পরিচ্ছেদঃ উসমান (রাঃ) এর মাহাত্ম্য
(২৮৪৪) আব্দুর রহমান বিন খাব্বাব কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাবূকের সংকটকালের যুদ্ধের প্রস্তুতির জন্য লোককে সদকাহ করতে উদ্বুদ্ধ করলেন। উসমান (রাঃ) উঠে বললেন, ’হে আল্লাহর রসূল! আল্লাহর রাস্তায় জিনসহ ১০০টি সুসজ্জিত ঘোড়া দান আমার দায়িত্বে।’ তারপরেও আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকদেরকে উৎসাহিত করতে থাকলেন। এবারেও উসমান (রাঃ) উঠে বললেন, ’হে আল্লাহর রসূল! আল্লাহর রাস্তায় জিনসহ ২০০টি সুসজ্জিত ঘোড়া দান আমার দায়িত্বে।’ তারপরেও আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকদেরকে উৎসাহিত করতে থাকলেন। আবারো উসমান (রাঃ) উঠে বললেন, ’হে আল্লাহর রসূল! আল্লাহর রাস্তায় জিনসহ ৩০০টি সুসজ্জিত ঘোড়া দান আমার দায়িত্বে।’ এই বৃহৎ দানের কথা শুনে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বর থেকে এই বলতে বলতে নামলেন, এর পরে উসমান যা করবে, তাতে তার কোন ক্ষতি হবে না। এর পরে উসমান যা করবে, তাতে তার কোন ক্ষতি হবে না।
عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَانِ بْنِ خَبَّابٍ قَالَ: شَهِدتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُو يَحُثُّ عَلَى جَيْشِ الْعُسْرَةِ فَقَامَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ فَقَالَ : يَا رَسُوْلَ اللهِ عَلَيَّ مِئَةُ بَعِيرٍ بِأَحْلاَسِهَا وَأَقْتَابهَا فِي سَبِيلِ اللهِ ثُمَّ حَضَّ عَلَى الْجَيْشِ فَقَامَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ فَقَالَ : يَا رَسُوْلَ اللهِ للهِ عَلَيَّ مِئَتَا بَعِيرٍ بِأَحْلاسِهَا وَأَقْتَابهَا فِي سَبِيلِ اللهِ ثُمَّ حَضَّ عَلَى الْجَيْشِ فَقَامَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ فَقَالَ : يَاَ رَسُوْلَ الله للهِ عَلَيَّ ثَلاَثُمِئَةِ بَعِيرٍ بِأَحْلاَسِهَا وَأَقتَابهَا فِي سَبِيلِ اللهِ فَأَنَا رَأَيْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَنْزِلُ عَنِ الْمِنْبَرِ وَهُوَ يَقُوْلُ : مَا عَلَى عُثْمَانَ مَا عَمِلَ بَعْدَ هَذِهِ مَا عَلَى عُثْمَانَ مَا عَمِلَ بَعْدَ هَذِهِ
পরিচ্ছেদঃ উসমান (রাঃ) এর মাহাত্ম্য
(২৮৪৫) আব্দুর রহমান বিন সামুরাহ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি উক্ত সঙ্কটময় যুদ্ধের সৈন্য প্রস্তুত করার সময় জামার আস্তিনে এক হাজার দীনার এনে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কোলে ছড়িয়ে দিলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেগুলিকে উলট-পালট করতে করতে ২ বার বললেন, আজকের পরে উসমান যা করবে, তাতে তার কোন ক্ষতি হবে না। আজকের পরে উসমান যা করবে, তাতে তার কোন ক্ষতি হবে না।
عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَمُرَةَ قَالَ جَاءَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ إِلَـى النَّبِيِّ ﷺ بِأَلْفِ دِينَارٍ فِي ثَوْبِهِ حِينَ جَهَّزَ النَّبِيُّ ﷺ جَيْشَ الْعُسْرَةِ قَالَ فَصَبَّهَا فِي حِجْرِ النَّبِيِّ ﷺ فَجَعَلَ النَّبِيُّ ﷺ يُقَلِّبُهَا بِيَدِهِ وَيَقُوْلُ مَا ضَرَّ ابْنُ عَفَّانَ مَا عَمِلَ بَعْدَ الْيَوْمِ يُرَدِّدُهَا مِرَارًا
পরিচ্ছেদঃ উসমান (রাঃ) এর মাহাত্ম্য
(২৮৪৬) আয়েশা (রাঃ) বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার বাসায় শুয়ে ছিলেন। তাঁর পায়ের রলা বা উরু থেকে কাপড় সরে ছিল। ইতিমধ্যে আবূ বকর (রাঃ) প্রবেশ-অনুমতি চাইলে তিনি তাঁকে অনুমতি দিলেন। তিনি একই অবস্থায় থেকে তাঁর সাথে কথা বললেন।
অতঃপর উমার (রাঃ) প্রবেশ-অনুমতি চাইলে তিনি তাঁকে অনুমতি দিলেন। তিনি একই অবস্থায় থেকে তাঁর সাথে কথা বললেন।
অতঃপর উসমান (রাঃ) প্রবেশ-অনুমতি চাইলে তিনি তাঁকে অনুমতি দিলেন। কিন্তু তিনি নিজের কাপড় সোজা ক’রে উঠে বসলেন। সুতরাং তিনি প্রবেশ ক’রে তাঁর সাথে কথা বললেন।
অতঃপর তিনি যখন বের হয়ে চলে গেলেন, তখন আয়েশা (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বললেন, ’আবূ বকর প্রবেশ করলেন, তখন আপনি নড়া-সরা করলেন না এবং তাকে কোন গুরুত্বই দিলেন না, উমার প্রবেশ করলেন, তখনও আপনি নড়া-সরা করলেন না এবং তাকে কোন গুরুত্বই দিলেন না। কিন্তু উসমান প্রবেশ করলেন, তখন আপনি উঠে বসলেন ও কাপড় সোজা করলেন (কী ব্যাপার)?’
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি কি সেই ব্যক্তির কাছে লজ্জাবোধ করব না, যে ব্যক্তির কাছে ফিরিশতা লজ্জাবোধ করেন।
عَنْعَائِشَةَ قَالَتْ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ مُضْطَجِعًا فِى بَيْتِى كَاشِفًا عَنْ فَخِذَيْهِ أَوْ سَاقَيْهِ فَاسْتَأْذَنَ أَبُو بَكْرٍ فَأَذِنَ لَهُ وَهُوَ عَلَى تِلْكَ الْحَالِ فَتَحَدَّثَ ثُمَّ اسْتَأْذَنَ عُمَرُ فَأَذِنَ لَهُ وَهُوَ كَذٰلِكَ فَتَحَدَّثَ ثُمَّ اسْتَأْذَنَ عُثْمَانُ فَجَلَسَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ وَسَوَّى ثِيَابَهُ - قَالَ مُحَمَّدٌ وَلاَ أَقُولُ ذٰلِكَ فِى يَوْمٍ وَاحِدٍ - فَدَخَلَ فَتَحَدَّثَ فَلَمَّا خَرَجَ قَالَتْ عَائِشَةَ دَخَلَ أَبُو بَكْرٍ فَلَمْ تَهْتَشَّ لَهُ وَلَمْ تُبَالِهِ ثُمَّ دَخَلَ عُمَرُ فَلَمْ تَهْتَشَّ لَهُ وَلَمْ تُبَالِهِ ثُمَّ دَخَلَ عُثْمَانُ فَجَلَسْتَ وَسَوَّيْتَ ثِيَابَكَ فَقَالَ أَلاَ أَسْتَحِى مِنْ رَجُلٍ تَسْتَحِى مِنْهُ الْمَلاَئِكَةُ