পরিচ্ছেদঃ জানাযার সাথে যাওয়া, তাকে কবরস্থ করার কাজে অংশ নেওয়ার মাহাত্ম্য এবং জানাযার সাথে মহিলাদের যাওয়া নিষেধ

(১৩০৫) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, মুসলিমের উপর মুসলিমের ৫টি অধিকার রয়েছে; সালামের জবাব দেওয়া, রোগীকে সাক্ষাৎ করে সান্ত্বনা দেওয়া, জানাযায় অংশগ্রহণ করা, দাওয়াত কবুল করা এবং হাঁচির পর ’আল-হামদু লিল্লাহ’ বললে তার জবাবে ’য়্যারহামুকাল্লাহ’ বলা।

عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَقُّ الْمُسْلِمِ عَلَى الْمُسْلِمِ خَمْسٌ : رَدُّ السَّلَامِ وَعِيَادَةُ الْمَرِيضِ وَاتِّبَاعُ الْجَنَائِزِ وَإِجَابَةُ الدَّعْوَةِ وَتَشْمِيتُ الْعَاطِسِ

عن ابى هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم حق المسلم على المسلم خمس : رد السلام وعيادة المريض واتباع الجناىز واجابة الدعوة وتشميت العاطس

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১১/ জানাযা

পরিচ্ছেদঃ জানাযার সাথে যাওয়া, তাকে কবরস্থ করার কাজে অংশ নেওয়ার মাহাত্ম্য এবং জানাযার সাথে মহিলাদের যাওয়া নিষেধ

(১৩০৬) আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা রোগীকে সাক্ষাৎ করে জিজ্ঞাসাবাদ কর এবং জানাযার অনুসরণ কর (দাফন কার্যের জন্য যাও); তা তোমাদেরকে আখেরাত স্মরণ করিয়ে দেবে।

عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الخُدْرِي عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ عُودُوا الْمَرِيضَ وَامْشُوا مَعَ الْجَنَائِزِ تُذَكِّرْكُمْ الْآخِرَةَ

عن ابي سعيد الخدري عن النبي ﷺ قال عودوا المريض وامشوا مع الجناىز تذكركم الاخرة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১১/ জানাযা

পরিচ্ছেদঃ জানাযার সাথে যাওয়া, তাকে কবরস্থ করার কাজে অংশ নেওয়ার মাহাত্ম্য এবং জানাযার সাথে মহিলাদের যাওয়া নিষেধ

(১৩০৭) আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি জানাযায় শরীক হয়ে নামায পড়া পর্যন্ত উপস্থিত থাকবে তার হবে এক ’ক্বীরাত্ব’ নেকী। আর যে ব্যক্তি দাফন শেষ হওয়া পর্যন্ত উপস্থিত থাকবে তার হবে দুই ’ক্বীরাত্ব’ নেকী। জিজ্ঞাসা করা হল, ’দুই ক্বীরাত্ব কি? তিনি বললেন, দুই সুবৃহৎ পর্বত সমতুল্য। (বুখারী ১৩২৫ মুসলিম ২২৩২)

ইবনে উমার (রাঃ) জানাযা পড়ে ফিরে যেতেন। অতঃপর যখন তাঁর নিকট আবূ হুরাইরার এ হাদীস পৌঁছল, তখন তিনি বললেন, ’বহু ক্বীরাত আমরা নষ্ট করে ফেলেছি।’ (মুসলিম ২২৩২)

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَنْ شَهِدَ الْجَنَازَةَ حَتَّى يُصَلَّى عَلَيْهَا فَلَهُ قِيرَاطٌ وَمَنْ شَهِدَهَا حَتَّى تُدْفَنَ فَلَهُ قِيرَاطَانِ قِيلَ وَمَا الْقِيرَاطَانِ قَالَ مِثْلُ الْجَبَلَيْنِ الْعَظِيمَيْنِ -وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ يُصَلِّى عَلَيْهَا ثُمَّ يَنْصَرِفُ فَلَمَّا بَلَغَهُ حَدِيثُ أَبِى هُرَيْرَةَ قَالَ لَقَدْ ضَيَّعْنَا قَرَارِيطَ كَثِيرَةً

عن ابي هريرة قال قال رسول الله ﷺ من شهد الجنازة حتى يصلى عليها فله قيراط ومن شهدها حتى تدفن فله قيراطان قيل وما القيراطان قال مثل الجبلين العظيمين -وكان ابن عمر يصلى عليها ثم ينصرف فلما بلغه حديث ابى هريرة قال لقد ضيعنا قراريط كثيرة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১১/ জানাযা

পরিচ্ছেদঃ জানাযার সাথে যাওয়া, তাকে কবরস্থ করার কাজে অংশ নেওয়ার মাহাত্ম্য এবং জানাযার সাথে মহিলাদের যাওয়া নিষেধ

(১৩০৮) আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে এবং নেকী লাভের আশায় জানাযার অনুগমন করে তার নামায ও দাফন হওয়া পর্যন্ত উপস্থিত থাকে, সে ব্যক্তি দুই ক্বীরাত সওয়াব নিয়ে ফিরে আসে। প্রত্যেক ক্বীরাত উহুদ পাহাড় সমতুল্য। আর যে ব্যক্তি তার নামায পড়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে, সে ব্যক্তি এক ক্বীরাত সওয়াব নিয়ে ফিরে আসে।

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ مَنْ اتَّبَعَ جَنَازَةَ مُسْلِمٍ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا وَكَانَ مَعَهُ حَتَّى يُصَلَّى عَلَيْهَا وَيَفْرُغَ مِنْ دَفْنِهَا فَإِنَّه يَرْجِعُ مِنْ الْأَجْرِ بِقِيرَاطَيْنِ كُلُّ قِيرَاطٍ مِثْلُ أُحُدٍ وَمَنْ صَلَّى عَلَيْهَا ثُمَّ رَجَعَ قَبْلَ أَنْ تُدْفَنَ فَإِنَّهُ يَرْجِعُ بِقِيرَاطٍ

عن ابي هريرة ان رسول الله ﷺ قال من اتبع جنازة مسلم ايمانا واحتسابا وكان معه حتى يصلى عليها ويفرغ من دفنها فانه يرجع من الاجر بقيراطين كل قيراط مثل احد ومن صلى عليها ثم رجع قبل ان تدفن فانه يرجع بقيراط

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১১/ জানাযা

পরিচ্ছেদঃ জানাযার সাথে যাওয়া, তাকে কবরস্থ করার কাজে অংশ নেওয়ার মাহাত্ম্য এবং জানাযার সাথে মহিলাদের যাওয়া নিষেধ

(১৩০৯) আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা জানাযা নিয়ে তাড়াতাড়ি চল। কেননা, সে যদি নেককার হয় তবে তো ভালো; ভালোকে তোমরা তাড়াতাড়ি তার ভালো ফলের দিকে পৌঁছে দেবে। আর যদি এর অন্যথা হয়, তবে সে খারাপ; খারাপকে তোমরা তোমাদের ঘাড় থেকে নামিয়ে দেবে।

عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِىِّ ﷺ قَالَ أَسْرِعُوا بِالْجَنَازَةِ فَإِنْ تَكُ صَالِحَةً فَخَيْرٌ - لَعَلَّهُ قَالَ - تُقَدِّمُونَهَا عَلَيْهِ وَإِنْ تَكُنْ غَيْرَ ذَلِكَ فَشَرٌّ تَضَعُونَهُ عَنْ رِقَابِكُمْ

عن ابى هريرة عن النبى ﷺ قال اسرعوا بالجنازة فان تك صالحة فخير - لعله قال - تقدمونها عليه وان تكن غير ذلك فشر تضعونه عن رقابكم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১১/ জানাযা

পরিচ্ছেদঃ জানাযার সাথে যাওয়া, তাকে কবরস্থ করার কাজে অংশ নেওয়ার মাহাত্ম্য এবং জানাযার সাথে মহিলাদের যাওয়া নিষেধ

(১৩১০) আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, লাশ যখন খাটে রাখা হয় এবং লোকে তাকে তাদের কাঁধে বহন করতে শুরু করে, তখন সে যদি নেককার হয় তাহলে বলে, ’আমাকে নিয়ে অগ্রসর হও।’ নচেৎ, বদকার হলে বলে, ’হায় হায়! আমাকে তোমরা কোথায় নিয়ে যাচ্ছ?’ আর তার এই শব্দ মানুষ ছাড়া সকলেশুনতে পায়। মানুষ শুনতে পেলে বেহুশ হয়ে যেত।

عن أبي سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ إِذَا وُضِعَتْ الْجِنَازَةُ وَاحْتَمَلَهَا الرِّجَالُ عَلَى أَعْنَاقِهِمْ فَإِنْ كَانَتْ صَالِحَةً قَالَتْ قَدِّمُونِي وَإِنْ كَانَتْ غَيْرَ صَالِحَةٍ قَالَتْ يَا وَيْلَهَا أَيْنَ يَذْهَبُونَ بِهَا يَسْمَعُ صَوْتَهَا كُلُّ شَيْءٍ إِلَّا الْإِنْسَانَ وَلَوْ سَمِعَهُ صَعِقَ

عن ابي سعيد الخدري رضي الله عنه ان رسول الله ﷺ قال اذا وضعت الجنازة واحتملها الرجال على اعناقهم فان كانت صالحة قالت قدموني وان كانت غير صالحة قالت يا ويلها اين يذهبون بها يسمع صوتها كل شيء الا الانسان ولو سمعه صعق

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১১/ জানাযা

পরিচ্ছেদঃ জানাযার সাথে যাওয়া, তাকে কবরস্থ করার কাজে অংশ নেওয়ার মাহাত্ম্য এবং জানাযার সাথে মহিলাদের যাওয়া নিষেধ

(১৩১১) মুগীরাহ বিন শু’বাহ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আরোহী ব্যক্তি জানাযার পশ্চাতে পশ্চাতে যাবে, যে হেঁটে যাবে সে পশ্চাতে, সামনে, ডাইনে ও বামে তার কাছা-কাছি চলবে। আর শিশুরও জানাযা পড়া হবে এবং তার পিতা-মাতার জন্য ক্ষমা ও রহমত লাভের দু’আ করা হবে।

عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ عن النَّبِىِّ ﷺ قَالَ الرَّاكِبُ يَسِيرُ خَلْفَ الْجَنَازَةِ وَالْمَاشِى يَمْشِى خَلْفَهَا وَأَمَامَهَا وَعَنْ يَمِينِهَا وَعَنْ يَسَارِهَا قَرِيبًا مِنْهَا وَالسِّقْطُ يُصَلَّى عَلَيْهِ وَيُدْعَى لِوَالِدَيْهِ بِالْمَغْفِرَةِ وَالرَّحْمَةِ

عن المغيرة بن شعبة عن النبى ﷺ قال الراكب يسير خلف الجنازة والماشى يمشى خلفها وامامها وعن يمينها وعن يسارها قريبا منها والسقط يصلى عليه ويدعى لوالديه بالمغفرة والرحمة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১১/ জানাযা

পরিচ্ছেদঃ জানাযার সাথে যাওয়া, তাকে কবরস্থ করার কাজে অংশ নেওয়ার মাহাত্ম্য এবং জানাযার সাথে মহিলাদের যাওয়া নিষেধ

(১৩১২) সাওবান (রাঃ) বলেন, একদা আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জানাযার সাথে যাচ্ছিলেন। তাঁর নিকট এক সওয়ারী পেশ করা হলে তিনি তাতে চড়তে রাজী হলেন না। অতঃপর ফেরার পথে সওয়ারী পেশ করা হলে তিনি তাতে সওয়ার হলেন। এ ব্যাপারে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন, ফিরিশতাবর্গ পায়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। তাই তাঁরা পায়ে হেঁটে যাবেন আর আমি সওয়ার হয়ে যাব তা চাইলাম না। অতঃপর তাঁরা ফিরে গেলে সওয়ার হলাম।

عَنْ ثَوْبَانَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ أُتِىَ بِدَابَّةٍ وَهُوَ مَعَ الْجَنَازَةِ فَأَبَى أَنْ يَرْكَبَهَا فَلَمَّا انْصَرَفَ أُتِىَ بِدَابَّةٍ فَرَكِبَ فَقِيلَ لَهُ فَقَالَ إِنَّ الْمَلاَئِكَةَ كَانَتْ تَمْشِى فَلَمْ أَكُنْ لأَرْكَبَ وَهُمْ يَمْشُونَ فَلَمَّا ذَهَبُوا رَكِبْتُ

عن ثوبان ان رسول الله ﷺ اتى بدابة وهو مع الجنازة فابى ان يركبها فلما انصرف اتى بدابة فركب فقيل له فقال ان الملاىكة كانت تمشى فلم اكن لاركب وهم يمشون فلما ذهبوا ركبت

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাওবান (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১১/ জানাযা

পরিচ্ছেদঃ জানাযার সাথে যাওয়া, তাকে কবরস্থ করার কাজে অংশ নেওয়ার মাহাত্ম্য এবং জানাযার সাথে মহিলাদের যাওয়া নিষেধ

(১৩১৩) উম্মে আত্বিয়্যাহ (রাঃ) বলেন, ’আমাদেরকে জানাযার সাথে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু (এ ব্যাপারে) আমাদের উপর জোর দেওয়া হয়নি।

এর অর্থ হল, যেমন অন্যান্য হারাম কাজ কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে, তেমন কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়নি।

وَعَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُا قَالَتْ : نُهِينَا عَنِ اتِّبَاعِ الجَنَائِزِ وَلَمْ يُعْزَمْ عَلَيْنَا متفقٌ عَلَيْهِ
ومعناه : وَلَمْ يُشَدَّدْ في النَّهْيِ كَمَا يُشَدَّدُ في المُحَرَّمَاتِ

وعن ام عطية رضي الله عنها قالت : نهينا عن اتباع الجناىز ولم يعزم علينا متفق عليه ومعناه : ولم يشدد في النهي كما يشدد في المحرمات

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১১/ জানাযা

পরিচ্ছেদঃ জানাযার সাথে যাওয়া, তাকে কবরস্থ করার কাজে অংশ নেওয়ার মাহাত্ম্য এবং জানাযার সাথে মহিলাদের যাওয়া নিষেধ

(১৩১৪) আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তিনটি জিনিস মৃত ব্যক্তির অনুসরণ করে (সঙ্গে যায়)। দাফনের পর দু’টি ফিরে আসে, আর একটি তার সাথেই থেকে যায়। সে তিনটি হল তার পরিবারবর্গ, তার মাল ও তার আমল। দাফনের পর তার পরিবারবর্গ ও মাল ফিরে আসে। আর তার আমল তার সাথেই থেকে যায়।

وَعَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ عَن رَسُولِ اللهِ ﷺ قَالَيَتْبَعُ الْمَيِّتَ ثَلاَثَةٌ : أهْلُهُ وَمَالُهُ وَعَمَلُهُ : فَيَرْجِعُ اثْنَانِ وَيَبْقَى وَاحِدٌ : يَرْجِعُ أهْلُهُ وَمَالُهُ وَيبْقَى عَمَلُهُ متفقٌ عليه

وعن انس بن مالك عن رسول الله ﷺ قاليتبع الميت ثلاثة : اهله وماله وعمله : فيرجع اثنان ويبقى واحد : يرجع اهله وماله ويبقى عمله متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১১/ জানাযা

পরিচ্ছেদঃ জানাযার সাথে যাওয়া, তাকে কবরস্থ করার কাজে অংশ নেওয়ার মাহাত্ম্য এবং জানাযার সাথে মহিলাদের যাওয়া নিষেধ

(১৩১৫) আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আদম সন্তানের মাল, তার পরিবার এবং তার আমলের দৃষ্টান্ত হল এমন ব্যক্তির মত, যার তিনজন ভাই অথবা তিনজন সাথী থাকে। তাদের একজন বলে, আমি তোমার সাথে আছি, যত দিন তুমি জীবিত আছ। যখন তুমি মারা যাবে, তখন না তোমার সাথে আমার কোন সম্পর্ক থাকবে, আর না আমার সাথে তোমার কোন সম্পর্ক থাকবে। দ্বিতীয়জন বলে, আমি তোমার সাথে আছি, যতক্ষণ না তুমি ঐ গাছটার কাছে পৌঁছে গেছো। যখন ঐ গাছটার কাছে পৌঁছে যাবে, তখন না তোমার সাথে আমার কোন সম্পর্ক থাকবে, আর না আমার সাথে তোমার কোন সম্পর্ক থাকবে। আর তৃতীয়জন বলে, আমি তোমার জীবদ্দশায়ও তোমার সাথে আছি এবং তোমার মরণের পরও তোমার সাথে আছি।

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ : أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ - صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالَ : مَثَلُ ابْن آدَمَ وَمَاله وَأَهْله وَعَمَلِه كَرَجُلٍ لَهُ ثَلاَثَةُ إِخْوَة أَوْ ثَلاَثَةُ أَصْحَابٍ فَقَالَ أَحَدُهُمْ : أَنَا مَعَكَ حَيَاتكَ فَإِذَا مِتَّ فَلَسْتُ مِنكَ وَلَسْتَ مِنِّي وَقَالَ الآخَرُ : أَنَا مَعَكَ فَإِذَا بَلَغْتَ تَلْكَ الشَّجَرَة فَلَسْتُ مِنْكَ وَلَسْتَ مِنِّي وَقَالَ الآخَر : أَنَا مَعَكَ حَيًّا وَمِيِّتاً

عن ابي هريرة رضي الله عنه : ان رسول الله - صلى الله عليه وسلم - قال : مثل ابن ادم وماله واهله وعمله كرجل له ثلاثة اخوة او ثلاثة اصحاب فقال احدهم : انا معك حياتك فاذا مت فلست منك ولست مني وقال الاخر : انا معك فاذا بلغت تلك الشجرة فلست منك ولست مني وقال الاخر : انا معك حيا وميتا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১১/ জানাযা
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১১ পর্যন্ত, সর্বমোট ১১ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে