পরিচ্ছেদঃ ১. ইতিকাফের বর্ণনা
রেওয়ায়ত ১. নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণী আয়েশা (রাঃ) হইতে বর্ণিত-তিনি বলিয়াছেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লা ইতিকাফে থাকা অবস্থায় তাহার শির আমার দিকে ঝুঁকাইয়া দিতেন, আমি তাহার চুল চিরুনি দিয়া আঁচড়াইয়া দিতাম। আর তিনি হাজতে-ইনসানী (পায়খানা-প্রস্রাবের আবশ্যক) ব্যতীত গৃহে প্রবেশ করিতেন না।
بَاب ذِكْرِ الْاعْتِكَافِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهَا قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا اعْتَكَفَ يُدْنِي إِلَيَّ رَأْسَهُ فَأُرَجِّلُهُ وَكَانَ لَا يَدْخُلُ الْبَيْتَ إِلَّا لِحَاجَةِ الْإِنْسَانِ
Yahya related to me from Malik from Ibn Shihab from Urwa ibn az- Zubayr from Amra bint Abd ar-Rahman that A'isha, the wife of the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, said,"When the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, did itikaf he would bring his head near to me and I would comb it. He would only go into the house to relieve himself."
পরিচ্ছেদঃ ১. ইতিকাফের বর্ণনা
রেওয়ায়ত ২. আমরা বিন্ত আবদুর রহমান (রহঃ) হইতে বর্ণিত, আয়েশা (রাঃ) যখন ইতিকাফ করিতেন, তখন তিনি রোগীর অবস্থা জিজ্ঞাসা করিতে গমন করিতেন না; কিন্তু চলার পথে না দাঁড়াইয়া জিজ্ঞাসা করিয়া নিতেন।
ইয়াহইয়া (রহঃ) বলেন, মালিক (রহঃ) বলিয়াছেনঃ ইতিকাফকারী কোন প্রয়োজনে মসজিদের বাহিরে যাইবে না এবং কোন কারণে বাহিরও হইবে না। আর কাহাকে সাহায্যও করিবে না। কিন্তু যদি হাজতে-ইনসানীর (প্ৰস্ৰাব-পায়খানা) জন্য বাহির হয় তাহা বৈধ হইবে। আর যদি কাহারো আবশ্যকের জন্য বাহির হওয়া জায়েয হইত তবে রোগীর অবস্থা দেখা, জানাযার নামায পড়া ও উহার অনুগমন তাহার জন্য সর্বাগ্রে বৈধ হইত (কিন্তু সেগুলির জন্যও বাহির হওয়া নিষেধ)।
ইয়াহইয়া (রহঃ) বলেন, মালিক (রহঃ) বলিয়াছেনঃ ইতিকাফকারী (প্রকৃত) ইতিকাফকারী হইবে না যতক্ষণ যেসব বস্তু হইতে তাহার পরহেয করিতে হয় সেইসব হইতে সে পরহিয না করিবে (যথা রোগী দেখিতে যাওয়া, জানাযার নামায পড়া, হাজতে-ইনসানী ব্যতীত গৃহে প্রবেশ করা)।
بَاب ذِكْرِ الْاعْتِكَافِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ عَائِشَةَ كَانَتْ إِذَا اعْتَكَفَتْ لَا تَسْأَلُ عَنْ الْمَرِيضِ إِلَّا وَهِيَ تَمْشِي لَا تَقِفُ
قَالَ مَالِك لَا يَأْتِي الْمُعْتَكِفُ حَاجَتَهُ وَلَا يَخْرُجُ لَهَا وَلَا يُعِينُ أَحَدًا إِلَّا أَنْ يَخْرُجَ لِحَاجَةِ الْإِنْسَانِ وَلَوْ كَانَ خَارِجًا لِحَاجَةِ أَحَدٍ لَكَانَ أَحَقَّ مَا يُخْرَجُ إِلَيْهِ عِيَادَةُ الْمَرِيضِ وَالصَّلَاةُ عَلَى الْجَنَائِزِ وَاتِّبَاعُهَا قَالَ مَالِك لَا يَكُونُ الْمُعْتَكِفُ مُعْتَكِفًا حَتَّى يَجْتَنِبَ مَا يَجْتَنِبُ الْمُعْتَكِفُ مِنْ عِيَادَةِ الْمَرِيضِ وَالصَّلَاةِ عَلَى الْجَنَائِزِ وَدُخُولِ الْبَيْتِ إِلَّا لِحَاجَةِ الْإِنْسَانِ
Yahya related to me from Malik from Ibn Shihab from Amra bint Abd ar-Rahman that when A'isha was doing itikaf she would only ask after sick people if she was walking and not if she was standing still.
Malik said, "A person doing itikaf should not carry out obligations of his, nor leave the mosque for them, nor should he help anyone. He should only leave the mosque to relieve himself. If he were able to go out to do things for people, visiting the sick, praying over the dead and following funeral processions would be the things with the most claim on his coming out."
Malik said, "A person doing itikaf is not doing itikaf until he avoids what some one doing itikaf should avoid, namely, visiting the sick, praying over the dead, and entering houses, except to relieve himself."
পরিচ্ছেদঃ ১. ইতিকাফের বর্ণনা
রেওয়ায়ত ৩. মালিক (রহঃ) বলেনঃ তিনি ইবন শিহাব (রহঃ)-কে প্রশ্ন করিলেন, এক ব্যক্তি সম্পর্কে যে ইতিকাফ করিতেছে, সে কি তাহার প্রস্রাব-পায়খানার প্রয়োজনে (গৃহের) ছাদের নিচে প্রবেশ করিতে পারবে? তিনি বলিলেনঃ হ্যাঁ, ইহাতে কোন ক্ষতি নাই।
ইয়াহইয়া (রহঃ) বলেন- মালিক (রহঃ) বলিয়াছেনঃ আমাদের নিকট যাহাতে কোন ইখতেলাফ নাই তাহা এই যে, যে সকল মসজিদে জুম’আর নামায পড়া হয়, সেই সকল মসজিদে ইতিকাফ করা মাকরূহ নহে। আর আমি মনে করি না যে, যে সকল মসজিদে জুম’আর নামায পড়া হয় না, সেই সকল মসজিদে ইতিকাফকে তিনি (মালিক র.) মাকরূহ বলিয়াছেন। ব্যাপার হইল এই যে, ইতিকাফকারী যে মসজিদে ইতিকাফ করিতেছে উহা হইতে বাহির হইবে অথবা জুম’আ ছাড়িয়া দিবে, সেই জন্য তিনি মাকরুহ বলিয়াছেন। তাহার মতে, যদি এইরূপ মসজিদ হয় যাহাতে জুম’আ পড়া হয় না এবং ইতিকাফকারীর উপর সেই মসজিদ ছাড়া অন্য কোন মসজিদে জুম’আতে যাওয়া ওয়াজিব না হয় তবে সেই মসজিদে ইতিকাফ করিতে কোন দোষ নাই। কারণ আল্লাহ্ তা’আলা ইরশাদ করিয়াছেন, (وَأَنْتُمْ عَاكِفُونَ فِي الْمَسَاجِدِ) অর্থাৎ তোমরা মসজিদে ইতিকাফরত অবস্থায় তাহদের সহিত (স্ত্রী) মিলিত হইও না। (বাকারাঃ ১৮৭) ইহাতে সাধারণভাবে সকল মসজিদকে উদ্দেশ্য করা হইয়াছে এবং কোন মসর্জির্দকে আল্লাহ নির্দিষ্ট করিয়া দেন নাই।
মালিক (রহঃ) বলেন, এইজন্যই ইতিকাফকারীর পক্ষে জুম’আ অনুষ্ঠিত হয় না সেইরূপ মসজিদে ইতিকাফ করা জায়েয হইবে, যদি মসজিদ হইতে বাহির হইয়া জুম’আ মসজিদে যাওয়া তাহার উপর ওয়াজিব না হয়।
মালিক (রহঃ) বলেন, যে মসজিদে ইতিকাফ করিয়াছে (ইতিকাফকারী) সেই মসজিদেই রাত্রি যাপন করিবে, তবে যদি তাহার তাবু মসজিদের চত্বরের কোন চত্বরে হয়।
মালিক (রহঃ) বলেন, আমি শুনি নাই, ইতিকাফকারী রাত্রি যাপন করার জন্য কোন কিছু নির্মাণ করিবে কিন্তু তাহার রাত্রি যাপন হইবে মসজিদে অথবা মসজিদের চত্বরে। মসজিদ ব্যতীত অন্যত্র রাত্রি যাপন সে করিবে না, ইহার প্রমাণ হইল আয়েশা (রাঃ)-এর উক্তি- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ইতিকাফ করিতেন তখন হাজতে-ইনসানী ছাড়া গৃহে প্রবেশ করতেন না।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ কেউ মসজিদের ছাদের উপর ইতিকাফ করিবে না এবং সাওমাআতেও (صومعه মিনার) না।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ ইতিকাফকারী যেই রাত্রে ইতিকাফের ইচ্ছা করিয়াছে, সেই রাত্রির সূর্যাস্তের পূর্বে ইতিকাফের স্থানে প্রবেশ করিবে, যাহাতে যেই রাত্রে ইতিকাফ করবে, সেই রাত্রির প্রথম অংশকে সে ইতিকাফ দ্বারা মুবারকবাদ জানাইতে পারে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ ইতিকাফকারী নিজের ইতিকাফে মশগুল থাকিবে, ইতিকাফ ভিন্ন তিজারত বা অন্যকিছুর দিকে যেই সবের প্রতি মশগুল হওয়া যায় মনোযোগী হইবে না। ইতিকাফকারীর পক্ষে তাহার কোন আসবাব অথবা পরিবারের উপকারী ও উপযোগী কোন কাজ, তাহার মাল বিক্রয় অথবা অন্য কোন কাজ যাহা তাহাকে ব্যতিব্যস্ত করে না (এই জাতীয়) নিজের কোন আবশ্যকে নির্দেশ দেওয়াতে কোন ক্ষতি নাই। ইহাতে কোন দোষ নাই, যদি তিনি ছোটখাট কাজের জন্য কোন ব্যক্তিকে সেই কার্য সমাধা করিতে নির্দেশ দেন।
মালিক (রহঃ) বলেন, কোন আহলে ইলম কর্তৃক ইতিকাফে কোন শর্ত আরোপ করিতে আমি শুনি নাই। ইতিকাফ অন্যান্য আমলের মত একটি আমল; যথা নামায, রোযা, হজ্জ এবং অন্যান্য যাহা এই সকল আমলের অনুরূপ এবং যাহা উহাদের মধ্যে ফরয অথবা নফল। (শরীয়তের) এই সকল আমলের মত ইতিকাফও একটি আমল। যে ব্যক্তি ইহার কোন আমলে প্রবেশ করিবে, সে প্রতিষ্ঠিত সুন্নত মুতাবিক আমল করিবে। মুসলিমগণ যে তরীকায় চলিয়াছেন সেই তরীকা ছাড়া উহাতে নূতন কোন পন্থা আবিষ্কার করার অধিকার তাহার নাই। না কোন শর্ত আরোপ করিবে, না কোন বিদ’আত সৃষ্টি করবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম ইতিকাফ করিয়াছেন, উহা হইতে মুসলিমরা ইতিকাফের সুন্নত অবগত হইয়াছেন।
ইয়াহইয়া (রহঃ) বলেন- মালিক (রহঃ) বলিয়াছেনঃ ইতিকাফ এবং মসজিদে অবস্থান এক সমান। আর গ্রাম ও শহরের লোকের ইতিকাফ এক সমান (আহকামের ব্যাপারে)।
بَاب ذِكْرِ الْاعْتِكَافِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ سَأَلَ ابْنَ شِهَابٍ عَنْ الرَّجُلِ يَعْتَكِفُ هَلْ يَدْخُلُ لِحَاجَتِهِ تَحْتَ سَقْفٍ فَقَالَ نَعَمْ لَا بَأْسَ بِذَلِكَ
قَالَ مَالِك الْأَمْرُ عِنْدَنَا الَّذِي لَا اخْتِلَافَ فِيهِ أَنَّهُ لَا يُكْرَهُ الْاعْتِكَافُ فِي كُلِّ مَسْجِدٍ يُجَمَّعُ فِيهِ وَلَا أُرَاهُ كُرِهَ الْاعْتِكَافُ فِي الْمَسَاجِدِ الَّتِي لَا يُجَمَّعُ فِيهَا إِلَّا كَرَاهِيَةَ أَنْ يَخْرُجَ الْمُعْتَكِفُ مِنْ مَسْجِدِهِ الَّذِي اعْتَكَفَ فِيهِ إِلَى الْجُمُعَةِ أَوْ يَدَعَهَا فَإِنْ كَانَ مَسْجِدًا لَا يُجَمَّعُ فِيهِ الْجُمُعَةُ وَلَا يَجِبُ عَلَى صَاحِبِهِ إِتْيَانُ الْجُمُعَةِ فِي مَسْجِدٍ سِوَاهُ فَإِنِّي لَا أَرَى بَأْسًا بِالْاعْتِكَافِ فِيهِ لِأَنَّ اللَّهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى قَالَ وَأَنْتُمْ عَاكِفُونَ فِي الْمَسَاجِدِ فَعَمَّ اللَّهُ الْمَسَاجِدَ كُلَّهَا وَلَمْ يَخُصَّ شَيْئًا مِنْهَا قَالَ مَالِك فَمِنْ هُنَالِكَ جَازَ لَهُ أَنْ يَعْتَكِفَ فِي الْمَسَاجِدِ الَّتِي لَا يُجَمَّعُ فِيهَا الْجُمُعَةُ إِذَا كَانَ لَا يَجِبُ عَلَيْهِ أَنْ يَخْرُجَ مِنْهُ إِلَى الْمَسْجِدِ الَّذِي تُجَمَّعُ فِيهِ الْجُمُعَةُ قَالَ مَالِك وَلَا يَبِيتُ الْمُعْتَكِفُ إِلَّا فِي الْمَسْجِدِ الَّذِي اعْتَكَفَ فِيهِ إِلَّا أَنْ يَكُونَ خِبَاؤُهُ فِي رَحَبَةٍ مِنْ رِحَابِ الْمَسْجِدِ وَلَمْ أَسْمَعْ أَنَّ الْمُعْتَكِفَ يَضْرِبُ بِنَاءً يَبِيتُ فِيهِ إِلَّا فِي الْمَسْجِدِ أَوْ فِي رَحَبَةٍ مِنْ رِحَابِ الْمَسْجِدِ وَمِمَّا يَدُلُّ عَلَى أَنَّهُ لَا يَبِيتُ إِلَّا فِي الْمَسْجِدِ قَوْلُ عَائِشَةَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا اعْتَكَفَ لَا يَدْخُلُ الْبَيْتَ إِلَّا لِحَاجَةِ الْإِنْسَانِ وَلَا يَعْتَكِفُ فَوْقَ ظَهْرِ الْمَسْجِدِ وَلَا فِي الْمَنَارِ يَعْنِي الصَّوْمَعَةَ وَقَالَ مَالِك يَدْخُلُ الْمُعْتَكِفُ الْمَكَانَ الَّذِي يُرِيدُ أَنْ يَعْتَكِفَ فِيهِ قَبْلَ غُرُوبِ [ ص: 245 ] الشَّمْسِ مِنْ اللَّيْلَةِ الَّتِي يُرِيدُ أَنْ يَعْتَكِفَ فِيهَا حَتَّى يَسْتَقْبِلَ بِاعْتِكَافِهِ أَوَّلَ اللَّيْلَةِ الَّتِي يُرِيدُ أَنْ يَعْتَكِفَ فِيهَا وَالْمُعْتَكِفُ مُشْتَغِلٌ بِاعْتِكَافِهِ لَا يَعْرِضُ لِغَيْرِهِ مِمَّا يَشْتَغِلُ بِهِ مِنْ التِّجَارَاتِ أَوْ غَيْرِهَا وَلَا بَأْسَ بِأَنْ يَأْمُرَ الْمُعْتَكِفُ بِضَيْعَتِهِ وَمَصْلَحَةِ أَهْلِهِ وَأَنْ يَأْمُرَ بِبَيْعِ مَالِهِ أَوْ بِشَيْءٍ لَا يَشْغَلُهُ فِي نَفْسِهِ فَلَا بَأْسَ بِذَلِكَ إِذَا كَانَ خَفِيفًا أَنْ يَأْمُرَ بِذَلِكَ مَنْ يَكْفِيهِ إِيَّاهُ قَالَ مَالِك لَمْ أَسْمَعْ أَحَدًا مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ يَذْكُرُ فِي الْاعْتِكَافِ شَرْطًا وَإِنَّمَا الْاعْتِكَافُ عَمَلٌ مِنْ الْأَعْمَالِ مِثْلُ الصَّلَاةِ وَالصِّيَامِ وَالْحَجِّ وَمَا أَشْبَهَ ذَلِكَ مِنْ الْأَعْمَالِ مَا كَانَ مِنْ ذَلِكَ فَرِيضَةً أَوْ نَافِلَةً فَمَنْ دَخَلَ فِي شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ فَإِنَّمَا يَعْمَلُ بِمَا مَضَى مِنْ السُّنَّةِ وَلَيْسَ لَهُ أَنْ يُحْدِثَ فِي ذَلِكَ غَيْرَ مَا مَضَى عَلَيْهِ الْمُسْلِمُونَ لَا مِنْ شَرْطٍ يَشْتَرِطُهُ وَلَا يَبْتَدِعُهُ وَقَدْ اعْتَكَفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَرَفَ الْمُسْلِمُونَ سُنَّةَ الْاعْتِكَافِ قَالَ مَالِك وَالْاعْتِكَافُ وَالْجِوَارُ سَوَاءٌ وَالْاعْتِكَافُ لِلْقَرَوِيِّ وَالْبَدَوِيِّ سَوَاءٌ
Yahya related to me from Malik that he had asked Ibn Shihab whether someone doing itikaf could go into a house to relieve himself, and he said, "Yes, there is no harm in that."
Malik said, "The situation that we are all agreed upon here is that there is no disapproval of anyone doing itikaf in a mosque where jumua is held. The only reason I see for disapproving of doing itikaf in a mosque where jumua is not held is that the man doing itikaf would have to leave the mosque where he was doing itikaf in order to go to jumua, or else not go there at all. If, however, he is doing itikaf in a mosque where jumua is not held, and he does not have to go to jumua in any other mosque, then I see no harm in him doing itikaf there, because Allah, the Blessed and Exalted, says, 'While you are doing itikaf in mosques,' and refers to all mosques in general, without specifying any particular kind."
Malik continued, "Accordingly, it is permissiblefor a man to do itikaf in a mosque where jumua is not held if he does not have to leave it to go to a mosque where jumua is held."
Malik said, "A person doing itikaf should spend the night only in the mosque where he is doing itikaf, except if his tent is in one of the courtyards of the mosque. I have never heard that someone doing itikaf can put up a shelter anywhere except in the mosque itself or in one of the courtyards of the mosque.
Part of what shows that he must spend the night in the mosque is the saying of A'isha, 'When the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, was doing itikaf, he would only go into the house to relieve himself.' Nor should he do itikaf on the roof of the mosque or in the minaret."
Malik said, "The person who is going to do itikaf should enter the place where he wishes to do itikaf before the sun sets on the night when he wishes to begin his itikaf, so that he is ready to begin the itikaf at the beginning of the night when he is going to start his itikaf. A person doing itikaf should be occupied with his itikaf, and not turn his attention to other things which might occupy him, such as trading or whatever. There is no harm, however, if some one doing itikaf tells some one to do something for him regarding his estate, or the affairs of his family, or tells someone to sell some property of his, or something else that does not occupy him directly. There is no harm in him arranging for someone else to do that for him if it is a simple matter."
Malik said, "I have never heard any of the people of knowledge mentioning any modification as far as how to do itikaf is concerned. Itikaf is an act of ibada like the prayer, fasting, the hajj, and such like acts, whether they are obligatory or voluntary. Anyone who begins doing any of these acts should do them according to what has come down in the sunna. He should not start doing anything in them that the muslims have not done, whether it is a modification that he imposes on others, or one that he begins doing himself. The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, practised itikaf, and the muslims know what the sunna of itikaf is."
Malik said, "Itikaf and jiwar are the same, and Itikaf is the same for a village-dweller as it is for a nomad."