পরিচ্ছেদঃ নেকী ও সংযমশীলতার কাজে পারস্পরিক সহযোগিতার গুরুত্ব
আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَتَعَاوَنُوْا عَلَـى الْبِـرِّ وَالتَّقْوٰى
অর্থাৎ, সৎকাজ ও আত্মসংযমে তোমরা পরস্পর সহযোগিতা কর। (সূরা মায়েদাহ-৫: ২)
তিনি আরো বলেন,
وَالْعَصْرِ إِنَّ الْإنْسَانَ لَفِيْ خُسْرٍ إِلاَّ الَّذِيْنَ آمَنُوْا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَتَوَاصَوْا بِالْحَقِّ وَتَوَاصَوْا بِالصَّبْرِ
অর্থাৎ, মহাকালের শপথ। মানুষ অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত। কিন্তু তারা নয়, যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে এবং পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দেয়। আর উপদেশ দেয় ধৈর্য ধারণের। (সূরা আসর)
ইমাম শাফেয়ী (রঃ) বলেন, লোকেরা অথবা তাদের অধিকাংশই এই সূরা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করার ব্যাপারে উদাসীন। (তফসীর ইবনে কাসীর)
(৩০৬২) আবূ আব্দির রাহমান যায়দ ইবনে খালিদ জুহানী (রাঃ) বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’যে ব্যক্তি সরঞ্জাম দিয়ে আল্লাহর পথে কোন মুজাহিদ প্রস্তুত ক’রে দিল, নিঃসন্দেহে সে ব্যক্তি স্বয়ং জিহাদ করল। আর যে ব্যক্তি কোন মুজাহিদের পরিবারে উত্তমরূপে প্রতিনিধিত্ব করল, নিঃসন্দেহে সেও জিহাদ করল।’’ (অর্থাৎ, সেও জিহাদের নেকী পাবে।)
وَعَنِ أَبِـيْ عَبدِ الرَّحمَانِ زَيدِ بنِ خَالِدٍ الجُهَنِي قَالَ : قَالَ رَسولُ الله ﷺ مَنْ جَهَّزَ غَازِياً في سَبيلِ اللهِ فَقَدْ غَزَا وَمَنْ خَلَفَ غَازياً في أهْلِهِ بِخَيرٍ فَقَدْ غَزَا مُتَّفَقٌ عَلَيهِ
পরিচ্ছেদঃ নেকী ও সংযমশীলতার কাজে পারস্পরিক সহযোগিতার গুরুত্ব
(৩০৬৩) আবূ সাইদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হুযাইল গোত্রের একটি শাখা বনু লিহ্ইয়ানের দিকে এক সেনাবাহিনী প্রেরণ (করার ইচ্ছা) করলেন। সুতরাং তিনি বললেন, ’’প্রত্যেক দুই ব্যক্তির মধ্যে একজন যাবে; আর সওয়াব দু’জনেই পাবে।’’ (মুসলিম ৫০১৩)
وَعَنِ أَبِـيْ سَعِيدٍ الْـخُدْرِيْ أَنَّ رَسُوْلَ الله ﷺ بَعَثَ بَعثًا إِلَى بَني لِـحْيَان مِنْ هُذَيْلٍ فَقَالَ لِيَنْبَعِثْ مِنْ كُلِّ رَجُلَيْنِ أَحَدُهُمَا وَالأجْرُ بَيْنَهُمَا رواه مسلم
পরিচ্ছেদঃ নেকী ও সংযমশীলতার কাজে পারস্পরিক সহযোগিতার গুরুত্ব
(৩০৬৪) ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, রওহা নামক স্থানে এক কাফেলার সঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাক্ষাৎ হল। তিনি বললেন, তোমরা কারা? তারা বলল, ’(আমরা) মুসলিম।’ অতঃপর তারা বলল, ’আপনি কে?’ তিনি বললেন, (আমি) আল্লাহর রসূল। অতঃপর একজন মহিলা তার এক বাচ্চাকে তাঁর দিকে তুলে বলল, ’এর কি হজ্জ আছে?’ তিনি বললেন, হ্যাঁ, আর তুমিও নেকী পাবে।
وَعَنِ ابنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ الله عَنهُمَا : أنَّ رَسُوْلَ الله ﷺ لَقِيَ رَكْباً بالرَّوْحَاءِ، فَقَالَ مَنِ القَوْمُ قَالَوا : اَلْمُسلِمُونَ فَقَالَوا : مَن أنتَ ؟ قَالَ رَسُوْلُ الله فَرَفَعَت إِلَيْهِ امرأةٌ صَبياً فَقَالَتْ: ألِهٰذَا حَجٌّ ؟ قَالَ نَعَمْ وَلَكِ أجْرٌ رواه مسلم
পরিচ্ছেদঃ নেকী ও সংযমশীলতার কাজে পারস্পরিক সহযোগিতার গুরুত্ব
(৩০৬৫) আবূ মূসা আশআরী (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে মুসলিম আমানাতদার কোষাধক্ষ মালিকের আদেশ অনুযায়ী কাজ করে এবং সে ভালো মনে তাকে পূর্ণ মাল দেয়, যাকে মালিক দেওয়ার আদেশ করে, সেও সাদকাহকারীদের মধ্যে একজন গণ্য হয়।
وَعَنِ أَبِـيْ مُوسَى الأشعَرِي عَنِ النَّبيّ ﷺ أنَّه قَالَ الخَازِنُ المُسْلِمُ الأمِينُ الَّذِي يُنفِذُ مَا أُمِرَ بِهِ فيُعْطيهِ كَامِلاً مُوَفَّراً طَيِّبَةً بِهِ نَفْسُهُ فَيَدْفَعُهُ إِلَى الَّذِي أُمِرَ لَهُ بِهِ أحَدُ المُتَصَدِّقين مُتَّفَقٌ عَلَيهِ