পরিচ্ছেদঃ যুগের মানুষ খারাপ হলে অথবা ধর্মীয় ব্যাপারে ফিতনার আশঙ্কা হলে অথবা হারাম ও সন্দিহান জিনিসে পতিত হওয়ার ভয় হলে অথবা অনুরূপ কোন কারণে নির্জনতা অবলম্বন করা উত্তম।

আল্লাহ তাআলা বলেন,

فَفِرُّوا إِلَى اللهِ إنِّي لَكُمْ مِنْهُ نَذِيرٌ مُبِينٌ

অর্থাৎ, সুতরাং তোমরা আল্লাহর দিকে পলায়ন কর; নিশ্চয় আমি তাঁর পক্ষ হতে তোমাদের জন্য স্পষ্ট সতর্ককারী। (সূরা যারিয়াহ ৫০)


(১৮৯১) সা’দ ইবনে আবী অক্কাস (রাঃ) বলেন, আমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা ঐ বান্দাকে ভালোবাসেন, যে পরহেযগার (সংযমশীল), অমুখাপেক্ষী ও আত্মগোপনকারী।

وَعَن سَعدِ بنِ أَبي وَقَّاصٍ قَالَ : سَمِعْتُ رَسُول الله ﷺ يَقُولُإنَّ الله يُحِبُّ الْعَبْدَ التَّقِيَّ الغَنِيّ الْخَفِيَّ رواه مسلم

وعن سعد بن ابي وقاص قال : سمعت رسول الله ﷺ يقولان الله يحب العبد التقي الغني الخفي رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১৯/ ফিতনা

পরিচ্ছেদঃ যুগের মানুষ খারাপ হলে অথবা ধর্মীয় ব্যাপারে ফিতনার আশঙ্কা হলে অথবা হারাম ও সন্দিহান জিনিসে পতিত হওয়ার ভয় হলে অথবা অনুরূপ কোন কারণে নির্জনতা অবলম্বন করা উত্তম।

(১৮৯২) আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করল, ’হে আল্লাহর রসূল! কোন্ ব্যক্তি সর্বোত্তম?’ তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম), ঐ মু’মিন যে আল্লাহর পথে তার জান ও মাল দিয়ে যুদ্ধ করে। সে বলল, ’তারপর কে?’ তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম), ’’তারপর ঐ ব্যক্তি যে কোন গিরিপথে নির্জনে নিজ প্রতিপালকের ইবাদত করে।

অন্য এক বর্ণনায় আছে, যে আল্লাহকে ভয় করে এবং লোকেদেরকে নিজের মন্দ আচরণ থেকে নিরাপদে রাখে।

وَعَن أَبِي سَعِيدٍ الخُدْرِي قَالَ : قَالَ رَجُلٌ : أيُّ النَّاسِ أفْضَلُ يَا رَسُولَ اللهِ ؟ قَالَمُؤْمِنٌ مُجَاهِدٌ بِنَفْسِهِ وَمَالِهِ في سَبيلِ اللهِ قَالَ : ثُمَّ مَنْ ؟ قَالَثُمَّ رَجُلٌ مُعْتَزِلٌ فِي شِعْبٍ مِنَ الشِّعَابِ يَعْبُدُ رَبَّهُ وَفِيْ رِوَايَةٍيَتَّقِي اللهَ وَيَدَعُ النَّاسَ مِنْ شَرِّهِ متفقٌ عليه

وعن ابي سعيد الخدري قال : قال رجل : اي الناس افضل يا رسول الله ؟ قالمومن مجاهد بنفسه وماله في سبيل الله قال : ثم من ؟ قالثم رجل معتزل في شعب من الشعاب يعبد ربه وفي روايةيتقي الله ويدع الناس من شره متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১৯/ ফিতনা

পরিচ্ছেদঃ যুগের মানুষ খারাপ হলে অথবা ধর্মীয় ব্যাপারে ফিতনার আশঙ্কা হলে অথবা হারাম ও সন্দিহান জিনিসে পতিত হওয়ার ভয় হলে অথবা অনুরূপ কোন কারণে নির্জনতা অবলম্বন করা উত্তম।

(১৮৯৩) উক্ত রাবী (রাঃ) থেকেই বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সত্বর এমন এক সময় আসবে যে, ছাগল-ভেঁড়াই মুসলিমের সর্বোত্তম মাল হবে; যা নিয়ে সে ফিতনা থেকে তার দ্বীনকে বাঁচানোর জন্য পাহাড়-চূড়ায় এবং বৃষ্টিবহুল (অর্থাৎ, তৃণবহুল) স্থানে পলায়ন করবে।

وَعَنهُ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ يُوشِكُ أنْ يَكُونَ خَيْرَ مَالِ المُسْلِمِ غَنَمٌ يَتَّبِعُ بِهَا شَعَفَ الجِبَالِ وَمَواقعَ الْقَطْر يَفِرُّ بِدينِهِ مِنَ الفِتَنِ رواه البخاري

وعنه قال : قال رسول الله ﷺ يوشك ان يكون خير مال المسلم غنم يتبع بها شعف الجبال ومواقع القطر يفر بدينه من الفتن رواه البخاري

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১৯/ ফিতনা

পরিচ্ছেদঃ যুগের মানুষ খারাপ হলে অথবা ধর্মীয় ব্যাপারে ফিতনার আশঙ্কা হলে অথবা হারাম ও সন্দিহান জিনিসে পতিত হওয়ার ভয় হলে অথবা অনুরূপ কোন কারণে নির্জনতা অবলম্বন করা উত্তম।

(১৮৯৪) আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তাআলা এমন কোন নবী প্রেরণ করেননি, যিনি বকরী চরাননি। তাঁর সাহাবীগণ বললেন, ’আর আপনিও?’ তিনি বললেন, হ্যাঁ! আমিও কয়েক ক্বীরাত্বের বিনিময়ে মক্কাবাসীদের বকরী চরাতাম।

وَعَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ مَا بَعَثَ اللهُ نَبِيّاً إِلاَّ رَعَى الْغَنَمَ فَقَالَ أصْحَابُهُ : وأنْتَ ؟ قَالَ نَعَمْ كُنْتُ أرْعَاهَا عَلَى قَرَارِيطَ لأَهْلِ مَكَّةَ رواه البخاري

وعن ابي هريرة عن النبي ﷺ قال ما بعث الله نبيا الا رعى الغنم فقال اصحابه : وانت ؟ قال نعم كنت ارعاها على قراريط لاهل مكة رواه البخاري

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১৯/ ফিতনা

পরিচ্ছেদঃ যুগের মানুষ খারাপ হলে অথবা ধর্মীয় ব্যাপারে ফিতনার আশঙ্কা হলে অথবা হারাম ও সন্দিহান জিনিসে পতিত হওয়ার ভয় হলে অথবা অনুরূপ কোন কারণে নির্জনতা অবলম্বন করা উত্তম।

(১৮৯৫) উক্ত রাবী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, লোকেদের মধ্যে সর্বোত্তম জীবন সেই ব্যক্তির, যে আল্লাহর পথে তার ঘোড়ার লাগাম ধরে আছে। যখনই সে যুদ্ধের ভয়ানক শব্দ শোনে, তখনই সেখানে তার পিঠে চড়ে দ্রুতগতিতে পৌঁছে যায়। দ্রুতগতিতে পৌঁছে সে হত্যা অথবা মৃত্যুর সম্ভাব্য জায়গাগুলো খোঁজ করে। অথবা সর্বোত্তম জীবন সেই ব্যক্তির, যে কতিপয় ছাগল-ভেঁড়া নিয়ে কোন পাহাড়-চূড়ায় কিংবা কোন উপত্যকার মাঝে বসবাস করে। সেখানে সে তার নিকট মৃত্যু আসা পর্যন্ত নামায কায়েম করে, যাকাত প্রদান করে এবং নিজ প্রতিপালকের ইবাদত করে। লোকেদের মধ্যে এ ব্যক্তি উত্তম অবস্থায় রয়েছে।

وَعَنهُ عَن رَسُولِ الله ﷺ أنَّه قَالَمِنْ خَيْرِ مَعَاشِ النَّاسِ لَهُم رَجُلٌ مُمْسِكٌ عِنَانَ فَرَسِهِ فِي سَبيلِ الله، يَطيرُ عَلَى مَتْنِهِ كُلَّمَا سَمِعَ هَيْعَةً أَوْ فَزعَةً طَارَ عَلَيْهِ يَبْتَغِي القَتْلَ أَوْ المَوْتَ مَظَانَّه أَوْ رَجُلٌ فِي غُنَيمَةٍ في رَأسِ شَعَفَةٍ مِنْ هذِهِ الشَّعَفِ أَوْ بَطنِ وَادٍ مِنْ هذِهِ الأَوْدِيَةِ يُقِيمُ الصَّلاَةَ وَيُؤتِي الزَّكَاةَ وَيَعْبُدُ رَبَّهُ حَتَّى يأتِيَهُ اليَقِينُ لَيْسَ مِنَ النَّاسِ إِلاَّ فِي خَيْرٍ رواه مسلم

وعنه عن رسول الله ﷺ انه قالمن خير معاش الناس لهم رجل ممسك عنان فرسه في سبيل الله، يطير على متنه كلما سمع هيعة او فزعة طار عليه يبتغي القتل او الموت مظانه او رجل في غنيمة في راس شعفة من هذه الشعف او بطن واد من هذه الاودية يقيم الصلاة ويوتي الزكاة ويعبد ربه حتى ياتيه اليقين ليس من الناس الا في خير رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১৯/ ফিতনা
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৫ পর্যন্ত, সর্বমোট ৫ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে