পরিচ্ছেদঃ অনুসরণের নমুনা

(১৫১২) আবূ সাঈদ খুদরী কর্তৃক বর্ণিত, একদা নামায পড়তে পড়তে জিবরীল (আঃ) মারফৎ মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর জুতায় নাপাকী লেগে থাকার সংবাদ পেলে তিনি তা খুলে ফেলে বাম দিকে রাখলেন। তা দেখে সাহাবাগণ সকলে নিজ নিজ জুতা খুলে ফেললেন। নামায শেষে তিনি তাঁদের উদ্দেশ্যে বললেন, ’’তোমাদেরকে তোমাদের জুতা খুলে ফেলতে কে উদ্বুদ্ধ করল?’’ তাঁরা বললেন, ’আমরা দেখলাম, আপনি আপনার জুতা খুলে ফেলেছেন, তাই আমরাও আমাদের জুতা খুলে ফেললাম।’ তিনি বললেন, ’’জিবরীল আমাকে খবর দিলেন যে, তাতে নাপাকী লেগে আছে’’ (তাই আমি খুলে ফেলেছিলাম। তোমাদের জুতায় নাপাকী না থাকলে তা খুলে ফেলা জরুরী ছিল না।)

عَنْ أَبِى سَعِيدٍ الْخُدْرِىِّ قَالَ بَيْنَمَا رَسُولُ اللهِ ﷺ يُصَلِّى بِأَصْحَابِهِ إِذْ خَلَعَ نَعْلَيْهِ فَوَضَعَهُمَا عَنْ يَسَارِهِ فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ الْقَوْمُ أَلْقَوْا نِعَالَهُمْ فَلَمَّا قَضَى رَسُولُ اللهِ ﷺ صَلاَتَهُ قَالَ مَا حَمَلَكُمْ عَلَى إِلْقَائِكُمْ نِعَالَكُمْ قَالُوا رَأَيْنَاكَ أَلْقَيْتَ نَعْلَيْكَ فَأَلْقَيْنَا نِعَالَنَا فَقَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ إِنَّ جِبْرِيلَ ﷺ أَتَانِى فَأَخْبَرَنِى أَنَّ فِيهِمَا قَذَرًا

عن ابى سعيد الخدرى قال بينما رسول الله ﷺ يصلى باصحابه اذ خلع نعليه فوضعهما عن يساره فلما راى ذلك القوم القوا نعالهم فلما قضى رسول الله ﷺ صلاته قال ما حملكم على القاىكم نعالكم قالوا رايناك القيت نعليك فالقينا نعالنا فقال رسول الله ﷺ ان جبريل ﷺ اتانى فاخبرنى ان فيهما قذرا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১৩/ সুন্নাহ

পরিচ্ছেদঃ অনুসরণের নমুনা

(১৫১৩) আব্দুল্লাহ বিন সারজিস বলেন, আমি দেখেছি, একদা উমার (রাঃ) হাজারে আসওয়াদকে চুম্বন দেওয়ার সময় বলেছিলেন, ’আল্লাহর কসম! আমি তোমাকে চুমা দিচ্ছি। অথচ আমি জানি যে, তুমি কোন উপকার করতে পার না, অপকারও না। তবে যদি আমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে চুম্বন দিতে না দেখতাম, তাহলে আমি তোমাকে চুম্বন দিতাম না।’

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ سَرْجِسَ قَالَ رَأَيْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ - يُقَبِّلُ الْحَجَرَ وَيَقُولُ: وَاللهِ إِنِّى لأُقَبِّلُكَ وَإِنِّى أَعْلَمُ أَنَّكَ حَجَرٌ وَأَنَّكَ لاَ تَضُرُّ وَلاَ تَنْفَعُ وَلَوْلاَ أَنِّى رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَبَّلَكَ مَا قَبَّلْتُكَ

عن عبد الله بن سرجس قال رايت عمر بن الخطاب - يقبل الحجر ويقول: والله انى لاقبلك وانى اعلم انك حجر وانك لا تضر ولا تنفع ولولا انى رايت رسول الله ﷺ قبلك ما قبلتك

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১৩/ সুন্নাহ

পরিচ্ছেদঃ অনুসরণের নমুনা

(১৫১৪) জাবের (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিতত, একদা জুমআর দিন আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুতবা দেওয়ার জন্য খাড়া হলেন। এমন সময় আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) মসজিদে এলেন। তিনি সকলকে বসতে আদেশ করলে তা শুনেই ইবনে মাসঊদ (রাঃ) দরজার উপরেই বসে গেলেন। তা দেখে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বললেন, (ভিতরে) এস হে আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ!

عَنْ جَابِرٍ قَالَ لَمَّا اسْتَوَى رَسُولُ اللهِ ﷺ يَوْمَ الْجُمُعَةِ قَالَ اجْلِسُوا فَسَمِعَ ذَلِكَ ابْنُ مَسْعُودٍ فَجَلَسَ عَلَى بَابِ الْمَسْجِدِ فَرَآهُ رَسُولُ اللهِ ﷺ فَقَالَ تَعَالَ يَا عَبْدَ اللهِ بْنَ مَسْعُودٍ

عن جابر قال لما استوى رسول الله ﷺ يوم الجمعة قال اجلسوا فسمع ذلك ابن مسعود فجلس على باب المسجد فراه رسول الله ﷺ فقال تعال يا عبد الله بن مسعود

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১৩/ সুন্নাহ

পরিচ্ছেদঃ অনুসরণের নমুনা

(১৫১৫) বারা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে এক ব্যক্তি আসরের নামায পড়ে কতিপয় আনসারদের নিকট দিয়ে পার হয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি তাদেরকে বাইতুল মাক্বদেসের দিকে মুখ করে নামায পড়তে দেখে কসম খেয়ে বললেন যে, ’তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে নামায পড়ে আসছেন, আর (কিবলা পরিবর্তন করে) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মুখ কা’বার দিকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’ তাঁরা এই সংবাদ শুনেই আসরের নামাযের রুকুর অবস্থাতেই কা’বার দিকে ঘুরে পড়লেন।

عَنْ الْبَرَاءِ َأَنَّ النبي ﷺ صَلَّى أَوَّلَ صَلَاةٍ قِبل مكة صَلَاةَ الْعَصْرِ وَصَلَّى مَعَهُ قَوْمٌ فَخَرَجَ رَجُلٌ مِمَّنْ صَلَّى مَعَهُ فَمَرَّ عَلَى أَهْلِ مَسْجِدٍ وَهُمْ رَاكِعُونَ فَقَالَ أَشْهَدُ بِاللهِ لَقَدْ صَلَّيْتُ مَعَ رَسُولِ اللهِ ﷺ قِبَلَ مَكَّةَ فَدَارُوا كَمَا هُمْ قِبَلَ الْبَيْتِ

عن البراء ان النبي ﷺ صلى اول صلاة قبل مكة صلاة العصر وصلى معه قوم فخرج رجل ممن صلى معه فمر على اهل مسجد وهم راكعون فقال اشهد بالله لقد صليت مع رسول الله ﷺ قبل مكة فداروا كما هم قبل البيت

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১৩/ সুন্নাহ

পরিচ্ছেদঃ অনুসরণের নমুনা

(১৫১৬) হুদাইবিয়্যার সন্ধির সময় মক্কার কুরাইশদের প্রতিনিধি দল ও মুসলিমদের মাঝে কথাবার্তা ও টানাপোড়েন চলছিল। সেই অবস্থায় উরওয়াহ বিন মাসঊদ সাক্বাফী মুসলিমদের আচরণ সচক্ষে দর্শন করছিলেন। মুসলিমরা তাঁদের নবীর সাথে কী ব্যবহার করছে, তা তিনি সন্তর্পণে লক্ষ্য করছিলেন। তিনি বলেন, ’আল্লাহর কসম! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কফ ফেলতেই তা ওদের কারো হাতে পড়ছিল এবং সে তা নিয়ে নিজের চেহারা ও চামড়ায় মেখে নিচ্ছিল। তিনি কোন আদেশ করলে তারা তাঁর আদেশ পালনে তৎপর ছিল। তিনি উযূ করলে তাঁর উযূর পানি নেওয়ার জন্য মারামারি করছিল। তিনি কথা বললে তারা নিজেদের আওয়াজ তাঁর কাছে নিচু ক’রে নিচ্ছিল। অতি সমীহতে তাঁর প্রতি তারা এক দৃষ্টে তাকাচ্ছিল না।’

উরওয়াহ নিজ সঙ্গীদের কাছে ফিরে এসে বললেন, হে আমার সম্প্রদায়! অনেক রাজা-বাদশার দরবারে গেছি, ক্বাইসার, কিসরা ও নাজাশীর দরবারে গেছি। কিন্তু আল্লাহর কসম! কোন রাজাকে দেখিনি, তার প্রজারা তাকে তেমন সমীহ করে, যেমন সমীহ করে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অনুসারীরা মুহাম্মাদের!

ثُمَّ إِنَّ عُرْوَةَ جَعَلَ يَرْمُقُ أَصْحَابَ النَّبِيِّ ﷺ بِعَيْنَيْهِ قَالَ فَوَاللهِ مَا تَنَخَّمَ رَسُولُ اللهِ ﷺ نُخَامَةً إِلَّا وَقَعَتْ فِي كَفِّ رَجُلٍ مِنْهُمْ فَدَلَكَ بِهَا وَجْهَهُ وَجِلْدَهُ وَإِذَا أَمَرَهُمْ ابْتَدَرُوا أَمْرَهُ وَإِذَا تَوَضَّأَ كَادُوا يَقْتَتِلُونَ عَلَى وَضُوئِهِ وَإِذَا تَكَلَّمَ خَفَضُوا أَصْوَاتَهُمْ عِنْدَهُ وَمَا يُحِدُّونَ إِلَيْهِ النَّظَرَ تَعْظِيمًا لَهُ فَرَجَعَ عُرْوَةُ إِلَى أَصْحَابِهِ فَقَالَ أَيْ قَوْمِ وَاللهِ لَقَدْ وَفَدْتُ عَلَى الْمُلُوكِ وَوَفَدْتُ عَلَى قَيْصَرَ وَكِسْرَى وَالنَّجَاشِيِّ وَاللهِ إِنْ رَأَيْتُ مَلِكًا قَطُّ يُعَظِّمُهُ أَصْحَابُهُ مَا يُعَظِّمُ أَصْحَابُ مُحَمَّدٍ مُحَمَّدًاﷺ

ثم ان عروة جعل يرمق اصحاب النبي ﷺ بعينيه قال فوالله ما تنخم رسول الله ﷺ نخامة الا وقعت في كف رجل منهم فدلك بها وجهه وجلده واذا امرهم ابتدروا امره واذا توضا كادوا يقتتلون على وضوىه واذا تكلم خفضوا اصواتهم عنده وما يحدون اليه النظر تعظيما له فرجع عروة الى اصحابه فقال اي قوم والله لقد وفدت على الملوك ووفدت على قيصر وكسرى والنجاشي والله ان رايت ملكا قط يعظمه اصحابه ما يعظم اصحاب محمد محمداﷺ

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১৩/ সুন্নাহ

পরিচ্ছেদঃ অনুসরণের নমুনা

(১৫১৭) খুযাইমা বিন সাবেত (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, একদা মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাওয়া বিন কাইস মুহারেবী বেদুঈনের নিকট থেকে একটি ঘোড়া কিনলেন। কিন্তু সে ঐ বিক্রয়ের কথা অস্বীকার করে এবং বলে, তুমি যদি আমার কাছে ঘোড়া কিনেছ, তাহলে সাক্ষী উপস্থিত কর। এ কথা শুনে খুযাইমাহ বিন সাবেত সাহাবী তাঁর সপক্ষে সাক্ষি দিয়ে বললেন, এই ঘোড়া তোমার নিকট থেকে উনি খরীদ করেছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বললেন, তুমি তো আমাদের ঘোড়া ক্রয়-বিক্রয়ের সময় উপস্থিত ছিলে না, তাহলে সাক্ষি দিলে কীভাবে? তিনি বললেন, আপনি যা বলেন, তাতেই আমি আপনাকে সত্যবাদী বলে জানি। আরো জানি যে আপনি কখনো মিথ্যা বলবেন না।’ মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’যে ব্যক্তির সপক্ষে অথবা বিপক্ষে খুযাইমাহ সাক্ষিয দেবে, সাক্ষির জন্য সে একাই যথেষ্ট।’’ আর তখন থেকেই তাঁর উপাধি পড়ে গেল ’দ্বিগুণ সাক্ষি-ওয়ালা’ সাহাবী।

عَنْ خُزَيْمَةَ بْنِ ثَابِتٍ : أَنَّ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِبْتَاعَ مِنْ سَوَاء بْنِ الْحَارِثِ الْمُحَارَبِيْ فَرَسًا فَجَحَدَهُ فَشَهِدَ لَهُ خُزَيْمَةُ بَنِ ثَابِتٍ فَقَالَ لَهُ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : مَا حَمَلَكَ عَلى الشَّهَادَةِ وَ لَمْ تَكُنْ مَعَهُ ؟ قَالَ : صَدَقْتَ يَا رَسُولَ اللهِ وَ لَكِنَّ صَدَقْتَكَ بِمَا قُلْتَ وَ عَرَفْتَ أَنَّكَ لَا تَقُوْلُ إِلَّا حَقًّا فَقَالَ : مَنْ شَهِدَ لَهُ خُزَيْمَةَ وَ أَشْهَدَ عَلَيْهِ فَحَسْبُهُ فَجَعَلَ رَسُولُ اللهِ ﷺ شَهَادَةَ خُزَيْمَةَ بِشَهَادَةِ رَجُلَيْنِ

عن خزيمة بن ثابت : ان رسول الله صلى الله عليه وسلم ابتاع من سواء بن الحارث المحاربي فرسا فجحده فشهد له خزيمة بن ثابت فقال له رسول الله صلى الله عليه وسلم : ما حملك على الشهادة و لم تكن معه ؟ قال : صدقت يا رسول الله و لكن صدقتك بما قلت و عرفت انك لا تقول الا حقا فقال : من شهد له خزيمة و اشهد عليه فحسبه فجعل رسول الله ﷺ شهادة خزيمة بشهادة رجلين

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১৩/ সুন্নাহ

পরিচ্ছেদঃ অনুসরণের নমুনা

(১৫১৮) আনাস (রাঃ) বলেন, একদা তিনি সাহাবাদেরকে দেখলেন, তাঁরা খেজুর মোছার পরাগ-মিলন সাধন করছেন; অর্থাৎ, ষাঁড়া গাছের মোছা নিয়ে মাদা গাছের মোছার সাথে বেঁধে দিচ্ছেন। তিনি বললেন, আমার মনে হয় ঐরূপ করাতে কোন লাভ নেই। ঐরূপ না করলেও খেজুর ফলবে।’’ তাঁর এ মন্তব্য শুনে সাহাবাগণ তা ত্যাগ করলেন। কিন্তু খেজুর ফলার সময় দেখা গেল, খেজুর পরিপুষ্ট হয়নি; ফলে তার ফলনও ভালো হয়নি। তিনি তা দেখে বললেন, ’’কী ব্যাপার, তোমাদের খেজুরের ফলন নেই কেন?’’ তাঁরা বললেন, যেহেতু আপনি পরাগ-মিলন ঘটাতে নিষেধ করেছিলেন, সেহেতু তা না করার ফলে ফলন কম হয়েছে। তিনি বললেন, ’’আমি ওটা ধারণা করে বলেছিলাম। তোমরা তোমাদের পার্থিব বিষয় সম্পর্কে অধিক জ্ঞান রাখ। অতএব তা ভালো হলে, তোমরা তা করতে পার।

عَنْ أَنَسٍ أَنَّ النَّبِىَّ ﷺ مَرَّ بِقَوْمٍ يُلَقِّحُونَ فَقَالَ لَوْ لَمْ تَفْعَلُوا لَصَلُحَ قَالَ فَخَرَجَ شِيصًا فَمَرَّ بِهِمْ فَقَالَ مَا لِنَخْلِكُمْ قَالُوا قُلْتَ كَذَا وَكَذَا قَالَ أَنْتُمْ أَعْلَمُ بِأَمْرِ دُنْيَاكُمْ

عن انس ان النبى ﷺ مر بقوم يلقحون فقال لو لم تفعلوا لصلح قال فخرج شيصا فمر بهم فقال ما لنخلكم قالوا قلت كذا وكذا قال انتم اعلم بامر دنياكم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১৩/ সুন্নাহ

পরিচ্ছেদঃ অনুসরণের নমুনা

(১৫১৯) আনাস (রাঃ) বলেন, খায়বারের দিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট জনৈক ব্যক্তি এসে বলল, গাধাগুলিকে খেয়ে নেওয়া হচ্ছে! রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চুপ থাকলেন। দ্বিতীয় বার পুনরায় এসে বলল, ’গাধাগুলি খেয়ে নেওয়া হচ্ছে।’ তিনি চুপ থাকলেন। তৃতীয় বার এসে বলল, ’গাধাগুলি শেষ করে দেওয়া হচ্ছে।’ অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একজন ঘোষণাকারীকে এই কথা ঘোষণা করার আদেশ করলেন, ’’আল্লাহ তাআলা ও তাঁর রাসূল তোমাদেরকে গৃহপালিত গাধার মাংস খেতে নিষেধ করছেন।’’ এই ঘোষণা শোনামাত্র ফুটন্ত হাঁড়ির মাংস মাটিতে ঢেলে দেওয়া হল।

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ جَاءَهُ جَاءٍ فَقَالَ أُكِلَتْ الْحُمُرُ فَسَكَتَ ثُمَّ أَتَاهُ الثَّانِيَةَ فَقَالَ أُكِلَتْ الْحُمُرُ فَسَكَتَ ثُمَّ أَتَاهُ الثَّالِثَةَ فَقَالَ أُفْنِيَتْ الْحُمُرُ فَأَمَرَ مُنَادِيًا فَنَادَى فِي النَّاسِ إِنَّ اللهَ وَرَسُولَهُ يَنْهَيَانِكُمْ عَنْ لُحُومِ الْحُمُرِ الْأَهْلِيَّةِ فَأُكْفِئَتْ الْقُدُورُ وَإِنَّهَا لَتَفُورُ بِاللَّحْمِ

عن انس بن مالك رضي الله عنه ان رسول الله ﷺ جاءه جاء فقال اكلت الحمر فسكت ثم اتاه الثانية فقال اكلت الحمر فسكت ثم اتاه الثالثة فقال افنيت الحمر فامر مناديا فنادى في الناس ان الله ورسوله ينهيانكم عن لحوم الحمر الاهلية فاكفىت القدور وانها لتفور باللحم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১৩/ সুন্নাহ

পরিচ্ছেদঃ অনুসরণের নমুনা

(১৫২০) ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, একদা আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তির হাতে সোনার আংটি দেখলেন। তিনি তার হাত হতে তা খুলে ছুঁড়ে ফেলে দিলেন এবং বললেন, ’’তোমাদের কেউ কি ইচ্ছাকৃত দোযখের আঙ্গারকে হাতে নিয়ে ব্যবহার করে? অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চলে গেলে লোকটিকে বলা হল, ’তোমার আংটিটা কুড়িয়ে নিয়ে অন্য কাজে লাগাও। (অথবা তা বিক্রয় করে মূল্যটা কাজে লাগাও।)’ কিন্তু লোকটি বলল, ’আল্লাহর কসম! আমি আর কক্ষনো তা গ্রহণ করব না, যা আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছেন।

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ رَأَى خَاتَمًا مِنْ ذَهَبٍ فِى يَدِ رَجُلٍ فَنَزَعَهُ فَطَرَحَهُ وَقَالَ يَعْمِدُ أَحَدُكُمْ إِلَى جَمْرَةٍ مِنْ نَارٍ فَيَجْعَلُهَا فِى يَدِهِ فَقِيلَ لِلرَّجُلِ بَعْدَ مَا ذَهَبَ رَسُولُ اللهِ ﷺ خُذْ خَاتَمَكَ انْتَفِعْ بِهِ قَالَ لاَ وَاللهِ لاَ آخُذُهُ أَبَدًا وَقَدْ طَرَحَهُ رَسُولُ اللهِ ﷺ

عن عبد الله بن عباس ان رسول الله ﷺ راى خاتما من ذهب فى يد رجل فنزعه فطرحه وقال يعمد احدكم الى جمرة من نار فيجعلها فى يده فقيل للرجل بعد ما ذهب رسول الله ﷺ خذ خاتمك انتفع به قال لا والله لا اخذه ابدا وقد طرحه رسول الله ﷺ

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১৩/ সুন্নাহ

পরিচ্ছেদঃ অনুসরণের নমুনা

(১৫২১) আবূ জুহাইফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি মাংস মিশ্রিত সারীদ খেয়ে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামনে ঢেকুর তুললে তিনি তাঁকে বললেন, ’’আমাদের সামনে তোমার ঢেকুর তোলা বন্ধ কর। পার্থিব জীবনে যে বেশী পরিতৃপ্ত হয়, কিয়ামতের দিনে সে বেশী ক্ষুধার্ত হবে।’’ এ হাদীস শোনার পর তিনি মরণকাল পর্যন্ত কোনদিন পেট পুরে খানা খাননি। তিনি রাতের খাবার খেলে, দুপুরের খাবার খেতেন না এবং দুপুরের খাবার খেলে আর রাতের খাবার খেতেন না।

عَنْ أَبِيْ جُحَيْفَةَ قَالَ أَكَلَتْ ثَرِيْدَة بِلَحْمٍ سَمِيْنٍ فَأَتَيْتُ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا أَتَجَشَّأ فَقَالَ اكْفُفْ عَلَيْكَ جُشَاءَكَ أَبَا جُحَيْفَةَ فَإِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ شُبَعًا فِي الدُّنْيَا أَطْوَلُهُمْ جُوْعًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَمَا أَكَلَ أَبُوْ جُحَيْفَةَ مِلْءَ بَطْنِهِ حَتَّى فَارَقَ الدُّنْيَا كاَنَ إِذَا تَغَدَّى لَا يَتَعَشَّى وَإِذَا تَعَشَّى لَايَتَغَدَّى

عن ابي جحيفة قال اكلت ثريدة بلحم سمين فاتيت رسول الله صلى الله عليه وسلم وانا اتجشا فقال اكفف عليك جشاءك ابا جحيفة فان اكثر الناس شبعا في الدنيا اطولهم جوعا يوم القيامة فما اكل ابو جحيفة ملء بطنه حتى فارق الدنيا كان اذا تغدى لا يتعشى واذا تعشى لايتغدى

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ জুহাইফাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১৩/ সুন্নাহ

পরিচ্ছেদঃ অনুসরণের নমুনা

(১৫২২) আবূ উসাইদ আনসারী (রাঃ) বলেন, এক সময় মসজিদ থেকে বের হয়ে পুরুষ ও মহিলাদেরকে এক সঙ্গে পাশাপাশি রাস্তায় চলতে দেখে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন, ’’হে মহিলাগণ! তোমরা পিছিয়ে যাও। পথের মধ্যভাগে চলা তোমাদের জন্য সমীচীন নয়; বরং তোমরা পথের এক পাশ দিয়ে চলাচল কর।’’ মেয়েরা সঙ্গে সঙ্গে দেওয়াল ঘেষে চলতে আরম্ভ করল। এমন কি তারা এমনভাবে দেওয়াল ঘেষে চলতে লাগল যে, তার ফলে তাদের দেহের পরিহিত কাপড় দেওয়ালে আটকে যেত!

عَنْ أَبِى أُسَيْدٍ الأَنْصَارِىِّ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللهِ ﷺ يَقُولُ وَهُوَ خَارِجٌ مِنَ الْمَسْجِدِ فَاخْتَلَطَ الرِّجَالُ مَعَ النِّسَاءِ فِى الطَّرِيقِ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ لِلنِّسَاءِ اسْتَأْخِرْنَ فَإِنَّهُ لَيْسَ لَكُنَّ أَنْ تَحْقُقْنَ الطَّرِيقَ عَلَيْكُنَّ بِحَافَاتِ الطَّرِيقِ فَكَانَتِ الْمَرْأَةُ تَلْتَصِقُ بِالْجِدَارِ حَتَّى إِنَّ ثَوْبَهَا لَيَتَعَلَّقُ بِالْجِدَارِ مِنْ لُصُوقِهَا بِهِ

عن ابى اسيد الانصارى انه سمع رسول الله ﷺ يقول وهو خارج من المسجد فاختلط الرجال مع النساء فى الطريق فقال رسول الله ﷺ للنساء استاخرن فانه ليس لكن ان تحققن الطريق عليكن بحافات الطريق فكانت المراة تلتصق بالجدار حتى ان ثوبها ليتعلق بالجدار من لصوقها به

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ উসাইদ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১৩/ সুন্নাহ

পরিচ্ছেদঃ অনুসরণের নমুনা

(১৫২৩) আমর বিন শুআইব, তিনি তাঁর পিতা থেকে এব তিনি তাঁর দাদা থেকে বর্ণনা করে বলেন, একদা জনৈক মহিলা তার কন্যাকে সঙ্গে করে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হল। তার মেয়ের হাতে দুই খানা সোনার মোটা বালা ছিল। তা দেখে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’তুমি এর যাকাত প্রদান কর কি?’’ সে বলল, ’না।’ তিনি বললেন, ’’তাহলে তুমি কি পছন্দ কর যে, এই দুই খানা বালার পরিবর্তে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তোমাকে আগুনের তৈরি দুই খানা বালা পরিধান করাবেন?’’ সঙ্গে সঙ্গে মহিলাটি বালা দুটি খুলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামনে রেখে দিয়ে বলল, ’এই বালা দুই খানা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের জন্য।’

عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ أَنَّ امْرَأَةً أَتَتْ رَسُولَ اللهِ ﷺ وَمَعَهَا ابْنَةٌ لَهَا وَفِى يَدِ ابْنَتِهَا مَسَكَتَانِ غَلِيظَتَانِ مِنْ ذَهَبٍ فَقَالَ لَهَا أَتُعْطِينَ زَكَاةَ هَذَا قَالَتْ لاَ قَالَ أَيَسُرُّكِ أَنْ يُسَوِّرَكِ اللهُ بِهِمَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ سِوَارَيْنِ مِنْ نَارٍ قَالَ فَخَلَعَتْهُمَا فَأَلْقَتْهُمَا إِلَى النَّبِىِّ ﷺ وَقَالَتْ هُمَا لِلهِ عَزَّ وَجَلَّ وَلِرَسُولِهِ

عن عمرو بن شعيب عن ابيه عن جده ان امراة اتت رسول الله ﷺ ومعها ابنة لها وفى يد ابنتها مسكتان غليظتان من ذهب فقال لها اتعطين زكاة هذا قالت لا قال ايسرك ان يسورك الله بهما يوم القيامة سوارين من نار قال فخلعتهما فالقتهما الى النبى ﷺ وقالت هما لله عز وجل ولرسوله

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১৩/ সুন্নাহ

পরিচ্ছেদঃ অনুসরণের নমুনা

(১৫২৪) উমার ফারূক (রাঃ) বলেছেন, ’আমরা ছিলাম সবার চেয়ে নিকৃষ্ট জাতি। আল্লাহ আমাদেরকে ইসলাম দ্বারা সম্মান দান করেছেন। সুতরাং আল্লাহ আমাদেরকে যে জিনিস দ্বারা সম্মানিত করেছেন, তা ছাড়া অন্য জিনিস দ্বারা যখনই আমরা সম্মান অনুসন্ধান করব, তখনই আল্লাহ আমাদেরকে লাঞ্ছিত করবেন।’

অন্য এক বর্ণনায় আছে, ’আমরা এমন এক জাতি, যাদেরকে আল্লাহ ইসলাম দ্বারা সম্মানিত করেছেন। সুতরাং আমরা তা ছাড়া অন্য কিছু দ্বারা সম্মান অনুসন্ধান করব না।’

قَالَ عُمَرُ الفاروق : إِنَّا كُنَّا أَذَلَّ قَوْمٍ فَأَعَزَّنَا اللَّهُ بِالْإِسْلَامِ فَمَهْمَا نَطْلُبُ الْعِزَّةَ بِغَيْرِ مَا أَعَزَّنَا اللَّهُ بِهِ أَذَلَّنَا اللَّهُ وَفِيْ رِوَايَةٍ: إِنَّا قَوْمٌ أَعَزُّنَا اللهُ بِالْإِسْلَامِ فَلَنْ نَبْتَغِيَ الْعِزَّ بِغَيْرِهِ

قال عمر الفاروق : انا كنا اذل قوم فاعزنا الله بالاسلام فمهما نطلب العزة بغير ما اعزنا الله به اذلنا الله وفي رواية: انا قوم اعزنا الله بالاسلام فلن نبتغي العز بغيره

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১৩/ সুন্নাহ
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১৩ পর্যন্ত, সর্বমোট ১৩ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে