পরিচ্ছেদঃ স্বপ্ন ও তার আনুষঙ্গিক বিবরণ

মহান আল্লাহ বলেন,

وَمِنْ آيَاتِهِ مَنَامُكُمْ بِاللَّيْلِ وَالنَّهَارِ

অর্থাৎ, তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে অন্যতম নিদর্শন হচ্ছে তোমাদের রাতের বেলায় ও দিবাভাগে ঘুমানো। (সূরা রূম ২৩)


(৩১৭১) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি যে, সুসংবাদ ছাড়া নবুঅতের কিছু বাকি থাকবে না। লোকেরা প্রশ্ন করল, ’সুসংবাদ কি?’ তিনি বললেন, সুস্বপ্ন।

وَعَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ : سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ يَقُولُ لَمْ يَبْقَ مِنَ النُّبوَّةِ إِلاَّ المُبَشِّرَاتِ قَالُوا : وَمَا المُبَشِّرَاتُ ؟ قَالَ الرُّؤْيَا الصَّالِحَةُ رواه البخاري

وعن ابي هريرة قال : سمعت رسول الله ﷺ يقول لم يبق من النبوة الا المبشرات قالوا : وما المبشرات ؟ قال الرويا الصالحة رواه البخاري

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ স্বপ্ন ও তার আনুষঙ্গিক বিবরণ

(৩১৭২) উক্ত রাবী হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, (কিয়ামতের) নিকটবর্তী যুগে মু’মিনের স্বপ্ন মিথ্যা হবে না। আর মু’মিনের স্বপ্ন নবুঅতের ছেচল্লিশ ভাগের এক ভাগ। (অর্থাৎ, মু’মিন স্বপ্ন যোগে ভবিষ্যতের খবর জানতে পারে। যেমন, অহীর দ্বারা পয়গম্বরদেরকে ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অবহিত করা হত।) (বুখারী ৭০১৭, মুসলিম ৬০৪২)

অন্য এক বর্ণনায় আছে, আর তোমাদের মধ্যে যে সবচেয়ে বেশি সত্য কথা বলে, তার স্বপ্ন সবচেয়ে বেশি সত্য।

وَعَنهُ : أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ قَالَ إِذَا اقْتَرَبَ الزَّمَانُ لَمْ تَكَدْ رُؤيَا المُؤْمِنِ تَكْذِبُ وَرُؤْيَا الْمُؤْمِنِ جُزْءٌ مِنْ سِتَّةٍ وَأرْبَعِينَ جُزْءاً مِنَ النُّبُوَّةِ متفقٌ عَلَيْهِ وفي رواية أصْدَقُكُمْ رُؤْيَا أصْدَقُكُمْ حَدِيثاً

وعنه : ان النبي ﷺ قال اذا اقترب الزمان لم تكد رويا المومن تكذب ورويا المومن جزء من ستة واربعين جزءا من النبوة متفق عليه وفي رواية اصدقكم رويا اصدقكم حديثا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ স্বপ্ন ও তার আনুষঙ্গিক বিবরণ

(৩১৭৩) উক্ত রাবী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি আমাকে স্বপ্নে দর্শন করল, সে আমাকে জাগ্রত অবস্থায় দর্শন করবে অথবা সে যেন আমাকে জাগ্রত অবস্থায় দেখল। কেননা, শয়তান আমার রূপ ধারণ করতে পারে না।

وَعَنهُ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ مَنْ رَآنِي فِي المَنَامِ فَسَيَرَانِي فِي اليَقَظَةِ أَوْ كَأنَّما رَآنِي في اليَقَظَةِ لاَ يَتَمَثَّلُ الشَّيْطَانُ بِي متفقٌ عَلَيْهِ

وعنه قال : قال رسول الله ﷺ من راني في المنام فسيراني في اليقظة او كانما راني في اليقظة لا يتمثل الشيطان بي متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ স্বপ্ন ও তার আনুষঙ্গিক বিবরণ

(৩১৭৪) উক্ত আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি স্বপ্নে আমাকে দেখে সে সত্যই আমাকে দেখে। কারণ শয়তান আমার আকৃতি ধারণ করতে পারে না। আর যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত আমার সম্বন্ধে মিথ্যা বলে সে যেন নিজের বাসস্থান জাহান্নামে করে নেয়।

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ مَنْ رَآنِي فِي الْمَنَامِ فَقَدْ رَآنِي فَإِنَّ الشَّيْطَانَ لَا يَتَمَثَّلُ فِي صُورَتِي وَمَنْ كَذَبَ عَلَيَّ مُتَعَمِّدًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنْ النَّارِ

عن ابي هريرة عن النبي ﷺ قال من راني في المنام فقد راني فان الشيطان لا يتمثل في صورتي ومن كذب علي متعمدا فليتبوا مقعده من النار

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ স্বপ্ন ও তার আনুষঙ্গিক বিবরণ

(৩১৭৫) আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছেন যে, যখন তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি এমন স্বপ্ন দর্শন করে যা তার কাছে প্রীতিকর, তখন তা নিঃসন্দেহে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে (দেখানো) হয়। সুতরাং সে যেন তার জন্য আল্লাহর প্রশংসা করে এবং সে তা (স্বপ্ন) ব্যক্ত করে। অন্য বর্ণনায় আছে যে, সে যেন তা তার প্রিয়জন ছাড়া অন্য কারো কাছে ব্যক্ত না করে। আর যখন তাছাড়া কোন অপ্রীতিকর স্বপ্ন দর্শন করে, তখন তা নিঃসন্দেহে শয়তানের পক্ষ থেকে (দেখানো) হয়। সুতরাং সে যেন তার অনিষ্ট থেকে (আল্লাহর নিকট) আশ্রয় প্রার্থনা করে এবং কাউকে তা ব্যক্ত না করে। কেননা, (তাহলে) তা তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না।

وَعَنْ أَبي سَعِيدٍ الخُدرِيِّ أنَّه سَمِعَ النَّبِيَّ ﷺ يَقُولُ إِذَا رَأَى أحَدُكُمْ رُؤيَا يُحِبُّهَا فَإنَّمَا هِيَ مِنَ اللهِ تَعَالَى فَلْيَحْمَدِ اللهَ عَلَيْهَا وَلْيُحَدِّثْ بِهَا ـ وَفِي رِوَايَةٍ : فَلاَ يُحَدِّثْ بِهَا إِلاَّ مَنْ يُحِبُّ ـ وَإِذَا رَأَى غَيْرَ ذَلِكَ مِمَّا يَكْرَهُ فإنَّمَا هِيَ مِنَ الشَّيْطَانِ فَلْيَسْتَعِذْ مِنْ شَرِّهَا وَلاَ يَذْكُرْهَا لأَحَدٍ فَإنَّهَا لا تَضُرُّهُ

وعن ابي سعيد الخدري انه سمع النبي ﷺ يقول اذا راى احدكم رويا يحبها فانما هي من الله تعالى فليحمد الله عليها وليحدث بها ـ وفي رواية : فلا يحدث بها الا من يحب ـ واذا راى غير ذلك مما يكره فانما هي من الشيطان فليستعذ من شرها ولا يذكرها لاحد فانها لا تضره

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ স্বপ্ন ও তার আনুষঙ্গিক বিবরণ

(৩১৭৬) আব্দুল্লাহ বিন উমার (রাঃ) বলেন, এক ব্যক্তি ছিল, যখন সে স্বপ্ন দেখত, তখনই তা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট বর্ণনা করত। সুতরাং আমিও আশা করলাম যে, যদি আমি কোন স্বপ্ন দেখতাম, তাহলে তা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট বর্ণনা করতাম। আমি ছিলাম নব্য তরুণ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে আমি মসজিদে শয়ন করতাম। একদা স্বপ্নে দেখলাম, যেন দু’জন ফিরিশতা আমাকে ধরে নিয়ে দোযখের দিকে গেলেন। দেখলাম তা যেন কুয়ার পাড় বাঁধানোর মতো পাড় বাঁধানো এবং কুয়ার মতোই তার দুটি খুঁটি রয়েছে। আর তাতে রয়েছে এমন লোক, যাদেরকে আমি চিনি। সুতরাং আমি ’আঊযু বিল্লাহি মিনান্নার’ বলতে লাগলাম। অতঃপর অন্য এক ফিরিশতা আমাদের সাথে মিলিত হলেন এবং আমাকে বললেন, ’ভয় পেয়ো না।’

عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ كَانَ الرَّجُلُ فِى حَيَاةِ رَسُولِ اللهِ ﷺ إِذَا رَأَى رُؤْيَا قَصَّهَا عَلَى رَسُولِ اللهِ ﷺ فَتَمَنَّيْتُ أَنْ أَرَى رُؤْيَا أَقُصُّهَا عَلَى النَّبِىِّ ﷺ قَالَ وَكُنْتُ غُلاَمًا شَابًّا عَزَبًا وَكُنْتُ أَنَامُ فِى الْمَسْجِدِ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ ﷺ فَرَأَيْتُ فِى النَّوْمِ كَأَنَّ مَلَكَيْنِ أَخَذَانِى فَذَهَبَا بِى إِلَى النَّارِ فَإِذَا هِىَ مَطْوِيَّةٌ كَطَىِّ الْبِئْرِ وَإِذَا لَهَا قَرْنَانِ كَقَرْنَىِ الْبِئْرِ وَإِذَا فِيهَا نَاسٌ قَدْ عَرَفْتُهُمْ فَجَعَلْتُ أَقُولُ أَعُوذُ بِاللهِ مِنَ النَّارِ أَعُوذُ بِاللهِ مِنَ النَّارِ أَعُوذُ بِاللهِ مِنَ النَّارِ - قَالَ - فَلَقِيَهُمَا مَلَكٌ فَقَالَ لِى لَمْ تُرَعْ

عن ابن عمر قال كان الرجل فى حياة رسول الله ﷺ اذا راى رويا قصها على رسول الله ﷺ فتمنيت ان ارى رويا اقصها على النبى ﷺ قال وكنت غلاما شابا عزبا وكنت انام فى المسجد على عهد رسول الله ﷺ فرايت فى النوم كان ملكين اخذانى فذهبا بى الى النار فاذا هى مطوية كطى البىر واذا لها قرنان كقرنى البىر واذا فيها ناس قد عرفتهم فجعلت اقول اعوذ بالله من النار اعوذ بالله من النار اعوذ بالله من النار - قال - فلقيهما ملك فقال لى لم ترع

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ স্বপ্ন ও তার আনুষঙ্গিক বিবরণ

(৩১৭৭) জাবের (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমাদের মধ্যে যেন কেউ তার স্বপ্নের মধ্যে শয়তানের খেলার কথা কারো নিকট অবশ্যই বর্ণনা না করে।

عَنْ جَابِرٍ عَنِ النَّبِىَّ ﷺ قَالَ لاَ يُحَدِّثَنَّ أَحَدُكُمْ بِتَلَعُّبِ الشَّيْطَانِ بِهِ فِى مَنَامِهِ

عن جابر عن النبى ﷺ قال لا يحدثن احدكم بتلعب الشيطان به فى منامه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ স্বপ্ন ও তার আনুষঙ্গিক বিবরণ

(৩১৭৮) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, স্বপ্ন হল তিন প্রকারঃ আল্লাহর পক্ষ থেকে সুসংবাদ, মনের কল্পনা এবং শয়তানের ভীতিপ্রদর্শন। (আহমাদ ৯১২৯, ইবনে মাজাহ ৩৯০৬, সহীহুল জামে’ ৩৫৩৩)

অন্য এক বর্ণনায় আছে, শয়তানের পক্ষ থেকে ভয়ানক স্বপ্ন, যার দ্বারা সে আদম-সন্তানকে দুঃখকষ্ট দিয়ে থাকে। (ইবনে মাজাহ ৩৯০৭)

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ الرُّؤْيَا ثَلَاثَةٌ فَبُشْرَى مِنْ اللهِ وَحَدِيثُ النَّفْسِ وَتَخْوِيفٌ مِنْ الشَّيْطَانِ

عن ابي هريرة عن النبي ﷺ قال الرويا ثلاثة فبشرى من الله وحديث النفس وتخويف من الشيطان

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ স্বপ্ন ও তার আনুষঙ্গিক বিবরণ

(৩১৭৯) আবূ কাতাদাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সুস্বপ্ন (অন্য এক বর্ণনায় আছে) সুন্দর স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে এবং কুস্বপ্ন শয়তানের পক্ষ থেকে (দেখানো) হয়। অতএব যে অপ্রীতিকর কিছু দেখবে, সে যেন তার বাম দিকে তিনবার হালকাভাবে থুথু মারে ও শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করে। তাহলে তা তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না।

وَعَنْ أَبِي قَتَادَة قَالَ : قَالَ النَّبِيُّ ﷺ الرُّؤْيَا الصَّالِحَةُ ـ وفي رواية : الرُّؤْيَا الحَسَنَةُ ـ مِنَ اللهِ وَالحُلُمُ مِنَ الشَّيْطَانِ فَمَنْ رَأَى شَيْئاً يَكْرَهُهُ فَلْيَنْفُثْ عَن شِمَالِهِ ثَلاَثاً وَلْيَتَعَوَّذْ مِنَ الشَّيْطَانِ ؛ فإنَّهَا لاَ تَضُرُّهُ متفقٌ عَلَيْهِ

وعن ابي قتادة قال : قال النبي ﷺ الرويا الصالحة ـ وفي رواية : الرويا الحسنة ـ من الله والحلم من الشيطان فمن راى شيىا يكرهه فلينفث عن شماله ثلاثا وليتعوذ من الشيطان ؛ فانها لا تضره متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ স্বপ্ন ও তার আনুষঙ্গিক বিবরণ

(৩১৮০) জাবের (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ তার অপছন্দনীয় কোন স্বপ্ন দেখবে, তখন সে যেন তার বাম দিকে তিনবার থুথু মারে এবং শয়তান থেকে তিনবার আশ্রয় প্রার্থনা করে। আর যে পার্শ্বে সে শুয়ে থাকে, সে পার্শ্ব যেন বদল ক’রে নেয়।

وَعَنْ جَابِرٍ عَنْ رَسُولِ اللهِ ﷺ قَالَ إِذَا رَأَى أحَدُكُمْ الرُّؤْيَا يَكْرَهُهَا، فَلْيَبْصُقْ عَنْ يَسَارِهِ ثَلاثَاً وَلْيَسْتَعِذْ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ ثَلاَثاً وَلْيَتَحَوَّلْ عَنْ جَنْبِهِ الَّذِي كَانَ عَلَيْهِ رواه مسلم

وعن جابر عن رسول الله ﷺ قال اذا راى احدكم الرويا يكرهها، فليبصق عن يساره ثلاثا وليستعذ بالله من الشيطان ثلاثا وليتحول عن جنبه الذي كان عليه رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ স্বপ্ন ও তার আনুষঙ্গিক বিবরণ

(৩১৮১) আবুল আসক্বা’ ওয়াসেলাহ ইবনে আসক্বা’ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সবচেয়ে বড় মিথ্যারোপ হল সেই ব্যক্তির কাজ, যে অপরের বাপকে নিজ বাপ বলে দাবি করে অথবা তার চক্ষুকে তা দেখায় যা সে (বাস্তবে) দেখেনি। (অর্থাৎ, স্বপ্ন দেখার মিথ্যা দাবি করে।) অথবা আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা বলেননি তা তাঁর প্রতি মিথ্যাভাবে আরোপ করে।

وَعَنْ أَبي الأسقَعِ وَاثِلةَ بنِ الأَسقَعِ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ إنَّ مِنْ أعْظَمِ الفِرَى أَنْ يَدَّعِيَ الرَّجُلُ إِلَى غَيرِ أَبِيهِ أَوْ يُرِيَ عَيْنَهُ مَا لَمْ تَرَ أَوْ يَقُولَ عَلَى رَسُولِ اللهِ ﷺ مَا لَمْ يَقُلْ رواه البخاري

وعن ابي الاسقع واثلة بن الاسقع قال : قال رسول الله ﷺ ان من اعظم الفرى ان يدعي الرجل الى غير ابيه او يري عينه ما لم تر او يقول على رسول الله ﷺ ما لم يقل رواه البخاري

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ স্বপ্ন ও তার আনুষঙ্গিক বিবরণ

(৩১৮২) ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি মিথ্যা স্বপ্ন বর্ণনা করে, যা সে দেখেনি সে ব্যক্তিকে (কিয়ামতের দিন) দু’টি যবের মাঝে জোড়া লাগাতে বাধ্য করা হবে। অথচ সে কখনই তা পারবে না। (যার ফলে তাকে আযাব ভোগ করতে হবে।) যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের কথা কান পেতে শুনবে অথচ তারা তা অপছন্দ করে সে ব্যক্তির উভয় কানে কিয়ামতের দিন গলিত সীসা ঢালা হবে। আর যে ব্যক্তি কোন ছবি (বা মূর্তি) তৈরী করবে (কিয়ামতে) তাকে আযাব দেওয়া হবে অথবা ঐ ছবি (বা মূর্তি) তে রূহ ফুঁকতে বাধ্য করা হবে অথচ সে তাতে কখনই সক্ষম হবে না।

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ مَنْ تَحَلَّمَ بِحُلْمٍ لَمْ يَرَهُ كُلِّفَ أَنْ يَعْقِدَ بَيْنَ شَعِيرَتَيْنِ وَلَنْ يَفْعَلَ وَمَنْ اسْتَمَعَ إِلَى حَدِيثِ قَوْمٍ وَهُمْ لَهُ كَارِهُونَ أَوْ يَفِرُّونَ مِنْهُ صُبَّ فِي أُذُنِهِ الْآنُكُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَمَنْ صَوَّرَ صُورَةً عُذِّبَ وَكُلِّفَ أَنْ يَنْفُخَ فِيهَا وَلَيْسَ بِنَافِخٍ

عن ابن عباس عن النبي ﷺ قال من تحلم بحلم لم يره كلف ان يعقد بين شعيرتين ولن يفعل ومن استمع الى حديث قوم وهم له كارهون او يفرون منه صب في اذنه الانك يوم القيامة ومن صور صورة عذب وكلف ان ينفخ فيها وليس بنافخ

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ স্বপ্ন ও তার আনুষঙ্গিক বিবরণ

(৩১৮৩) ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ’’সব চেয়ে বড় মিথ্যা ও গড়া কথার অন্যতম এই যে, মানুষ স্বপ্নে যা দেখে না, তা দেখেছে বলে দাবী করা (বা প্রচার করা)।’’ (আহমাদ ৫৭১১, বুখারী ৭০৪৩)

عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ إِنَّ مِنْ أَفْرَى الْفِرَى أَنْ يُرِيَ عَيْنَيْهِ مَا لَمْ تَرَ

عن ابن عمر ان رسول الله ﷺ قال ان من افرى الفرى ان يري عينيه ما لم تر

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১৩ পর্যন্ত, সর্বমোট ১৩ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে