পরিচ্ছেদঃ (কাঁচা) রসূন, পিঁয়াজ, লীক পাতা তথা তীব্র দুর্গন্ধ জাতীয় কোন জিনিস খেয়ে, দুর্গন্ধ দূর না করে মসজিদে প্রবেশ করা নিষেধ। তবে নিতান্ত প্রয়োজনবশতঃ জায়েয।
(৫৯৮) ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি এই গাছ—অর্থাৎ রসুন—থেকে কিছু খায়, সে যেন অবশ্যই আমাদের মসজিদের নিকটবর্তী না হয়।
মুসলিমের এক বর্ণনায় আছে, সে যেন অবশ্যই আমাদের মসজিদসমূহের নিকটবর্তী না হয়।
عَنْ اِبْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا : أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ قَالَ مَنْ أَكَلَ مِنْ هَذِهِ الشَّجَرَةِ يَعَني : الثُّومَ - فَلاَ يَقْرَبَنَّ مَسْجِدَنَا متفق عَلَيْهِ وفي روايةٍ لمسلم مَسَاجِدَنَا
পরিচ্ছেদঃ (কাঁচা) রসূন, পিঁয়াজ, লীক পাতা তথা তীব্র দুর্গন্ধ জাতীয় কোন জিনিস খেয়ে, দুর্গন্ধ দূর না করে মসজিদে প্রবেশ করা নিষেধ। তবে নিতান্ত প্রয়োজনবশতঃ জায়েয।
(৫৯৯) আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি এই (রসুন) গাছ থেকে কিছু ভক্ষণ করল, সে যেন অবশ্যই আমাদের নিকটবর্তী না হয়, আর না আমাদের সাথে নামায পড়ে।
وَعَن أَنَسٍ قَالَ : قَالَ النَّبِيُّ ﷺ مَنْ أَكَلَ مِنْ هَذِهِ الشَّجَرَةِ فَلاَ يَقْرَبَنَّا وَلاَ يُصَلِّيَنَّ مَعَنا متفق عَلَيْهِ
পরিচ্ছেদঃ (কাঁচা) রসূন, পিঁয়াজ, লীক পাতা তথা তীব্র দুর্গন্ধ জাতীয় কোন জিনিস খেয়ে, দুর্গন্ধ দূর না করে মসজিদে প্রবেশ করা নিষেধ। তবে নিতান্ত প্রয়োজনবশতঃ জায়েয।
(৬০০) জাবের (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি (কাঁচা) রসূন অথবা পিঁয়াজ খায়, সে যেন আমাদের নিকট হতে দূরে অবস্থান করে অথবা আমাদের মসজিদ থেকে দূরে থাকে। (বুখারী ৮৫৫, মুসলিম ১২৮১)
মুসলিমের এক বর্ণনায় আছে, যে ব্যক্তি (কাঁচা) পিঁয়াজ, রসূন এবং লীক পাতা খায়, সে যেন অবশ্যই আমাদের মসজিদের নিকটবর্তী না হয়। কেননা, ফিরিশতাগণ সেই জিনিসে কষ্ট পান, যাতে আদম-সন্তান কষ্ট পায়। (মুসলিম ১২৮২)
وَعَن جَابِرٍ قَالَ : قَالَ النَّبِيُّ ﷺ مَنْ أَكَلَ ثُوماً أَوْ بَصَلاً فَلْيَعْتَزِلنَا أَو فَلْيَعْتَزِلْ مَسْجِدَنَا متفق عَلَيْهِ وَفِي رِوَايةٍ لِمُسْلِمٍ مَنْ أَكَلَ البَصَلَ وَالثُّومَ وَالكُرَّاثَ فَلاَ يَقْرَبَنَّ مَسْجِدَنَا فَإِنَّ المَلاَئِكَةَ تَتَأَذَّى مِمَّا يَتَأَذَّى مِنْهُ بَنُو آدَمَ
পরিচ্ছেদঃ (কাঁচা) রসূন, পিঁয়াজ, লীক পাতা তথা তীব্র দুর্গন্ধ জাতীয় কোন জিনিস খেয়ে, দুর্গন্ধ দূর না করে মসজিদে প্রবেশ করা নিষেধ। তবে নিতান্ত প্রয়োজনবশতঃ জায়েয।
(৬০১) উমার ইবনে খাত্তাব (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি এক জুমআর দিন খুতবা দিলেন, সে খুতবায় তিনি বললেন, অতঃপর তোমরা হে লোক সকল! দুই শ্রেণীর এমন গাছ (সবজি) খেয়ে থাক; যা (কাঁচা অবস্থায়) খাওয়ার অনুপযুক্ত মনে করি; পিঁয়াজ আর রসুন। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দেখেছি, যখন তিনি মসজিদের মধ্যে কোন ব্যক্তির কাছ থেকে ঐ দুই (সবজি)র দুর্গন্ধ পেতেন, তখন তাকে (মসজিদ থেকে বহিষ্কার করতে) আদেশ দিতেন। ফলে তাকে বাকী’ (নামক জায়গা) পর্যন্ত বের করে দেওয়া হত। সুতরাং যে ঐ দুই সবজি খেতে চায়, সে যেন ঐগুলি রান্না করে তার গন্ধ মেরে খায়।
وَعَن عُمَرَ بنِ الخَطَّابِ أَنَّهُ خَطَبَ يَومَ الجُمُعَةِ فَقَالَ فِي خُطْبَتِهِ : ثُمَّ إِنَّكُمْ أَيُّهَا النَّاسُ تَأكُلُونَ شَجَرتَيْنِ مَا أَرَاهُمَا إِلاَّ خَبِيثَتَيْن: البَصَلَ وَالثُّومَ لَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ ﷺ إِذَا وَجدَ ريحَهُمَا مِنَ الرَّجُلِ فِي المَسْجِدِ أَمَرَ بِهِ فَأُخْرِجَ إِلَى البَقِيعِ فَمَنْ أَكَلَهُمَا فَلْيُمِتْهُمَا طَبْخاً رواه مسلم
পরিচ্ছেদঃ (কাঁচা) রসূন, পিঁয়াজ, লীক পাতা তথা তীব্র দুর্গন্ধ জাতীয় কোন জিনিস খেয়ে, দুর্গন্ধ দূর না করে মসজিদে প্রবেশ করা নিষেধ। তবে নিতান্ত প্রয়োজনবশতঃ জায়েয।
(৬০২) আয়েশা (রাঃ) বলেন, ’আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মহল্লায় মসজিদ নির্মাণ করতে এবং তা পরিষ্কার ও সুগন্ধময় করে রাখতে আদেশ করেছেন।
عَن عَائِشَةَ قَالَتْ أَمَرَ رَسُولُ اللهِ ﷺ بِبِنَاءِ الْمَسَاجِدِ فِى الدُّورِ وَأَنْ تُنَظَّفَ وَتُطَيَّبَ
পরিচ্ছেদঃ (কাঁচা) রসূন, পিঁয়াজ, লীক পাতা তথা তীব্র দুর্গন্ধ জাতীয় কোন জিনিস খেয়ে, দুর্গন্ধ দূর না করে মসজিদে প্রবেশ করা নিষেধ। তবে নিতান্ত প্রয়োজনবশতঃ জায়েয।
(৬০৩) ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, কেউ যেন মসজিদকে শয়নাগার ও বিশ্রামাগার বানিয়ে না নেয়।
قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: لاَ يَتَّخِذُهُ مَبِيتًا وَمَقِيلاً
পরিচ্ছেদঃ (কাঁচা) রসূন, পিঁয়াজ, লীক পাতা তথা তীব্র দুর্গন্ধ জাতীয় কোন জিনিস খেয়ে, দুর্গন্ধ দূর না করে মসজিদে প্রবেশ করা নিষেধ। তবে নিতান্ত প্রয়োজনবশতঃ জায়েয।
(৮২৯) জাবের (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি শেষ রাতে উঠতে না পারার আশংকা করবে, সে যেন শুরু রাতেই বিতর পড়ে নেয়। আর যে ব্যক্তি রাতের শেষ ভাগে উঠে (ইবাদত) করার লালসা রাখে, সে যেন রাতের শেষ ভাগেই বিতর সমাধা করে। কারণ, রাতের শেষ ভাগের নামাযে ফিরিশতারা হাজির হন এবং এটিই উত্তম আমল।
وَعَن جَابِرٍ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَنْ خَافَ أَنْ لاَ يَقُومَ مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ فَلْيُوتِرْ أَوَّلَهُ وَمَنْ طَمِعَ أَنْ يَقُومَ آخِرَهُ فَلْيُوتِرْ آخِرَ اللَّيلِ فَإِنَّ صَلاَةَ آخِرِ اللَّيْلِ مَشْهُودَةٌ وَذَلِكَ أَفْضَلُ رواه مسلم
পরিচ্ছেদঃ (কাঁচা) রসূন, পিঁয়াজ, লীক পাতা তথা তীব্র দুর্গন্ধ জাতীয় কোন জিনিস খেয়ে, দুর্গন্ধ দূর না করে মসজিদে প্রবেশ করা নিষেধ। তবে নিতান্ত প্রয়োজনবশতঃ জায়েয।
(৮৩৭) আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের মধ্যে যখন কেউ জুতা খুলে রেখে নামায পড়তে চায়, তখন সে যেন জুতা দ্বারা কাউকে কষ্ট না দেয়। বরং সে যেন তা তার দু’ পায়ের ফাঁকে রেখে নেয় অথবা পায়ে রেখেই নামায পড়ে।
عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ عَن رَسُولِ اللهِ ﷺ قَالَ إِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ فَخَلَعَ نَعْلَيْهِ فَلاَ يُؤْذِ بِهِمَا أَحَدًا لِيَجْعَلْهُمَا بَيْنَ رِجْلَيْهِ أَوْ لِيُصَلِّ فِيهِمَا