পরিচ্ছেদঃ ২. জুম'আ দিবসে ইমামের খুতবা পাঠ করার সময় চুপ থাকার বিষয়ে যাহা বর্ণিত হইয়াছে
রেওয়ায়ত ৬. আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ জুম’আর দিন ইমাম যখন খুতবা প্রদান করেন, তুমি তোমার সথীকে (পার্শ্ববর্তী লোক) যদি বল, চুপ থাকুন, তবে তুমি অলাভজনক কথা বললে।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْإِنْصَاتِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَالْإِمَامُ يَخْطُبُ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِذَا قُلْتَ لِصَاحِبِكَ أَنْصِتْ وَالْإِمَامُ يَخْطُبُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فَقَدْ لَغَوْتَ
Yahya related to me from Malik from Abu'z Zinad from al-Araj from Abu Hurayra that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "Even saying to your companion 'Listen' while the imam is giving the khutba on the day of jumua, is to speak foolishly."
পরিচ্ছেদঃ ২. জুম'আ দিবসে ইমামের খুতবা পাঠ করার সময় চুপ থাকার বিষয়ে যাহা বর্ণিত হইয়াছে
রেওয়ায়ত ৭. ইবন শিহাব (রহঃ) সা’লাবা ইবন আবি মালিক কুরাজী (রহঃ) হইতে বর্ণনা করেন যে, তিনি (সা’লাবা) তাহার নিকট বর্ণনা করিয়াছেন যে, উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ)-এর খিলাফতকালে জুম’আর দিন তাহারা উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ) আগমন করা পর্যন্ত নামায পড়িতেন। উমর (রাঃ) আগমন করিতেন এবং মিম্বরে বসিতেন এবং মুয়াযযিনগণ আযান দিতেন। সা’লাবা (রহঃ) বলিয়াছেনঃ আমরা তখনও পরস্পর কথাবার্তা বলিতাম, মুয়াযযিনগণ যখন আযান শেষ করিতেন এবং উমর (রাঃ) খুতবা পাঠ করার জন্য দাঁড়াইতেন, তখন আমরা চুপ হইয়া যাইতাম। অতঃপর পরে কেউ কোন কথা বলিত না। ইবন শিহাব (রহঃ) বলিয়াছেনঃ (ইহাতে বোঝা গেল) ইমামের আগমন নামাযকে নিষিদ্ধ করিয়া দেয় এবং তাহার কালাম (খুতবা) কথাবার্তাকে নিষিদ্ধ করিয়া দেয়।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْإِنْصَاتِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَالْإِمَامُ يَخْطُبُ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ ثَعْلَبَةَ بْنِ أَبِي مَالِكٍ الْقُرَظِيِّ أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّهُمْ كَانُوا فِي زَمَانِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ يُصَلُّونَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ حَتَّى يَخْرُجَ عُمَرُ فَإِذَا خَرَجَ عُمَرُ وَجَلَسَ عَلَى الْمِنْبَرِ وَأَذَّنَ الْمُؤَذِّنُونَ قَالَ ثَعْلَبَةُ جَلَسْنَا نَتَحَدَّثُ فَإِذَا سَكَتَ الْمُؤَذِّنُونَ وَقَامَ عُمَرُ يَخْطُبُ أَنْصَتْنَا فَلَمْ يَتَكَلَّمْ مِنَّا أَحَدٌ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ فَخُرُوجُ الْإِمَامِ يَقْطَعُ الصَّلَاةَ وَكَلَامُهُ يَقْطَعُ الْكَلَامَ
Yahya related to me from Malik from Ibn Shihab that Thalaba ibn Abi Malik al Quradhi informed him that in the time of Umar ibn al Khattab they used to pray on the day of jumua until Umar came out, and when Umar came out and sat on the mimbar and the muadhdhins called the adhan, they would sit and talk, and then when the muadhdhins were silent and Umar stood to give the khutba, they would pay attention and no-one would speak .
Ibn Shihab said, "The imam coming out stops prayer and his speaking stops conversation."
পরিচ্ছেদঃ ২. জুম'আ দিবসে ইমামের খুতবা পাঠ করার সময় চুপ থাকার বিষয়ে যাহা বর্ণিত হইয়াছে
রেওয়ায়ত ৮. মালিক ইবন আবি আমীর (রহঃ) হইতে বর্ণিত, উসমান ইবন আফফান (রাঃ) তাহার খুতবায় বলিতেন এবং তিনি যখনই খুতবা দিতেন, তখন প্রায় ইহা বলিতেনঃ জুম’আর দিন ইমাম খুতবার উদ্দেশ্যে যখন দাঁড়ান, তখন তোমরা মনোযোগী হইয়া শুনিবে এবং নীরব থাকিবে। কেননা খুতবা শুনিতে না পাইয়াও যিনি নীরব রহিয়াছেন তাহার জন্য সওয়াব হইবে শুনিতে পাইয়া নীরবতা অবলম্বনকারীর সমান। অতঃপর যখন নামাযের ইকামত বলা হয়, কাতার বরাবর করিয়া লও এবং কাঁধে কাঁধ মিলাইয়া লও। কেননা কাতার বরাবর করা নামাযের পূর্ণতার অংশবিশেষ। তারপর যতক্ষণ কাতার সোজা করার জন্য নিযুক্ত লোকজন আসিয়া ’সফ’ সোজা হইয়াছে বলিয়া সংবাদ না দিতেন, ততক্ষণ তিনি (নামাযের) তকবীর বলিতেন না।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْإِنْصَاتِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَالْإِمَامُ يَخْطُبُ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي النَّضْرِ مَوْلَى عُمَرَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ مَالِكِ بْنِ أَبِي عَامِرٍ أَنَّ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ كَانَ يَقُولُ فِي خُطْبَتِهِ قَلَّ مَا يَدَعُ ذَلِكَ إِذَا خَطَبَ إِذَا قَامَ الْإِمَامُ يَخْطُبُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فَاسْتَمِعُوا وَأَنْصِتُوا فَإِنَّ لِلْمُنْصِتِ الَّذِي لَا يَسْمَعُ مِنْ الْحَظِّ مِثْلَ مَا لِلْمُنْصِتِ السَّامِعِ فَإِذَا قَامَتْ الصَّلَاةُ فَاعْدِلُوا الصُّفُوفَ وَحَاذُوا بِالْمَنَاكِبِ فَإِنَّ اعْتِدَالَ الصُّفُوفِ مِنْ تَمَامِ الصَّلَاةِ ثُمَّ لَا يُكَبِّرُ حَتَّى يَأْتِيَهُ رِجَالٌ قَدْ وَكَّلَهُمْ بِتَسْوِيَةِ الصُّفُوفِ فَيُخْبِرُونَهُ أَنْ قَدْ اسْتَوَتْ فَيُكَبِّرُ
Yahya related to me from Malik from Abu'n Nadr, the mawla of Umar ibn Ubaydullah, from Malik ibn Abi Amir that Uthman ibn Affan used to say in khutbas, and he would seldom omit it if he was giving the khutba, "When the imam stands delivering the khutba on the day of jumua, listen and pay attention, for there is the same portion for someone who pays attention but cannot hear as for someone who pays attention and hears. And when the iqama of the prayer is called, straighten your rows and make your shoulders adjacent to each other, because the straightening of the rows is part of the completion of the prayer." Then he would not say the takbir until some men who had been entrusted with straightening the rows came and told him that they were straight. Then he would say the takbir.
পরিচ্ছেদঃ ২. জুম'আ দিবসে ইমামের খুতবা পাঠ করার সময় চুপ থাকার বিষয়ে যাহা বর্ণিত হইয়াছে
রেওয়ায়ত ৯. নাফি’ (রহঃ) হইতে বর্ণিত, আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) দুই ব্যক্তিকে আলাপরত দেখিলেন, তখন জুম’আর দিন এবং ইমাম খুতবা প্রদান করিতেছিলেন। ইহা দেখিয়া তিনি উভয়ের দিকে কাঁকর নিক্ষেপ করিলেন, এই মর্মে— তোমরা চুপ হইয়া যাও।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْإِنْصَاتِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَالْإِمَامُ يَخْطُبُ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، رَأَى رَجُلَيْنِ يَتَحَدَّثَانِ وَالإِمَامُ يَخْطُبُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فَحَصَبَهُمَا أَنِ اصْمُتَا
Yahya related to me from Malik from Nafi that Abdullah ibn Umar saw two men talking while the imam was giving the khutba on the day of jumua and he threw pebbles at them to tell them to be quiet.
পরিচ্ছেদঃ ২. জুম'আ দিবসে ইমামের খুতবা পাঠ করার সময় চুপ থাকার বিষয়ে যাহা বর্ণিত হইয়াছে
রেওয়ায়ত ১০. মালিক (রহঃ)-এর নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, (একবার) জুম’আর দিন এক ব্যক্তি হাঁচি দিয়াছে, তখন ইমাম খুতবা পড়িতেছিলেন, তাহার পার্শ্ববর্তী এক ব্যক্তি হাঁচির উত্তরে ’ইয়ারহামুকাল্লাহ’ বলিল, তখন সাঈদ ইবন মুসায়্যাব (রহঃ) ইহার কারণ জিজ্ঞাসা করিলেন। অতঃপর তাহাকে নিষেধ করিলেন এবং ভবিষ্যতে এইরূপ না করার জন্য বলিয়া দিলেন।
মালিক (রহঃ) বলেন, জুম’আর দিন (তাকবীর বলার পূর্বে) যখন ইমাম মিম্বর হইতে অবতরণ করেন, তখন কথা বলা সম্পর্কে তিনি ইবন শিহাব (রহঃ)-কে প্রশ্ন করিলেন (উত্তরে) ইবন শিহাব (রহঃ) বললেনঃ ইহাতে কোন দোষ নাই।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْإِنْصَاتِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَالْإِمَامُ يَخْطُبُ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ رَجُلاً، عَطَسَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَالإِمَامُ يَخْطُبُ فَشَمَّتَهُ إِنْسَانٌ إِلَى جَنْبِهِ فَسَأَلَ عَنْ ذَلِكَ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ فَنَهَاهُ عَنْ ذَلِكَ وَقَالَ لاَ تَعُدْ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، أَنَّهُ سَأَلَ ابْنَ شِهَابٍ عَنِ الْكَلاَمِ، يَوْمَ الْجُمُعَةِ إِذَا نَزَلَ الإِمَامُ عَنِ الْمِنْبَرِ، قَبْلَ أَنْ يُكَبِّرَ، . فَقَالَ ابْنُ شِهَابٍ لاَ بَأْسَ بِذَلِكَ
Yahya related to me from Malik that he had heard that a man sneezed on the day of jumua while the imam was giving the khutba, and a man by his side asked Allah to bless him. Said ibn al Musayyab was asked about it and he forbade the man to do what he had done and said, "Don't do it again."
Yahya related to me from Malik that he asked Ibn Shihab about talking in the jumua after the imam had come down from the mimbar but before he had said the takbir. Ibn Shihab said, "There is no harm in that."