পরিচ্ছেদঃ অতিরঞ্জন ও বাড়াবাড়ি বিষয়ক কতিপয় হাদীস

(২২৮৮) জাবের বিন আব্দুল্লাহ কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’আমাকে আল্লাহ নিজের ব্যাপারে ও অপরের ব্যাপারে কঠোর ক’রে পাঠাননি। বরং তিনি আমাকে সরল শিক্ষক ক’রে পাঠিয়েছেন।’’ (মুসলিম ৩৭৬৩)

عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ إِنَّ اللهَ لَمْ يَبْعَثْنِى مُعَنِّتًا وَلاَ مُتَعَنِّتًا وَلَكِنْ بَعَثَنِى مُعَلِّمًا مُيَسِّرًا

عن جابر بن عبد الله قال قال رسول الله ﷺ ان الله لم يبعثنى معنتا ولا متعنتا ولكن بعثنى معلما ميسرا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ অতিরঞ্জন ও বাড়াবাড়ি বিষয়ক কতিপয় হাদীস

(২২৮৯) আনাস (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’(দ্বীন প্রচারের ক্ষেত্রে) তোমরা সরলতা ব্যবহার কর, কঠোরতা ব্যবহার করো না, মানুষের মনকে খোশ কর এবং তাদের মনে ঘৃণা সৃষ্টি করো না।’’ (আহমাদ, বুখারী ৬৯, মুসলিম ৪৬২৬, নাসাঈ, সহীহুল জামে’ ৮০৮৬)

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ يَسِّرُوا وَلَا تُعَسِّرُوا وَبَشِّرُوا وَلَا تُنَفِّرُوا

عن انس بن مالك عن النبي ﷺ قال يسروا ولا تعسروا وبشروا ولا تنفروا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ অতিরঞ্জন ও বাড়াবাড়ি বিষয়ক কতিপয় হাদীস

(২২৯০) মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ মূসা (রাঃ) ও মুআয (রাঃ) কে ইয়ামান প্রেরণ করার সময় বলেছিলেন,

يَسِّرَا وَلاَ تُعَسِّرَا وَبَشِّرَا وَلاَ تُنَفِّرَا وَتَطَاوَعَا وَلاَ تَخْتَلِفَا

তোমরা সহজ কর, কঠিন করো না। সুসংবাদ দাও, বীতশ্রদ্ধ করো না। পরস্পর মেনে-মানিয়ে চলো, মতবিরোধ করো না।

-

-

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ অতিরঞ্জন ও বাড়াবাড়ি বিষয়ক কতিপয় হাদীস

(২২৯১) আবূ হুরাইরা (রাঃ) [ও আনাস (রাঃ)] বলেন, একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দেখলেন, এক বৃদ্ধ তার দুই ছেলের কাঁধে ভর করে (মক্কার দিকে) হেঁটে যাচ্ছে। জিজ্ঞাসা করলেন, ওর ব্যাপার কী?’’ বলল, ’পায়ে হেঁটে কা’বা-ঘর যাওয়ার নিয়্যাত করেছে!’ তিনি বললেন, ’’আল্লাহ তাআলার এমন প্রাণকে কষ্ট দেওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। ওহে বৃদ্ধ! তুমি সওয়ার হয়েই মক্কা যাও। কারণ, আল্লাহ তুমি ও তোমার নযরের প্রতি মুখাপেক্ষী নন।

عَنْ أَبِـىْ هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِىَّ ﷺ أَدْرَكَ شَيْخًا يَمْشِى بَيْنَ ابْنَيْهِ يَتَوَكَّأُ عَلَيْهِمَا فَقَالَ النَّبِىُّ ﷺ مَا شَأْنُ هَذَا قَالَ ابْنَاهُ يَا رَسُولَ اللهِ كَانَ عَلَيْهِ نَذْرٌ فَقَالَ النَّبِىُّ ﷺ ارْكَبْ أَيُّهَا الشَّيْخُ فَإِنَّ اللهَ غَنِىٌّ عَنْكَ وَعَنْ نَذْرِكَ

عن ابـى هريرة ان النبى ﷺ ادرك شيخا يمشى بين ابنيه يتوكا عليهما فقال النبى ﷺ ما شان هذا قال ابناه يا رسول الله كان عليه نذر فقال النبى ﷺ اركب ايها الشيخ فان الله غنى عنك وعن نذرك

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ অতিরঞ্জন ও বাড়াবাড়ি বিষয়ক কতিপয় হাদীস

(২২৯২) জাবের বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) বলেন, মক্কা বিজয়ের দিনে এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলল, ’হে আল্লাহর রসূল! আমি আল্লাহর কাছে এই নযর মেনেছি যে, তিনি যদি আপনার হাতে মক্কার বিজয় দান করেন, তাহলে আমি ’বাইতুল মাক্বদিস’ (জেরুজালেমের মসজিদে) দুই রাকআত নামায আদায় করব।’ এ কথা শুনে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে দু’বার বললেন, তুমি এখানেই (কা’বার মসজিদেই) নামায পড়ে নাও।

عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ : أَنَّ رَجُلاً قَامَ يَوْمَ الْفَتْحِ فَقَالَ : يَا رَسُولَ اللهِ إِنِّى نَذَرْتُ لِلهِ إِنْ فَتَحَ اللهُ عَلَيْكَ مَكَّةَ أَنْ أُصَلِّىَ فِى بَيْتِ الْمَقْدِسِ رَكْعَتَيْنِ قَالَ صَلِّ هَا هُنَا ثُمَّ أَعَادَ عَلَيْهِ فَقَالَ صَلِّ هَا هُنَا ثُمَّ أَعَادَ عَلَيْهِ فَقَالَ شَأْنَكَ إِذًا

عن جابر بن عبد الله : ان رجلا قام يوم الفتح فقال : يا رسول الله انى نذرت لله ان فتح الله عليك مكة ان اصلى فى بيت المقدس ركعتين قال صل ها هنا ثم اعاد عليه فقال صل ها هنا ثم اعاد عليه فقال شانك اذا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ অতিরঞ্জন ও বাড়াবাড়ি বিষয়ক কতিপয় হাদীস

(২২৯৩)আয়েশা ও সা’দ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, উসমান বিন মাযঊন (রাঃ) আবেগময় ইবাদত শুরু করেছিলেন। সংসার-বিরাগী হয়ে সব ছেড়ে আল্লাহর ইবাদতে মন দিয়েছিলেন। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বলেছিলেন, ’হে উসমান! আমাকে সন্ন্যাসবাদে আদেশ দেওয়া হয়নি। তুমি কি আমার তরীকা থেকে বিমুখ হয়েছ?’ উসমান বললেন, ’না হে আল্লাহর রসূল!’ তিনি বললেন, ’আমার তরীকা হল, আমি (রাতে) নামায পড়ি এবং ঘুমাই, (কোনদিন) রোযা রাখি এবং (কোনদিন) রাখি না, বিবাহ করি ও তালাক দিই। সুতরাং যে ব্যক্তি আমার তরীকা থেকে বিমুখ হবে, সে আমার দলভুক্ত নয়। হে উসমান! নিশ্চয় তোমার উপর তোমার স্ত্রীর হক আছে, তোমার উপর তোমার নিজের হক আছে, তোমার উপর তোমার মেহমানের হক আছে......।’

عَنْ عَائِشَةَ : أَنَّ النَّبِىَّ ﷺ بَعَثَ إِلَى عُثْمَانَ بْنِ مَظْعُونٍ فَجَاءَهُ فَقَالَ يَا عُثْمَانُ إني لم أومر بالرهبانية أَرَغِبْتَ عَنْ سُنَّتِى قَالَ : لاَ وَاللهِ يَا رَسُولَ اللهِ وَلَكِنْ سُنَّتَكَ أَطْلُبُ قَالَ فَإِنِّى أَنَامُ وَأُصَلِّى وَأَصُومُ وَأُفْطِرُ وَأَنْكِحُ النِّسَاءَ فَاتَّقِ اللهَ يَا عُثْمَانُ فَإِنَّ لأَهْلِكَ عَلَيْكَ حَقًّا وَإِنَّ لِضَيْفِكَ عَلَيْكَ حَقًّا وَإِنَّ لِنَفْسِكَ عَلَيْكَ حَقًّا فَصُمْ وَأَفْطِرْ وَصَلِّ وَنَمْ

عن عاىشة : ان النبى ﷺ بعث الى عثمان بن مظعون فجاءه فقال يا عثمان اني لم اومر بالرهبانية ارغبت عن سنتى قال : لا والله يا رسول الله ولكن سنتك اطلب قال فانى انام واصلى واصوم وافطر وانكح النساء فاتق الله يا عثمان فان لاهلك عليك حقا وان لضيفك عليك حقا وان لنفسك عليك حقا فصم وافطر وصل ونم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ অতিরঞ্জন ও বাড়াবাড়ি বিষয়ক কতিপয় হাদীস

(২২৯৪) গুযাইফ বিন হারেস বলেন, একদা আমি আয়েশা (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম যে, ’আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রথম রাতে নাপাকীর গোসল করতেন, নাকি শেষ রাতে?’ তিনি প্রত্যুত্তরে বললেন, ’কোন রাতে তিনি প্রথম ভাগে গোসল করতেন, আবার কোন কোন রাতে শেষ ভাগে।’ আমি বললাম, ’আল্লাহু আকবার! সেই আল্লাহর প্রশংসা যিনি (দ্বীনের) ব্যাপারে প্রশস্ততা রেখেছেন।’ অতঃপর আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ’তিনি বিতরের নামায প্রথম রাত্রিতে পড়তেন, নাকি শেষ রাত্রিতে?’ তিনি বললেন, ’কখনো তিনি প্রথম রাত্রিতে বিতর পড়তেন, আবার কখনো শেষ রাত্রিতে।’

আমি বললাম, ’আল্লাহু আকবার! সেই আল্লাহর প্রশংসা যিনি (দ্বীনের) ব্যাপারে প্রশস্ততা রেখেছেন।’ পুনরায় আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ’তিনি (তাহাজ্জুদের নামাযে) সশব্দে ক্বিরাআত পড়তেন, নাকি নিঃশব্দে?’ উত্তরে তিনি বললেন, ’তিনি কখনো সশব্দে পড়তেন, আবার কখনো নিঃশব্দে।’ আমি বললাম, ’আল্লাহু আকবার! সেই আল্লাহর প্রশংসা যিনি (দ্বীনের) ব্যাপারে প্রশস্ততা রেখেছেন।’

عَنْ غُضَيْفِ بْنِ الْحَارِثِ قَالَ قُلْتُ لِعَائِشَةَ أَرَأَيْتِ رَسُولَ اللهِ ﷺ كَانَ يَغْتَسِلُ مِنَ الْجَنَابَةِ فِى أَوَّلِ اللَّيْلِ أَوْ فِى آخِرِهِ قَالَتْ رُبَّمَا اغْتَسَلَ فِى أَوَّلِ اللَّيْلِ وَرُبَّمَا اغْتَسَلَ فِى آخِرِهِ قُلْتُ اللهُ أَكْبَرُ الْحَمْدُ لِلهِ الَّذِى جَعَلَ فِى الأَمْرِ سَعَةً قُلْتُ أَرَأَيْتِ رَسُولَ اللهِ ﷺ كَانَ يُوتِرُ أَوَّلَ اللَّيْلِ أَمْ فِى آخِرِهِ قَالَتْ رُبَّمَا أَوْتَرَ فِى أَوَّلِ اللَّيْلِ وَرُبَّمَا أَوْتَرَ فِى آخِرِهِ قُلْتُ اللهُ أَكْبَرُ الْحَمْدُ لِلهِ الَّذِى جَعَلَ فِى الأَمْرِ سَعَةً قُلْتُ أَرَأَيْتِ رَسُولَ اللهِ ﷺ كَانَ يَجْهَرُ بِالْقُرْآنِ أَمْ يَخْفِتُ بِهِ قَالَتْ رُبَّمَا جَهَرَ بِهِ وَرُبَّمَا خَفَتَ قُلْتُ اللهُ أَكْبَرُ الْحَمْدُ لِلهِ الَّذِى جَعَلَ فِى الأَمْرِ سَعَةً

عن غضيف بن الحارث قال قلت لعاىشة ارايت رسول الله ﷺ كان يغتسل من الجنابة فى اول الليل او فى اخره قالت ربما اغتسل فى اول الليل وربما اغتسل فى اخره قلت الله اكبر الحمد لله الذى جعل فى الامر سعة قلت ارايت رسول الله ﷺ كان يوتر اول الليل ام فى اخره قالت ربما اوتر فى اول الليل وربما اوتر فى اخره قلت الله اكبر الحمد لله الذى جعل فى الامر سعة قلت ارايت رسول الله ﷺ كان يجهر بالقران ام يخفت به قالت ربما جهر به وربما خفت قلت الله اكبر الحمد لله الذى جعل فى الامر سعة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ অতিরঞ্জন ও বাড়াবাড়ি বিষয়ক কতিপয় হাদীস

(২২৯৫) হুযাইফা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, নিজেকে লাঞ্ছিত করা কোন মুমিনের উচিত নয়। সাহাবাগণ বললেন, ’নিজেকে লাঞ্ছিত কীভাবে করে হে আল্লাহর রসূল?’ উত্তরে তিনি বললেন, সেই বিপদকে সে বহন করতে চায়, যা বহন করার ক্ষমতা সে রাখে না।

عَنْ حُذَيْفَةَ عَنْ النَّبِـيِّ ﷺ قَالَ لَا يَنْبَغِي لِمُسْلِمٍ أَنْ يُذِلَّ نَفْسَهُ قِيلَ وَكَيْفَ يُذِلُّ نَفْسَهُ (يَا رَسُوْلَ اللهِ) ؟ قَالَ يَتَعَرَّضُ مِنْ الْبَلَاءِ لِمَا لَا يُطِيْقُ

عن حذيفة عن النبـي ﷺ قال لا ينبغي لمسلم ان يذل نفسه قيل وكيف يذل نفسه (يا رسول الله) ؟ قال يتعرض من البلاء لما لا يطيق

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ অতিরঞ্জন ও বাড়াবাড়ি বিষয়ক কতিপয় হাদীস

(২২৯৬) মিহজান বিন আদরা’ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সর্বশ্রেষ্ঠ দ্বীন হল, যা (পালন করা) সবচেয়ে সহজ।

عَنْ مِـحْجَنِ بْنِ الْأَدْرَعِ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ إِنَّ خَيْـرَ دِينِكُمْ أَيْسَرُهُ

عن مـحجن بن الادرع قال قال رسول الله ﷺ ان خيـر دينكم ايسره

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ অতিরঞ্জন ও বাড়াবাড়ি বিষয়ক কতিপয় হাদীস

(২২৯৭) জাবের বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমরা মধ্যপন্থা অবলম্বন কর। যেহেতু আল্লাহ (সওয়াব দানে) বিরক্তিবোধ করবেন না, যতক্ষণ না তোমরা (আমলে) বিরক্তিবোধ করে বসবে।

عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ أيُّها النَّاسُ علَيْكمْ بالْقَصْدِ علَيْكمْ بالْقَصْدِ فَإِنّ اللهَ تَعالٰـى لَا يَمَلُّ حَتّٰـى تَمَلُّوا

عن جابر بن عبد الله قال قال رسول الله ﷺ ايها الناس عليكم بالقصد عليكم بالقصد فان الله تعالـى لا يمل حتـى تملوا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ অতিরঞ্জন ও বাড়াবাড়ি বিষয়ক কতিপয় হাদীস

(২২৯৮) আয়েশা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা (আমলে) অতিরঞ্জন ও অবজ্ঞা প্রদর্শন করো না। তোমরা সুসংবাদ নাও ও জেনে রাখ যে, তোমাদের মধ্যে কাউকেও তার আমল জান্নাতে প্রবেশ করাতে পারবে না। লোকেরা বলল, ’আপনিও কি নন? হে আল্লাহর রসূল!’ তিনি বললেন, আমিও নই। যদি না আল্লাহ আমাকে তাঁর করুণা ও অনুগ্রহ দ্বারা আচ্ছাদিত করেন। আর জেনে রেখো, আল্লাহর নিকট সবচেয়ে পছন্দনীয় আমল হল তাই, যা নিরবচ্ছিন্নভাবে করে যাওয়া হয়; যদিও তা পরিমাণে কম হয়।

عَنْ عَائِشَةَ قالت قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ سَدِّدُوا وَقَارِبُوا وَأَبْشِرُوا فَإِنَّهُ لَنْ يُدْخِلَ الْـجَنَّةَ أَحَدًا عَمَلُهُ قَالُوا وَلاَ أَنْتَ يَا رَسُولَ اللهِ؟ قَالَ وَلاَ أَنَا إِلاَّ أَنْ يَتَغَمَّدَنِـىَ اللهُ مِنْهُ بِرَحْمَةٍ وَاعْلَمُوا أَنَّ أَحَبَّ الْعَمَلِ إِلَـى اللهِ أَدْوَمُهُ وَإِنْ قَلَّ

عن عاىشة قالت قال رسول الله ﷺ سددوا وقاربوا وابشروا فانه لن يدخل الـجنة احدا عمله قالوا ولا انت يا رسول الله؟ قال ولا انا الا ان يتغمدنـى الله منه برحمة واعلموا ان احب العمل الـى الله ادومه وان قل

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ অতিরঞ্জন ও বাড়াবাড়ি বিষয়ক কতিপয় হাদীস

(২২৯৯) আবূ মূসা (রাঃ) বলেন, একদা হজ্জের উদ্দেশ্যে মক্কার পথে চলতে চলতে সাহাবাগণ জোরেশোরে তকবীর ও তসবীহ পড়ছিলেন। তা শুনে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁদেরকে বললেন, হে লোক সকল! তোমরা নিজেদের প্রতি নম্রতা প্রদর্শন কর। কেননা, তোমরা কোন বধির ও অনুপস্থিতকে ডাকছ না। তিনি তো তোমাদের সঙ্গেই রয়েছেন। তিনি সর্বশ্রোতা ও নিকটবর্তী।

عَنْ أَبِى مُوسَى قَالَ كُنَّا مَعَ النَّبِىِّ ﷺ فِى سَفَرٍ فَجَعَلَ النَّاسُ يَجْهَرُونَ بِالتَّكْبِيرِ فَقَالَ النَّبِىُّ ﷺ أَيُّهَا النَّاسُ ارْبَعُوا عَلَى أَنْفُسِكُمْ إِنَّكُمْ لَيْسَ تَدْعُونَ أَصَمَّ وَلاَ غَائِبًا إِنَّكُمْ تَدْعُونَ سَمِيعًا قَرِيبًا وَهُوَ مَعَكُمْ

عن ابى موسى قال كنا مع النبى ﷺ فى سفر فجعل الناس يجهرون بالتكبير فقال النبى ﷺ ايها الناس اربعوا على انفسكم انكم ليس تدعون اصم ولا غاىبا انكم تدعون سميعا قريبا وهو معكم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ অতিরঞ্জন ও বাড়াবাড়ি বিষয়ক কতিপয় হাদীস

(২৩০০) মুত্বার্রিফ বলেন, আমার পিতা বলেছেন, বানী আমেরের প্রতিনিধি দলের সাথে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে আমরা বললাম, ’আপনি আমাদের সাইয়িদ (সর্দার)।’ তা শুনে তিনি বললেন, ’আস-সাইয়িদ (প্রকৃত সর্দার বা প্রভু) হলেন আল্লাহ।’ তাঁরা বললেন, ’তাহলে আপনি মর্যাদায় আমাদের মধ্যে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ ও বদান্য ব্যক্তি।’ তিনি বললেন, তোমরা যা বলছ তা বল অথবা তার কিছু বল, আর শয়তান যেন তোমাদেরকে (অসঙ্গত কথা বলতে) অবশ্যই ব্যবহার না করে।

عَنْ مُطَرِّفٍ قَالَ قَالَ أَبِى انْطَلَقْتُ فِى وَفْدِ بَنِى عَامِرٍ إِلَى رَسُوْلِ اللهِ ﷺ فَقُلْنَا أَنْتَ سَيِّدُنَا فَقَالَ السَّيِّدُ اللهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى قُلْنَا وَأَفْضَلُنَا فَضْلاً وَأَعْظَمُنَا طَوْلاً فَقَالَ قُولُوا بِقَوْلِكُمْ أَوْ بَعْضِ قَوْلِكُمْ وَلاَ يَسْتَجْرِيَنَّكُمُ الشَّيْطَانُ

عن مطرف قال قال ابى انطلقت فى وفد بنى عامر الى رسول الله ﷺ فقلنا انت سيدنا فقال السيد الله تبارك وتعالى قلنا وافضلنا فضلا واعظمنا طولا فقال قولوا بقولكم او بعض قولكم ولا يستجرينكم الشيطان

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মুতাররিফ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ অতিরঞ্জন ও বাড়াবাড়ি বিষয়ক কতিপয় হাদীস

(২৩০১) উমার বিন খাত্ত্বাব (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা আমাকে নিয়ে (আমার তা’যীমে) বাড়াবাড়ি করো না, যেমন খ্রিস্টানরা ঈসা বিন মারয়্যামকে নিয়ে করেছে। আমি তো আল্লার দাস মাত্র। অতএব তোমরা আমাকে আল্লাহর দাস ও তাঁর রসূলই বলো।

عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَابِ قَالَ قَالَ النَّبِيُ ﷺ لَا تُطْرُونِي كَمَا أَطْرَتْ النَّصَارَى ابْنَ مَرْيَمَ فَإِنَّمَا أَنَا عَبْدُهُ فَقُولُوا عَبْدُ اللهِ وَرَسُوْلُهُ

عن عمر بن الخطاب قال قال النبي ﷺ لا تطروني كما اطرت النصارى ابن مريم فانما انا عبده فقولوا عبد الله ورسوله

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ অতিরঞ্জন ও বাড়াবাড়ি বিষয়ক কতিপয় হাদীস

(২৩০২) আলী (রাঃ) বলেন, আমার ব্যাপারে দুই ব্যক্তি ধ্বংস হবে। প্রথম হল, আমার ভক্তিতে সীমা অতিক্রমকারী ভক্ত এবং দ্বিতীয় হল, আমার বিদ্বেষে সীমা অতিক্রমকারী বিদ্বেষী।

-

-

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ অতিরঞ্জন ও বাড়াবাড়ি বিষয়ক কতিপয় হাদীস

(২৩০৩) আবূ উমামাহ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমার উম্মতের দুই শ্রেণীর লোক আমার সুপারিশ লাভ করতে পারবে না; বিবেকহীন অত্যাচারী রাষ্ট্রনেতা এবং প্রত্যেক সত্যত্যাগী অতিরঞ্জনকারী।

عَنْ أَبِـيْ أُمَامَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ صِنْفَانِ مِنْ أُمَّتِي لَنْ تَنَالَهُمَا شَفَاعَتِي: إِمَامٌ ظَلُومٌ، وَكُلُّ غَالٍ مَارِقٍ

عن ابـي امامة، قال: قال رسول الله ﷺ صنفان من امتي لن تنالهما شفاعتي: امام ظلوم، وكل غال مارق

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ অতিরঞ্জন ও বাড়াবাড়ি বিষয়ক কতিপয় হাদীস

(২৩০৪) আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনবার বলেছেন, ’’অতিরঞ্জনকারীরা ধ্বংস হয়েছে।’’ (আহমাদ ৩৬৫৫, মুসলিম ৬৯৫৫, আবূ দাঊদ, সহীহুল জামে’ ৭০৩৯)

عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ هَلَكَ الْمُتَنَطِّعُونَ قَالَهَا ثَلاَثًا

عن عبد الله قال قال رسول الله ﷺ هلك المتنطعون قالها ثلاثا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১৭ পর্যন্ত, সর্বমোট ১৭ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে