পরিচ্ছেদঃ চুক্তি পূরণ, প্রতিশ্রুতি রক্ষা ও অঙ্গীকার পালন করার গুরুত্ব
আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَأوْفُوا بِالْعَهْدِ إِنَّ الْعَهْدَ كَانَ مَسْئُوْلًا
অর্থাৎ, আর প্রতিশ্রুতি পালন করো; নিশ্চয়ই প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে কৈফিয়ত তলব করা হবে। (সূরা বনী ইসরাঈল ৩৪)
তিনি অন্যত্র বলেছেন,
وَأوْفُوا بِعَهْدِ اللهِ إِذَا عَاهَدْتُمْ
অর্থাৎ, তোমরা যখন পরস্পর অঙ্গীকার কর তখন আল্লাহর অঙ্গীকার পূর্ণ কর। (সূরা নাহল ৯১)
তিনি অন্য জায়গায় বলেছেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوا أَوْفُوا بِالْعُقُوْدِ
অর্থাৎ, হে বিশ্বাসিগণ! তোমরা চুক্তিসমূহ পূর্ণ কর। (সূরা মা-ইদাহ ১)
তিনি আরো বলেছেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوا لِمَ تَقُوْلُوْنَ مَا لَا تَفْعَلُوْنَ كَبُرَ مَقْتًا عِنْدَ اللهِ أَنْ تَقُوْلُوا مَا لَا تَفْعَلُوْنَ
অর্থাৎ, হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা যা কর না, তা তোমরা বল কেন? তোমরা যা কর না তোমাদের তা বলা আল্লাহর নিকট অতিশয় অসন্তোষজনক। (সূরা স্বাফফ ২-৩)
(৩৫৫৪) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মুনাফিকের চিহ্ন হল তিনটি (১) কথা বললে মিথ্যা বলে। (২) ওয়াদা করলে তা খেলাপ করে। এবং (৩) আমানত রাখা হলে তাতে খিয়ানত করে।
মুসলিমের এক বর্ণনায় আছে, যদিও সে রোযা রাখে এবং নামায পড়ে ও ধারণা করে যে, সে মুসলিম।
وَعَنْ أَبِـيْ هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ آيَةُ المُنَافِقِ ثَلاَثٌ : إِذَا حَدَّثَ كَذَبَ وَإِذَا وَعَدَ أخْلَفَ وَإِذَا اؤْتُمِنَ خَانَ متفقٌ عَلَيْهِ
زَادَ في رِوَايةٍ لـمسلم وَإِنْ صَامَ وَصَلَّى وَزَعَمَ أنَّهُ مُسْلِمٌ
পরিচ্ছেদঃ চুক্তি পূরণ, প্রতিশ্রুতি রক্ষা ও অঙ্গীকার পালন করার গুরুত্ব
(৩৫৫৫)আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রাঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যার মধ্যে চারটি স্বভাব পাওয়া যাবে, সে খাঁটি মুনাফেক হয়ে যাবে। আর যার মধ্যে এগুলোর একটি স্বভাব থাকবে, তার মধ্যে মুনাফেকীর একটি স্বভাব থেকে যাবে; যতক্ষণ না সে তা বর্জন করবে। (১) তাকে আমানত দেওয়া হলে সে খিয়ানত করবে। (২) কথা বললে মিথ্যা বলবে। (৩) ওয়াদা করলে খেলাপ করবে। এবং (৪) ঝগড়া করলে গালি-গালাজ করবে।
وَعَن عَبدِ اللهِ بنِ عَمرِو بنِ العَاصِ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا : أنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ أرْبَعٌ مَنْ كُنَّ فِيهِ كَانَ مُنَافِقاً خَالِصاً وَمَنْ كَانَتْ فِيهِ خَصْلَةٌ مِنْهُنَّ كَانَتْ فِيهِ خَصْلَةٌ مِنَ النِّفَاقِ حَتّٰـى يَدَعَهَا : إِذَا اؤْتُمِنَ خَانَ وَإِذَا حَدَّثَ كَذَبَ وَإِذَا عَاهَدَ غَدَرَ وَإِذَا خَاصَمَ فَجَرَ متفقٌ عَلَيْهِ
পরিচ্ছেদঃ চুক্তি পূরণ, প্রতিশ্রুতি রক্ষা ও অঙ্গীকার পালন করার গুরুত্ব
(৩৫৫৬) জাবের (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, বাহরাইন থেকে মাল এলে তোমাকে এতটা, এতটা এবং এতটা দেব। অতঃপর বাহরাইনের মাল আসার পূর্বেই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মারা গেলেন। তারপর বাহরাইনের মাল এসে গেলে আবূ বকর (রাঃ) ঘোষণা করলেন, ’যার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট প্রাপ্য কোন প্রতিশ্রুতি অথবা ঋণ আছে, সে আমার নিকট আসুক।’ (ঘোষণা শুনে) আমি (জাবের) তাঁকে বললাম যে, ’নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে এতটা মাল দেওয়ার ওয়াদা করেছিলেন।’ অতঃপর তিনি আঁজলা ভরে আমাকে দিলেন। আমি তা গুণে পাঁচশ’ পেলাম। তারপর তিনি বললেন, ’এর দ্বিগুণ আরো নাও।’
وَعَن جَابِرٍ قَالَ : قَالَ لِي النَّبِيُّ ﷺ لَوْ قَدْ جَاءَ مَالُ الْبَحْرَيْنِ أعْطَيْتُكَ هٰكَذَا وَ هٰكَذَا وَ هٰكَذَا فَلَمْ يَجِئْ مَالُ الْبَحْرَينِ حَتّٰـى قُبِضَ النَّبيُّ ﷺ فَلَمَّا جَاءَ مَالُ الْبَحْرَيْنِ أمَرَ أَبُو بَكْرٍ فَنَادَى : مَنْ كَانَ لَهُ عِنْدَ رَسُولِ اللهِ ﷺ عِدَةٌ أَوْ دَيْنٌ فَلْيَأتِنَا فَأتَيْتُهُ وَقُلْتُ لَهُ : إنَّ النَّبيَّ ﷺ قَالَ لِي كَذَا وَكَذَا فَحَثَى لِي حَثْيَةً فَعَدَدْتُهَا فَإِذَا هِيَ خَمْسُمِئَةٍ فَقَالَ لِي : خُذْ مِثْلَيْهَا متفقٌ عَلَيْهِ