পরিচ্ছেদঃ ৫. কুরআনের সিজদাসমূহ
রেওয়ায়ত ১২. আবু সালমা ইবনে আবদুর রহমান (রহঃ) হইতে বর্ণিত, আবু হুরায়রা (বা) তাঁহাদের উদ্দেশ্যে (إِذَا السَّمَاءُ انشَقَّتْ) অর্থাৎ সূরা ইনশিকাক পাঠ করিলেন এবং এই সূরায় সিজদা করিলেন। তিনি নামায সমাপ্ত করিলে পর তাহাদিগকে জানাইলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই সূরায় সিজদা করিয়াছেন।
بَاب مَا جَاءَ فِي سُجُودِ الْقُرْآنِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ مَوْلَى الْأَسْوَدِ بْنِ سُفْيَانَ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ قَرَأَ لَهُمْ إِذَا السَّمَاءُ انْشَقَّتْ فَسَجَدَ فِيهَا فَلَمَّا انْصَرَفَ أَخْبَرَهُمْ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَجَدَ فِيهَا
Yahya related to me from Malik from Abdullah ibn Yazid, the mawla of al Aswad ibn Sufyan, from Abu Salama ibn Abd ar Rahman that Abu Hurayra recited al-Inshiqaq (Sura 84) to them and prostrated in it. When he had finished he told them that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, had prostrated in it.
পরিচ্ছেদঃ ৫. কুরআনের সিজদাসমূহ
রেওয়ায়ত ১৩. মিসরের বাসিন্দাদের একজন নাফি (রহঃ)-কে বলিয়াছেন যে, উমর ইবনে খাত্তাব (রাঃ) একবার সূরা হজ্জ পাঠ করিলেন এবং তিনি এই সূরায় দুইটি সিজদা করিলেন। অতঃপর তিনি বলিলেনঃ নিশ্চয় এই সূরাকে দুইটি সিজদা দ্বারা বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত করা হইয়াছে।
بَاب مَا جَاءَ فِي سُجُودِ الْقُرْآنِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ مَوْلَى ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَجُلًا مِنْ أَهْلِ مِصْرَ أَخْبَرَهُ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَرَأَ سُورَةَ الْحَجِّ فَسَجَدَ فِيهَا سَجْدَتَيْنِ ثُمَّ قَالَ إِنَّ هَذِهِ السُّورَةَ فُضِّلَتْ بِسَجْدَتَيْنِ
Yahya related to me from Malik from Nafi, the mawla of Ibn Umar that a man from Egypt told him that Umar ibn al-Khattab recited Surat al-Hajj (Sura 22) and prostrated twice in it, and then said, "This sura has been given special preference by having two prostrations in it."
পরিচ্ছেদঃ ৫. কুরআনের সিজদাসমূহ
রেওয়ায়ত ১৪. আবদুল্লাহ্ ইবনে দীনার (রহঃ) বলেন- আমি আবদুল্লাহ্ ইবনে উমর (রাঃ)-কে সূরা-এ হজ্জে দুইটি সিজদা করিতে দেখিয়াছি।
بَاب مَا جَاءَ فِي سُجُودِ الْقُرْآنِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ أَنَّهُ قَالَ رَأَيْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ يَسْجُدُ فِي سُورَةِ الْحَجِّ سَجْدَتَيْنِ
Yahya related to me from Malik that Abdullah ibn Dinar said, "I saw Abdullah ibn Umar prostrate twice in Surat al-Hajj (Sura 22)."
পরিচ্ছেদঃ ৫. কুরআনের সিজদাসমূহ
রেওয়ায়ত ১৫. আরজ (রহঃ) হইতে বর্ণিত, উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ) (وَالنَّجْمِ إِذَا هَوَىٰ) অর্থাৎ সূরা আন-নাজম পাঠ করলেন এবং উহাতে সিজদা করিলেন। তিনি দাঁড়াইলেন এবং অন্য একটি সূরা পাঠ করিলেন।
بَاب مَا جَاءَ فِي سُجُودِ الْقُرْآنِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ الْأَعْرَجِ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَرَأَ بِالنَّجْمِ إِذَا هَوَى فَسَجَدَ فِيهَا ثُمَّ قَامَ فَقَرَأَ بِسُورَةٍ أُخْرَى
Yahya related to me from Malik from Ibn Shihab from al-Araj that Umar ibn al Khattab recited Surat an-Najm (Sura 53) and prostrated in it, and then got up and recited another sura.
পরিচ্ছেদঃ ৫. কুরআনের সিজদাসমূহ
রেওয়ায়ত ১৬. উরওয়াহ (রহঃ) হইতে বর্ণিত- উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ) একটি সিজদার আয়াত পাঠ করিলেন জুম’আ দিবসে। আর তিনি ছিলেন মিম্বরের উপর। অতঃপর তিনি অবতরণ করিলেন এবং সিজদা করিলেন এবং তাহার সঙ্গে লোকেরাও সিজদা করিলেন।
পরবর্তী জুম’আয় তিনি সেই সূরা পাঠ করিলেন। লোকেরা সিজদার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করিতে লাগিলেন। উমর (রাঃ) তখন বলিলেনঃ আপনারা অপেক্ষা করুন। আল্লাহ্ তা’আলা আমাদের উপর সিজদা ফরয করেন নাই, তবে আমরা যদি ইচ্ছা করি তা স্বতন্ত্র কথা! (ইহা শুনিয়া) তাহারা আর সিজদা করিলেন না। তিনি তাহাদিগকে সিজদা হইতে বিরত রাখিলেন।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ সিজদার আয়াত মিম্বরের উপর পাঠ করিলে, ইমামের মিম্বর হইতে অবতরণ করিয়া সিজদা করার প্রতি (আমাদের) আমল নাই (অর্থাৎ মিম্বর হইতে অবতরণ জরুরী নহে)।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের অভিমত এই যে, কুরআন শরীফে সিজদাসমূহের মধ্যে তাকিদী সিজদা হইতেছে এগারটি। ইহাদের একটিও মুফাসসালাতে নাই।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ সুজুদুল কুরআন (কুরআনের সিজদাসমূহ) হইতে কোন সিজদার আয়াত ফজরের নামাযের এবং আসরের নামাযের পর পাঠ করা কাহারও পক্ষে উচিত নহে। কারণ ফজরের পর সূর্য উদিত হওয়া পর্যন্ত এবং আসরের পর (সূর্য) অস্ত যাওয়া পর্যন্ত নামায পড়িতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করিয়াছেন। আর সিজদাও নামাযে গণ্য, কাজেই কাহারও পক্ষে উচিত নহে যে, সেই দুই সময়ে কোন সিজদার আয়াত পাঠ করা।
মালিক (রহঃ)-কে প্রশ্ন করা হইয়াছে ঐ ব্যক্তি সম্বন্ধে যিনি একটি সিজদার আয়াত পাঠ করিয়াছেন, আর একজন ঋতুমতী মহিলা উহা শুনিল। তবে সেই মহিলা কি সিজদা করিবে? (উত্তরে) মালিক (রহঃ) বলিলেনঃ পুরুষ বা নারী, পবিত্রাবস্থা ব্যতীত সিজদা করিবে না।
ইয়াহইয়া (রহঃ) বলেন, মালিক (রহঃ)-কে প্রশ্ন করা হয় একজন মহিলা সম্পর্কে যিনি সিজদার আয়াত পাঠ করিয়াছেন, অন্য এক ব্যক্তি তাহা শুনিতেছে। সেই ব্যক্তির জন্য সিজদা করা জরুরী কি? (উত্তরে) মালিক (রহঃ) বলেনঃ সিজদা করা এই ব্যক্তির জন্য জরুরী নহে। সিজদা ওয়াজিব হয় সেই লোকের উপর যেসব লোক কোন ব্যক্তির সাথে নামাযে শরীক থাকেন এবং তাহার পিছনে ইকতিদা করেন। অতঃপর তাহাদের ইমাম সিজদার আয়াত পাঠ করিলে তাহারাও তাহার সহিত সিজদা করিবেন। আর যে ব্যক্তি সিজদার আয়াত শুনিয়াছে কোন লোকের মুখে (যিনি উহা পাঠ করিতেছেন), কিন্তু সেই ব্যক্তি এই লোকের ইমাম নহেন, তাহার জন্য এই সিজদা জরুরী নহে।
بَاب مَا جَاءَ فِي سُجُودِ الْقُرْآنِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَرَأَ سَجْدَةً وَهُوَ عَلَى الْمِنْبَرِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فَنَزَلَ فَسَجَدَ وَسَجَدَ النَّاسُ مَعَهُ ثُمَّ قَرَأَهَا يَوْمَ الْجُمُعَةِ الْأُخْرَى فَتَهَيَّأَ النَّاسُ لِلسُّجُودِ فَقَالَ عَلَى رِسْلِكُمْ إِنَّ اللَّهَ لَمْ يَكْتُبْهَا عَلَيْنَا إِلَّا أَنْ نَشَاءَ فَلَمْ يَسْجُدْ وَمَنَعَهُمْ أَنْ يَسْجُدُوا قَالَ مَالِك لَيْسَ الْعَمَلُ عَلَى أَنْ يَنْزِلَ الْإِمَامُ إِذَا قَرَأَ السَّجْدَةَ عَلَى الْمِنْبَرِ فَيَسْجُدَ
قَالَ مَالِك الْأَمْرُ عِنْدَنَا أَنَّ عَزَائِمَ سُجُودِ الْقُرْآنِ إِحْدَى عَشْرَةَ سَجْدَةً لَيْسَ فِي الْمُفَصَّلِ مِنْهَا شَيْءٌ قَالَ مَالِك لَا يَنْبَغِي لِأَحَدٍ يَقْرَأُ مِنْ سُجُودِ الْقُرْآنِ شَيْئًا بَعْدَ صَلَاةِ الصُّبْحِ وَلَا بَعْدَ صَلَاةِ الْعَصْرِ وَذَلِكَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ الصَّلَاةِ بَعْدَ الصُّبْحِ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ وَعَنْ الصَّلَاةِ بَعْدَ الْعَصْرِ حَتَّى تَغْرُبَ الشَّمْسُ وَالسَّجْدَةُ مِنْ الصَّلَاةِ فَلَا يَنْبَغِي لِأَحَدٍ أَنْ يَقْرَأَ سَجْدَةً فِي تَيْنِكَ السَّاعَتَيْنِ سُئِلَ مَالِك عَمَّنْ قَرَأَ سَجْدَةً وَامْرَأَةٌ حَائِضٌ تَسْمَعُ هَلْ لَهَا أَنْ تَسْجُدَ قَالَ مَالِك لَا يَسْجُدُ الرَّجُلُ وَلَا الْمَرْأَةُ إِلَّا وَهُمَا طَاهِرَانِ وَسُئِلَ عَنْ امْرَأَةٍ قَرَأَتْ سَجْدَةً وَرَجُلٌ مَعَهَا يَسْمَعُ أَعَلَيْهِ أَنْ يَسْجُدَ مَعَهَا قَالَ مَالِك لَيْسَ عَلَيْهِ أَنْ يَسْجُدَ مَعَهَا إِنَّمَا تَجِبُ السَّجْدَةُ عَلَى الْقَوْمِ يَكُونُونَ مَعَ الرَّجُلِ فَيَأْتَمُّونَ بِهِ فَيَقْرَأُ السَّجْدَةَ فَيَسْجُدُونَ مَعَهُ وَلَيْسَ عَلَى مَنْ سَمِعَ سَجْدَةً مِنْ إِنْسَانٍ يَقْرَؤُهَا لَيْسَ لَهُ بِإِمَامٍ أَنْ يَسْجُدَ تِلْكَ السَّجْدَةَ
Yahya related to me from Malik from Hisham ibn Urwa from his father that Umar ibn al-Khattab once recited a piece of Qur'an requiring a prostration while he was on the mimbar on the day of jumua, and he came down and prostrated, and everyone prostrated with him. Then he recited it again the next jumua and everybody prepared to prostrate but he said, "At your ease. Allah has not prescribed it for us, unless we wish." He did not prostrate, and he stopped them from prostrating.
Malik said, "The imam does not come down and prostrate when he recites a piece of Qur'an requiring a prostration while he is on the mimbar."
Malik said, "The position with us is that there are eleven prescribed prostrations in the Qur'an, none of which are in the mufassal."
Malik said, "No-one should recite any of the pieces of Qur'an that require a prostration after the prayers of subh and asr. This is because the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, forbade prayer after subh until after the sun had risen, and after asr until the sun had set, and prostration is part of the prayer. So no-one should recite any piece of Qur'an requiring a prostration during these two periods of time."
Malik was asked whether a menstruating woman could prostrate if she heard some-one reciting a passage of Qur'an requiring a prostration, and he said, "Neither a man nor a woman should prostrate unless they are ritually pure."
Malik was asked whether a man in the company of a woman who was reciting a passage of Qur'an requiring a prostration should prostrate with her, and he said, "He does not have to prostrate with her. The prostration is only obligatory for people who are with a man who is leading them. He recites the piece and they prostrate with him. Some one who hears a piece of Qur'an that requires a prostration being recited by a man who is not leading him in prayer does not have to do the prostration."