পরিচ্ছেদঃ হারাম বস্তুর ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন এবং সন্দিহান বস্তু পরিহার করার গুরুত্ব

আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَتَـحْسَبُوْنَهُ هَيِّنًا وَهُوَ عِنْدَ اللهِ عَظِيْمٌ

অর্থাৎ, তোমরা একে তুচ্ছ গণ্য করেছিলে; যদিও আল্লাহর দৃষ্টিতে এ ছিল গুরুত্বর বিষয় (সূরা নূর ১৫)

তিনি আরো বলেন,

إِنَّ رَبَّكَ لَبِالْمِرْصَادِ

অর্থাৎ, নিশ্চয় তোমার প্রতিপালক সময়ের প্রতীক্ষায় থেকে সতর্ক দৃষ্টি রাখেন। (সূরা ফাজর ১৪)


(২৪১৪) নু’মান ইবনে বাশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, অবশ্যই হালাল বিবৃত ও স্পষ্ট এবং হারাম বিবৃত ও স্পষ্ট, আর উভয়ের মাঝে রয়েছে বহু সন্দিহান বস্তু; যা অনেক লোকেই জানে না। অতএব যে ব্যক্তি এই সন্দিহান বস্তুসমূহ হতে দূরে থাকবে, সে তার দ্বীন ও ইজ্জতকে বাঁচিয়ে নেবে এবং যে ব্যক্তি সন্দিহানে পতিত হবে (সন্দিগ্ধ বস্তু ভক্ষণ করবে), সে হারামে পতিত হবে। (এর উদাহরণ সেই) রাখালের মত, যে নিষিদ্ধ চারণভূমির আশেপাশে পশু চরায়, তার পক্ষে নিষিদ্ধ সীমানায় পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শোন! প্রত্যেক বাদশাহরই সংরক্ষেত চারণভূমি থাকে। আর শোন! আল্লাহর সংরক্ষেত চারণভূমি হল তাঁর হারামকৃত বস্তুসমূহ। শোন! দেহের মধ্যে একটি মাংসপি- রয়েছে; যখন তা সুস্থ থাকে, তখন গোটা দেহটাই সুস্থ হয়ে থাকে। আর যখন তা খারাপ হয়ে যায়, তখন গোটা দেহটাই খারাপ হয়ে যায়। শোন! তা হল হৃৎপি- (অন্তর)।

وَعَنِ النُّعمَانِ بنِ بَشِيْرٍ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا قَالَ : سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ يَقُوْلُ إنَّ الْـحَلاَلَ بَيِّنٌ وَإنَّ الْـحَرامَ بَيِّنٌ وَبَيْنَهُمَا مُشْتَبَهَاتٌ لاَ يَعْلَمُهُنَّ كَثيرٌ مِنَ النَّاسِ فَمَنِ اتَّقَى الشُّبُهَاتِ اسْتَبْرَأَ لِدِينهِ وَعِرْضِهِ وَمَنْ وَقَعَ فِي الشُّبُهَاتِ وَقَعَ في الحَرَامِ كَالرَّاعِي يَرْعَى حَوْلَ الحِمَى يُوشِكُ أنْ يَرْتَعَ فِيهِ ألاَ وَإنَّ لكُلّ مَلِكٍ حِمَىً ألاَ وَإنَّ حِمَى اللهِ مَحَارِمُهُ ألاَ وَإنَّ فِي الجَسَدِ مُضْغَةً إِذَا صَلَحَت صَلَحَ الْجَسَدُ كُلُّهُ وَإِذَا فَسَدَتْ فَسَدَ الْجَسَدُ كُلُّهُ ألاَ وَهِيَ القَلْبُ متفقٌ عَلَيْهِ

وعن النعمان بن بشير رضي الله عنهما قال : سمعت رسول الله ﷺ يقول ان الـحلال بين وان الـحرام بين وبينهما مشتبهات لا يعلمهن كثير من الناس فمن اتقى الشبهات استبرا لدينه وعرضه ومن وقع في الشبهات وقع في الحرام كالراعي يرعى حول الحمى يوشك ان يرتع فيه الا وان لكل ملك حمى الا وان حمى الله محارمه الا وان في الجسد مضغة اذا صلحت صلح الجسد كله واذا فسدت فسد الجسد كله الا وهي القلب متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৩/ বাণিজ্য ও উপার্জন

পরিচ্ছেদঃ হারাম বস্তুর ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন এবং সন্দিহান বস্তু পরিহার করার গুরুত্ব

(২৪১৫) আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পথে একটি খেজুর পেলেন। অতঃপর তিনি বললেন, যদি আমার এর সাদকাহ হওয়ার আশঙ্কা না হত, তাহলে আমি এটি খেয়ে ফেলতাম।

وعَنْ أَنَسٍ أنَّ النَّبِيَّ ﷺ وَجَدَ تَمْرَةً فِي الطَّرِيْقِ فَقَالَ لَوْلاَ أنِّـيْ أخَافُ أنْ تَكُوْنَ مِنَ الصَّدَقَةِ لَأَكَلْتُهَا

وعن انس ان النبي ﷺ وجد تمرة في الطريق فقال لولا انـي اخاف ان تكون من الصدقة لاكلتها

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৩/ বাণিজ্য ও উপার্জন

পরিচ্ছেদঃ হারাম বস্তুর ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন এবং সন্দিহান বস্তু পরিহার করার গুরুত্ব

(২৪১৬) নাওয়াস ইবনে সামআন (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, পুণ্যবত্তা হল সচ্চরিত্রতার নাম এবং পাপ হল তাই, যা তোমার অন্তরে সন্দেহ সৃষ্টি করে এবং তা লোকে জেনে ফেলুক -এ কথা তুমি অপছন্দ কর।

وَعَنِ النَّوَّاسِ بنِ سَمْعَانَ عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ البِرُّ : حُسْنُ الْـخُلُقِ وَالْإِثْمُ : مَا حَاكَ فِيْ نَفْسِكَ وَكَرِهْتَ أنْ يَطَّلِعَ عَلَيْهِ النَّاسُ رواه مسلم

وعن النواس بن سمعان عن النبي ﷺ قال البر : حسن الـخلق والاثم : ما حاك في نفسك وكرهت ان يطلع عليه الناس رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৩/ বাণিজ্য ও উপার্জন

পরিচ্ছেদঃ হারাম বস্তুর ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন এবং সন্দিহান বস্তু পরিহার করার গুরুত্ব

(২৪১৭) ওয়াবেস্বাহ ইবনে মা’বাদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এলাম। অতঃপর তিনি বললেন, তুমি পুণ্যের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করতে এসেছ? আমি বললাম, ’জী হ্যাঁ।’ তিনি বললেন, তুমি তোমার অন্তরকে (ফতোয়া) জিজ্ঞাসা কর। পুণ্য হল তা, যার প্রতি তোমার মন প্রশান্ত হয় এবং অন্তর পরিতৃপ্ত হয়। আর পাপ হল তা, যা মনে খট্কা সৃষ্টি করে এবং অন্তর সন্দিহান হয়; যদিও লোকেরা তোমাকে (তার বৈধ হওয়ার) ফতোয়া দিয়ে থাকে।

وَعَن وَابِصَةَ بْنِ مَعبَدٍ قَالَ: أَتَيْتُ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ فَقَالَ جِئْتَ تَسْألُ عَنِ الْبِرِّ ؟ قُلْتُ: نَعَمْ فَقَالَ اسْتَفْتِ قَلْبَكَ البرُّ : مَا اطْمَأنَّت إِلَيْهِ النَّفسُ وَاطْمأنَّ إِلَيْهِ القَلْبُ وَالإثْمُ : مَا حَاكَ في النَّفْسِ وَتَرَدَّدَ فِي الصَّدْرِ وَإنْ أفْتَاكَ النَّاسُ وَأفْتَوكَ حديث حسن رواه أحمد والدَّارمِيُّ في مُسْنَدَيْهِمَا

وعن وابصة بن معبد قال: اتيت رسول الله ﷺ فقال جىت تسال عن البر ؟ قلت: نعم فقال استفت قلبك البر : ما اطمانت اليه النفس واطمان اليه القلب والاثم : ما حاك في النفس وتردد في الصدر وان افتاك الناس وافتوك حديث حسن رواه احمد والدارمي في مسنديهما

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৩/ বাণিজ্য ও উপার্জন

পরিচ্ছেদঃ হারাম বস্তুর ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন এবং সন্দিহান বস্তু পরিহার করার গুরুত্ব

(২৪১৮) আবূ সিরওয়াআহ উক্ববাহ ইবনে হারেস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি আবূ ইহাব ইবনে আযীযের এক কন্যাকে বিবাহ করলেন। অতঃপর তার নিকট এক মহিলা এসে বলল, ’আমি উক্ববাহকে এবং তার স্ত্রীকে দুধপান করিয়েছি। উক্ববাহ তাকে বললেন, ’তুমি যে আমাকে দুধ পান করিয়েছ তা তো আমি জানি না, আর তুমি আমাকে তার খবরও দাওনি। অতঃপর উক্ববাহ (সওয়ারীর উপর) সওয়ার হয়ে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট মদীনায় এলেন এবং এ ব্যাপারে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (সব বৃত্তান্ত শুনে) বললেন, যখন এ কথা বলা হয়েছে, তখন তুমি কি ক’রে বিবাহ বন্ধন অটুট রাখবে? সুতরাং উক্ববাহ (রাঃ) তাকে ত্যাগ করলেন এবং সে অন্য স্বামী গ্রহণ করল।

وَعَن أَبِـيْ سِرْوَعَةَ عُقبَةَ بنِ الحارِثِ أنَّهُ تَزَوَّجَ ابنَةً لأبي إهَابِ بنِ عَزِيزٍ فَأتَتْهُ امْرَأةٌ فَقَالَتْ: إنّي قَدْ أرضَعْتُ عُقْبَةَ وَالَّتِي قَدْ تَزَوَّجَ بِهَا فَقَالَ لَهَا عُقْبَةُ : مَا أعْلَمُ أنَّك أَرضَعْتِنِي وَلاَ أخْبَرْتِني فَرَكِبَ إِلَى رَسُولِ اللهِ ﷺ بِالمَدِينَةِ فَسَأَلَهُ : فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ كَيْفَ ؟ وَقَد قِيلَ فَفَارَقَهَا عُقْبَةُ وَنَكَحَتْ زَوْجاً غَيْرَهُ رواه البخاري

وعن ابـي سروعة عقبة بن الحارث انه تزوج ابنة لابي اهاب بن عزيز فاتته امراة فقالت: اني قد ارضعت عقبة والتي قد تزوج بها فقال لها عقبة : ما اعلم انك ارضعتني ولا اخبرتني فركب الى رسول الله ﷺ بالمدينة فساله : فقال رسول الله ﷺ كيف ؟ وقد قيل ففارقها عقبة ونكحت زوجا غيره رواه البخاري

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৩/ বাণিজ্য ও উপার্জন

পরিচ্ছেদঃ হারাম বস্তুর ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন এবং সন্দিহান বস্তু পরিহার করার গুরুত্ব

(২৪১৯) আলীর পুত্র হাসান (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে (এ হাদীস) স্মরণ রেখেছি, তা বর্জন কর, যা তোমাকে সন্দেহে ফেলে এবং তা গ্রহণ কর, যাতে তোমার সন্দেহ নেই।

وَعَنِ الحَسَنِ بنِ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا قَالَ : حَفِظتُ مِنْ رَسُولِ اللهِ ﷺ دَعْ مَا يَرِيبُكَ إِلَى مَا لاَ يَرِيبُكَ رواه الترمذي وقال حديث حسن صحيح

وعن الحسن بن علي رضي الله عنهما قال : حفظت من رسول الله ﷺ دع ما يريبك الى ما لا يريبك رواه الترمذي وقال حديث حسن صحيح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ হাসান ইবনু আলী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৩/ বাণিজ্য ও উপার্জন

পরিচ্ছেদঃ হারাম বস্তুর ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন এবং সন্দিহান বস্তু পরিহার করার গুরুত্ব

(২৪২০) আয়েশা (রাঃ) বলেন, আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ) এর একজন ক্রীতদাস ছিল, যে চুক্তি অনুযায়ী তাঁকে ধার্যকৃত কর আদায় করত। আর আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ) তার সেই আদায়কৃত অর্থ ভক্ষণ করতেন। (অবশ্য প্রত্যহ সে অর্থ হালাল কি না, তা জিজ্ঞাসা করে নিতেন।) একদিনের ঘটনা, ঐ ক্রীতদাস কোন একটা জিনিস এনে তাঁর খিদমতে হাজির করল। আর তিনি (সেদিন ভুলে কিছু জিজ্ঞাসা না করে) তা থেকে কিছু খেয়ে ফেললেন। দাসটি বলল, ’আপনি কি জানেন, এটা কোন্ জিনিস (যা আপনি ভক্ষণ করলেন)? আবূ বকর (রাঃ) বললেন, ’তা কী?’ দাসটি বলল, ’আমি জাহেলী যুগে একজন মানুষের ভাগ্য গণনা করেছিলাম। অথচ আমার ভাগ্য গণনা করার মত ভাল জ্ঞান ছিল না। আসলে আমি তাকে ধোঁকা দিয়েছিলাম। সে আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আমাকে (পারিশ্রমিক স্বরূপ) এই জিনিস দিলো, যা আপনি ভক্ষণ করলেন। এ কথা শুনে আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ) নিজের হাত স্বীয় মুখের ভিতরে প্রবেশ করালেন এবং পেটের মধ্যে যা কিছু ছিল বমি ক’রে বের ক’রে দিলেন!

وَعَن عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهَا قَالَتْ : كَانَ لأبي بَكرٍ الصِّدِّيقِ غُلاَمٌ يُخْرِجُ لَهُ الخَرَاجَ وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ يَأكُلُ مِنْ خَرَاجِهِ فَجَاءَ يَوْماً بِشَيءٍ فَأكَلَ مِنْهُ أَبُو بَكْرٍفَقَالَ لَهُ الغُلامُ : تَدْرِي مَا هَذَا ؟ فَقَالَ أَبُو بكر : وَمَا هُوَ ؟ قَالَ : كُنْتُ تَكَهَّنْتُ لإنْسَانٍ في الجَاهِلِيَّةِ وَمَا أُحْسِنُ الكَهَانَةَ إِلاَّ أنّي خَدَعْتُهُ فَلَقِيَنِي فَأعْطَانِي لِذَلِكَ هَذَا الَّذِي أكَلْتَ مِنْهُ فَأدْخَلَ أَبُو بَكْرٍ يَدَهُ فَقَاءَ كُلَّ شَيْءٍ فِي بَطْنِهِ رواه البخاري

وعن عاىشة رضي الله عنها قالت : كان لابي بكر الصديق غلام يخرج له الخراج وكان ابو بكر ياكل من خراجه فجاء يوما بشيء فاكل منه ابو بكرفقال له الغلام : تدري ما هذا ؟ فقال ابو بكر : وما هو ؟ قال : كنت تكهنت لانسان في الجاهلية وما احسن الكهانة الا اني خدعته فلقيني فاعطاني لذلك هذا الذي اكلت منه فادخل ابو بكر يده فقاء كل شيء في بطنه رواه البخاري

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৩/ বাণিজ্য ও উপার্জন

পরিচ্ছেদঃ হারাম বস্তুর ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন এবং সন্দিহান বস্তু পরিহার করার গুরুত্ব

(২৪২১) নাফে’ থেকে বর্ণিত, উমার ইবনে খাত্ত্বাব (রাঃ) সর্বপ্রথম হিজরতকারীদের জন্য চার হাজার করে ভাতা নির্দিষ্ট করলেন এবং তাঁর ছেলে (আব্দুল্লাহর) জন্য সাড়ে তিন হাজার নির্দিষ্ট করলেন। তাঁকে বলা হল যে, ’তিনিও তো মুহাজিরদের একজন; অতত্রব আপনি তাঁর ভাতা কম করলেন কেন? উত্তরে তিনি বললেন, ’তার পিতা তাকে সাথে নিয়ে হিজরত করেছে। উমার (রাঃ) বলতেন, সে তার মত নয়, যে একাকী হিজরত করেছে।

وَعَن نَافِعٍ : أَنَّ عُمَرَ بنَ الخَطّابِ كَانَ فَرَضَ لِلمُهَاجِرينَ الأَوَّلِينَ أرْبَعَةَ الآفٍ وَفَرَضَ لابْنِهِ ثَلاَثَة آلافٍ وَخَمْسَمئَةٍ فَقيلَ لَهُ : هُوَ مِنَ المُهَاجِرينَ فَلِمَ نَقَصْتَهُ ؟ فَقَالَ : إنَّمَا هَاجَرَ بِهِ أبُوهُ يَقُوْلُ : لَيْسَ هُوَ كَمَنْ هَاجَرَ بِنَفْسِهِ رواه البخاري

وعن نافع : ان عمر بن الخطاب كان فرض للمهاجرين الاولين اربعة الاف وفرض لابنه ثلاثة الاف وخمسمىة فقيل له : هو من المهاجرين فلم نقصته ؟ فقال : انما هاجر به ابوه يقول : ليس هو كمن هاجر بنفسه رواه البخاري

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ নাফি‘ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৩/ বাণিজ্য ও উপার্জন
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৮ পর্যন্ত, সর্বমোট ৮ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে