পরিচ্ছেদঃ লোকের বাহ্যিক অবস্থা ও কার্যকলাপের ভিত্তিতে বিধান প্রয়োগ করা হবে এবং তাদের আভ্যন্তরিক অবস্থা আল্লাহকে সঁপে দেওয়া হবে

আল্লাহ তাআলা বলেন,

فَإِنْ تَابُوا وَأَقَامُوا الصَّلَاةَ وَآتَوُا الزَّكَاةَ فَخَلُّوا سَبِيْلَهُمْ

অর্থাৎ, কিন্তু যদি তারা তওবা করে, যথাযথ নামায পড়ে ও যাকাত প্রদান করে, তাহলে তাদের পথ ছেড়ে দাও। (সূরা তওবাহ ৫)


(৩৫৮৮) ইবনে উমার (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমাকে লোকেদের বিরুদ্ধে জিহাদ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে; যতক্ষণ না তারা সাক্ষ্য দেবে যে, আল্লাহ ছাড়া (সত্য) কোন উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ আল্লাহর রসূল। আর তারা নামায প্রতিষ্ঠা করবে ও যাকাত প্রদান করবে। যখন তারা এ কাজগুলো সম্পাদন করবে, তখন তারা আমার নিকট থেকে তাদের রক্ত (জান) এবং মাল বাঁচিয়ে নেবে; কিন্তু ইসলামের হক ব্যতীত (অর্থাৎ সে যদি কাউকে হত্যা করে, তবে তার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য তাকে হত্যা করা হবে।) আর তাদের হিসাব আল্লাহর উপর ন্যস্ত হবে।

وَعَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا : أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ أُمِرْتُ أنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتّٰـى يَشْهَدُوا أنْ لَّا إله إِلاَّ اللهُ وَأنَّ مُحَمَّدًا رَسُوْلُ اللهِ وَيُقيْمُوا الصَّلَاةَ وَيُؤتُوا الزَّكَاةَ فَإِذَا فَعَلُوا ذٰلِكَ عَصَمُوا مِنِّي دِمَاءهُمْ وَأمْوَالَهُمْ إلاَّ بحَقِّ الإسْلاَمِ وَحِسَابُهُمْ عَلَى الله تَعَالٰـى مُتَّفَقٌ عَلَيهِ

وعن ابن عمر رضي الله عنهما : ان رسول الله ﷺ قال امرت ان اقاتل الناس حتـى يشهدوا ان لا اله الا الله وان محمدا رسول الله ويقيموا الصلاة ويوتوا الزكاة فاذا فعلوا ذلك عصموا مني دماءهم واموالهم الا بحق الاسلام وحسابهم على الله تعالـى متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ লোকের বাহ্যিক অবস্থা ও কার্যকলাপের ভিত্তিতে বিধান প্রয়োগ করা হবে এবং তাদের আভ্যন্তরিক অবস্থা আল্লাহকে সঁপে দেওয়া হবে

(৩৫৮৯) আবূ আব্দুল্লাহ ত্বারেক ইবনে আশয়্যাম (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলল এবং আল্লাহ ব্যতীত অন্যান্য উপাস্যকে অস্বীকার করল, তার মাল ও রক্ত হারাম হয়ে গেল ও তার (অন্তরের) হিসাব আল্লাহর দায়িত্বে।

وَعَن أَبي عَبدِ اللهِ طَارِقِ بنِ أَشْيَمَ قَالَ : سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ يَقُولُ مَنْ قَالَ لاَ إِلٰهَ إلاَّ الله وَكَفَرَ بما يُعْبَدُ مِنْ دُونِ اللهِ حَرُمَ مَالُهُ وَدَمُهُ وَحِسَابُهُ عَلَى الله تَعَالٰـى رواه مسلم

وعن ابي عبد الله طارق بن اشيم قال : سمعت رسول الله ﷺ يقول من قال لا اله الا الله وكفر بما يعبد من دون الله حرم ماله ودمه وحسابه على الله تعالـى رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ লোকের বাহ্যিক অবস্থা ও কার্যকলাপের ভিত্তিতে বিধান প্রয়োগ করা হবে এবং তাদের আভ্যন্তরিক অবস্থা আল্লাহকে সঁপে দেওয়া হবে

(৩৫৯০) আবূ মা’বাদ মিক্বদাদ ইবনে আসওয়াদ (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বললাম, আপনি বলুন, যদি আমি কোন কাফেরের সম্মুখীন হই এবং পরস্পরের মধ্যে লড়ি, অতঃপর সে তরবারি দিয়ে আমার হাত কেটে দেয়, তারপর আমার (পাল্টা) আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য সে একটি গাছের আশ্রয় নিয়ে বলে, ’আমি আল্লাহর ওয়াস্তে ইসলাম গ্রহণ করলাম।’ তার এ কথা বলার পর হে আল্লাহর রসূল! আমি কি তাকে হত্যা করব? তিনি বললেন, তাকে হত্যা করো না। আমি বললাম, ’হে আল্লাহর রসূল! সে আমার একটি হাত কেটে ফেলবে। কাটার পর সে ঐ কথা বলবে তাও?’ তিনি বললেন, ’’তুমি তাকে হত্যা করো না। যদি তুমি তাকে হত্যা কর, তাহলে (মনে রাখ) সে তোমার সেই মর্যাদা পেয়ে যাবে, যাতে তুমি তাকে হত্যা করার পূর্বে ছিলে। আর তুমি তার ঐ কথা বলার পূর্বের অবস্থায় উপনীত হবে।

وَعَنْ أَبِـيْ مَعبَدٍ المِقدَادِ بنِ الْأَسْوَدِ قَالَ : قُلْتُ لِرَسُوْلِ اللهِ ﷺ أرَأيْتَ إنْ لَقِيتُ رَجُلًا مِنَ الْكُفَّارِ فَاقْتتَلْنَا فَضَرَبَ إحْدَى يَدَيَّ بِالسَّيْفِ فَقَطَعَها ثُمَّ لاَذَ مِنِّي بِشَجَرَةٍ فَقَالَ : أسْلَمْتُ لِلهِ أَأَقْتُلُهُ يَا رَسُوْلَ اللهِ بَعْدَ أنْ قَإِلٰهَا ؟ فَقَالَ لاَ تَقْتُلهُ فَقُلْتُ : يَا رَسُوْلَ اللهِ قَطَعَ إحْدَى يَدَيَّ ثُمَّ قَالَ ذٰلِكَ بَعْدَ مَا قَطَعَهَا فَقَالَ لَا تَقتُلْهُ فإنْ قَتَلْتَهُ فَإنَّهُ بِمَنْزِلَتِكَ قَبْلَ أنْ تَقْتُلَهُ وَإنَّكَ بِمَنْزِلَتِهِ قَبْلَ أنْ يَقُولَ كَلِمَتَهُ الَّتِيْ قَالَ مُتَّفَقٌ عَلَيهِ

وعن ابـي معبد المقداد بن الاسود قال : قلت لرسول الله ﷺ ارايت ان لقيت رجلا من الكفار فاقتتلنا فضرب احدى يدي بالسيف فقطعها ثم لاذ مني بشجرة فقال : اسلمت لله ااقتله يا رسول الله بعد ان قالها ؟ فقال لا تقتله فقلت : يا رسول الله قطع احدى يدي ثم قال ذلك بعد ما قطعها فقال لا تقتله فان قتلته فانه بمنزلتك قبل ان تقتله وانك بمنزلته قبل ان يقول كلمته التي قال متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ লোকের বাহ্যিক অবস্থা ও কার্যকলাপের ভিত্তিতে বিধান প্রয়োগ করা হবে এবং তাদের আভ্যন্তরিক অবস্থা আল্লাহকে সঁপে দেওয়া হবে

(৩৫৯১) উসামা ইবনে যায়দ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে জুহাইনা গোত্রের এক শাখা হুরাকার দিকে পাঠালেন। অতঃপর আমরা সকাল সকাল পানির ঝর্নার নিকট তাদের উপর আক্রমণ করলাম। (যুদ্ধ চলাকালীন) আমি ও একজন আনসারী তাদের এক ব্যক্তির পিছনে ধাওয়া করলাম। যখন আমরা তাকে ঘিরে ফেললাম, তখন সে ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলল। আনসারী থেমে গেলেন, কিন্তু আমি তাকে আমার বল্লম দিয়ে গেঁথে দিলাম। এমনকি শেষ পর্যন্ত তাকে হত্যা ক’রে ফেললাম।

অতঃপর যখন আমরা মদীনা পৌঁছলাম, তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এ খবর পৌঁছল। তিনি বললেন, হে উসামা! তার ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলার পরেও কি তুমি তাকে হত্যা করেছ? আমি বললাম, ’হে আল্লাহর রসূল! সে প্রাণ বাঁচানোর জন্য এরূপ করেছে।’ পুনরায় তিনি বললেন, ’’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলার পরও তুমি তাকে খুন করেছ?’’ তিনি আমার সামনে এ কথা বারবার বলতে থাকলেন। এমনকি আমি আকাঙ্ক্ষা করলাম যে, যদি আজকের পূর্বে আমি ইসলাম গ্রহণ না করতাম (অর্থাৎ, এখন আমি মুসলিম হতাম)। (বুখারী ৪২৬৯, ৬৮৭২, মুসলিম ২৮৮)

অন্য এক বর্ণনায় আছে, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সে কি ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলেছে এবং তুমি তাকে হত্যা করেছ? আমি বললাম, ’হে আল্লাহর রসূল! সে কেবলমাত্র অস্ত্রের ভয়ে এই (কালিমা) বলেছে।’ তিনি বললেন, তুমি কি তার অন্তর চিরে দেখেছিলে যে, সে এ (কালিমা) অন্তর থেকে বলেছিল কি না? অতঃপর একথা পুনঃ পুনঃ বলতে থাকলেন। এমনকি আমি আকাঙ্ক্ষা করলাম যে, যদি আমি আজ মুসলিম হতাম। (মুসলিম ২৮৭)

وَعَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيدٍ رَضِيَ الله عَنهُمَا قَالَ : بَعَثَنَا رَسُوْلُ اللهِ ﷺ إِلَى الْحُرَقَةِ مِنْ جُهَيْنَةَ فَصَبَّحْنَا القَوْمَ عَلَى مِيَاهِهِمْ وَلَحِقْتُ أنَا وَرَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ رَجُلاً مِنْهُمْ فَلَمَّا غَشَيْنَاهُ قَالَ : لاَ إِلٰهَ إلاَّ الله فَكفَّ عَنْهُ الأَنْصَارِي وطَعَنْتُهُ برُمْحِي حَتّٰـى قَتَلْتُهُ فَلَمَّا قَدِمْنَا المَدِينَةَ بَلَغَ ذلِكَ النَّبيَّ ﷺ فَقَالَ لِي يَا أُسَامَة أقَتَلْتَهُ بَعْدَ مَا قَالَ لاَ إِلٰهَ إلاَّ اللهُ قُلْتُ : يَا رَسُوْلَ الله إِنَّمَا كَانَ مُتَعَوِّذاً فَقَالَ أقَتَلْتَهُ بَعْدَ مَا قَالَ لاَ إِلٰهَ إلاَّ اللهُ فَمَا زَالَ يُكَرِّرُهَا عَلَيَّ حَتّٰـى تَمنْيَّتُ أنِّي لَمْ أكُنْ أسْلَمْتُ قَبْلَ ذلِكَ اليَوْمِ مُتَّفَقٌ عَلَيهِ
وفي رواية : فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ أقالَ : لاَ إله إلاَّ اللهُ وَقَتَلْتَهُ قُلْتُ : يَا رَسُوْلَ الله إِنَّمَا قَالَهَا خَوْفاً مِن السِّلَاحِ قَالَ أَفَلاَ شَقَقْتَ عَنْ قَلْبِهِ حَتّٰـى تَعْلَمَ أَقَإِلٰهَا أمْ لاَ فمَا زَالَ يُكَرِّرُهَا حَتّٰـى تَمَنَّيْتُ أنِّي أسْلَمْتُ يَوْمَئذٍ

وعن اسامة بن زيد رضي الله عنهما قال : بعثنا رسول الله ﷺ الى الحرقة من جهينة فصبحنا القوم على مياههم ولحقت انا ورجل من الانصار رجلا منهم فلما غشيناه قال : لا اله الا الله فكف عنه الانصاري وطعنته برمحي حتـى قتلته فلما قدمنا المدينة بلغ ذلك النبي ﷺ فقال لي يا اسامة اقتلته بعد ما قال لا اله الا الله قلت : يا رسول الله انما كان متعوذا فقال اقتلته بعد ما قال لا اله الا الله فما زال يكررها علي حتـى تمنيت اني لم اكن اسلمت قبل ذلك اليوم متفق عليه وفي رواية : فقال رسول الله ﷺ اقال : لا اله الا الله وقتلته قلت : يا رسول الله انما قالها خوفا من السلاح قال افلا شققت عن قلبه حتـى تعلم اقالها ام لا فما زال يكررها حتـى تمنيت اني اسلمت يومىذ

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ লোকের বাহ্যিক অবস্থা ও কার্যকলাপের ভিত্তিতে বিধান প্রয়োগ করা হবে এবং তাদের আভ্যন্তরিক অবস্থা আল্লাহকে সঁপে দেওয়া হবে

(৩৫৯২) জুনদুব ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুসলিম মুজাহিদীনের একটি দল এক মুশরিক সম্প্রদায়ের দিকে পাঠালেন। তাদের পরস্পরের মধ্যে মুকাবেলা হল। মুশরিকদের মধ্যে একটি লোক ছিল সে যখন কোন মুসলিমকে হত্যা করার ইচ্ছা করত, তখন সুযোগ পেয়ে তাঁকে হত্যা ক’রে দিত। (এ অবস্থা দেখে) একজন মুসলিম (তাকে খুন করার জন্য) তার অমনোযোগিতার সুযোগ গ্রহণ করলেন। আমরা পরস্পরের মধ্যে বলাবলি করছিলাম যে, উনি হলেন উসামা ইবনে যায়দ। (অতঃপর যখন সুযোগ পেয়ে) উসামা তরবারি উত্তোলন করলেন, তখন সে বলল, ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’। কিন্তু তিনি তাকে হত্যা করে দিলেন। অতঃপর (মুসলিমদের যুদ্ধে জয়ী হওয়ার সংবাদ নিয়ে) সুসংবাদবাহী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এল। তিনি তাকে (যুদ্ধের ব্যাপারে) জিজ্ঞাসা করলেন। সে তাঁকে (সমস্ত) সংবাদ দিল। এমনকি শেষ পর্যন্ত সে ঐ ব্যক্তিরও খবর অবহিত করল।

তিনি উসামাকে ডেকে জিজ্ঞাসা ক’রে বললেন, ’তুমি কেন তাকে হত্যা করেছ?’ উসামা বললেন, ’হে আল্লাহর রসূল! সে মুসলিমদেরকে খুবই কষ্ট দিয়েছে এবং অমুক অমুককে হত্যাও করেছে।’ উসামা কিছু লোকের নামও নিলেন। ’(এ দেখে) আমি তার উপর হামলা করলাম। অতঃপর সে যখন তরবারি দেখল, তখন বলল, ’’লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ।’’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’তুমি তাকে হত্যা ক’রে দিয়েছ?’’ তিনি বললেন, ’জী হ্যাঁ।’ তিনি বললেন, ’’কিয়ামতের দিন যখন ’লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ আসবে, তখন তুমি কী করবে? উসামা বললেন, ’হে আল্লাহর রসূল! আপনি আমার জন্য (আল্লাহর কাছে) ক্ষমা প্রার্থনা করুন।’ তিনি বললেন, ’’কিয়ামতের দিন যখন ’লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ আসবে, তখন তুমি কি করবে? (তিনি বারংবার এ কথা বলতে থাকলেন এবং) এর চেয়ে বেশী কিছু বললেন না, কিয়ামতের দিন যখন ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ আসবে, তখন তুমি কি করবে?

وَعَن جُنْدُبِ بْنِ عَبْدِ اللهِ أنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ بَعَثَ بَعْثًا مِنَ المُسْلِميْنَ إِلَى قَوْمٍ مِنَ الْمُشرِكيْنَ وَأَنَّهُمْ التَّقَوْا فَكَانَ رَجُلٌ مِنَ المُشْركينَ إِذَا شَاءَ أنْ يَقْصِدَ إِلَى رَجُل مِنَ المُسْلِمينَ قَصَدَ لَهُ فَقَتَلَهُ وَأنَّ رَجُلاً مِنَ المُسْلِمِينَ قَصَدَ غَفْلَتَهُ وَكُنَّا نَتَحَدَّثُ أنَّهُ أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ فَلَمَّا رَفَعَ عَلَيهِ السَّيفَ قَالَ : لا إِلٰهَ إلاَّ اللهُ فَقَتَلهُ فَجَاءَ البَشيرُ إِلٰـى رَسُوْلِ اللهِ ﷺ فَسَألَهُ وَأخبَرَهُ حَتّٰـى أخْبَرَهُ خَبَرَ الرَّجُلِ كَيْفَ صَنَعَ فَدَعَاهُ فَسَألَهُ فَقَالَ لِمَ قَتَلْتَهُ ؟ فَقَالَ : يَا رَسُوْلَ اللهِ أوْجَعَ في المُسلِمِينَ وَقَتَلَ فُلاَناً وَفُلاَناً وَسَمَّى لَهُ نَفَراً وَإنِّي حَمَلْتُ عَلَيهِ فَلَمَّا رَأى السَّيفَ قَالَ : لاَ إِلٰهَ إلاَّ اللهُ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ أقَتَلْتَهُ ؟ قَالَ : نَعَمْ قَالَ فَكَيفَ تَصْنَعُ بلَا إِلٰهَ إلاَّ اللهُ، إِذَا جَاءتْ يَوْمَ القِيَامَةِ ؟ قَالَ : يَا رَسُوْلَ اللهِ اسْتَغْفِرْ لِي قَالَ وكَيفَ تَصْنَعُ بِلاَ إِلٰهَ إلاَّ الله إِذَا جَاءَتْ يَوْمَ القِيَامَةِ ؟ فَجَعَلَ لاَ يَزِيدُ عَلَى أنْ يَقُولَ كَيفَ تَصْنَعُ بِلاَ إِلٰهَ إلاَّ الله إِذَا جَاءتْ يَوْمَ القِيَامَةِ رواه مسلم

وعن جندب بن عبد الله ان رسول الله ﷺ بعث بعثا من المسلمين الى قوم من المشركين وانهم التقوا فكان رجل من المشركين اذا شاء ان يقصد الى رجل من المسلمين قصد له فقتله وان رجلا من المسلمين قصد غفلته وكنا نتحدث انه اسامة بن زيد فلما رفع عليه السيف قال : لا اله الا الله فقتله فجاء البشير الـى رسول الله ﷺ فساله واخبره حتـى اخبره خبر الرجل كيف صنع فدعاه فساله فقال لم قتلته ؟ فقال : يا رسول الله اوجع في المسلمين وقتل فلانا وفلانا وسمى له نفرا واني حملت عليه فلما راى السيف قال : لا اله الا الله قال رسول الله ﷺ اقتلته ؟ قال : نعم قال فكيف تصنع بلا اله الا الله، اذا جاءت يوم القيامة ؟ قال : يا رسول الله استغفر لي قال وكيف تصنع بلا اله الا الله اذا جاءت يوم القيامة ؟ فجعل لا يزيد على ان يقول كيف تصنع بلا اله الا الله اذا جاءت يوم القيامة رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ লোকের বাহ্যিক অবস্থা ও কার্যকলাপের ভিত্তিতে বিধান প্রয়োগ করা হবে এবং তাদের আভ্যন্তরিক অবস্থা আল্লাহকে সঁপে দেওয়া হবে

(৩৫৯৩) আব্দুল্লাহ ইবনে উত্বাহ ইবনে মাসঊদ বলেন, আমি উমার ইবনে খাত্তাব (রাঃ) কে বলতে শুনেছি, ’রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে কিছু লোককে অহী দ্বারা পাকড়াও করা হত। কিন্তু অহী এখন বন্ধ হয়ে গেছে। (সুতরাং) এখন আমরা তোমাদের বাহ্যিক কার্যকলাপ দেখে তোমাদেরকে পাকড়াও করব। অতঃপর যে ব্যক্তি আমাদের জন্য ভাল কাজ প্রকাশ করবে, তাকে আমরা নিরাপত্তা দেব এবং তাকে আমরা নিকটে করব। আর তাদের অন্তরের অবস্থার সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই। আল্লাহই তার অন্তরের হিসাব নেবেন। আর যে ব্যক্তি আমাদের জন্য মন্দ কাজ প্রকাশ করবে, তাকে আমরা নিরাপত্তা দেব না এবং তাকে সত্যবাদীও মনে করব না; যদিও সে বলে আমার ভিতর (নিয়্যাত) ভাল।’

وَعَن عَبْدِ اللهِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ مَسعُوْدٍ قَالَ : سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْـخَطَّابِ يَقُوْلُ : إنَّ نَاسًا كَانُوا يُؤْخَذُونَ بِالوَحْيِ في عَهْدِ رَسُولِ الله ﷺ وَإنَّ الوَحْيَ قَدِ انْقَطَعَ وإِنَّمَا نَأخُذُكُمُ الآنَ بما ظَهَرَ لَنَا مِنْ أعمَالِكُمْ فَمَنْ أظْهَرَ لَنَا خَيْراً أمَّنَّاهُ وَقَرَّبْنَاهُ وَلَيْسَ لَنَا مِنْ سَرِيرَتِهِ شَيْء اللهُ يُحَاسِبُهُ فِي سَرِيرَتِهِ وَمَنْ أظْهَرَ لَنَا سُوءاً لَمْ نَأمَنْهُ وَلَمْ نُصَدِّقْهُ وَإنْ قَالَ : إنَّ سَرِيرَتَهُ حَسَنَةٌ رواه البخاري

وعن عبد الله بن عتبة بن مسعود قال : سمعت عمر بن الـخطاب يقول : ان ناسا كانوا يوخذون بالوحي في عهد رسول الله ﷺ وان الوحي قد انقطع وانما ناخذكم الان بما ظهر لنا من اعمالكم فمن اظهر لنا خيرا امناه وقربناه وليس لنا من سريرته شيء الله يحاسبه في سريرته ومن اظهر لنا سوءا لم نامنه ولم نصدقه وان قال : ان سريرته حسنة رواه البخاري

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৬ পর্যন্ত, সর্বমোট ৬ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে