পরিচ্ছেদঃ মিষ্টি কথা বলার গুরুত্ব
আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَاخْـفِـضْ جَـنَـاحَكَ لِلْمُـؤْمِنـِيْـنَ
অর্থাৎ, মু’মিনদের জন্য তুমি তোমার বাহুকে অবনমিত রাখ। (সূরা হিজর ৮৮)
তিনি আরো বলেন,
وَلَـوْ كُـنْتَ فَظًّا غَلِيْظَ الْـقَلْبِ لَانْفَضُّوا مِنْ حَوْلِكَ
অর্থাৎ, আল্লাহর দয়ায় তুমি তাদের প্রতি হয়েছিলে কোমল-হৃদয়; যদি তুমি রূঢ় ও কঠোর চিত্ত হতে তাহলে তারা তোমার আশপাশ হতে সরে পড়ত। (সূরা আলে ইমরান ১৫৯)
(২৯৪৫) আব্দুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) প্রমুখাৎ বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জান্নাত এমন এক কক্ষ আছে যার বাহিরের অংশ ভিতর হতে এবং ভিতরের অংশ বাহির হতে পরিদৃষ্ট হবে। একথা শুনে আবু মালিক আশআরী (রাঃ) বললেন, ’সে কক্ষ কার জন্য হবে হে আল্লাহর রসূল?’ তিনি বললেন, যে ব্যক্তি উত্তম (নরম ও মিষ্টি) কথা বলে, (ক্ষুধার্তকে) অন্নদান করে, আর লোকেরা যখন নিদ্রাভিভূত থাকে তখন যে নামায পড়ে রাত্রি অতিবাহিত করে।
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ إِنَّ فِي الْجَنَّةِ غُرْفَةً يُرَى ظَاهِرُهَا مِنْ بَاطِنِهَا وَبَاطِنُهَا مِنْ ظَاهِرِهَا فَقَالَ أَبُو مُوسَى الْأَشْعَرِيُّ: لِمَنْ هِيَ يَا رَسُوْلَ اللهِ؟ قَالَ لِمَنْ أَلَانَ الْكَلَامَ وَأَطْعَمَ الطَّعَامَ وَبَاتَ لِلهِ قَائِمًا وَالنَّاسُ نِيَامٌ
পরিচ্ছেদঃ মিষ্টি কথা বলার গুরুত্ব
(২৯৪৬) আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ...আর উত্তম কথা বলাও সদকাহ (করার সমতুল্য।)
عَنْ أَبِـيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ وَالْكَلِمَةُ الطَّيِّبَةُ صَدَقَةٌ
পরিচ্ছেদঃ মিষ্টি কথা বলার গুরুত্ব
(২৯৪৭) আদী ইবনে হাতেম (রাঃ) বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যদি আধখানা খেজুর দান করে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচতে পার তবুও বাঁচ। যদি কোন ব্যক্তি এটাও না পায়, তাহলে সে যেন ভাল কথা বলে বাঁচে।
وَعَنْ عَدِيِّ بنِ حَاتِمٍ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ اتَّقُوا النَّارَ وَلَوْ بِشِقِّ تَمْرَةٍ فَمَنْ لَمْ يَجِدْ فَبِكَلِمَةٍ طَيِّبَةٍ