পরিচ্ছেদঃ খাবার বাসনের এক ধার থেকে খাওয়ার নির্দেশ এবং তার মাঝখান থেকে খাওয়া নিষেধ

এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাণী পূর্বে পার হয়ে গেছে, তুমি তোমার সামনে একধার থেকে খাও। (বুখারী, মুসলিম)


(৩১০৫) ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যেহেতু খাবারের মাঝখানে বরকত নাযিল হয়, সেহেতু তোমরা ওর দুই ধার থেকে খাও, আর ওর মাঝখান থেকে খেয়ো না। (আবূ দাঊদ৩৭৭৪ তিরমিযী ১৮০৫)

অন্য এক বর্ণনায় আছে, তোমাদের কেউ যখন খাবার খায়, তখন সে যেন পাত্রের উপর (মাঝখান) থেকে না খায়। বরং পাত্রের নিচে (একধার) থেকে খায়। কারণ বরকত তার উপর (মাঝখান) অংশে নাযিল হয়। (আহমাদ ২৪৩৫, আবূ দাঊদ ৩৭৭২, তিরমিযী ১৮০৫, ইবনে মাজাহ ৩২৭৭, দারেমী ২০৪৬)

وَعَنِ ابنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ الْبَرَكَةُ تَنْزِلُ وَسَطَ الطَّعَامِ ؛ فَكُلُوا مِنْ حَافَتَيْهِ وَلَا تَأكُلُوْا مِنْ وَسَطِهِ رواه أَبُو داود والترمذي وقَالَ حديث حسن صحيح

وعن ابن عباس رضي الله عنهما، عن النبي ﷺ قال البركة تنزل وسط الطعام ؛ فكلوا من حافتيه ولا تاكلوا من وسطه رواه ابو داود والترمذي وقال حديث حسن صحيح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ খাবার বাসনের এক ধার থেকে খাওয়ার নির্দেশ এবং তার মাঝখান থেকে খাওয়া নিষেধ

(৩১০৬) আব্দুল্লাহ ইবনে বুসর (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর একটি পাত্র ছিল যাকে ’গার্রা’ বলা হত, সেটাকে চারজন মানুষ ধরে তুলতো। একদা চাশতের সময়ে যখন চাশতের নামায পড়ার পর ঐ (বিশাল) পাত্রটি আনা হল—অর্থাৎ, তাতে ’সারীদ’ (মাংস ও খণ্ড খণ্ড রুটি সংমিশ্রণে প্রস্তুত সুস্বাদু খাদ্য) রাখার পর, তখন লোকেরা তাতে জমায়েত হল। লোকের পরিমাণ যখন বেশি হল, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাঁটুর ভরে বসে পড়লেন। (এরূপ দেখে) জনৈক বেদুঈন বলল, ’এ কেমন বসা?’ আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, নিশ্চিতরূপে আল্লাহ আমাকে ভদ্র (বিনয়ী) বান্দা করেছেন এবং উদ্ধত ও হঠকারী করেননি। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা পাত্রের এক ধার থেকে খেতে থাক। আর ওর শীর্ষভাগ ছেড়ে দাও, ওখানে বরকত অবতীর্ণ হবে।

وَعَن عَبدِ اللهِ بنِ بُسْرٍ قَالَ : كَانَ لِلنَّبِيِّ ﷺ قَصْعَةٌ يُقَالَ لَهَا : الغَرَّاءُ يَحْمِلُهَا أرْبَعَةُ رِجَالٍ ؛ فَلَمَّا أضْحَوْا وَسَجَدُوا الضُّحَى أُتِيَ بِتِلْكَ الْقَصْعَةِ ؛ يَعنِي وَقَدْ ثُرِدَ فِيهَا فَالتَفُّوا عَلَيْهَا فَلَمَّا كَثُرُوا جَثَا رَسُوْلُ اللهِ ﷺ فَقَالَ أَعرَابيٌّ : مَا هَذِهِ الجِلْسَةُ ؟ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ إنَّ اللهَ جَعَلَنِي عَبْداً كَرِيماً وَلَمْ يَجْعَلْنِي جَبَّاراً عَنِيداً ثُمَّ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ كُلُوا مِنْ حَوَالَيْهَا وَدَعُوا ذِرْوَتَهَا يُبَارَكْ فِيهَا رواه أَبُو داود بإسنادٍ جيد

وعن عبد الله بن بسر قال : كان للنبي ﷺ قصعة يقال لها : الغراء يحملها اربعة رجال ؛ فلما اضحوا وسجدوا الضحى اتي بتلك القصعة ؛ يعني وقد ثرد فيها فالتفوا عليها فلما كثروا جثا رسول الله ﷺ فقال اعرابي : ما هذه الجلسة ؟ فقال رسول الله ﷺ ان الله جعلني عبدا كريما ولم يجعلني جبارا عنيدا ثم قال رسول الله ﷺ كلوا من حواليها ودعوا ذروتها يبارك فيها رواه ابو داود باسناد جيد

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২ পর্যন্ত, সর্বমোট ২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে