পরিচ্ছেদঃ ২. আকীকার পদ্ধতি
রেওয়ায়ত ৪. নাফি’ (রহঃ) বর্ণনা করেন, আবদুল্লাহ্ ইবন উমর (রাঃ)-এর পরিবারের কাহারও জন্য আকীকার ব্যাপারে সাহায্য প্রার্থনা করিলে তিনি তাহাকে সাহায্য করিতেন এবং তাহার নিজের সন্তানের ব্যাপারে ছেলে বা মেয়ে হউক, প্রত্যেক সন্তানের জন্য একটি করিয়া বকরী কুরবানী দিতেন।
بَاب الْعَمَلِ فِي الْعَقِيقَةِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ لَمْ يَكُنْ يَسْأَلُهُ أَحَدٌ مِنْ أَهْلِهِ عَقِيقَةً إِلَّا أَعْطَاهُ إِيَّاهَا وَكَانَ يَعُقُّ عَنْ وَلَدِهِ بِشَاةٍ شَاةٍ عَنْ الذُّكُورِ وَالْإِنَاثِ
Yahya related to me from Malik from Nafi that if any of Abdullah ibn Umar's family asked him for an aqiqa, he would give it to them. He gave a sheep as aqiqa for both his male and female children.
পরিচ্ছেদঃ ২. আকীকার পদ্ধতি
রেওয়ায়ত ৫. মুহাম্মদ ইবন ইবরাহীম হারিস তায়মী (রহঃ) বর্ণনা করেন-পিতার নিকট শুনিয়াছি, আকীকা করা তাহার খুবই প্রিয় ছিল, তাহা একটি পাখিও হউক না কেন।[1]
بَاب الْعَمَلِ فِي الْعَقِيقَةِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْحَارِثِ التَّيْمِيِّ أَنَّهُ قَالَ سَمِعْتُ أَبِي يَسْتَحِبُّ الْعَقِيقَةَ وَلَوْ بِعُصْفُورٍ
Yahya related to me from Malik from Rabia ibn Abi Abd ar-Rahman that Muhammad ibn Ibrahim ibn al-Harith at-Taymi said, "I heard my father say that the aqiqa was desirable, even if it was only a sparrow."
পরিচ্ছেদঃ ২. আকীকার পদ্ধতি
রেওয়ায়ত ৬. মালিক (রহঃ) জ্ঞাত হইয়াছেন-আলী ইবন আবু তালিবের পুত্র হাসান ও হুসায়ন (রাঃ) এর আকীকা করা হইয়াছিল।
بَاب الْعَمَلِ فِي الْعَقِيقَةِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّهُ عُقَّ عَنْ حَسَنٍ وَحُسَيْنٍ ابْنَيْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ
Yahya related to me from Malik that he heard that there had been an aqiqa for Hasan and Husayn, the sons of Ali ibn Abi Talib.
পরিচ্ছেদঃ ২. আকীকার পদ্ধতি
রেওয়ায়ত ৭. উরওয়াহ ইবন যুবাইর (রহঃ) ছেলে হউক বা মেয়ে, প্রত্যেক সত্তানের জন্য একটি বকরী আকীকা করিতেন।[1]
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আকীকার বিষয়ে আমাদের নিকট হুকুম হইল, ছেলে হইক বা মেয়ে হউক প্রত্যেকের জন্য একটি বকরী আকীকা করা হইবে। আকীকা করা ওয়াজিব নহে, মুস্তাহাব। তবে আকীকার বকরী কুরবানীর বকরীর অনুরূপ হইতে হইবে। চোখ কানা, অতিশয় বৃদ্ধ, শিং ভাঙা এবং রোগা হইলে চলিবে না। আকীকার মাংস এবং চামড়া বিক্রয় করা জায়েয নহে। ইহার হাড়গুলিও ভাঙ্গিয়া দেওয়া উচিত।[2]আকীকার মাংস নিজে খাইবে এবং দরিদ্রদিগকেও খাইতে দিবে। আকীকাকৃত বকরীর রক্ত বাচ্চাকে ছোঁয়াইবে না।[3]
[2] জাহেলী যুগে হাড় ভাঙ্গা অশুভ বলিয়া মনে করা হইত। তাই এইখানে এ কথার উল্লেখ করা হইয়াছে।
[3] ইহাও একটি জাহেলী রসম ছিল।
بَاب الْعَمَلِ فِي الْعَقِيقَةِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ أَنَّ أَبَاهُ عُرْوَةَ بْنَ الزُّبَيْرِ كَانَ يَعُقُّ عَنْ بَنِيهِ الذُّكُورِ وَالْإِنَاثِ بِشَاةٍ شَاةٍ
قَالَ مَالِك الْأَمْرُ عِنْدَنَا فِي الْعَقِيقَةِ أَنَّ مَنْ عَقَّ فَإِنَّمَا يَعُقُّ عَنْ وَلَدِهِ بِشَاةٍ شَاةٍ الذُّكُورِ وَالْإِنَاثِ وَلَيْسَتْ الْعَقِيقَةُ بِوَاجِبَةٍ وَلَكِنَّهَا يُسْتَحَبُّ الْعَمَلُ بِهَا وَهِيَ مِنْ الْأَمْرِ الَّذِي لَمْ يَزَلْ عَلَيْهِ النَّاسُ عِنْدَنَا فَمَنْ عَقَّ عَنْ وَلَدِهِ فَإِنَّمَا هِيَ بِمَنْزِلَةِ النُّسُكِ وَالضَّحَايَا لَا يَجُوزُ فِيهَا عَوْرَاءُ وَلَا عَجْفَاءُ وَلَا مَكْسُورَةٌ وَلَا مَرِيضَةٌ وَلَا يُبَاعُ مِنْ لَحْمِهَا شَيْءٌ وَلَا جِلْدُهَا وَيُكْسَرُ عِظَامُهَا وَيَأْكُلُ أَهْلُهَا مِنْ لَحْمِهَا وَيَتَصَدَّقُونَ مِنْهَا وَلَا يُمَسُّ الصَّبِيُّ بِشَيْءٍ مِنْ دَمِهَا
Yahya related to me from Malik from Hisham ibn Urwa that his father, Urwa ibn az-Zubayr made an aqiqa for his male and female children of a sheep each.
Malik said, "What we do about the aqiqa is that if someone makes an aqiqa for his children, he gives a sheep for both male and female. The aqiqa is not obligatory but it is desirable to do it, and people continue to come to us about it. If someone makes an aqiqa for his children, the same rules apply as with all sacrificial animals - one-eyed, emaciated, injured, or sick animals must not be used, and neither the meat or the skin is to be sold. The bones are broken and the family eat the meat and give some of it away as sadaqa. The child is not smeared with any of the blood .''