পরিচ্ছেদঃ ইস্তিখারা (মঙ্গল জ্ঞান লাভ করা) ও পরামর্শ করা প্রসঙ্গে
মহান আল্লাহ বলেছেন,
وَشَاوِرْهُمْ فِـي الْأَمْرِ
অর্থাৎ, কাজে-কর্মে তুমি তাদের সাথে পরামর্শ কর। (সূরা আলে ইমরান ১৫৯)
তিনি অন্যত্র বলেছেন,
وَأَمْرُهُمْ شُوْرٰى بَيْنَهُمْ
অর্থাৎ, তারা আপোসে পরামর্শের মাধ্যমে নিজেদের কর্ম সম্পাদন করে। (সূরা শূরা ৩৮)
(৩৭৯৫) জাবের (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে যাবতীয় কাজের জন্য ইসেত্মখারা শিখাতেন। যেভাবে কুরআনের সূরা শিক্ষা দিতেন। (আর) বলতেন, ’যখন তোমাদের কারো কোন বিশেষ কাজ করার ইচ্ছা হয়, তখন সে যেন দু’ রাকআত নামায প’ড়ে এই দু’আ বলেঃ
’আল্লা-হুম্মা ইন্নী আস্তাখীরুকা বিইলমিকা অ আস্তাক্বদিরুকা বি ক্বুদরাতিকা অ আসআলুকা মিন ফায্বলিকাল আযীম, ফাইন্নাকা তাক্বদিরু অলা আক্বদিরু অতা’লামু অলা আ’লামু অ আন্তা আল্লা-মুল গুয়ূব। আল্লা-হুম্মা ইন কুন্তা তা’লামু আন্না হা-যাল আমরা (—) খাইরুল লী ফী দীনী অ মাআ’শী অ আ’-ক্বিবাতি আমরী অ আ’-জিলিহী অ আ-জিলিহ, ফাক্বদুরহু লী, অয়্যাসসিরহু লী, সুম্মা বা-রিক লী ফীহ। অইন কুন্তা তা’লামু আন্না হা-যাল আমরা শাররুল লী ফী দীনী অ মাআ’শী অ আ’-ক্বিবাতি আমরী অ আ’-জিলিহী অ আ-জিলিহ, ফাস্বরিফহু আন্নী অস্বরিফনী আনহু, অক্বদুর লিয়াল খাইরা হাইসু কা-না সুম্মা আরযিনী বিহ।’
অর্থ- হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট তোমার ইলমের সাথে মঙ্গল প্রার্থনা করছি। তোমার কুদরতের সাথে শক্তি প্রার্থনা করছি এবং তোমার বিরাট অনুগ্রহ থেকে ভিক্ষা যাচনা করছি। কেননা, তুমি শক্তি রাখ, আমি শক্তি রাখি না। তুমি জান, আমি জানি না এবং তুমি অদৃশ্যের পরিজ্ঞাতা। হে আল্লাহ! যদি তুমি এই (—) কাজ আমার জন্য আমার দ্বীন, দুনিয়া, জীবন এবং কাজের বিলম্বিত ও অবিলম্বিত পরিণামে ভালো জান, তাহলে তা আমার জন্য নির্ধারিত ও সহজ করে দাও। অতঃপর তাতে আমার জন্য বরকত দান কর। আর যদি তুমি এই কাজ আমার জন্য আমার দ্বীন, দুনিয়া, জীবন এবং কাজের বিলম্বিত ও অবিলম্বিত পরিণামে মন্দ জান, তাহলে তা আমার নিকট থেকে ফিরিয়ে নাও এবং আমাকে ওর নিকট থেকে সরিয়ে দাও। আর যেখানেই হোক মঙ্গল আমার জন্য বাস্তবায়িত কর, অতঃপর তাতে আমার মনকে পরিতুষ্ট করে দাও।
তিনি বলেন, সে এ সময়ে তার প্রয়োজনের বিষয়টি উল্লেখ করবে। (অর্থাৎ, দু’আ কালীন সময়ে ’আন্না হা-যাল আমরা’ এর জায়গায় প্রয়োজনীয় বিষয়টি উল্লেখ করবে।)
وَعَنْ جَابِرٍ قَالَ : كَانَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ يُعَلِّمُنَا الاسْتِخَارَةَ في الأُمُورِ كُلِّهَا كَالسُّورَةِ مِنَ القُرْآنِ يَقُولُ إِذَا هَمَّ أحَدُكُمْ بِالأَمْرِ فَلْيَركعْ رَكْعَتَيْنِ مِنْ غَيْرِ الفَرِيضَةِ ثُمَّ ليَقُلْ : اَللّٰهُمَّ إنِّي أسْتَخِيرُكَ بِعِلْمِكَ وَأسْتَقْدِرُكَ بِقُدْرَتِكَ وَأَسْألُكَ مِنْ فَضْلِكَ العَظِيْمِ فَإنَّكَ تَقْدِرُ وَلاَ أقْدِرُ، وَتَعْلَمُ وَلاَ أعْلَمُ وَأنْتَ عَلاَّمُ الْغُيُوبِ اَللّٰهُمَّ إنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أنَّ هٰذَا الأمْرَ خَيْرٌ لِي فِي دِينِي وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أمْرِي أَوْ قَالَ عَاجِلِ أمْرِي وَآجِلِهِ فَاقْدُرْهُ لِي وَيَسِّرْهُ لِي ثُمَّ بَارِكْ لِي فِيهِ وَإنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أنَّ هٰذَا الأَمْرَ شَرٌّ لِي فِي دِينِي وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أَمْرِي أَوْ قَالَ عَاجِلِ أمْرِي وَآجِلِهِ ؛ فَاصْرِفْهُ عَنِّي وَاصْرِفْنِي عَنْهُ وَاقْدُرْ لِيَ الخَيْرَ حَيْثُ كَانَ ثُمَّ أرْضِنِي بِهِ قَالَ وَيُسَمِّيْ حَاجَتَهُ رواه البخاري