পরিচ্ছেদঃ নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা প্রাণীকে অভিসম্পাত করা নিষিদ্ধ

(২০৬১) আবূ যায়েদ সাবেত ইবনে যাহহাক আনসারী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি ’বায়আতে রিয্ওয়ান’ (হুদাইবিয়াহ সন্ধির সময়ে কুরাইশের বিরুদ্ধে কৃত প্রতিজ্ঞার) অন্যতম সদস্য ছিলেন; তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে ইসলাম ব্যতীত ভিন্ন ধর্মের মিথ্যা কসম খেল, তাহলে সে তেমনি হয়ে গেল, যেমন সে বলল। যে ব্যক্তি কোন বস্তু দ্বারা আত্মহত্যা করল, কিয়ামতের দিন তাকে সেই বস্তু দ্বারাই শাস্তি দেওয়া হবে। মানুষ যে জিনিসের মালিক নয়, তার মানত পূরণ করা তার পক্ষে জরুরী নয়। আর কোন মু’মিন ব্যক্তিকে অভিসম্পাত করা, তাকে হত্যা করার সমান।

عَنْ أَبِي زَيدٍ ثَابِتِ بنِ الضَّحَّاك الأَنصَارِيِّ وَهُوَ مِنْ أهلِ بَيْعَةِ الرِّضْوَانِ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَنْ حَلَفَ عَلَى يَمِينٍ بِمِلَّةٍ غَيْرِ الإِسْلاَمِ كَاذِباً مُتَعَمِّداً فَهُوَ كَمَا قَالَ وَمَنْ قَتَلَ نَفْسَهُ بِشَيءٍ، عُذِّبَ بِهِ يَومَ القِيَامَةِ، وَلَيْسَ عَلَى رَجُلٍ نَذْرٌ فِيمَا لاَ يَمْلِكُهُ وَلَعْنُ المُؤْمِنِ كَقَتْلِهِ مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ

عن ابي زيد ثابت بن الضحاك الانصاري وهو من اهل بيعة الرضوان قال : قال رسول الله ﷺ من حلف على يمين بملة غير الاسلام كاذبا متعمدا فهو كما قال ومن قتل نفسه بشيء، عذب به يوم القيامة، وليس على رجل نذر فيما لا يملكه ولعن المومن كقتله متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা প্রাণীকে অভিসম্পাত করা নিষিদ্ধ

(২০৬২) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোন মহাসত্যবাদীর জন্য অভিসম্পাতকারী হওয়া সঙ্গত নয়।

وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ لاَ يَنْبَغِي لِصِدِّيقٍ أَنْ يَكُونَ لَعَّاناً رواه مسلم

وعن ابي هريرة ان رسول الله ﷺ قال لا ينبغي لصديق ان يكون لعانا رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা প্রাণীকে অভিসম্পাত করা নিষিদ্ধ

(২০৬৩) আবূ দারদা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, অভিসম্পাত-কারীরা কিয়ামতের দিনে না সুপারিশকারী হবে, আর না সাক্ষ্যদাতা।

وَعَنْ أَبِي الدَّردَاءِ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ لاَ يَكُونُ اللَّعَّانُونَ شُفَعَاءَ وَلاَ شُهَدَاءَ يَوْمَ القِيَامَةِ رواه مسلم

وعن ابي الدرداء قال : قال رسول الله ﷺ لا يكون اللعانون شفعاء ولا شهداء يوم القيامة رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবুদ দারদা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা প্রাণীকে অভিসম্পাত করা নিষিদ্ধ

(২০৬৪) সামুরাহ ইবনে জুনদুব (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা একে অন্যের প্রতি আল্লাহর অভিশাপ, তাঁর গযব এবং জাহান্নামের আগুন দ্বারা অভিসম্পাত করো না

وَعَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ لاَ تَلاَعَنُوا بِلَعْنَةِ اللهِ وَلاَ بِغَضَبِهِ وَلاَ بِالنَّارِ رواه أَبُو داود والترمذي وقال حديث حسن صحيح

وعن سمرة بن جندب قال : قال رسول الله ﷺ لا تلاعنوا بلعنة الله ولا بغضبه ولا بالنار رواه ابو داود والترمذي وقال حديث حسن صحيح

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা প্রাণীকে অভিসম্পাত করা নিষিদ্ধ

(২০৬৫) আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মুমিন কারো মর্মে ব্যথাদানকারী (কুৎসা, অপযশ ইত্যাদি ধরে বা রটিয়ে কারো সম্ভ্রমে খোঁটাদানকারী), অভিসম্পাতকারী, অশ্লীল ও অসভ্য (চোয়াড়) হয় না।

وعَنِ ابْنِ مَسعُودٍ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ لَيْسَ المُؤْمِنُ بِالطَّعَّانِ وَلاَ اللَّعَّانِ وَلاَ الفَاحِشِ وَلاَ البَذِيِّ رَوَاهُ التَّرْمِذِيْ وَقَالَ حَدِيْثٌ حَسَنٌ

وعن ابن مسعود قال : قال رسول الله ﷺ ليس المومن بالطعان ولا اللعان ولا الفاحش ولا البذي رواه الترمذي وقال حديث حسن

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা প্রাণীকে অভিসম্পাত করা নিষিদ্ধ

(২০৬৬) আবূ দারদা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ’’বান্দা যখন কোন কিছুকে অভিশাপ করে তখন সে অভিশাপ আকাশের প্রতি উঠে যায়। কিন্তু তাকে প্রবেশ করতে না দিয়ে আকাশের দরজাসমূহকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে সেখান হতে তা পুনরায় পৃথিবীর দিকে নেমে আসে। কিন্তু তাকে আসতে না দিয়ে পৃথিবীর দরজাসমূহকেও বন্ধ করে দেওয়া হয়। অতঃপর তা ডাইনে-বামে বিচরণ করতে থাকে। পরিশেষে কোন গতিপথ না পেয়ে অভিশপ্তের দিকে ফিরে আসে। কিন্তু (যাকে অভিশাপ করা হয়েছে সে) অভিশপ্ত (সঙ্গত কারণে) অভিশাপযোগ্য না হলে তা অভিশাপকারী ঐ বান্দার দিকে ফিরে যায়।’’ (অর্থাৎ, নিজের করা অভিশাপ নিজেকেই লেগে বসে!)

وَعَنْ أَبي الدَّردَاءِ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ إِنَّ العَبْدَ إِذَا لَعَنَ شَيْئاً صَعَدَتِ اللَّعْنَةُ إِلَى السَّمَاءِ فَتُغْلَقُ أَبْوَابُ السَّمَاءِ دُونَهَا ثُمَّ تَهْبِطُ إِلَى الأَرْضِ فَتُغْلَقُ أَبْوابُهَا دُونَهَا ثُمَّ تَأخُذُ يَمِيناً وَشِمَالاً فَإِذَا لَمْ تَجِدْ مَسَاغاً رَجَعَتْ إِلَى الَّذِي لُعِنَ فَإِنْ كَانَ أَهْلاً لِذلِكَ وَإِلاَّ رَجَعَتْ إِلَى قَائِلِهَا رواه أَبُو داود

وعن ابي الدرداء قال : قال رسول الله ﷺ ان العبد اذا لعن شيىا صعدت اللعنة الى السماء فتغلق ابواب السماء دونها ثم تهبط الى الارض فتغلق ابوابها دونها ثم تاخذ يمينا وشمالا فاذا لم تجد مساغا رجعت الى الذي لعن فان كان اهلا لذلك والا رجعت الى قاىلها رواه ابو داود

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবুদ দারদা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা প্রাণীকে অভিসম্পাত করা নিষিদ্ধ

(২০৬৭) ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, একদা এক ব্যক্তি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকটে বাতাসকে অভিশাপ করল। আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা শুনে বললেন, ’’হাওয়াকে অভিশাপ করো না। কারণ, হাওয়া তো আদেশপ্রাপ্ত। (আল্লাহর তরফ থেকে যেমন আদেশ হয়, ঠিক তেমনই চলে।) আর যে ব্যক্তি কোন এমন কিছুকে অভিশাপ করে যা তার উপযুক্ত নয়। তাহলে সে ব্যক্তির উপরেই সেই অভিশাপ ফিরে যায়। (অর্থাৎ, নিজের মুখে নিজেকেই যেন সে অভিশাপ করে!)

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَجُلاً لَعَنَ الرِّيحَ وَقَالَ مُسْلِمٌ إِنَّ رَجُلاً نَازَعَتْهُ الرِّيحُ رِدَاءَهُ عَلَى عَهْدِ النَّبِىِّ ﷺ فَلَعَنَهَا - فَقَالَ النَّبِىُّ ﷺ لاَ تَلْعَنْهَا فَإِنَّهَا مَأْمُورَةٌ وَإِنَّهُ مَنْ لَعَنَ شَيْئًا لَيْسَ لَهُ بِأَهْلٍ رَجَعَتِ اللَّعْنَةُ عَلَيْهِ

عن ابن عباس ان رجلا لعن الريح وقال مسلم ان رجلا نازعته الريح رداءه على عهد النبى ﷺ فلعنها - فقال النبى ﷺ لا تلعنها فانها مامورة وانه من لعن شيىا ليس له باهل رجعت اللعنة عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা প্রাণীকে অভিসম্পাত করা নিষিদ্ধ

(২০৬৮) ইমরান ইবনে হুস্বাইন (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন সফরে ছিলেন। আনসারী এক মহিলা এক উটনীর উপর সওয়ার ছিল। সে বিরক্ত হয়ে উটনীটিকে অভিসম্পাত করতে লাগল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা শুনে (সঙ্গীদেরকে) বললেন, এ উটনীর উপরে যা কিছু আছে সব নামিয়ে নাও এবং ওকে ছেড়ে দাও। কেননা, ওটি (এখন) অভিশপ্ত। ইমরান বলেন, ’যেন আমি এখনো উঁটনীটিকে দেখছি, উটনীটি লোকদের মধ্যে চলাফেরা করছে, আর কেউ তাকে বাধা দিচ্ছে না।’

وَعَنْ عِمرَانَ بْنِ الْحُصَيْنِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ : بَيْنَمَا رَسُولُ اللهِ ﷺ فِي بَعْضِ أَسْفَارِهِ وَامْرأةٌ مِنَ الأنْصَارِ عَلَى نَاقَةٍ فَضَجِرَتْ فَلَعَنَتْهَا فَسَمِعَ ذٰلِكَ رَسُولُ اللهِ ﷺ فَقَالَ خُذُوا مَا عَلَيْهَا وَدَعُوْهَا ؛ فَإِنَّهَا مَلْعُونَةٌ قَالَ عِمْرانُ : فَكَأنِّي أَرَاهَا الآنَ تَمْشِي فِي النَّاسِ مَا يَعْرِضُ لَهَا أَحَدٌ رواه مسلم

وعن عمران بن الحصين رضي الله عنهما قال : بينما رسول الله ﷺ في بعض اسفاره وامراة من الانصار على ناقة فضجرت فلعنتها فسمع ذلك رسول الله ﷺ فقال خذوا ما عليها ودعوها ؛ فانها ملعونة قال عمران : فكاني اراها الان تمشي في الناس ما يعرض لها احد رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা প্রাণীকে অভিসম্পাত করা নিষিদ্ধ

(২০৬৯) আবূ বারযাহ নাযলাহ ইবনে উবাইদ আসলামী বলেন, একবার এক যুবতী মহিলা একটি উটনীর উপর সওয়ার ছিল। আর তার উপর লোকেদের (সহযাত্রীদের) কিছু আসবাব-পত্র ছিল। ইত্যবসরে মহিলাটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে প্রত্যক্ষ করল। আর লোকেদের জন্য পার্বত্য পথটি সংকীর্ণ বোধ হল। মহিলাটি উটনীকে (দ্রুত গতিতে চলাবার উদ্দেশ্যে) বলল, ’হাঃ! হে আল্লাহ! এর উপর অভিশাপ কর।’ তা শুনে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ঐ উটনী যেন আমাদের সাথে না থাকে, যাকে অভিশাপ করা হয়েছে। (মুসলিম ৬৭৭১-৬৭৭২)

وَعَنْ أَبِي بَرْزَةَ نَضْلَةَ بْنِ عُبَيْدٍ الأَسْلَمِيِّ قَالَ : بَيْنَمَا جَارِيَةٌ عَلَى نَاقَةٍ عَلَيْهَا بَعْضُ مَتَاعِ القَوْمِ إِذْ بَصُرَتْ بِالنَّبيِّ ﷺ وَتَضَايَقَ بِهِمُ الجَبَلُ فَقَالَتْ : حَلْ اللَّهُمَّ الْعَنْهَا فَقَالَ النَّبِيُّ ﷺ لاَ تُصَاحِبْنَا نَاقَةٌ عَلَيْهَا لَعْنَةٌ رواه مسلم

وعن ابي برزة نضلة بن عبيد الاسلمي قال : بينما جارية على ناقة عليها بعض متاع القوم اذ بصرت بالنبي ﷺ وتضايق بهم الجبل فقالت : حل اللهم العنها فقال النبي ﷺ لا تصاحبنا ناقة عليها لعنة رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা প্রাণীকে অভিসম্পাত করা নিষিদ্ধ

(২০৭০) জাবের বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা তোমাদের নিজেদের উপর, তোমাদের সন্তান-সন্ততির উপর, তোমাদের ভৃত্যদের উপর এবং তোমাদের সম্পদের উপরও বদ্দু’আ করো না। যাতে আল্লাহু তাবারাকা অতাআলার তরফ হতে এমন মুহূর্ত তোমাদের অনুকূল না হয়ে যায়, যে মুহূর্তে কিছু প্রার্থনা করলে তোমাদের জন্য তা মঞ্জুর করা হয়।

عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ لاَ تَدْعُوا عَلَى أَنْفُسِكُمْ وَلاَ تَدْعُوا عَلَى أَوْلاَدِكُمْ وَلاَ تَدْعُوا عَلَى خَدَمِكُمْ وَلاَ تَدْعُوا عَلَى أَمْوَالِكُمْ لاَ تُوَافِقُوا مِنَ اللهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى سَاعَةَ نَيْلٍ فِيهَا عَطَاءٌ فَيَسْتَجِيبَ لَكُمْ

عن جابر بن عبد الله قال قال رسول الله ﷺ لا تدعوا على انفسكم ولا تدعوا على اولادكم ولا تدعوا على خدمكم ولا تدعوا على اموالكم لا توافقوا من الله تبارك وتعالى ساعة نيل فيها عطاء فيستجيب لكم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা প্রাণীকে অভিসম্পাত করা নিষিদ্ধ

(২০৭১) আবূ হুরাইরা (রাঃ) বলেন, বলা হল, ’হে আল্লাহর রসূল! মুশরিকদের উপর বদ্দুআ করুন।’ তিনি বললেন, আমি অভিশাপকারীরূপে প্রেরিত হইনি, বরং আমি কেবল রহমত (করুণা)রূপে প্রেরিত হয়েছি।

عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ قَالَ: قِيلَ يَا رَسُولَ اللهِ ادْعُ عَلَى الْمُشْرِكِينَ، قَالَ إِنِّى لَمْ أُبْعَثْ لَعَّانًا وَإِنَّمَا بُعِثْتُ رَحْمَةً

عن ابى هريرة قال: قيل يا رسول الله ادع على المشركين، قال انى لم ابعث لعانا وانما بعثت رحمة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা প্রাণীকে অভিসম্পাত করা নিষিদ্ধ

(২০৭২) আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমি তায়েফ থেকে প্রস্থান করলাম। সে সময় আমি নিদারুন বেদনা ও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ছিলাম। ’ক্বারনুষ ষাআলিব’ (বর্তমানে আস-সাইলুল কাবীর; যা রিয়ায ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার লোকেদের মীকাত)-এ এসে পরিপূর্ণ চৈতন্যপ্রাপ্ত হই। মাথা তুলে উপর দিকে তাকিয়ে দেখি, একখণ্ড মেঘ আমাকে ছায়া করে আছে। লক্ষ্য করে দেখি তাতে জিবরীল (আঃ) রয়েছেন। তিনি আমাকে আহবান জানিয়ে বললেন, ’আপনার সম্প্রদায় আপনাকে যা বলেছে এবং আপনার প্রতি যে দুর্ব্যবহার করেছে আল্লাহ তার সবকিছুই শুনেছেন ও দেখেছেন। এক্ষণে তিনি পর্বত-নিয়ন্ত্রণকারী ফিরিশতাকে আপনার খিদমতে প্রেরণ করেছেন। আপনি ওদের ব্যাপারে তাঁকে যা ইচ্ছা নির্দেশ প্রদান করুন।’

অতঃপর পর্বত-নিয়ন্ত্রণকারী ফিরিশতা আমাকে আহবান জানিয়ে সালাম দিয়ে বললেন, ’হে মুহাম্মাদ! আপনার সম্প্রদায় আপনাকে যা বলেছে নিশ্চয় আল্লাহ তা শুনেছেন। আর আমি পর্বতের ফিরিশতা। আপনার প্রতিপালক আমাকে আপনার নিকট প্রেরণ করেছেন। আপনি ওদের ব্যাপারে আমাকে যা ইচ্ছা তাই নির্দেশ দিন। যদি আপনি চান যে, আমি মক্কার দুই পাহাড়কে একত্রিত করে ওদেরকে পিষে ধ্বংস করে দিই, তাহলে তাই হবে।’ কিন্তু আমি বললাম, ’’না, বরং আমি এই আশা করি যে, আল্লাহ ঐ জাতির পৃ’দেশ হতে এমন বংশধর সৃষ্টি করবেন; যারা একমাত্র তাঁরই ইবাদত করবে এবং তাঁর সাথে অন্য কাউকে শরীক করবে না।

عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: قَالَ رَسُوْل الله ﷺ فَانْطَلَقْتُ وَأَنَا مَهْمُومٌ عَلَى وَجْهِى فَلَمْ أَسْتَفِقْ إِلاَّ بِقَرْنِ الثَّعَالِبِ فَرَفَعْتُ رَأْسِى فَإِذَا أَنَا بِسَحَابَةٍ قَدْ أَظَلَّتْنِى فَنَظَرْتُ فَإِذَا فِيهَا جِبْرِيلُ فَنَادَانِى فَقَالَ إِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ قَدْ سَمِعَ قَوْلَ قَوْمِكَ لَكَ وَمَا رَدُّوا عَلَيْكَ وَقَدْ بَعَثَ إِلَيْكَ مَلَكَ الْجِبَالِ لِتَأْمُرَهُ بِمَا شِئْتَ فِيهِمْ قَالَ فَنَادَانِى مَلَكُ الْجِبَالِ وَسَلَّمَ عَلَىَّ ثُمَّ قَالَ يَا مُحَمَّدُ إِنَّ اللهَ قَدْ سَمِعَ قَوْلَ قَوْمِكَ لَكَ وَأَنَا مَلَكُ الْجِبَالِ وَقَدْ بَعَثَنِى رَبُّكَ إِلَيْكَ لِتَأْمُرَنِى بِأَمْرِكَ فَمَا شِئْتَ إِنْ شِئْتَ أَنْ أُطْبِقَ عَلَيْهِمُ الأَخْشَبَيْنِ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللهِ ﷺ بَلْ أَرْجُو أَنْ يُخْرِجَ اللهُ مِنْ أَصْلاَبِهِمْ مَنْ يَعْبُدُ اللهَ وَحْدَهُ لاَ يُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا

عن عاىشة قالت: قال رسول الله ﷺ فانطلقت وانا مهموم على وجهى فلم استفق الا بقرن الثعالب فرفعت راسى فاذا انا بسحابة قد اظلتنى فنظرت فاذا فيها جبريل فنادانى فقال ان الله عز وجل قد سمع قول قومك لك وما ردوا عليك وقد بعث اليك ملك الجبال لتامره بما شىت فيهم قال فنادانى ملك الجبال وسلم على ثم قال يا محمد ان الله قد سمع قول قومك لك وانا ملك الجبال وقد بعثنى ربك اليك لتامرنى بامرك فما شىت ان شىت ان اطبق عليهم الاخشبين فقال له رسول الله ﷺ بل ارجو ان يخرج الله من اصلابهم من يعبد الله وحده لا يشرك به شيىا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা প্রাণীকে অভিসম্পাত করা নিষিদ্ধ

(২০৭৩) আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তুফাইল বিন আমর আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললেন, ’হে আল্লাহর রসূল! দাওস গোত্র অবাধ্য এবং ইসলাম গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছে। আপনি তাদের উপর বদ্দুআ করুন।’ এ কথার পর লোকেরা ভাবল যে, তিনি এবার তাদের উপর বদ্দুআ করবেন। কিন্তুতিনি দু’আ করে বললেন, ’’হে আল্লাহ! তুমি দাওস গোত্রকে হেদায়াত কর এবং তাদেরকে (আমার নিকট) আনয়ন কর।

عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ قَالَ قَدِمَ الطُّفَيْلُ وَأَصْحَابُهُ فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ دَوْسًا قَدْ كَفَرَتْ وَأَبَتْ فَادْعُ اللهَ عَلَيْهَا فَقِيلَ هَلَكَتْ دَوْسٌ فَقَالَ اللَّهُمَّ اهْدِ دَوْسًا وَائْتِ بِهِمْ

عن ابى هريرة قال قدم الطفيل واصحابه فقالوا يا رسول الله ان دوسا قد كفرت وابت فادع الله عليها فقيل هلكت دوس فقال اللهم اهد دوسا واىت بهم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১৩ পর্যন্ত, সর্বমোট ১৩ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে