ دُخِلَ بِهِنَّ أَوْ يَعْفُوَ الَّذِي بِيَدِهِ عُقْدَةُ النِّكَاحِ فَهُوَ الْأَبُ فِي ابْنَتِهِ الْبِكْرِ وَالسَّيِّدُ فِي أَمَتِهِ قَالَ مَالِك وَهَذَا الَّذِي سَمِعْتُ فِي ذَلِكَ وَالَّذِي عَلَيْهِ الْأَمْرُ عِنْدَنَا قَالَ مَالِك فِي الْيَهُودِيَّةِ أَوْ النَّصْرَانِيَّةِ تَحْتَ الْيَهُودِيِّ أَوْ النَّصْرَانِيِّ فَتُسْلِمُ قَبْلَ أَنْ يَدْخُلَ بِهَا إِنَّهُ لَا صَدَاقَ لَهَا قَالَ مَالِك لَا أَرَى أَنْ تُنْكَحَ الْمَرْأَةُ بِأَقَلَّ مِنْ رُبْعِ دِينَارٍ وَذَلِكَ أَدْنَى مَا يَجِبُ فِيهِ الْقَطْعُ

وحدثني عن مالك انه بلغه ان عمر بن عبد العزيز كتب في خلافته الى بعض عماله ان كل ما اشترط المنكح من كان ابا او غيره من حباء او كرامة فهو للمراة ان ابتغته قال مالك في المراة ينكحها ابوها ويشترط في صداقها الحباء يحبى به ان ما كان من شرط يقع به النكاح فهو لابنته ان ابتغته وان فارقها زوجها قبل ان يدخل بها فلزوجها شطر الحباء الذي وقع به النكاح قال مالك في الرجل يزوج ابنه صغيرا لا مال له ان الصداق على ابيه اذا كان الغلام يوم تزوج لا مال له وان كان للغلام مال فالصداق في مال الغلام الا ان يسمي الاب ان الصداق عليه وذلك النكاح ثابت على الابن اذا كان صغيرا وكان في ولاية ابيه قال مالك في طلاق الرجل امراته قبل ان يدخل بها وهي بكر فيعفو ابوها عن نصف الصداق ان ذلك جاىز لزوجها من ابيها فيما وضع عنه قال مالك وذلك ان الله تبارك وتعالى قال في كتابه الا ان يعفون فهن النساء اللاتي قد دخل بهن او يعفو الذي بيده عقدة النكاح فهو الاب في ابنته البكر والسيد في امته قال مالك وهذا الذي سمعت في ذلك والذي عليه الامر عندنا قال مالك في اليهودية او النصرانية تحت اليهودي او النصراني فتسلم قبل ان يدخل بها انه لا صداق لها قال مالك لا ارى ان تنكح المراة باقل من ربع دينار وذلك ادنى ما يجب فيه القطع


Yahya related to me from Malik that he had heard that Umar ibn Abd al-Aziz during his khalifate, wrote to one of his governors, "Whatever a father, or guardian, who gives someone in marriage, makes a condition in the way of unreturnable gift or of favour, belongs to the woman if she wants it."

Malik spoke about a woman whose father gave her in marriage and made an unreturnable gift a condition of the bride-price which was to be given. He said, "Whatever is given as a condition by which marriage occurs belongs to the woman if she wants it. If the husband parts from her before the marriage is consummated, the husband has half of the unreturnable gift by which the marriage occurred."

Malik said about a man who married off his young son and the son had no wealth at all, that the bride- price was obliged of the father if the young man had no property on the day of marriage. If the young man did have property the bride- price was taken from his property unless the father stipulated that he would pay the bride-price. The marriage was affirmed for the son if he was a minor only if he was under the guardianship of his father.

Malik said that if a man divorced his wife before he had consummated the marriage and she was a virgin, her father returned half of the bride-price to him. That half was permitted to the husband from the father to compensate him for his expenses.

Malik said that that was because Allah, the Blessed, the Exalted, said in His Book, "Unless they (women with whom he had not consummated marriage) make remission or he makes remission to him in whose hand is the knot of marriage." (Sura 2 ayat 237). (He being the father of a virgin daughter or the master of a female slave.)

Malik said, "That is what I have heard about the matter, and that is how things are done among us."

Malik said that a jewish or christian woman who was married to a jew or christian and then became muslim before the marriage had been consummated, did not keep anything from the bride-price.

Malik said, "I do not think that women should be married for less than a quarter of a dinar. That is the lowest amount for which cutting off the hand is obliged ."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মুয়াত্তা মালিক
২৮. বিবাহ সম্পর্কিত অধ্যায় (كتاب النكاح) 28/ Marriage
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৪ পর্যন্ত, সর্বমোট ৪ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে