পরিচ্ছেদঃ ৭. সালাত সম্পাদনের পদ্ধতি - সালাত শুরু করার দু’আসমূহ
২৭০. ’আলী বিন আবী ত্বলিব (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি যখন (রাতের বেলা) সালাতে দাঁড়াতেন তখন (তাকবীরে তাহরীমার পর) বলতেন— উচ্চারণঃ ওয়াজ্জাহতু ওয়াজহিয়া লিল্লাযী ফাতারাস সামাওয়াতি ওয়াল আরযা হানিফাঁও ওয়া মা আনা মিনাল মুশরিকীন, ইন্না সালাতী, ওয়া নুসুকী, ওয়া মাহইয়ায়া, ওয়া মামাতী লিল্লাহ রাব্বিল আলামীন, লা শরীকা লাহু ওয়া বিযালিকা উমিরতু ওয়া আনা মিনাল মুসলিমীন। আল্লাহুম্মা আনতাল মালিকু লা ইলাহা ইল্লা আনতা। আনতা রাব্বী ওয়া আনা আবদুকা, যালামতু নাফসী ওয়া’তারাফতু বিযামবী ফাগফিরলী যুনূবী জামী’আন ইন্নাহূ লা ইয়াগফিরুয যুনূবা ইল্লা আনতা। ওয়াহদিনী লিআহসানিল আখলাকি লা ইয়াহদী লিআহসানিহা ইল্লা আনতা, ওয়াসরিফ আন্নী সাইয়িয়াহা, লা ইয়াসরিফু আন্নী সাইয়িয়াহা ইল্লা আনতা, লাব্বায়কা ওয়া সাদায়কা, ওয়ালখায়রু কুল্লুহূ বিয়াদায়কা, ওয়াশ-শাররু লাইসা ইলায়কা, আনা বিকা ওয়া ইলায়কা, তাবারাকতা ওয়া তা’য়ালায়তা, আসন্তাগাফিরুকা ওয়া আতূবু ইলায়কা।
অর্থঃ একজন সত্যিকার ঈমানদার হিসাবে আমি মুখ ফিরাচ্ছি। তাঁর দিকে যিনি আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। আমি আল্লাহর সঙ্গে কারো শরীক করি না। যথার্থই আমার সালাত (সালাত) এবং আমার ইবাদত, আমার জীবন এবং আমার মৃত্যু সবই জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য। তাঁর কোন শরীক নেই। আমাকে এরূপ হুকুম করা হয়েছে এবং যারা আজ্ঞানুবর্তী হয়েছে আমি তাদের মধ্যে একজন। হে আল্লাহ! তুমি সৃষ্টি জগতের রব। তুমি ব্যতীত আর কোন উপাস্য নেই। তুমি আমার রব এবং আমি তোমার বান্দা। আমার নিজের আত্মার উপর অন্যায় করেছি এবং আমার গুনাহ শনাক্ত করতে পেরেছি। আমার সকল সীমালংঘন মাফ করে দাও, নিশ্চয়ই তুমি ব্যতীত আর কেউ আমার গুনাহ মাফ করতে পারে না। আমার চরিত্রের উৎকর্ষতার পথ নির্দেশ দাও, কারণ তুমি ব্যতীত অন্য কেউ উৎকর্ষের পথ নির্দেশ দিতে পারে না। আমার চরিত্রের পাপসমূহ থেকে আমাকে রক্ষা কর, কারণ, যথার্থই তুমি ব্যতীত আর কেউ আমাকে পাপ থেকে রক্ষা করতে পারে না। আমি তোমার সামনে দাঁড়িয়ে মিনতি করি। সকল ভাল তোমার হাতে, মন্দ তোমাকে ছুতে পারে না। আমি নিজেকে তোমার সামনে উপস্থাপন করছি, সম্পূর্ণভাবে তোমার কাছে। তুমি অতি পবিত্র অতি-মহিমান্বিত। আমি তোমার কাছে মার্জনা চাই এবং তোমার নিকট অনুতপ্ত - এর অন্য রিওয়ায়েতে আছে- রাত্রের সালাতে এ দু’আটি পাঠ করতেন।[1]
وَعَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ - رضي الله عنه - عَنْ رَسُولِ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: أَنَّهُ كَانَ إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلَاةِ قَالَ: «وَجَّهْتُ وَجْهِي لِلَّذِي فَطَّرَ السَّمَوَاتِ» ... إِلَى قَوْلِهِ: «مِنْ الْمُسْلِمِينَ, اللَّهُمَّ أَنْتَ الْمَلِكُ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ, أَنْتَ رَبِّي وَأَنَا عَبْدُكَ ... » إِلَى آخِرِهِ. رَوَاهُ مُسْلِمٌ
وَفِي رِوَايَةٍ لَهُ: أَنَّ ذَلِكَ فِي صَلَاةِ اللَّيْلِ
-
صحيح. رواه مسلم (771)، وهو بتمامه: عن علي بن أبي طالب، عن رسول الله -صلى الله عليه وسلم-، أَنَّهُ كَانَ إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلاَةِ قَالَ: «وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِي فَطَرَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ حَنِيفًا وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ إِنَّ صَلاَتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ لاَ شَرِيكَ لَهُ وَبِذَلِكَ أُمِرْتُ وَأَنَا مِنَ الْمُسْلِمِينَ، اللَّهُمَّ أَنْتَ الْمَلِكُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ. أَنْتَ رَبِّي وَأَنَا عَبْدُكَ ظَلَمْتُ نَفْسِي وَاعْتَرَفْتُ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي ذُنُوبِي جَمِيعًا، إِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ وَاهْدِنِي لأَحْسَنِ الأَخْلاَقِ، لاَ يَهْدِي لأَحْسَنِهَا إِلاَّ أَنْتَ، وَاصْرِفْ عَنِّي سَيِّئَهَا لاَ يَصْرِفُ عَنِّي سَيِّئَهَا إِلاَّ أَنْتَ لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ وَالْخَيْرُ كُلُّهُ فِي يَدَيْكَ، وَالشَّرُّ لَيْسَ إِلَيْكَ، أَنَا بِكَ وَإِلَيْكَ تَبَارَكْتَ وَتَعَالَيْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ». وَإِذَا رَكَعَ قَالَ: «اللَّهُمَّ لَكَ رَكَعْتُ وَبِكَ آمَنْتُ، وَلَكَ أَسْلَمْتُ، خَشَعَ لَكَ سَمْعِي وَبَصَرِي وَمُخِّي وَعَظْمِي وَعَصَبِي». وَإِذَا رَفَعَ قَالَ: «اللَّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ مِلْءَ السَّمَوَاتِ وَمِلْءَ الأَرْضِ وَمِلْءَ مَا بَيْنَهُمَا وَمِلْءَ مَا شِئْتَ مِنْ شَيْءٍ بَعْدُ». وَإِذَا سَجَدَ قَالَ: «اللَّهُمَّ لَكَ سَجَدْتُ، وَبِكَ آمَنْتُ، وَلَكَ أَسْلَمْتُ سَجَدَ وَجْهِي لِلَّذِي خَلَقَهُ وَصَوَّرَهُ وَشَقَّ سَمْعَهُ وَبَصَرَهُ تَبَارَكَ اللَّهُ أَحْسَنُ الْخَالِقِينَ». ثُمَّ يَكُونُ مِنْ آخِرِ مَا يَقُولُ بَيْنَ التَّشَهُّدِ وَالتَّسْلِيمِ: اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ وَمَا أَسْرَفْتُ وَمَا أَنْتَ أَعْلَمُ بِهِ مِنِّي أَنْتَ الْمُقَدِّمُ وَأَنْتَ الْمُؤَخِّرُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ
পরিচ্ছেদঃ ৭. সালাত সম্পাদনের পদ্ধতি - সালাত শুরু করার দু’আসমূহ
২৭১. আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকবীরে তাহরীমা ও কিরাআতের মধ্যে কিছুক্ষণ চুপ করে থাকতেন। আমি তাঁকে এ সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করায় তিনি বললেন- এ সময় আমি বলি- (অর্থঃ) “হে আল্লাহ! আমার এবং আমার গুনাহের মধ্যে এমন ব্যবধান করে দাও যেমন ব্যবধান করেছ পূর্ব এবং পশ্চিমের মধ্যে। হে আল্লাহ আমাকে আমার গুনাহ হতে এমনভাবে পবিত্র কর যেমন সাদা কাপড় ময়লা থেকে পরিষ্কার হয়। হে আল্লাহ আমার গোনাহকে বরফ, পানি ও শিশির দ্বারা ধৌত করে দাও”।[1]
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - رضي الله عنه - قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - إِذَا كَبَّرَ لِلصَّلَاةِ سَكَتَ هُنَيَّةً, قَبْلَ أَنْ يَقْرَأَ, فَسَأَلْتُهُ, فَقَالَ: «أَقُولُ: اللَّهُمَّ بَاعِدْ بَيْنِي وَبَيْنَ خَطَايَايَ كَمَا بَاعَدْتَ بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ, اللَّهُمَّ نقِّنِي مِنْ خَطَايَايَ كَمَا يُنَقَّى الثَّوْبُ الْأَبْيَضُ مِنَ الدَّنَسِ, اللَّهُمَّ اغْسِلْنِي مِنْ خَطَايَايَ بِالْمَاءِ وَالثَّلْجِ وَالْبَرَدِ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
-
صحيح. رواه البخاري (744)، ومسلم (598)، وتحرف في «أ» إلى «هنيهة» و (هنية) تصغير «هنة» أي: قليلا من الزمن
পরিচ্ছেদঃ ৭. সালাত সম্পাদনের পদ্ধতি - সালাত শুরু করার দু’আসমূহ
২৭২. ’উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি সালাতে তাকবীর তাহরীমার পর বলতেন, (উচ্চারণ) সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা, ওয়া তা’আলা জাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গায়রুকা। অর্থ: মহিমা তোমার হে আল্লাহ এবং প্রশংসাও। মর্যাদাসম্পন্ন রাজাধিরাজ, তুমি ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নেই। —মুসলিম মুনকাতি’ সানাদে এবং দারাকুৎনী মাওসুল (সংযুক্ত) ও মাওকুফ—উভয়রূপ সানাদে বর্ণনা করেছেন।[1]
وَعَنْ عُمَرَ - رضي الله عنه - أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ: «سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ, تَبَارَكَ اسْمُكَ, وَتَعَالَى جَدُّكَ, وَلَا إِلَهَ غَيْرُكَ». رَوَاهُ مُسْلِمٌ بِسَنَدٍ مُنْقَطِعٍ, وَالدَّارَقُطْنِيُّ مَوْصُولًا، وَهُوَ مَوْقُوفٌ
-
صحيح. عن عمر من قوله. رواه مسلم (1/ 299/52) من طريق عبدة بن أبي لبابة أن عمر بن الخطاب كان يجهر بهؤلاء الكلمات يقول: فذكره. وعبدة لم يسمع من عمر، ولذلك قال الحافظ: «بسند منقطع» وبهذا أعله غير واحد، واعتذر النووي، عن مسلم بأنه أورده عرضًا لا قصدًا! ولكنه صح موصولا كما عند الدارقطني في «السنن» (1/ 299و 300)