পরিচ্ছেদঃ ৮. সালাতুয যুহা [চাশত ও ইশরাকের নামায]
রেওয়ায়ত ২৭. আকীল ইবন আবি তালিব (রাঃ)-এর মাওলা আবূ মুররা (রহঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে, উম্মুহানী বিনত আবি তালিব (রাঃ) আবূ মুররার নিকট বর্ণনা করিয়াছেন যে, মক্কা বিজয়ের বৎসর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আট রাকাআত নামায পড়িয়াছেন। তখন তাহার পরিধানে (সর্বাঙ্গে জড়ানো অবস্থায়) একটি মাত্র কাপড় ছিল।
بَاب صَلَاةِ الضُّحَى
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ مُوسَى بْنِ مَيْسَرَةَ عَنْ أَبِي مُرَّةَ مَوْلَى عَقِيلِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ أَنَّ أُمَّ هَانِئٍ بِنْتَ أَبِي طَالِبٍ أَخْبَرَتْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى عَامَ الْفَتْحِ ثَمَانِيَ رَكَعَاتٍ مُلْتَحِفًا فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ
Yahya related to me from Malik from Musa ibn Maysara from Abu Murra, the mawla of Aqil ibn Abi Talib, that Umm Hani bint Abi Talib told him that in the year of the conquest the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, prayed eight rakas, covering himself with one garment.
পরিচ্ছেদঃ ৮. সালাতুয যুহা [চাশত ও ইশরাকের নামায]
রেওয়ায়ত ২৮. উম্মুহানী বিনতে আবি তালিব (রাঃ) বলিয়াছেনঃ আমি মক্কা বিজয়ের সালে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে গমন করিলাম। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে গোসল করিতে দেখিলাম। তাহার কন্যা ফাতিমা (রাঃ) একটি কাপড় দিয়া তাহার জন্য পর্দা করিয়াছেন। তিনি বলিলেনঃ আমি গিয়া তাহার উদ্দেশ্যে আসসালামু আলাইকুম বললাম। তিনি ফরমাইলেন, ইনি কে? আমি বললামঃ আবু তালিবের কন্যা উম্মুহানী। তখন তিনি বললেনঃ উম্মুহনীর জন্য মারহাবা (খোশ আমদেদ)। তিনি যখন গোসল সমাপ্ত করিলেন, একটি মাত্র কাপড় জড়াইয়া আট রাকাআত নামায পড়িলেন। নামায হইতে প্রত্যাবর্তন করিলে আমি বলিলামঃ আমার ভাই আলী (রাঃ) বলিয়াছেন, সে এমন এক ব্যক্তিকে কতল করিবে, যাহাকে আমি আশ্রয় দিয়াছি। সে হইতেছে হুবায়রার সন্তান ’অমুক (তাবরানীর মতে সে হুবাইরার চাচাত ভাই)। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেনঃ হে ’উম্মুহানী, তুমি যাহাকে আশ্রয় দিয়াছ, আমিও তাহাকে আশ্রয় দিলাম। উম্মুহানী বলেন, সময়টি ছিল চাশতের।
بَاب صَلَاةِ الضُّحَى
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي النَّضْرِ مَوْلَى عُمَرَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ أَنَّ أَبَا مُرَّةَ مَوْلَى عَقِيلِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ سَمِعَ أُمَّ هَانِئٍ بِنْتَ أَبِي طَالِبٍ تَقُولُ ذَهَبْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الْفَتْحِ فَوَجَدْتُهُ يَغْتَسِلُ وَفَاطِمَةُ ابْنَتُهُ تَسْتُرُهُ بِثَوْبٍ قَالَتْ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَقَالَ مَنْ هَذِهِ فَقُلْتُ أُمُّ هَانِئٍ بِنْتُ أَبِي طَالِبٍ فَقَالَ مَرْحَبًا بِأُمِّ هَانِئٍ فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ غُسْلِهِ قَامَ فَصَلَّى ثَمَانِيَ رَكَعَاتٍ مُلْتَحِفًا فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ ثُمَّ انْصَرَفَ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ زَعَمَ ابْنُ أُمِّيعَلِيٌّ أَنَّهُ قَاتِلٌ رَجُلًا أَجَرْتُهُ فُلَانُ بْنُ هُبَيْرَةَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ أَجَرْنَا مَنْ أَجَرْتِ يَا أُمَّ هَانِئٍ قَالَتْ أُمُّ هَانِئٍ وَذَلِكَ ضُحًى
Yahya related to me from Malik from Abu'n Nadr, the mawla of Umar ibn Ubaydullah, that Abu Murra, the mawla of Aqil ibn Abi Talib, told him that he had heard Umm Hani bint Abi Talib say, "I went to the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, in the year of the conquest and found him doing ghusl while his daughter Fatima, was screening him with a garment. I said to him, 'Peace be upon you' and he said, 'Who is that?' I replied, 'Umm Hani bint Abi Talib,' and he said, 'Welcome, Umm Hani!' When he had finished his ghusl, he stood and prayed eight rakas, covering himself with one garment, and then came away. I said, 'Messenger of Allah, the son of my mother, AIi, says that he is determined to kill so-and-so, son of Hubayra, a man I have placed under my protection.' The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, 'We give protection to whoever you have given protection to, Umm Hani.' "
Umm Hani related that this incident happened in the morning.
পরিচ্ছেদঃ ৮. সালাতুয যুহা [চাশত ও ইশরাকের নামায]
রেওয়ায়ত ২৯. নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণী আয়েশা (রাঃ) বলিয়াছেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে কখনও চাশতের নামায পড়িতে দেখি নাই, আমি কিন্তু চাশতের নামায পড়ি। ব্যাপার হইল এই যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনেক আমলকে পছন্দ করা সত্ত্বেও বর্জন করিতেন এই ভয়ে যে, লোকেরা তাহার উপর আমল করিতে থাকিবে, পরে তাহা ফরয হইয়া যাইবে।
بَاب صَلَاةِ الضُّحَى
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهَا قَالَتْ مَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي سُبْحَةَ الضُّحَى قَطُّ وَإِنِّي لَأَسْتَحِبُّهَا وَإِنْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيَدَعُ الْعَمَلَ وَهُوَ يُحِبُّ أَنْ يَعْمَلَهُ خَشْيَةَ أَنْ يَعْمَلَ بِهِ النَّاسُ فَيُفْرَضَ عَلَيْهِمْ
Yahya related to me from Malik from Ibn Shihab from Urwa ibn az- Zubayr that A'isha, the wife of the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, said, "I never once saw the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, doing the voluntary prayer of duha, but I myself do it. Sometimes the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, would refrain from a practice that he loved to do, fearing that people would do the same and it would become fard for them ."
পরিচ্ছেদঃ ৮. সালাতুয যুহা [চাশত ও ইশরাকের নামায]
রেওয়ায়ত ৩০. উম্মুল মু’মিনীন আয়েশা (রাঃ) হইতে বর্ণনা করা হইয়াছে যে, তিনি চাশতের নামায আট রাকাআত পড়িতেন ও বলিতেনঃ আমার মা-বাবাকে জিন্দা করিয়া পাঠানো হইলেও আমি এই আট রাকাআতকে ছাড়িব না।
بَاب صَلَاةِ الضُّحَى
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا كَانَتْ تُصَلِّي الضُّحَى ثَمَانِيَ رَكَعَاتٍ ثُمَّ تَقُولُ لَوْ نُشِرَ لِي أَبَوَاىَ مَا تَرَكْتُهُنَّ
Yahya related to me from Malik from Zayd ibn Aslam from A'isha that she used to pray duha with eight rakas, and she would say, "I would never stop doing them even if my parents were to be brought back to life."