পরিচ্ছেদঃ হাসান-হুসাইন (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) এর মাহাত্ম্য
(২৮৫২) শাদ্দাদ (রাঃ) বলেন, একদা যোহর অথবা আসরের নামায পড়ার উদ্দেশ্যে তিনি আমাদের মাঝে বের হলেন। তাঁর কোলে ছিল হাসান অথবা হুসাইন। তিনি সামনে গিয়ে তাকে নিজের ডান পায়ের কাছে রাখলেন। অতঃপর তিনি তকবীর দিয়ে নামায শুরু করলেন। নামায পড়তে পড়তে তিনি একটি সিজদাহ (অস্বাভাবিক) লম্বা করলেন। (ব্যাপার না বুঝে) আমি লোকের মাঝে মাথা তুলে ফেললাম। দেখলাম, তিনি সিজদাহ অবস্থায় আছেন, আর তাঁর পিঠে শিশুটি চড়ে বসে আছে! অতঃপর পুনরায় আমি সিজদায় ফিরে গেলাম। আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামায শেষ করলে লোকেরা তাঁকে বলল, ’হে আল্লাহর রসূল! আপনি নামায পড়তে পড়তে একটি সিজদাহ (অধিক) লম্বা করলেন। এর ফলে আমরা ধারণা করলাম যে, কিছু হয়তো ঘটল অথবা আপনার উপর ওহী অবতীর্ণ হচ্ছে।’
তিনি বললেন, এ সবের কোনটাই নয়। আসলে (ব্যাপার হল), আমার বেটা (নাতি) আমাকে সওয়ারী বানিয়ে নিয়েছিল। তাই তার মন ভরে না দেওয়া পর্যন্ত (উঠার জন্য) তাড়াতাড়ি করাটাকে আমি অপছন্দ করলাম।
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَدَّادٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: خَرَجَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي إِحْدَى صَلَاتَيِ الْعِشَاءِ وَهُوَ حَامِلٌ حَسَنًا أَوْ حُسَيْنًا، فَتَقَدَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَوَضَعَهُ، ثُمَّ كَبَّرَ لِلصَّلَاةِ فَصَلَّى فَسَجَدَ بَيْنَ ظَهْرَانَيْ صَلَاتِهِ سَجْدَةً أَطَالَهَا، قَالَ أَبِي: فَرَفَعْتُ رَأْسِي وَإِذَا الصَّبِيُّ عَلَى ظَهْرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ سَاجِدٌ فَرَجَعْتُ إِلَى سُجُودِي، فَلَمَّا قَضَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الصَّلَاةَ قَالَ النَّاسُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّكَ سَجَدْتَ بَيْنَ ظَهْرَانَيْ صَلَاتِكَ سَجْدَةً أَطَلْتَهَا حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ قَدْ حَدَثَ أَمْرٌ أَوْ أَنَّهُ يُوحَى إِلَيْكَ، قَالَ: كُلُّ ذَلِكَ لَمْ يَكُنْ وَلَكِنَّ ابْنِي ارْتَحَلَنِي فَكَرِهْتُ أَنْ أُعَجِّلَهُ حَتَّى يَقْضِيَ حَاجَتَهُ
পরিচ্ছেদঃ হাসান-হুসাইন (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) এর মাহাত্ম্য
(২৮৫৩) আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) বলেন, তিনি নামায পড়তেন, আর সিজদাহ অবস্থায় হাসান ও হুসাইন তাঁর পিঠে চড়ে বসত। লোকেরা তাদেরকে এমন করতে মানা করলে তিনি ইশারায় বলতেন, ওদেরকে (নিজের অবস্থায়) ছেড়ে দাও। অতঃপর নামায শেষ করলে তাদের উভয়কে কোলে বসিয়ে বলতেন, যে ব্যক্তি আমাকে ভালোবাসে, সে যেন এদেরকে ভালোবাসে।
عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي فَإِذَا سَجَدَ وَثَبَ الْحَسَنُ وَالْحُسَيْنُ عَلَى ظَهْرِهِ فَإِذَا مَنَعُوْهُمَا أَشَارَ إِلَيْهِمْ أَنْ دَعُوهُمَا فَلَمَّا صَلَّى وَضَعَهُمَا فِي حِجْرِهِ ثُمَّ قَالَ: مَنْ أَحَبَّنِي فَلْيُحِبَّ هَذَيْنِ
পরিচ্ছেদঃ হাসান-হুসাইন (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) এর মাহাত্ম্য
(২৮৫৪) আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি (হাসান-হুসাইন) এ দুজনকে ভালোবাসল, সে আসলে আমাকে ভালোবাসল। আর যে ব্যক্তি এ দুজনকে ঘৃণা করল, সে আসলে আমাকে ঘৃণা করল।
عَنْ أَبِـيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ تَعَالٰـى عَنْهُ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ مَنْ أَحَبَّهُمَا فَقَدْ أَحَبَّنِي وَمَنْ أَبْغَضَهُمَا فَقَدْ أَبْغَضَنِي، يَعْنِي : الْحَسَنَ وَالْحُسَيْنَ
পরিচ্ছেদঃ হাসান-হুসাইন (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) এর মাহাত্ম্য
(২৮৫৫) উসামা বিন যায়দ (রাঃ) বলেন, একদা কোন প্রয়োজনে কোন এক রাত্রে আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হলাম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বের হলেন। তিনি তাঁর পিছনে কিছু আড়াল ক’রে ছিলেন, জানি না তা কী? অতঃপর আমার প্রয়োজন শেষ হলে আমি তাঁকে বললাম, ’ওটা কী, যা আপনি আড়াল ক’রে আছেন?’ তিনি আড়াল সরালে দেখা গেল, তাঁর পিছনে হাসান ও হুসাইন। অতঃপর তিনি বললেন, এ দুজন আমার পুত্র এবং আমার কন্যাপুত্র। হে আল্লাহ! আমি এদেরকে ভালোবাসি, সুতরাং তুমি এদেরকে ভালোবাসো এবং তাকে ভালোবাসো, যে এদেরকে ভালোবাসে।
عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ قَالَ: طَرَقْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَاتَ لَيْلَةٍ فِي بَعْضِ الْحَاجَةِ فَخَرَجَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ مُشْتَمِلٌ عَلَى شَيْءٍ لاَ أَدْرِي مَا هُوَ فَلَمَّا فَرَغْتُ مِنْ حَاجَتِي قُلْتُ : مَا هٰذَا الَّذِي أَنْتَ مُشْتَمِلٌ عَلَيْهِ ؟ قَالَ: فَكَشَفَهُ فَإِذَا حَسَنٌ وَحُسَيْنٌ عَلَى وَرِكَيْهِ فَقَالَ هٰذَانِ ابْنَايَ وَابْنَا ابْنَتِي اللَّهُمَّ إِنِّي أُحِبُّهُمَا فَأَحِبَّهُمَا وَأَحِبَّ مَنْ يُحِبُّهُمَا
পরিচ্ছেদঃ হাসান-হুসাইন (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) এর মাহাত্ম্য
(২৮৫৬) বারা’ (রাঃ) বলেন, একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসান-হুসাইনকে দেখে বললেন, হে আল্লাহ! আমি এদেরকে ভালোবাসি, সুতরাং তুমি এদেরকে ভালোবাসো।
عَنِ الْبَرَاءِ أَنَّ النَّبِـيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبْصَرَ حَسَنًا وَحُسَيْنًا فَقَالَ اللَّهُمَّ إِنِّي أُحِبُّهُمَا فَأَحِبَّهُمَا
পরিচ্ছেদঃ হাসান-হুসাইন (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) এর মাহাত্ম্য
(২৮৫৭) ইবনে উমার (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, হাসান ও হুসাইন বেহেশতী যুবকদের সর্দার। আর তাদের পিতা তাদের থেকে শ্রেষ্ঠ।
عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْحَسَنُ وَالْحُسَيْنُ سَيِّدَا شَبَابِ أَهْلِ الْجَنَّةِ وَأَبُوهُمَا خَيْرٌ مِنْهُمَا