পরিচ্ছেদঃ জামা-পায়জামা, জামার হাতা, লুঙ্গি তথা পাগড়ীর প্রান্ত কতটুকু লম্বা হবে? অহংকারবশতঃ ওগুলি ঝুলিয়ে পরা হারাম ও নিরহংকারে তা ঝুলানো অপছন্দনীয়

(৩৩২৪) আসমা বিনতে য়্যাযীদ আনসারী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ’রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জামার হাতা কব্জি পর্যন্ত লম্বা ছিল।’

عَنْ أَسمَاءَ بِنتِ يَزِيدَ الأَنصَارِيَّةِ رَضِيَ اللهُ عَنهَا قَالَتْ : كَانَ كُمُّ قَمِيصِ رَسُولِ اللهِ ﷺ إِلَى الرُّسْغِ رواه أَبُو داود والترمذي وقال حديث حسن

عن اسماء بنت يزيد الانصارية رضي الله عنها قالت : كان كم قميص رسول الله ﷺ الى الرسغ رواه ابو داود والترمذي وقال حديث حسن

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ জামা-পায়জামা, জামার হাতা, লুঙ্গি তথা পাগড়ীর প্রান্ত কতটুকু লম্বা হবে? অহংকারবশতঃ ওগুলি ঝুলিয়ে পরা হারাম ও নিরহংকারে তা ঝুলানো অপছন্দনীয়

(৩৩২৫) ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি অহংকারের সাথে নিজের পোশাক মাটিতে ছেঁচড়ে চলবে, আল্লাহ তার প্রতি কিয়ামতের দিন (রহমতের দৃষ্টিতে) তাকাবেন না।’’ আবূ বকর (রাঃ) বললেন, ’হে আল্লাহর রসূল! খেয়াল না করলে আমার লুঙ্গি ঢিলে হয়ে নেমে যায়।’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’তুমি তাদের শ্রেণীভুক্ত নও, যারা তা অহংকারবশতঃ ক’রে থাকে।

وَعَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا : أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ قَالَ مَنْ جَرَّ ثَوْبَهُ خُيَلاءَ لَمْ يَنْظُرِ اللهُ إِلَيْهِ يَوْمَ القِيَامَةِ فَقَالَ أَبُو بَكرٍ : يَا رَسُوْلَ اللهِ إِنَّ إِزَارِي يَسْتَرْخِي إِلاَّ أنْ أَتَعَاهَدَهُ فَقَالَ لَهُ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ إنَّكَ لَسْتَ مِمَّنْ يَفْعَلُهُ خُيَلاءَ رواه البخاري وروى مسلم بعضه

وعن ابن عمر رضي الله عنهما : ان النبي ﷺ قال من جر ثوبه خيلاء لم ينظر الله اليه يوم القيامة فقال ابو بكر : يا رسول الله ان ازاري يسترخي الا ان اتعاهده فقال له رسول الله ﷺ انك لست ممن يفعله خيلاء رواه البخاري وروى مسلم بعضه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ জামা-পায়জামা, জামার হাতা, লুঙ্গি তথা পাগড়ীর প্রান্ত কতটুকু লম্বা হবে? অহংকারবশতঃ ওগুলি ঝুলিয়ে পরা হারাম ও নিরহংকারে তা ঝুলানো অপছন্দনীয়

(৩৩২৬) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে অহংকারের সাথে নিজের লুঙ্গি ঝুলিয়ে চলে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার প্রতি (রহমতের দৃষ্টিতে) তাকাবেন না।

وَعَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ لاَ يَنْظُرُ اللهُ يَوْمَ القِيَامَةِ إِلَى مَنْ جَرَّ إِزَارَهُ بَطَراً متفقٌ عَلَيْهِ

وعن ابي هريرة ان رسول الله ﷺ قال لا ينظر الله يوم القيامة الى من جر ازاره بطرا متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ জামা-পায়জামা, জামার হাতা, লুঙ্গি তথা পাগড়ীর প্রান্ত কতটুকু লম্বা হবে? অহংকারবশতঃ ওগুলি ঝুলিয়ে পরা হারাম ও নিরহংকারে তা ঝুলানো অপছন্দনীয়

(৩৩২৭) উক্ত রাবী হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’লুঙ্গির যে পরিমাণটুকু পায়ের গাঁটের নীচে যাবে, সে পরিমাণ জাহান্নামে যাবে।’

وَعَنهُ عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ مَا أسْفَلَ مِنَ الكَعْبَيْنِ مِنَ الإِزَارِ فَفِي النَّارِ رواه البخاري

وعنه عن النبي ﷺ قال ما اسفل من الكعبين من الازار ففي النار رواه البخاري

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ জামা-পায়জামা, জামার হাতা, লুঙ্গি তথা পাগড়ীর প্রান্ত কতটুকু লম্বা হবে? অহংকারবশতঃ ওগুলি ঝুলিয়ে পরা হারাম ও নিরহংকারে তা ঝুলানো অপছন্দনীয়

(৩৩২৮) আবূ যার্র (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তিন ব্যক্তির সাথে কিয়ামতের দিন আল্লাহ কথা বলবেন না, তাদের দিকে (দয়ার দৃষ্টিতে) তাকাবেন না, তাদেরকে পবিত্র করবেন না এবং তাদের জন্য থাকবে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি। বর্ণনাকারী বলেন, ’রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উক্ত বাক্যগুলি তিনবার বললেন।’ আবূ যার বললেন, ’তারা ব্যর্থ ও ক্ষতিগ্রস্ত হোক! তারা কারা? হে আল্লাহর রসূল!’ তিনি বললেন, (লুঙ্গি-কাপড়) পায়ের গাঁটের নীচে যে ঝুলিয়ে পরে, দান করে যে লোকের কাছে দানের কথা বলে বেড়ায় এবং মিথ্যা কসম খেয়ে যে পণ্য বিক্রি করে। (মুসলিম ৩০৬)

তাঁর অন্য বর্ণনায় আছে, ’যে লুঙ্গি ঝুলিয়ে পরে।’ (মুসলিম ৩০৭, আবূ দাউদ ৪০৮৭, তিরমিযী ১২১১, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ ২২০৮)

وَعَن أَبي ذَرٍّ عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ ثَلاَثَةٌ لاَ يُكَلِّمُهُمُ اللهُ يَوْمَ القِيَامَةِ وَلاَ يَنْظُرُ إِلَيْهِمْ وَلاَ يُزَكِّيهِمْ وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ قَالَ : فَقَرَأَهَا رَسُوْلُ اللهِ ﷺ ثَلاَثَ مِرَارٍ قَالَ أَبُو ذرٍّ : خَابُوا وَخَسِرُوا مَنْ هُمْ يَا رَسُوْلَ اللهِ ؟ قَالَ المُسْبِلُ وَالمنَّانُ وَالمُنْفِقُ سِلْعَتَهُ بِالحَلِفِ الكاذِبِ رواه مسلم وفي رواية لَهُ المُسْبِلُ إزَارَهُ

وعن ابي ذر عن النبي ﷺ قال ثلاثة لا يكلمهم الله يوم القيامة ولا ينظر اليهم ولا يزكيهم ولهم عذاب اليم قال : فقراها رسول الله ﷺ ثلاث مرار قال ابو ذر : خابوا وخسروا من هم يا رسول الله ؟ قال المسبل والمنان والمنفق سلعته بالحلف الكاذب رواه مسلم وفي رواية له المسبل ازاره

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ জামা-পায়জামা, জামার হাতা, লুঙ্গি তথা পাগড়ীর প্রান্ত কতটুকু লম্বা হবে? অহংকারবশতঃ ওগুলি ঝুলিয়ে পরা হারাম ও নিরহংকারে তা ঝুলানো অপছন্দনীয়

(৩৩২৯) ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, লুঙ্গি, জামা ও পাগড়ীতে ঝুলানোর কাজ হয়ে থাকে। (অর্থাৎ, এগুলি ঝুলিয়ে পরলে গুনাহ হয়।) যে ব্যক্তি অহংকারবশতঃ কিছু মাটিতে ছেঁচড়ে চলবে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার দিকে (দয়ার দৃষ্টিতে) তাকিয়ে দেখবেন না।

وَعَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ الإِسْبَالُ فِي الإِزَارِ وَالقَمِيصِ وَالعِمَامَةِ مَنْ جَرَّ شَيْئاً خُيَلاءَ لَمْ ينْظُرِ الله إِلَيْهِ يَوْمَ القِيَامَةِ رواه أَبُو داود والنسائي بإسناد صحيح

وعن ابن عمر رضي الله عنهما عن النبي ﷺ قال الاسبال في الازار والقميص والعمامة من جر شيىا خيلاء لم ينظر الله اليه يوم القيامة رواه ابو داود والنساىي باسناد صحيح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ জামা-পায়জামা, জামার হাতা, লুঙ্গি তথা পাগড়ীর প্রান্ত কতটুকু লম্বা হবে? অহংকারবশতঃ ওগুলি ঝুলিয়ে পরা হারাম ও নিরহংকারে তা ঝুলানো অপছন্দনীয়

(৩৩৩০) আবূ জুরাই জাবের ইবনে সুলাইম হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি এমন এক ব্যক্তিকে দেখলাম, যাঁর মতানুযায়ী লোকে কাজ করছে, তাঁর কথা তারা মেনে নিচ্ছে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ’এ লোকটি কে?’ লোকেরা বলল, ’ইনি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।’ আমি তাঁকে ’আলাইকাস সালাম ইয়া রাসূলাল্লাহ’ দু’বার বললাম। তিনি বললেন, ’’আলাইকাস সালাম’ বলো না। ’আলাইকাস সালাম’ তো মৃতদের জন্য অভিবাদন বাণী। তুমি বলো ’আসসালামু আলাইকা।’’

জাবের বলেন, আমি বললাম, ’আপনি আল্লাহর রসূল?’ তিনি বললেন, ’’আমি সেই আল্লার রসূল, যাঁকে কোন বিপদের সময় যদি ডাকো, তাহলে তিনি তোমার বিপদ দূর করে দেবেন। যদি দুর্ভিক্ষে আক্রান্ত হয়ে তাঁর কাছে প্রার্থনা কর, তাহলে তিনি তোমার জন্য যমীন থেকে ফসল উৎপাদন করবেন। কোন গাছপালা বিহীন জনশূন্য মরুভূমিতে তোমার বাহন হারিয়ে গেলে তুমি যদি তাঁর নিকট দু’আ কর, তাহলে তিনি তোমার বাহন তোমার কাছে ফিরিয়ে দেবেন।’’

জাবের বলেন, আমি বললাম, ’আপনি আমাকে বিশেষ উপদেশ দান করুন।’ তিনি বললেন, ’’তুমি কাউকে কখনো গালি-গালাজ করো না।’’ সুতরাং তারপর থেকে আমি না কোন স্বাধীন-পরাধীন ব্যক্তিকে, না কোন উট আর না কোন ছাগলকে গালি দিয়েছি।

(দ্বিতীয় উপদেশ হচ্ছে এই যে,) কোন পুণ্যকর্মকে তুচ্ছ জ্ঞান করো না। নিঃসন্দেহে সহাস্য বদনে কোন মুসলিম ভাইয়ের সঙ্গে তোমার বাক্যালাপ করা নেকীর কাজ। নিজ লুঙ্গি পায়ের অর্ধ রলা পর্যন্ত উঁচু রেখো। তা যদি মানতে না চাও, তাহলে গাঁট পর্যন্ত ঝুলাতে পার। লুঙ্গি ঝুলিয়ে পরা থেকে দূরে থেকো। কেননা, এতে অহংকার জন্মায়। আর নিশ্চয় আল্লাহ অহংকারকে পছন্দ করেন না। যদি কেউ তোমাকে গালি দেয় অথবা এমন দোষ ধরে তোমাকে লজ্জা দেয়, যা তোমার মধ্যে বিদ্যমান আছে বলে জানে, তাহলে তুমি তার এমন দোষ ধরে তাকে লজ্জা দিয়ো না, যা তার মধ্যে বিদ্যমান আছে বলে জানো। যেহেতু তার কুফল তার উপরই বর্তাবে (তোমার উপর নয়)।

وَعَن أَبي جُرَيٍّ جَابِرِ بنِ سُلَيْمٍ قَالَ : رَأَيْتُ رَجُلاً يَصْدُرُ النَّاسُ عَنْ رَأْيهِ لا يَقُولُ شَيْئاً إِلاَّ صَدَرُوا عَنْهُ قُلْتُ : مَنْ هَذَا ؟ قَالُوا : رَسُوْلُ اللهِ ﷺ قُلْتُ : عَلَيْكَ السَّلامُ يَا رَسُوْلَ اللهِ – مَرَّتَينِ – قَالَ لاَ تَقُلْ : عَلَيْكَ السَّلامُ عَلَيْكَ السَّلامُ تَحِيَّةُ المَوْتَى قُلْ : السَّلامُ عَلَيْكَ قَالَ : قُلْتُ : أنْتَ رَسُوْلُ اللهِ ؟ قَالَ أنَا رَسُوْلُ اللهِ الَّذِي إِذَا أَصَابَكَ ضُرٌّ فَدَعَوْتَهُ كَشَفَهُ عَنْكَ، وَإِذَا أَصَابَكَ عَامُ سَنَةٍ فَدَعَوْتَهُ أَنْبَتَهَا لَكَ وَإِذَا كُنْتَ بِأَرْضٍ قَفْرٍ أَوْ فَلاَةٍ فَضَلَّتْ رَاحِلَتُكَ فَدَعَوْتَهُ رَدَّهَا عَلَيْكَ قَالَ : قُلْتُ : اِعْهَدْ إِلَيَّ قَالَ لاَ تَسُبَّنَ أحَداً قَالَ : فَمَا سَبَبْتُ بَعْدَهُ حُرّاً وَلاَ عَبْداً وَلاَ بَعِيراً وَلاَ شَاةً وَلاَ تَحْقِرَنَّ مِنَ المَعْرُوفِ شَيْئاً وَأَنْ تُكَلِّمَ أخَاكَ وَأنْتَ مُنْبَسِطٌ إِلَيْهِ وَجْهُكَ إنَّ ذَلِكَ مِنَ المَعْرُوفِ وَارْفَعْ إزَارَكَ إِلَى نِصْفِ السَّاقِ فَإنْ أبَيْتَ فَإلَى الكَعْبَينِ وَإيَّاكَ وَإسْبَالَ الإِزَارِ فَإنَّهَا مِنَ المَخِيلَةِ وَإنَّ اللهَ لاَ يُحِبُّ المَخِيلَةَ ؛ وَإِنِ امْرُؤٌ شَتَمَكَ وَعَيَّرَكَ بِمَا يَعْلَمُ فِيكَ فَلاَ تُعَيِّرْهُ بِمَا تَعْلَمُ فِيهِ فَإنَّمَا وَبَالُ ذَلِكَ عَلَيْهِ رواه أَبُو داود والترمذي بإسناد صحيح وقال الترمذي حديث حسن صحيح

وعن ابي جري جابر بن سليم قال : رايت رجلا يصدر الناس عن رايه لا يقول شيىا الا صدروا عنه قلت : من هذا ؟ قالوا : رسول الله ﷺ قلت : عليك السلام يا رسول الله – مرتين – قال لا تقل : عليك السلام عليك السلام تحية الموتى قل : السلام عليك قال : قلت : انت رسول الله ؟ قال انا رسول الله الذي اذا اصابك ضر فدعوته كشفه عنك، واذا اصابك عام سنة فدعوته انبتها لك واذا كنت بارض قفر او فلاة فضلت راحلتك فدعوته ردها عليك قال : قلت : اعهد الي قال لا تسبن احدا قال : فما سببت بعده حرا ولا عبدا ولا بعيرا ولا شاة ولا تحقرن من المعروف شيىا وان تكلم اخاك وانت منبسط اليه وجهك ان ذلك من المعروف وارفع ازارك الى نصف الساق فان ابيت فالى الكعبين واياك واسبال الازار فانها من المخيلة وان الله لا يحب المخيلة ؛ وان امرو شتمك وعيرك بما يعلم فيك فلا تعيره بما تعلم فيه فانما وبال ذلك عليه رواه ابو داود والترمذي باسناد صحيح وقال الترمذي حديث حسن صحيح

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ জামা-পায়জামা, জামার হাতা, লুঙ্গি তথা পাগড়ীর প্রান্ত কতটুকু লম্বা হবে? অহংকারবশতঃ ওগুলি ঝুলিয়ে পরা হারাম ও নিরহংকারে তা ঝুলানো অপছন্দনীয়

(৩৩৩১) আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মুসলিমের লুঙ্গি অর্ধ গোছা পর্যন্ত ঝুলানো উচিত। গাঁটের উপর পর্যন্ত ঝুললে ক্ষতি নেই। যে অংশ লুঙ্গি পায়ের গাঁটের নীচে ঝুলবে, তা জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে। আর অহংকারবশতঃ যে ব্যক্তি পায়ের গাঁটের নীচে ঝুলিয়ে লুঙ্গি পরবে, তার দিকে আল্লাহ (করুণার দৃষ্টিতে) তাকিয়ে দেখবেন না।

وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ الخُدرِيِّ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ إزْرَةُ المُسْلِمِ إِلَى نِصْفِ السَّاقِ وَلاَ حَرَجَ ـ أَوْ لاَ جُنَاحَ ـ فِيمَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الكَعْبَيْنِ فمَا كَانَ أسْفَلَ مِنَ الكَعْبَيْنِ فَهُوَ في النَّارِ وَمَنْ جَرَّ إزَارَهُ بَطَراً لَمْ يَنْظُرِ اللهُ إِلَيْهِ رواه أَبُو داود بإسنادٍ صحيحٍ

وعن ابي سعيد الخدري قال : قال رسول الله ﷺ ازرة المسلم الى نصف الساق ولا حرج ـ او لا جناح ـ فيما بينه وبين الكعبين فما كان اسفل من الكعبين فهو في النار ومن جر ازاره بطرا لم ينظر الله اليه رواه ابو داود باسناد صحيح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ জামা-পায়জামা, জামার হাতা, লুঙ্গি তথা পাগড়ীর প্রান্ত কতটুকু লম্বা হবে? অহংকারবশতঃ ওগুলি ঝুলিয়ে পরা হারাম ও নিরহংকারে তা ঝুলানো অপছন্দনীয়

(৩৩৩২) ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হলাম। তখন আমার লুঙ্গি বেশ ঝুলে ছিল। সুতরাং তিনি বললেন, হে আব্দুল্লাহ! লুঙ্গি উঠিয়ে পর। অতএব আমি লুঙ্গি তুলে পরলাম। তিনি আবার বললেন, আরো উঁচু কর। আমি আরো উঁচু করলাম। এরপর বরাবর আমি এর খেয়াল রাখতে থাকলাম; যেন লুঙ্গি নীচে না নামে। কিছু লোক (আব্দুল্লাহকে) জিজ্ঞাসা করল, ’কতদূর পর্যন্ত ঝুলিয়ে পরা যাবে?’ তিনি উত্তরে বললেন, ’অর্ধ গোছা পর্যন্ত।’

وَعَنْ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا قَالَ : مَرَرتُ عَلَى رَسُولِ اللهِ ﷺ وَفِي إزَارِي استِرخَاءٌ فَقَالَ يَا عَبدَ اللهِ ارْفَعْ إزَارَكَ فَرَفَعْتُهُ ثُمَّ قَالَ زِدْ فَزِدْتُ فَمَا زِلْتُ أتَحَرَّاهَا بَعْدُ فَقَالَ بَعْضُ القَوْم : إِلَى أينَ ؟ فَقَالَ : إِلَى أنْصَافِ السَّاقَيْنِ رواه مسلم

وعن ابن عمر رضي الله عنهما قال : مررت على رسول الله ﷺ وفي ازاري استرخاء فقال يا عبد الله ارفع ازارك فرفعته ثم قال زد فزدت فما زلت اتحراها بعد فقال بعض القوم : الى اين ؟ فقال : الى انصاف الساقين رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ জামা-পায়জামা, জামার হাতা, লুঙ্গি তথা পাগড়ীর প্রান্ত কতটুকু লম্বা হবে? অহংকারবশতঃ ওগুলি ঝুলিয়ে পরা হারাম ও নিরহংকারে তা ঝুলানো অপছন্দনীয়

(৩৩৩৩) পূর্বোক্ত বর্ণনাকারী হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, অহংকারবশতঃ যে ব্যক্তি গাঁটের নীচে কাপড় ঝুলিয়ে পরবে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা তার দিকে (করুণার দৃষ্টিতে) দেখবেন না। উম্মে সালামাহ প্রশ্ন করলেন, ’তাহলে মহিলারা তাদের কাপড়ের নিম্নপ্রান্তের ব্যাপারে কী করবে?’ তিনি বললেন, আধ হাত বেশী ঝুলাবে। উম্মে সালামাহ বললেন, ’তাহলে তো তাদের পায়ের পাতা খোলা যাবে!’ তিনি বললেন, ’’তাহলে এক হাত পর্যন্ত নীচে ঝুলাবে; তার বেশী নয়।

وَعَنهُ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ مَنْ جَرَّ ثَوْبَهُ خُيَلاَءَ لَمْ يَنْظُرِ اللهُ إِلَيْهِ يَوْمَ القِيَامَةِ فَقَالَتْ أُمُّ سَلَمَةَ : فَكَيْفَ تَصْنَعُ النِّسَاءُ بذُيُولِهِنَّ ؟ قَالَ يُرْخِينَ شِبْراً قَالَتْ : إِذَاً تَنْكَشِفُ أقْدَامُهُنَّ قَالَ فَيُرخِينَهُ ذِرَاعاً لاَ يَزِدْنَ رواه أَبُو داود والترمذي، وقال حديث حسن صحيح

وعنه قال : قال رسول الله ﷺ من جر ثوبه خيلاء لم ينظر الله اليه يوم القيامة فقالت ام سلمة : فكيف تصنع النساء بذيولهن ؟ قال يرخين شبرا قالت : اذا تنكشف اقدامهن قال فيرخينه ذراعا لا يزدن رواه ابو داود والترمذي، وقال حديث حسن صحيح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১০ পর্যন্ত, সর্বমোট ১০ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে