পরিচ্ছেদঃ ২. কিয়াম-এ-রমযান বা তারাবীহর নামাযের বর্ণনা

রেওয়ায়ত ৩. আবদুর রহমান ইবন আবদিল কারিয়্যু (রহঃ) বলিয়াছেনঃ আমি মাহে রমযানে উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ)-এর সাথে মসজিদের দিকে গমন করিয়াছি, (সেখানে গিয়া) দেখি লোকজন বিভিন্ন দলে বিভক্ত। কেউ একা নামায পড়িতেছেন, আবার কেউ-বা নামায পড়িতেছেন এবং তাহার ইমামতিতে একদল লোকও নামায আদায় করিতেছেন। (এই দৃশ্য দেখিয়া) উমর (রাঃ) বলিলেনঃ আমি মনে করি যে, (কত ভালই না হইত) যদি এই মুসল্লিগণকে একজন কারীর সহিত একত্র করিয়া দেওয়া হইত। অতঃপর তিনি উৰাই ইবন কা’ব (রাঃ)-এর ইমামতিতে একত্র করিয়া দিলেন। (আবদুর রহমান) বলেনঃ দ্বিতীয় রাত্রেও আমি তাহার সহিত (মসজিদে) গমন করিলাম। তখন লোকজন তাহাদের কারীর ইকতিদায় নামায পড়িতেছিলেন। উমর (রাঃ) (ইহা অবলোকন করিয়া) বলিলেনঃ (نِعْمَتِ الْبِدْعَةُ هَذِهِ) ইহা অতি চমৎকার বিদ’আত বা নূতন পদ্ধতি। আর যে নামায হইতে তাহারা ঘুমাইয়া থাকে তাহা উত্তম ঐ নামায হইতে, যে নামাযের জন্য তাহারা জাগ্রত হয়, অর্থাৎ শেষ রাতের নামাযই উত্তম। উমর (রাঃ) ইহা এইজন্যই বলিয়াছিলেন, অনেক লোকের অবস্থা (এই ছিল) রাত্রের শুরু ভাগে তাহারা নামায পড়িয়া লইতেন। কেউ কেউ শেষ রাত্রে তারাবীহ পড়া উত্তম মনে করিতেন।

بَاب مَا جَاءَ فِي قِيَامِ رَمَضَانَ

حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدٍ الْقَارِيِّ أَنَّهُ قَالَ خَرَجْتُ مَعَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فِي رَمَضَانَ إِلَى الْمَسْجِدِ فَإِذَا النَّاسُ أَوْزَاعٌ مُتَفَرِّقُونَ يُصَلِّي الرَّجُلُ لِنَفْسِهِ وَيُصَلِّي الرَّجُلُ فَيُصَلِّي بِصَلَاتِهِ الرَّهْطُ فَقَالَ عُمَرُ وَاللَّهِ إِنِّي لَأَرَانِي لَوْ جَمَعْتُ هَؤُلَاءِ عَلَى قَارِئٍ وَاحِدٍ لَكَانَ أَمْثَلَ فَجَمَعَهُمْ عَلَى أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ قَالَ ثُمَّ خَرَجْتُ مَعَهُ لَيْلَةً أُخْرَى وَالنَّاسُ يُصَلُّونَ بِصَلَاةِ قَارِئِهِمْ فَقَالَ عُمَرُ نِعْمَتِ الْبِدْعَةُ هَذِهِ وَالَّتِي تَنَامُونَ عَنْهَا أَفْضَلُ مِنْ الَّتِي تَقُومُونَ يَعْنِي آخِرَ اللَّيْلِ وَكَانَ النَّاسُ يَقُومُونَ أَوَّلَهُ

حدثني مالك عن ابن شهاب عن عروة بن الزبير عن عبد الرحمن بن عبد القاري انه قال خرجت مع عمر بن الخطاب في رمضان الى المسجد فاذا الناس اوزاع متفرقون يصلي الرجل لنفسه ويصلي الرجل فيصلي بصلاته الرهط فقال عمر والله اني لاراني لو جمعت هولاء على قارى واحد لكان امثل فجمعهم على ابي بن كعب قال ثم خرجت معه ليلة اخرى والناس يصلون بصلاة قارىهم فقال عمر نعمت البدعة هذه والتي تنامون عنها افضل من التي تقومون يعني اخر الليل وكان الناس يقومون اوله


Malik related to me from Ibn Shihab from Urwa ibn az-Zubayr that Abd ar-Rahman ibn Abd al-Qari said, "I went out with Umar ibn alKhattab in Ramadan to the mosque and the people there were spread out in groups. Some men were praying by themselves, whilst others were praying in small groups. Umar said, 'By Allah! It would be better in my opinion if these people gathered behind one reciter.' So he gathered them behind Ubayy ibn Kab. Then I went out with him another night and the people were praying behind their Qur'an reciter. Umar said, 'How excellent this new way is, but what you miss while you are asleep is better than what you watch in prayer.' He meant the end of the night, and people used to watch the beginning of the night in prayer."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মুয়াত্তা মালিক
৬. রমযানের নামায (كتاب الصلاة فى رمضان) 6/ Prayer in Ramadan

পরিচ্ছেদঃ ২. কিয়াম-এ-রমযান বা তারাবীহর নামাযের বর্ণনা

রেওয়ায়ত ৪. সায়িব ইবন ইয়াযিদ (রহঃ) বলিয়াছেনঃ উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ) উবাই ইবনে কা’ব এবং তামীমদারী (রাঃ)-কে লোকজনের (মুসল্লিগণের) জন্য এগার রাকাআত (তারাবীহ) কায়েম করিতে (পড়াইতে) নির্দেশ দিয়াছিলেন। কারী একশত আয়াতবিশিষ্ট সূরা পাঠ করিতেন, আর (আমাদের অবস্থা এই ছিল) আমরা নামাযে দীর্ঘ সময় দাঁড়াইতে দাঁড়াইতে (ক্লান্ত) হইয়া পড়িলে সাহায্য গ্রহণ করিতাম অর্থাৎ লাঠির উপর ভর দিতাম। (এইভাবে নামায পড়িতে পড়িতে রাত শেষ হইত)। আমরা ভোর হওয়ার কিছু পূর্বে ঘরে প্রত্যাবর্তন করিতাম।

بَاب مَا جَاءَ فِي قِيَامِ رَمَضَانَ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يُوسُفَ عَنْ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ أَنَّهُ قَالَ أَمَرَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ أُبَيَّ بْنَ كَعْبٍ وَتَمِيمًا الدَّارِيَّ أَنْ يَقُومَا لِلنَّاسِ بِإِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً قَالَ وَقَدْ كَانَ الْقَارِئُ يَقْرَأُ بِالْمِئِينَ حَتَّى كُنَّا نَعْتَمِدُ عَلَى الْعِصِيِّ مِنْ طُولِ الْقِيَامِ وَمَا كُنَّا نَنْصَرِفُ إِلَّا فِي فُرُوعِ الْفَجْرِ

وحدثني عن مالك عن محمد بن يوسف عن الساىب بن يزيد انه قال امر عمر بن الخطاب ابي بن كعب وتميما الداري ان يقوما للناس باحدى عشرة ركعة قال وقد كان القارى يقرا بالمىين حتى كنا نعتمد على العصي من طول القيام وما كنا ننصرف الا في فروع الفجر


Yahya related to me from Malik from Muhammad ibn Yusuf that as- Sa'ib ibn Yazid said, "Umar ibn al-Khattab ordered Ubayy ibn Kab and Tamim ad-Dari to watch the night in prayer with the people for eleven rakas. The reciter of the Qur'an would recite the Mi'in (a group of medium-sized suras) until we would be leaning on our staffs from having stood so long in prayer. And we would not leave until the approach of dawn."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মুয়াত্তা মালিক
৬. রমযানের নামায (كتاب الصلاة فى رمضان) 6/ Prayer in Ramadan

পরিচ্ছেদঃ ২. কিয়াম-এ-রমযান বা তারাবীহর নামাযের বর্ণনা

রেওয়ায়ত ৫. মালিক (রহঃ) ইয়াযিদ ইবনে রুমান (রহঃ) হইতে বর্ণনা করেন- তিনি বলিয়াছেনঃ লোকজন উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ)-এর খিলাফতকালে রমযানে তেইশ রাক’আত তারাবীহ পড়িতেন- তিন রাকাআত বিতর এবং বিশ রাকাআত তারাবীহ।

بَاب مَا جَاءَ فِي قِيَامِ رَمَضَانَ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَزِيدَ بْنِ رُومَانَ أَنَّهُ قَالَ كَانَ النَّاسُ يَقُومُونَ فِي زَمَانِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فِي رَمَضَانَ بِثَلَاثٍ وَعِشْرِينَ رَكْعَةً

وحدثني عن مالك عن يزيد بن رومان انه قال كان الناس يقومون في زمان عمر بن الخطاب في رمضان بثلاث وعشرين ركعة


Yahya related to me from Malik that Yazid ibn Ruman said, "The people used to watch the night in prayer during Ramadan for twenty- three rakas in the time of Umar ibn al-Khattab."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মুয়াত্তা মালিক
৬. রমযানের নামায (كتاب الصلاة فى رمضان) 6/ Prayer in Ramadan

পরিচ্ছেদঃ ২. কিয়াম-এ-রমযান বা তারাবীহর নামাযের বর্ণনা

রেওয়ায়ত ৬. মালিক (রহঃ) দাউদ ইবন হুসায়ন (রহঃ) হইতে বর্ণনা করেন যে, তিনি আ’রাজ (রহঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছেনঃ লোকজন রমযানের বিতর (وتر) নামাযে কাফিরদের প্রতি অভিশাপ প্রেরণ করিতেন। আর কারী অর্থাৎ ইমাম আট রাকাআতে সূরা বাকারা পাঠ করিতেন। কোন সময় উক্ত সূরা বার রাকাআতে পাঠ করিলে লোকেরা মনে করিতেন যে, কারী (ইমাম) নামায হালকা পড়িয়াছেন।

بَاب مَا جَاءَ فِي قِيَامِ رَمَضَانَ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ دَاوُدَ بْنِ الْحُصَيْنِ أَنَّهُ سَمِعَ الْأَعْرَجَ يَقُولُ مَا أَدْرَكْتُ النَّاسَ إِلَّا وَهُمْ يَلْعَنُونَ الْكَفَرَةَ فِي رَمَضَانَ قَالَ وَكَانَ الْقَارِئُ يَقْرَأُ سُورَةَ الْبَقَرَةِ فِي ثَمَانِ رَكَعَاتٍ فَإِذَا قَامَ بِهَا فِي اثْنَتَيْ عَشْرَةَ رَكْعَةً رَأَى النَّاسُ أَنَّهُ قَدْ خَفَّفَ

وحدثني عن مالك عن داود بن الحصين انه سمع الاعرج يقول ما ادركت الناس الا وهم يلعنون الكفرة في رمضان قال وكان القارى يقرا سورة البقرة في ثمان ركعات فاذا قام بها في اثنتي عشرة ركعة راى الناس انه قد خفف


Yahya related to me from Malik from Da'ud ibn al-Husayn that he heard al-Araj say, "I never saw the people in Ramadan, but that they were cursing the disbelievers." He added, "The reciter of Qur'an used to recite surat al-Baqara in eight rakas and if he did it in twelve rakas the people would think that he had made it easy."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মুয়াত্তা মালিক
৬. রমযানের নামায (كتاب الصلاة فى رمضان) 6/ Prayer in Ramadan

পরিচ্ছেদঃ ২. কিয়াম-এ-রমযান বা তারাবীহর নামাযের বর্ণনা

রেওয়ায়ত ৭. মালিক (রহঃ) আবদুল্লাহ্ ইবন আবু বকর (রহঃ) হইতে বর্ণনা করেন- তিনি বলিয়াছেনঃ (মসজিদে রাত কাটাইয়া) আমরা রমযানে (গৃহে) প্রত্যাবর্তন করিতাম, তখন ভোর হওয়ার আশংকায় খাদেমগণকে (খানা প্রস্তুতির) কাজে লাগাইতাম । উরওয়াহ্ (রহঃ) হইতে বর্ণিত, যাকওয়ান আবু আমর (রহঃ) নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণী আয়েশা (রাঃ)-এর ক্রীতদাস ছিলেন। আয়েশা (রাঃ)-এর ওফাতের পর যাকওয়ান মুক্তিপ্রাপ্ত হইবেন বলিয়া ঘোষণা ছিল । (উক্ত যাকওয়ান) রমযান মাসে তারাবীহর নামায পড়িতেন এবং আয়েশা (রাঃ) তাহার পিছনে (অন্যদের সঙ্গে) মুকতাদী হইয়া নামায পড়িতেন অথবা আয়েশা (রাঃ) তাহার কুরআন পাঠ শুনিতেন।

بَاب مَا جَاءَ فِي قِيَامِ رَمَضَانَ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبِي يَقُولُ، كُنَّا نَنْصَرِفُ فِي رَمَضَانَ فَنَسْتَعْجِلُ الْخَدَمَ بِالطَّعَامِ مَخَافَةَ الْفَجْرِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ ذَكْوَانَ أَبَا عَمْرٍو وَكَانَ عَبْدًا لِعَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَعْتَقَتْهُ عَنْ دُبُرٍ مِنْهَا كَانَ يَقُومُ يَقْرَأُ لَهَا فِي رَمَضَانَ

وحدثني عن مالك، عن عبد الله بن ابي بكر، قال سمعت ابي يقول، كنا ننصرف في رمضان فنستعجل الخدم بالطعام مخافة الفجر وحدثني عن مالك عن هشام بن عروة عن ابيه ان ذكوان ابا عمرو وكان عبدا لعاىشة زوج النبي صلى الله عليه وسلم فاعتقته عن دبر منها كان يقوم يقرا لها في رمضان

হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মুয়াত্তা মালিক
৬. রমযানের নামায (كتاب الصلاة فى رمضان) 6/ Prayer in Ramadan
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৫ পর্যন্ত, সর্বমোট ৫ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে