পরিচ্ছেদঃ ৩১. শক্র দ্বারা পথে বাধাপ্রাপ্ত হইলে হজ্জ সম্পাদনে ইচ্ছুক ব্যক্তি কি করিবে
রেওয়ায়ত ১০১. মালিক (রহঃ) বলেন, শক্ৰ যদি কাহারও যাত্রাপথে বাধার সৃষ্টি করে এবং বায়তুল্লাহ পর্যন্ত সে যদি পৌছিতে না পারে তবে যে স্থানে বাধাপ্রাপ্ত হইবে সেই স্থানেই সে ইহরাম খুলিয়া ফেলিবে ও কুরবানী দিবে এবং মাথা কামাইয়া ফেলিবে। তাহাকে আর দ্বিতীয়বার এই হজ্জ কাযা করিতে হইবে না।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ তাহার নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, মক্কার কাফিরগণ হুদায়বিয়ার ময়দানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাহার সাহাবীগণকে মক্কায় যাইতে বাধা দিল। তখন তাহারা সেখানেই ইহরাম খুলিয়া ফেলিয়াছিলেন, হাদয়ী কুরবানী দিয়াছিলেন এবং মাথা কামাইয়া নিয়াছিলেন। বায়তুল্লাহ তাওয়াফ এবং কুরবানীর পশু মক্কায় পৌছার পূর্বেই তাহারা হালাল হইয়া গিয়াছিলেন। পরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন সঙ্গী বা সাহাবীকে দ্বিতীয়বার এই হজ্জ কাযা করার বা পুনরায় করার নির্দেশ দিয়াছিলেন বলিয়া আমাদের জানা নাই।
بَاب مَا جَاءَ فِيمَنْ أُحْصِرَ بِعَدُوٍّ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك قَالَ مَنْ حُبِسَ بِعَدُوٍّ فَحَالَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْبَيْتِ فَإِنَّهُ يَحِلُّ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ وَيَنْحَرُ هَدْيَهُ وَيَحْلِقُ رَأْسَهُ حَيْثُ حُبِسَ وَلَيْسَ عَلَيْهِ قَضَاءٌ وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَلَّ هُوَ وَأَصْحَابُهُ بِالْحُدَيْبِيَةِ فَنَحَرُوا الْهَدْيَ وَحَلَقُوا رُءُوسَهُمْ وَحَلُّوا مِنْ كُلِّ شَيْءٍ قَبْلَ أَنْ يَطُوفُوا بِالْبَيْتِ وَقَبْلَ أَنْ يَصِلَ إِلَيْهِ الْهَدْيُ ثُمَّ لَمْ يُعْلَمْ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَ أَحَدًا مِنْ أَصْحَابِهِ وَلَا مِمَّنْ كَانَ مَعَهُ أَنْ يَقْضُوا شَيْئًا وَلَا يَعُودُوا لِشَيْءٍ
Yahya related to me that Malik said, "Someone whose passage to the House is blocked by an enemy is freed from every restriction of ihram, and should sacrifice his animal and shave his head wherever he has been detained, and there is nothing for him to make up afterwards."
Yahya related to me from Malik that he had heard that when the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, and his companions came out of ihram at al-Hudaybiya they sacrificed their sacrificial animals and shaved their heads, and were freed from all the restrictions of ihram without having done tawaf of the House and without their sacrificial animals reaching the Kaba.
There is nothing known about the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, ever telling any of his companions, or anybody else that was with him, to make up for anything they had missed or to go back to doing anything they had not finished doing.
পরিচ্ছেদঃ ৩১. শক্র দ্বারা পথে বাধাপ্রাপ্ত হইলে হজ্জ সম্পাদনে ইচ্ছুক ব্যক্তি কি করিবে
রেওয়ায়ত ১০২. নাফি’ (রহঃ) হইতে বর্ণিত, বিশৃংখলার বৎসর আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) উমরা করার নিয়তে মক্কার উদ্দেশ্যে যাত্রা করার সময় বলিয়াছিলেনঃ বায়তুল্লায় যাওয়ার পথে যদি আমি বাধাপ্রাপ্ত হই, তবে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে থাকাকালীন এই অবস্থায় আমরা যাহা করিয়াছিলাম আজও তাহাই করিব। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হুদায়বিয়ার বৎসর শুধু উমরার নিয়তেই মক্কা যাত্রা করিয়াছিলেন– এই কথা খেয়াল করিয়া আবদুল্লাহ্ ইবন উমর (রাঃ)-ও শুধু উমরার ইহরাম বাধিলেন। পরে চিন্তা করিয়া দেখিলেন, বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার বেলায় হজ্জ ও উমরার হুকুম একই ধরনের। তোমাদিগকে সাক্ষী বানাইতেছি যে, আমি এখন হজ্জ ও উমরা উভয়ই আমার উপর ওয়াজিব করিয়া নিলাম। এই বলিয়া তিনি যাত্রা শুরু করিলেন এবং বায়তুল্লাম আসিয়া তাওয়াফ সমাধা করিলেন, আর এইটুকুই নিজের জন্য যথেষ্ট মনে করিলেন। কুরবানীর যে পশু ছিল তাহাও নাহর করিলেন।[1]
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমার মতে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাহার সাহাবীগণ যাহা করিয়াছিলেন হজ্জের পথে বাধাপ্রাপ্ত হইলে তাহাই করা উচিত। তবে শত্রুর দ্বারা নয়, অন্য কোন কারণে বাধাপ্রাপ্ত হইলে বায়তুল্লাহু না যাওয়া পর্যন্ত আর সে হালাল হইবে না।
بَاب مَا جَاءَ فِيمَنْ أُحْصِرَ بِعَدُوٍّ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّهُ قَالَ حِينَ خَرَجَ إِلَى مَكَّةَ مُعْتَمِرًا فِي الْفِتْنَةِ إِنْ صُدِدْتُ عَنْ الْبَيْتِ صَنَعْنَا كَمَا صَنَعْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَهَلَّ بِعُمْرَةٍ مِنْ أَجْلِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ عَامَ الْحُدَيْبِيَةِ ثُمَّ إِنَّ عَبْدَ اللَّهِ نَظَرَ فِي أَمْرِهِ فَقَالَ مَا أَمْرُهُمَا إِلَّا وَاحِدٌ ثُمَّ الْتَفَتَ إِلَى أَصْحَابِهِ فَقَالَ مَا أَمْرُهُمَا إِلَّا وَاحِدٌ أُشْهِدُكُمْ أَنِّي قَدْ أَوْجَبْتُ الْحَجَّ مَعَ الْعُمْرَةِ ثُمَّ نَفَذَ حَتَّى جَاءَ الْبَيْتَ فَطَافَ طَوَافًا وَاحِدًا وَرَأَى ذَلِكَ مُجْزِيًا عَنْهُ وَأَهْدَى قَالَ مَالِك فَهَذَا الْأَمْرُ عِنْدَنَا فِيمَنْ أُحْصِرَ بِعَدُوٍّ كَمَا أُحْصِرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابُهُ فَأَمَّا مَنْ أُحْصِرَ بِغَيْرِ عَدُوٍّ فَإِنَّهُ لَا يَحِلُّ دُونَ الْبَيْتِ
Yahya related to me from Malik from Nafi that when Abdullah ibn Umar set out for Makka during the troubles (between al-Hajjaj ibn Yusuf and Zubair ibn al-Awwam) he said, "If I am blocked from going to the House we shall do what we did when we were with the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace," and he went into ihram for umra, because that was what the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, did in the year of al-Hudaybiya.
But afterwards, he reconsidered his position and said, "It is the same either way." After that he turned to his companions and said, "It is the same either way. I call you to witness that I have decided in favour of hajj and umra together."
He then got through to the House (without being stopped) and did one set of tawaf, which he considered to be enough for himself, and sacrificed an animal.
Malik said, "This is what we go by if someone is hindered by an enemy, as the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, and his companions were. If some one is hindered by anything other than an enemy, he is only freed from ihram by tawaf of the House. "