পরিচ্ছেদঃ পরিবার-পরিজন, স্বীয় জ্ঞানসম্পন্ন সন্তান-সন্ততি ও আপন সমস্ত অধীনস্থদেরকে আল্লাহর আনুগত্যের আদেশ দেওয়া, তাঁর অবাধ্যতা থেকে তাদেরকে নিষেধ করা, তাদেরকে আদব শেখানো এবং শরয়ী নিষিদ্ধ জিনিষ থেকে তাদেরকে বিরত রাখা ওয়াজেব।
আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَأْمُرْ أَهْلَكَ بِالصَّلاةِ وَاصْطَبِرْ عَلَيْهَا
অর্থাৎ, তুমি তোমার পরিবারবর্গকে নামাযের আদেশ দাও এবং ওতে অবিচলিত থাক। (সূরা ত্বাহা ১৩২)
তিনি আরো বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوا قُوا أَنْفُسَكُمْ وَأَهْلِيكُمْ نَارًا
অর্থাৎ, হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে রক্ষা কর অগ্নি হতে, যার ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর, যাতে নিয়োজিত আছে নির্মম-হৃদয়, কঠোর-স্বভাব ফিরিশতাগণ, যারা আল্লাহ যা তাদেরকে আদেশ করেন তা অমান্য করে না এবং তারা যা করতে আদিষ্ট হয় তাই করে। (সূরা তাহরীম ৬)
(২৬৯৬) আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) বলেন, হাসান বিন আলী (রাঃ) সাদকার একটি খুরমা নিয়ে তাঁর মুখে রাখলেন। তা দেখে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ছিঃ ছিঃ! ফেলে দাও। তুমি কি জান না যে, আমরা সাদকাহ খাই না?
অন্য বর্ণনায় আছে, আমাদের জন্য সাদকাহ হালাল নয়।
عَنْ أَبِـيْ هُرَيْرَةَ قَالَ: أَخَذَ الحَسَنُ بنُ عَلِيٍّ رَضِيَ الله عَنهُمَا تَمْرَةً مِنْ تَمْرِ الصَّدَقَةِ فَجَعَلَهَا في فِيهِ، فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ كَخْ كَخْ إرْمِ بِهَا أمَا عَلِمْتَ أنَّا لاَ نَأكُلُ الصَّدَقَةَ ؟ مُتَّفَقٌ عَلَيهِ
وفي رِوَايَةٍ أنَّا لا تَحِلُّ لَنَا الصَّدَقَةُ
পরিচ্ছেদঃ পরিবার-পরিজন, স্বীয় জ্ঞানসম্পন্ন সন্তান-সন্ততি ও আপন সমস্ত অধীনস্থদেরকে আল্লাহর আনুগত্যের আদেশ দেওয়া, তাঁর অবাধ্যতা থেকে তাদেরকে নিষেধ করা, তাদেরকে আদব শেখানো এবং শরয়ী নিষিদ্ধ জিনিষ থেকে তাদেরকে বিরত রাখা ওয়াজেব।
(২৬৯৭) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সৎ ছেলে আবূ হাফস উমার ইবনে আবী সালামা আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল আসাদ কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, ’একদা আমি ছোট হিসাবে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কোলে ছিলাম। খাবার (সময়) বাসনে আমার হাত ঘুরছিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, ওহে কিশোর! ’বিসমিল্লাহ’ বলে ডান হাতে আহার কর এবং তোমার কাছ থেকে খাও। তারপর থেকে আমি সব সময় এ পদ্ধতিতেই আহার করে আসছি।’
وَعَن أَبِـيْ حَفصٍ عُمَرَ بنِ أَبِـيْ سَلَمَةَ عَبدِ اللهِ بنِ عَبدِ الأسَدِ رَبِيبِ رَسُوْلِ اللهِ ﷺ قَالَ : كُنْتُ غُلاَماً فِي حِجرِ رَسُوْلِ اللهِ ﷺ وَكَانَتْ يَدي تَطِيشُ في الصَّحْفَةِ فَقَالَ لي رَسُوْلُ اللهِ ﷺ يَا غُلامُ، سَمِّ الله تَعَالٰـى، وَكُلْ بيَمِينكَ، وَكُلْ مِمَّا يَلِيكَ فَمَا زَالَتْ تِلْكَ طِعْمَتي بَعْدُ مُتَّفَقٌ عَلَيهِ
পরিচ্ছেদঃ পরিবার-পরিজন, স্বীয় জ্ঞানসম্পন্ন সন্তান-সন্ততি ও আপন সমস্ত অধীনস্থদেরকে আল্লাহর আনুগত্যের আদেশ দেওয়া, তাঁর অবাধ্যতা থেকে তাদেরকে নিষেধ করা, তাদেরকে আদব শেখানো এবং শরয়ী নিষিদ্ধ জিনিষ থেকে তাদেরকে বিরত রাখা ওয়াজেব।
(২৬৯৮) ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, প্রতিটি মানুষই দায়িত্বশীল। সুতরাং প্রত্যেকে অবশ্যই তার অধীনস্থদের দায়িত্বশীলতার বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে। দেশের শাসক জনগণের দায়িত্বশীল। সে তার দায়িত্বশীলতার ব্যাপারে জবাবদিহী করবে। পুরুষ তার পরিবারের দায়িত্বশীল। অতএব সে তার দায়িত্বশীলতার বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে। স্ত্রী তার স্বামীগৃহের দায়িত্বশীলা। কাজেই সে তার দায়িত্বশীলতা বিষয়ে জিজ্ঞাসিতা হবে। গোলাম তার মনিবের সম্পদের দায়িত্বশীল। সে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হবে। তোমরা প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল। অতএব প্রত্যেকেই নিজ নিজ অধীনস্থের দায়িত্বশীলতার ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হবে।
وَعَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا قَالَ : سَمِعتُ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ يَقُوْلُ كُلُّكُمْ رَاعٍ وَكُلُّكُمْ مسْؤُولٌ عَنْ رَعِيَّتهِ : الإمَامُ رَاعٍ وَمَسْؤولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ والرَّجُلُ رَاعٍ في أهْلِهِ وَمَسْؤُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ وَالمَرْأةُ رَاعِيَةٌ في بَيْتِ زَوْجِهَا وَمَسْؤُولَةٌ عَنْ رَعِيَّتِهَا وَالخَادِمُ رَاعٍ في مَالِ سَيِّدِهِ وَمَسؤُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ فَكُلُّكُمْ رَاعٍ وَمَسْؤُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ مُتَّفَقٌ عَلَيهِ
পরিচ্ছেদঃ পরিবার-পরিজন, স্বীয় জ্ঞানসম্পন্ন সন্তান-সন্ততি ও আপন সমস্ত অধীনস্থদেরকে আল্লাহর আনুগত্যের আদেশ দেওয়া, তাঁর অবাধ্যতা থেকে তাদেরকে নিষেধ করা, তাদেরকে আদব শেখানো এবং শরয়ী নিষিদ্ধ জিনিষ থেকে তাদেরকে বিরত রাখা ওয়াজেব।
(২৬৯৯) আমর ইবনে শুআইব (রাঃ) তাঁর পিতা থেকে এবং তিনি আম্রের দাদা (আব্দুল্লাহ ইবনে আমর) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা নিজেদের সন্তান-সন্ততিদেরকে নামাযের আদেশ দাও; যখন তারা সাত বছরের হবে। আর তারা যখন দশ বছরের সন্তান হবে, তখন তাদেরকে নামাযের জন্য প্রহার কর এবং তাদের বিছানা পৃথক করে দাও।
وَعَن عَمرِو بنِ شُعَيبٍ عَن أبِيهِ عَن جَدِّهِ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ مُرُوا أوْلاَدَكُمْ بِالصَّلاةِ وَهُمْ أبْنَاءُ سَبْعِ سِنينَ وَاضْرِبُوهُمْ عَلَيْهَا وَهُمْ أبْنَاءُ عَشْرٍ وَفَرِّقُوا بَيْنَهُمْ في المضَاجِعِ حديث حسن رواه أَبُو داود بإسناد حسن
পরিচ্ছেদঃ পরিবার-পরিজন, স্বীয় জ্ঞানসম্পন্ন সন্তান-সন্ততি ও আপন সমস্ত অধীনস্থদেরকে আল্লাহর আনুগত্যের আদেশ দেওয়া, তাঁর অবাধ্যতা থেকে তাদেরকে নিষেধ করা, তাদেরকে আদব শেখানো এবং শরয়ী নিষিদ্ধ জিনিষ থেকে তাদেরকে বিরত রাখা ওয়াজেব।
(২৭০০) আবূ সুরাইয়াহ সাবরাহ ইবনে মা’বাদ জুহানী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা শিশুকে সাত বছর বয়সে নামায শিক্ষা দাও এবং দশ বছর বয়সে তার জন্য তাকে মার।
আবূ দাঊদের শব্দেঃ শিশু সাত বছর বয়সে পৌঁছলে তাকে তোমরা নামাযের আদেশ দাও।
وَعَن أَبِـيْ ثُرَيَّةَ سَبْرَةَ بنِ مَعبَدٍ الجُهَنِيِّ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ عَلِّمُوا الصَّبِيَّ الصَّلاةَ لِسَبْعِ سِنِينَ وَاضْرِبُوهُ عَلَيْهَا ابْنَ عَشْرِ سِنِينَ حديث حسن رواه أَبُو داود والترمذي وَقالَ حديث حسن ولفظ أَبِـيْ داود مُرُوا الصَّبِيَّ بِالصَّلاةِ إِذَا بَلَغَ سَبْعَ سِنِينَ