পরিচ্ছেদঃ স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহার করার অসিয়ত

আল্লাহ তাআলা বলেন, وَعَاشِرُوهُنَّ بِالْمَعْرُوف অর্থাৎ, তোমরা তাদের সাথে সৎভাবে জীবন যাপন কর। (সূরা নিসা ১৯)

তিনি আরো বলেন,

وَلَنْ تَسْتَطِيعُوا أَنْ تَعْدِلُوا بَيْنَ النِّسَاءِ وَلَوْ حَرَصْتُمْ فَلَا تَمِيلُوا كُلَّ الْمَيْلِ فَتَذَرُوهَا كَالْمُعَلَّقَةِ وَإِنْ تُصْلِحُوا وَتَتَّقُوا فَإِنَّ اللهَ كَانَ غَفُوراً رَحِيماً

অর্থাৎ, তোমরা যতই সাগ্রহে চেষ্টা কর না কেন, স্ত্রীদের প্রতি সমান ভালোবাসা তোমরা কখনই রাখতে পারবে না। তবে তোমরা কোন এক জনের দিকে সম্পূর্ণভাবে ঝুঁকে পড়ো না এবং অপরকে ঝুলন্ত অবস্থায় ছেড়ে দিয়ো না। আর যদি তোমরা নিজেদের সংশোধন কর ও সংযমী হও, তবে নিশ্চয় আল্লাহ চরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সূরা নিসা ১২৯)


(২৬২৩) আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’তোমরা স্ত্রীদের জন্য মঙ্গলকামী হও। কারণ নারীকে পাঁজরের (বাঁকা) হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। আর পাঁজরের হাড়ের সবচেয়ে বেশী বাঁকা হল তার উপরের অংশ। যদি তুমি এটাকে সোজা করতে চাও, তাহলে ভেঙ্গে ফেলবে। আর যদি তাকে ছেড়ে দাও তাহলে তো বাঁকাই থাকবে। তাই তোমরা নারীদের জন্য মঙ্গলকামী হও।’’ (বুখারী ৩৩৩১, মুসলিম ৩৭২০)

বুখারী ও মুসলিমের অন্য এক বর্ণনায় আছে, ’’মহিলা পাঁজরের হাড়ের মত। যদি তুমি তাকে সোজা করতে চাও, তবে তুমি তা ভেঙ্গে ফেলবে। আর যদি তুমি তার দ্বারা উপকৃত হতে চাও, তাহলে তার এ বাঁকা অবস্থাতেই হতে হবে।’’ (বুখারী ৫১৮৪, মুসলিম ৩৭১৭)

মুসলিমের এক বর্ণনায় আছে, ’’মহিলাকে পাঁজরের বাঁকা হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। সে কখনই একভাবে তোমার জন্য সোজা থাকবে না। এতএব তুমি যদি তার থেকে উপকৃত হতে চাও, তাহলে তার এ বাঁকা অবস্থাতেই হতে হবে। আর যদি তুমি তা সোজা করতে চাও, তাহলে তা ভেঙ্গে ফেলবে। আর তাকে ভেঙ্গে ফেলা হল তালাক দেওয়া।’’ (মুসলিম ৩৭১৯)

وَعَنْ أَبِـيْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ اسْتَوْصُوا بالنِّسَاءِ خَيْراً ؛ فَإِنَّ المَرْأَةَ خُلِقَتْ مِنْ ضِلعٍ وَإنَّ أعْوَجَ مَا في الضِّلَعِ أعْلاهُ فَإنْ ذَهَبتَ تُقيمُهُ كَسَرْتَهُ وَإنْ تَرَكْتَهُ لَمْ يَزَلْ أعْوجَ فَاسْتَوصُوا بالنِّساءِ مُتَّفَقٌ عَلَيهِ
وفي رواية في الصحيحين المَرأةُ كالضِّلَعِ إنْ أقَمْتَهَا كَسَرْتَهَا وَإن اسْتَمتَعْتَ بِهَا اسْتَمتَعْتَ وفِيهَا عوَجٌ
وفي رواية لمسلم إنَّ المَرأةَ خُلِقَت مِنْ ضِلَع لَنْ تَسْتَقِيمَ لَكَ عَلٰى طَريقة فإن اسْتَمْتَعْتَ بِهَا اسْتَمْتَعْتَ بِهَا وَفيهَا عوَجٌ وإنْ ذَهَبْتَ تُقِيمُهَا كَسَرْتَها وَكَسْرُهَا طَلَاقُهَا

وعن ابـي هريرة قال : قال رسول الله ﷺ استوصوا بالنساء خيرا ؛ فان المراة خلقت من ضلع وان اعوج ما في الضلع اعلاه فان ذهبت تقيمه كسرته وان تركته لم يزل اعوج فاستوصوا بالنساء متفق عليه وفي رواية في الصحيحين المراة كالضلع ان اقمتها كسرتها وان استمتعت بها استمتعت وفيها عوج وفي رواية لمسلم ان المراة خلقت من ضلع لن تستقيم لك على طريقة فان استمتعت بها استمتعت بها وفيها عوج وان ذهبت تقيمها كسرتها وكسرها طلاقها

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৪/ বিবাহ ও দাম্পত্য

পরিচ্ছেদঃ স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহার করার অসিয়ত

(২৬২৪) আব্দুল্লাহ ইবনে যামআহ (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে খুৎবাহ দিতে শুনলেন। তিনি (খুৎবার মাধ্যমে) (সালেহ নবীর) উঁটনী এবং ঐ ব্যক্তির কথা আলোচনা করলেন, যে ঐ উঁটনীটিকে কেটে ফেলেছিল। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যখন তাদের মধ্যকার সর্বাধিক হতভাগ্য ব্যক্তি তৎপর হয়ে উঠল। (সূরা শামস ১২) (অর্থাৎ) উঁটনীটিকে মেরে ফেলার জন্য নিজ বংশের মধ্যে এক দুরন্ত চরিত্রহীন প্রভাবশালী ব্যক্তি তৎপর হয়ে উঠেছিল। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মহিলাদের কথা আলোচনা করলেন এবং তাদের ব্যাপারে উপদেশ প্রদান করলেন। তিনি বললেন, তোমাদের কেউ কেউ তার স্ত্রীকে দাসদের মত প্রহার করে। অতঃপর সম্ভবতঃ দিনের শেষে তার সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হয়। (এরূপ উচিত নয়।) পুনরায় তিনি তাদেরকে বাতকর্মের ব্যাপারে হাসতে নিষেধ করলেন এবং বললেন, তোমাদের কেউ এমন কাজে কেন হাসে, যে কাজ সে নিজেও করে?

وَعَن عَبدِ اللهِ بنِ زَمْعَةَ أنَّهُ سَمِعَ النَّبيَّ ﷺ يَخْطُبُ وَذَكَرَ النَّاقَةَ وَالَّذِي عَقَرَهَا فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ إِذ انْبَعَثَ أشْقَاهَا انْبَعَثَ لَهَا رَجُلٌ عَزيزٌ عَارِمٌ مَنيعٌ في رَهْطِهِ ثُمَّ ذَكَرَ النِّسَاءَ فَوعَظَ فِيهنَّ فَقَالَ يَعْمِدُ أحَدُكُمْ فَيَجْلِدُ امْرَأتَهُ جَلْدَ العَبْدِ فَلَعَلَّهُ يُضَاجِعُهَا مِنْ آخِرِ يَومِهِ ثُمَّ وَعَظَهُمْ في ضَحِكِهمْ مِنَ الضَّرْطَةِ وَقالَ لِمَ يَضْحَكُ أَحَدُكُمْ مِمَّا يَفْعَلُ مُتَّفَقٌ عَلَيهِ

وعن عبد الله بن زمعة انه سمع النبي ﷺ يخطب وذكر الناقة والذي عقرها فقال رسول الله ﷺ اذ انبعث اشقاها انبعث لها رجل عزيز عارم منيع في رهطه ثم ذكر النساء فوعظ فيهن فقال يعمد احدكم فيجلد امراته جلد العبد فلعله يضاجعها من اخر يومه ثم وعظهم في ضحكهم من الضرطة وقال لم يضحك احدكم مما يفعل متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৪/ বিবাহ ও দাম্পত্য

পরিচ্ছেদঃ স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহার করার অসিয়ত

(২৬২৫) আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোন ঈমানদার পুরুষ যেন কোন ঈমানদার নারী (স্ত্রীকে) ঘৃণা না করে। যদি সে তার একটি আচরণে অসন্তুষ্ট হয়, তবে অন্য আচরণে সন্তুষ্ট হবে।

وَعَنْ أَبِـيْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ لَا يَفْرَكْ مُؤْمِنٌ مُؤْمِنَةً إنْ كَرِهَ مِنْهَا خُلُقاً رَضِيَ مِنْهَا آخَرَ أَوْ قَالَ غَيْرَهُ رواه مسلم

وعن ابـي هريرة قال : قال رسول الله ﷺ لا يفرك مومن مومنة ان كره منها خلقا رضي منها اخر او قال غيره رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৪/ বিবাহ ও দাম্পত্য

পরিচ্ছেদঃ স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহার করার অসিয়ত

(২৬২৬) আমর ইবনে আহ্ওয়াস জুশামী (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বিদায় হজ্জে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছেন, তিনি সর্বপ্রথমে আল্লাহর প্রশংসা ও স্ত্ততি বর্ণনা করলেন এবং উপদেশ দান ও নসীহত করলেন। অতঃপর তিনি বললেন, শোনো! তোমরা স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহার কর। কেননা, তারা তোমাদের নিকট কয়েদী। তোমরা তাদের নিকটে এ (শয্যা-সঙ্গিনী হওয়া, নিজের সতীত্ব রক্ষা করা এবং তোমাদের মালের রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদি) ছাড়া অন্য কোনও জিনিসের অধিকার রাখ না। হ্যাঁ, সে যদি কোন প্রকাশ্য অশ্লীলতার কাজ করে (তাহলে তোমরা তাদেরকে শাস্তি দেওয়ার অধিকার রাখ)। সুতরাং তারা যদি এমন কাজ করে, তবে তাদেরকে বিছানায় আলাদা ছেড়ে দাও এবং তাদেরকে মার। কিন্তু সে মার যেন যন্ত্রণাদায়ক না হয়। অতঃপর তারা যদি তোমাদের অনুগত হয়ে যায়, তবে তাদের জন্য অন্য কোন পথ অনুসন্ধান করো না। মনে রাখ, তোমাদের স্ত্রীদের উপর তোমাদের অধিকার রয়েছে, অনুরূপ তোমাদের উপর তোমাদের স্ত্রীদের অধিকার রয়েছে। তোমাদের অধিকার হল, তারা যেন তোমাদের বিছানায় ঐ সব লোককে আসতে না দেয়, যাদেরকে তোমরা অপছন্দ কর এবং তারা যেন ঐ সব লোককে তোমাদের বাড়ীতে প্রবেশ করার অনুমতি না দেয়, যাদেরকে তোমরা অপছন্দ কর। আর শোনো! তোমাদের উপর তাদের অধিকার এই যে, তাদেরকে ভালোরূপে খেতে-পরতে দেবে। (তিরমিযী ১১৬৩, ৩০৮৭)

وَعَنْ عَمْرِو بنِ الأحوَصِ الجُشَمِي أنَّهُ سَمِعَ النَّبيّ ﷺ في حَجَّةِ الوَدَاعِ يَقُوْلُ بَعْدَ أنْ حَمِدَ الله تَعَالٰـى وَأثْنَى عَلَيهِ وَذَكَّرَ وَوَعظَ ثُمَّ قَالَ ألا وَاسْتَوصُوا بالنِّساءِ خَيْراً فَإِنَّمَا هُنَّ عَوَانٍ عِنْدَكُمْ لَيْسَ تَمْلِكُونَ مِنْهُنَّ شَيْئاً غَيْرَ ذلِكَ إلاَّ أنْ يَأتِينَ بِفَاحِشَةٍ مُبَيِّنَةٍ فَإنْ فَعَلْنَ فَاهْجُرُوهُنَّ في المَضَاجِع وَاضْرِبُوهُنَّ ضَرباً غَيْرَ مُبَرِّحٍ فإنْ أطَعْنَكُمْ فَلَا تَبْغُوا عَلَيهنَّ سَبِيْلًا ؛ ألاَ إنَّ لَكُمْ عَلٰى نِسَائِكُمْ حَقّاً وَلِنِسَائِكُمْ عَلَيْكُمْ حَقّاً ؛ فَحَقُّكُمْ عَلَيهِنَّ أنْ لا يُوطِئْنَ فُرُشَكُمْ مَنْ تَكْرَهُونَ وَلَا يَأْذَنَّ في بُيُوتِكُمْ لِمَنْ تَكْرَهُونَ ؛ ألَا وَحَقُّهُنَّ عَلَيْكُمْ أنْ تُحْسِنُوا إِلَيْهِنَّ في كِسْوَتِهنَّ وَطَعَامِهنَّ رواه الترمذي وَقالَ حديث حسن صحيح

وعن عمرو بن الاحوص الجشمي انه سمع النبي ﷺ في حجة الوداع يقول بعد ان حمد الله تعالـى واثنى عليه وذكر ووعظ ثم قال الا واستوصوا بالنساء خيرا فانما هن عوان عندكم ليس تملكون منهن شيىا غير ذلك الا ان ياتين بفاحشة مبينة فان فعلن فاهجروهن في المضاجع واضربوهن ضربا غير مبرح فان اطعنكم فلا تبغوا عليهن سبيلا ؛ الا ان لكم على نساىكم حقا ولنساىكم عليكم حقا ؛ فحقكم عليهن ان لا يوطىن فرشكم من تكرهون ولا ياذن في بيوتكم لمن تكرهون ؛ الا وحقهن عليكم ان تحسنوا اليهن في كسوتهن وطعامهن رواه الترمذي وقال حديث حسن صحيح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবুল আহওয়াস (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৪/ বিবাহ ও দাম্পত্য

পরিচ্ছেদঃ স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহার করার অসিয়ত

(২৬২৭)জাবের বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মহিলাদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় কর। কারণ, তাদেরকে তোমরা আল্লাহর আমানত হিসাবে গ্রহণ করেছ। আল্লাহর বাক্যের সাহায্যে তাদের লজ্জাস্থানকে বৈধ করেছ। তাদের উপর তোমাদের অধিকার হল, তারা এমন কাউকে তোমাদের বিছানা মাড়াতে দেবে না, যাকে তোমরা অপছন্দ কর। এমন করলে তাদেরকে হালকাভাবে প্রহার কর। আর প্রচলিত নিয়মে তাদের খাওয়া-পরার দায়িত্ব তোমাদের উপর।

عن جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ اتَّقُوا اللهَ فِى النِّسَاءِ فَإِنَّكُمْ أَخَذْتُمُوهُنَّ بِأَمَانِ اللهِ وَاسْتَحْلَلْتُمْ فُرُوجَهُنَّ بِكَلِمَةِ اللهِ وَلَكُمْ عَلَيْهِنَّ أَنْ لَا يُوطِئْنَ فُرُشَكُمْ أَحَدًا تَكْرَهُونَهُ فَإِنْ فَعَلْنَ ذٰلِكَ فَاضْرِبُوهُنَّ ضَرْبًا غَيْرَ مُبَرِّحٍ وَلَهُنَّ عَلَيْكُمْ رِزْقُهُنَّ وَكِسْوَتُهُنَّ بِالْمَعْرُوفِ

عن جابر بن عبد الله قال قال رسول الله ﷺ اتقوا الله فى النساء فانكم اخذتموهن بامان الله واستحللتم فروجهن بكلمة الله ولكم عليهن ان لا يوطىن فرشكم احدا تكرهونه فان فعلن ذلك فاضربوهن ضربا غير مبرح ولهن عليكم رزقهن وكسوتهن بالمعروف

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৪/ বিবাহ ও দাম্পত্য

পরিচ্ছেদঃ স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহার করার অসিয়ত

(২৬২৮) মুআবিয়াহ ইবনে হাইদাহ (রাঃ) বলেন যে, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বললাম, ’হে আল্লাহর রসূল! আমাদের কারো স্ত্রীর অধিকার স্বামীর উপর কতটুকু?’ তিনি বললেন, ’’তুমি খেলে তাকে খাওয়াবে এবং তুমি পরলে তাকে পরাবে। (তার) চেহারায় মারবে না, তাকে ’কুৎসিত হ’ বলবে না এবং তার থেকে পৃথক থাকলে বাড়ীর ভিতরেই থাকবে।’’ (অর্থাৎ অবাধ্য স্ত্রীকে বাধ্য করার জন্য বিছানা পৃথক করতে পারা যাবে, কিন্তু রুম পৃথক করা যাবে না।) (আবূ দাউদ ২১৪৪-২১৪৫)

وَعَن مُعَاوِيَةَ بنِ حَيدَةَ قَالَ : قُلْتُ : يَا رَسُوْلَ الله مَا حَقُّ زَوجَةِ أَحَدِنَا عَلَيهِ ؟ قَالَ أنْ تُطْعِمَهَا إِذَا طعِمْتَ وَتَكْسُوهَا إِذَا اكْتَسَيْتَ وَلَا تَضْرِبِ الوَجْهَ وَلَا تُقَبِّحْ وَلَا تَهْجُرْ إلاَّ في البَيْتِ حديثٌ حسنٌ رواه أَبُو داود وَقالَ : معنى لَا تُقَبِّحْ أي : لَا تقل : قبحكِ الله

وعن معاوية بن حيدة قال : قلت : يا رسول الله ما حق زوجة احدنا عليه ؟ قال ان تطعمها اذا طعمت وتكسوها اذا اكتسيت ولا تضرب الوجه ولا تقبح ولا تهجر الا في البيت حديث حسن رواه ابو داود وقال : معنى لا تقبح اي : لا تقل : قبحك الله

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৪/ বিবাহ ও দাম্পত্য

পরিচ্ছেদঃ স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহার করার অসিয়ত

(২৬২৯) ইয়াস ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা আল্লাহর বান্দীদেরকে প্রহার করবে না। পরবর্তীতে উমার (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বললেন, ’মহিলারা তাদের স্বামীদের উপর বড় দুঃসাহসিনী হয়ে গেছে।’ সুতরাং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রহার করার অনুমতি দিলেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পরিবারের নিকট বহু মহিলা এসে নিজ নিজ স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আরম্ভ করল। সুতরাং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, মুহাম্মাদের পরিবারের নিকট প্রচুর মহিলাদের সমাগম, যারা তাদের স্বামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে। (জেনে রাখ, মারকুটে) ঐ (স্বামী)রা তোমাদের মধ্যে ভালো মানুষ নয়।

وَعَنْ إِيَاسِ بنِ عَبدِ اللهِ بنِ أَبِـيْ ذِبَابٍ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ لَا تَضْرِبُوا إمَاء الله فجاء عُمَرُ إِلٰـى رسولِ الله ﷺ فَقَالَ : ذَئِرْنَ النِّسَاءُ عَلٰى أزْوَاجِهِنَّ فَرَخَّصَ في ضَرْبِهِنَّ فَأطَافَ بآلِ رَسُوْلِ اللهِ ﷺ نِسَاءٌ كَثيرٌ يَشْكُونَ أزْواجَهُنَّ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ لَقَدْ أطَافَ بِآلِ بَيتِ مُحَمَّدٍ نِسَاءٌ كثيرٌ يَشْكُونَ أزْوَاجَهُنَّ لَيْسَ أولَئكَ بخيَارِكُمْ رواه أَبُو داود بإسناد صحيح

وعن اياس بن عبد الله بن ابـي ذباب قال: قال رسول الله ﷺ لا تضربوا اماء الله فجاء عمر الـى رسول الله ﷺ فقال : ذىرن النساء على ازواجهن فرخص في ضربهن فاطاف بال رسول الله ﷺ نساء كثير يشكون ازواجهن فقال رسول الله ﷺ لقد اطاف بال بيت محمد نساء كثير يشكون ازواجهن ليس اولىك بخياركم رواه ابو داود باسناد صحيح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ইয়াস (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৪/ বিবাহ ও দাম্পত্য

পরিচ্ছেদঃ স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহার করার অসিয়ত

(২৬৩০) আয়েশা (রাঃ) বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজ হাতে কাউকে প্রহার করেননি; না কোন স্ত্রীকে, আর না-ই কোন দাস-দাসীকে। অবশ্য আল্লাহর রাস্তায় তিনি জিহাদ করেছেন। তাঁর প্রতি কেউ অন্যায় করলে কোনদিন তার প্রতিশোধ নেননি। অবশ্য আল্লাহর হারামকৃত কোন জিনিসের লংঘন হলে, তিনি আল্লাহ তাআলার জন্য প্রতিশোধ নিতেন।

عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ مَا ضَرَبَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ شَيْئًا قَطُّ بِيَدِهِ وَلَا امْرَأَةً وَلَا خَادِمًا إِلاَّ أَنْ يُجَاهِدَ فِى سَبِيلِ اللهِ وَمَا نِيلَ مِنْهُ شَىْءٌ قَطُّ فَيَنْتَقِمَ مِنْ صَاحِبِهِ إِلاَّ أَنْ يُنْتَهَكَ شَىْءٌ مِنْ مَحَارِمِ اللهِ فَيَنْتَقِمَ لِلهِ عَزَّ وَجَلَّ

عن عاىشة قالت ما ضرب رسول الله ﷺ شيىا قط بيده ولا امراة ولا خادما الا ان يجاهد فى سبيل الله وما نيل منه شىء قط فينتقم من صاحبه الا ان ينتهك شىء من محارم الله فينتقم لله عز وجل

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৪/ বিবাহ ও দাম্পত্য

পরিচ্ছেদঃ স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহার করার অসিয়ত

(২৬৩১) ইবনে আব্বাস (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমাদের মধ্যে উত্তম ব্যক্তি সেই, যে তার স্ত্রীর নিকট উত্তম। আর আমি নিজ স্ত্রীর নিকট তোমাদের সর্বোত্তম ব্যক্তি।

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ؛ عن النبي صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قال خَيْرُكُمْ خَيْرُكُمْ لأَهْلِهِ، وَأَنَا خَيْرُكُمْ لأَهْلِى

عن ابن عباس ؛ عن النبي صلى الله عليه وسلم قال خيركم خيركم لاهله، وانا خيركم لاهلى

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৪/ বিবাহ ও দাম্পত্য

পরিচ্ছেদঃ স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহার করার অসিয়ত

(২৬৩২) আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মু’মিনদের মধ্যে সবার চেয়ে পূর্ণ মু’মিন ঐ ব্যক্তি যে চরিত্রে সবার চেয়ে সুন্দর, আর তাদের মধ্যে সর্বোত্তম ঐ ব্যক্তি, যে নিজের স্ত্রীর জন্য সর্বোত্তম।

وَعَنْ أَبِـيْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ أكْمَلُ المُؤمِنِينَ إيمَاناً أحْسَنُهُمْ خُلُقاً، وخِيَارُكُمْ خِيَارُكُم لِنِسَائِهِمْ رواه الترمذي وَقالَ حديث حسن صحيح

وعن ابـي هريرة قال : قال رسول الله ﷺ اكمل المومنين ايمانا احسنهم خلقا، وخياركم خياركم لنساىهم رواه الترمذي وقال حديث حسن صحيح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৪/ বিবাহ ও দাম্পত্য

পরিচ্ছেদঃ স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহার করার অসিয়ত

(২৬৩৩) আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, হে আল্লাহ! আমি দুই দুর্বল; এতীম ও নারীর অধিকার নষ্ট হওয়ার ব্যাপারে পাপ হওয়ার কথা ঘোষণা করছি।

عَنْ أَبِـيْ هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ اللَّهُمَّ إِنِّي أُحَرِّجُ حَقَّ الضَّعِيفَيْنِ الْيَتِيمِ وَالْمَرْأَةِ

عن ابـي هريرة عن النبي ﷺ قال اللهم اني احرج حق الضعيفين اليتيم والمراة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৪/ বিবাহ ও দাম্পত্য
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১১ পর্যন্ত, সর্বমোট ১১ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে