পরিচ্ছেদঃ রোগীকে সাক্ষাৎ করে জিজ্ঞাসাবাদ করার মাহাত্ম্য
(১২০৪) বারা’ ইবনে আযেব (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে রোগীর কুশল জিজ্ঞাসা করতে যাওয়া, জানাযার সঙ্গে যাওয়া, কেউ হাঁচি দিলে তার জবাব দেওয়া, কসমকারীর কসম পুরা করা, অত্যাচারিতের সাহায্য করা, নিমন্ত্রণ গ্রহণ করা ও সালাম প্রচার করার আদেশ দিয়েছেন।
عَنِ البَرَاءِ بنِ عَازِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ : أَمَرَنَا رَسُولُ اللهِ ﷺ بعِيَادَةِ الْمَريضِ وَاتِّبَاعِ الجَنَازَةِ وَتَشْمِيتِ العَاطِسِ وَإبْرَارِ الْمُقْسِمِ وَنَصْرِ المَظْلُومِ وَإجَابَةِ الدَّاعِي وَإفْشَاءِ السَّلاَمِ متفقٌ عَلَيْهِ
পরিচ্ছেদঃ রোগীকে সাক্ষাৎ করে জিজ্ঞাসাবাদ করার মাহাত্ম্য
(১২০৫) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, এক মুসলিমের অধিকার অপর মুসলিমের উপর পাঁচটিঃ সালামের জবাব দেওয়া, রুগীকে দেখতে যাওয়া, জানাযার সঙ্গে যাওয়া, দাওয়াত কবুল করা এবং হাঁচলে তার জবাব দেওয়া।
وَعَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ حَقُّ المُسْلِمِ عَلَى المُسْلِمِ خَمْسٌ : رَدُّ السَّلاَمِ، وَعِيَادَةُ المَرِيضِ وَاتِّبَاعُ الجَنَائِزِ وَإِجَابَةُ الدَّعْوَةِ وَتَشْمِيتُ العَاطِسِ متفقٌ عَلَيْه
পরিচ্ছেদঃ রোগীকে সাক্ষাৎ করে জিজ্ঞাসাবাদ করার মাহাত্ম্য
(১২০৬) উক্ত রাবী (রাঃ) থেকেই বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ আযযা অজাল্ল কিয়ামতের দিন বলবেন, হে আদম সন্তান! আমি অসুস্থ ছিলাম, তুমি আমাকে দেখতে আসনি। সে বলবে, হে প্রভু! কিভাবে আমি আপনাকে দেখতে যাব, আপনি তো সারা জাহানের পালনকর্তা? তিনি বলবেন, তুমি কি জানতে না যে, আমার অমুক বান্দা অসুস্থ ছিল? তুমি তাকে দেখতে যাওনি। তুমি কি জানতে না যে, তুমি যদি তাকে দেখতে যেতে, তাহলে অবশ্যই তুমি আমাকে তার কাছে পেতে?
হে আদম সন্তান! আমি তোমার কাছে খাবার চেয়েছিলাম, তুমি আমাকে খাবার দাওনি। সে বলবে, হে প্রভু! আমি আপনাকে কিভাবে খাবার দেব, আপনি তো সারা জাহানের প্রভু? আল্লাহ বলবেন, তোমার কি জানা ছিল না যে, আমার অমুক বান্দা তোমার কাছে খাবার চেয়েছিল, কিন্তু তাকে তুমি খাবার দাওনি? তোমার কি জানা ছিল না যে, যদি তাকে খাবার দিতে, তাহলে অবশ্যই তা আমার কাছে পেতে?
হে আদম সন্তান! তোমার কাছে আমি পানি পান করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু তুমি আমাকে পান করাওনি। বান্দা বলবে, হে প্রভু! আপনাকে কিরূপে পানি পান করাবো, আপনি তো সমস্ত জগতের প্রভু? তিনি বলবেন, আমার অমুক বান্দা তোমার কাছে পানি চেয়েছিল, তুমি তাকে পান করাওনি। তুমি কি জানতে না যে, যদি তাকে পান করাতে, তাহলে তা অবশ্যই আমার কাছে পেতে?
وَعَنْهُ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ إِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ يَقُولُ يَومَ القِيَامَةِ : يَا ابْنَ آدَمَ مَرِضْتُ فَلَمْ تَعُدنِي قَالَ: يَا رَبِّ كَيْفَ أعُودُكَ وَأنْتَ رَبُّ العَالَمِينَ قَالَ : أمَا عَلِمْتَ أَنَّ عَبْدِي فُلاَناً مَرِضَ فَلَمْ تَعُدْهُ أمَا عَلِمْتَ أنَّكَ لَوْ عُدْتَهُ لَوَجَدْتَني عِنْدَهُ يَا ابْنَ آدَمَ اسْتَطْعَمْتُكَ فَلَمْ تُطْعِمنِي قَالَ: يَا رَبِّ كَيْفَ أُطْعِمُكَ وَأنْتَ رَبُّ العَالَمِينَ قَالَ: أمَا عَلِمْتَ أنَّهُ اسْتَطْعَمَكَ عَبْدِي فُلانٌ فَلَمْ تُطْعِمْهُ أمَا عَلِمْتَ أنَّكَ لَوْ أَطْعَمْتَهُ لَوَجَدْتَ ذَلِكَ عِنْدِي يَا ابْنَ آدَمَ اسْتَسْقَيْتُكَ فَلَمْ تَسْقِنِي قَالَ: يَا رَبِّ كَيْفَ أَسْقِيكَ وَأنْتَ رَبُّ العَالَمينَ قَالَ: اسْتَسْقَاكَ عَبْدِي فُلاَنٌ فَلَمْ تَسْقِهِ أمَا عَلِمْتَ أَنَّكَ لَوْ سَقَيْتَهُ لَوَجَدْتَ ذَلِكَ عِنْدِي رواه مسلم
পরিচ্ছেদঃ রোগীকে সাক্ষাৎ করে জিজ্ঞাসাবাদ করার মাহাত্ম্য
(১২০৭) আবূ মূসা আশআরী (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা রুগী দেখতে যাও, ক্ষুধার্তকে অন্ন দাও এবং বন্দীকে মুক্ত কর।
وَعَنْ أَبي مُوسَى قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ عُودُوا المَريضَ وَأطْعِمُوا الجَائِعَ وَفُكُّوا العَانِي رواه البخاري
পরিচ্ছেদঃ রোগীকে সাক্ষাৎ করে জিজ্ঞাসাবাদ করার মাহাত্ম্য
(১২০৮) সাওবান (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোন মুসলিম যখন তার অন্য কোন মুসলিম ভাইয়ের রোগ জিজ্ঞাসা করতে যায়, সে না ফিরা পর্যন্ত জান্নাতের ’খুরফার’ মধ্যে সর্বদা অবস্থান করে। জিজ্ঞাসা করা হল, হে আল্লাহর রসূল! খুরফাহ কী? তিনি বললেন, জান্নাতের ফল-পাড়া।
وَعَنْ ثَوبَانَ عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ إنَّ المُسْلِمَ إِذَا عَادَ أخَاهُ المُسْلِمَ لَمْ يَزَلْ في خُرْفَةِ الْجَنَّةِ حَتَّى يَرْجِعَقِيلَ : يَا رَسُولَ اللهِ وَمَا خُرْفَةُ الجَنَّةِ ؟ قَالَ جَنَاهَا رواه مسلم
পরিচ্ছেদঃ রোগীকে সাক্ষাৎ করে জিজ্ঞাসাবাদ করার মাহাত্ম্য
(১২০৯) জাবের বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) বলেন, তিনি শুনেছেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি রোগীকে সাক্ষাৎ করতে যায়, সে আসলে রহমতে বিচরণ করতে থাকে। অতঃপর সে যখন (রোগীর নিকটে) বসে যায়, তখন রহমতে স্থিতিশীল হয়ে যায়।
عَنْ جَابِرِ بْنِ عبد الله رَضِيَ اللهُ عَنْهُما قال : سَمِعتُ النَّبيَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يقول مَن عَاد مَريضاً خَاضَ فِي الرَّحمَةِ حَتى إِذا قَعدَ استَقَرَّ فِيهَا
পরিচ্ছেদঃ রোগীকে সাক্ষাৎ করে জিজ্ঞাসাবাদ করার মাহাত্ম্য
(১২১০) আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন রোগীকে সাক্ষাৎ করে জিজ্ঞাসাবাদ করে অথবা তার কোন লিল্লাহী ভাইকে সাক্ষাৎ করে, সে ব্যক্তিকে এক (গায়বী) আহবানকারী আহবান করে বলে, সুখী হও তুমি, সুখকর হোক তোমার ঐ যাত্রা (সাক্ষাতের জন্য যাওয়া)। আর তোমার স্থান হোক জান্নাতের প্রাসাদে।
وَعَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَنْ عَادَ مَرِيضاً أَوْ زَارَ أخاً لَهُ في اللهِ نَادَاهُ مُنَادٍ : بِأنْ طِبْتَ وَطَابَ مَمْشَاكَ وَتَبَوَّأتَ مِنَ الجَنَّةِ مَنْزِلاً رواه الترمذي وَقالَ حديث حسن وفي بعض النسخ غريب
পরিচ্ছেদঃ রোগীকে সাক্ষাৎ করে জিজ্ঞাসাবাদ করার মাহাত্ম্য
(১২১১) আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, যে কোন মুসলিম অন্য কোন (অসুস্থ) মুসলিমকে সকাল বেলায় কুশল জিজ্ঞাসা করতে যাবে, তার জন্য সন্ধ্যা পর্যন্ত সত্তর হাজার ফিরিশতা কল্যাণ কামনা করবেন। আর যদি সে সন্ধ্যা বেলায় তাকে কুশল জিজ্ঞাসা করতে যায়, তাহলে সকাল পর্যন্ত সত্তর হাজার ফিরিশতা তার মঙ্গল কামনা করেন। আর তার জন্য জান্নাতের মধ্যে পাড়া ফল নির্ধারিত হয়।
وَعَنْ عَلِيٍّ قَالَ : سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ ﷺ يَقُولُ مَا مِنْ مُسْلِم يَعُودُ مُسْلِماً غُدْوةً إِلاَّ صَلَّى عَلَيْهِ سَبْعُونَ أَلْفَ مَلَكٍ حَتَّى يُمْسِي وَإِنْ عَادَهُ عَشِيَّةً إِلاَّ صَلَّى عَلَيْهِ سَبْعُونَ أَلْفَ مَلَكٍ حَتَّى يُصْبحَ وَكَانَ لَهُ خَرِيفٌ في الْجَنَّةِ رواه الترمذي وَقَالَ حديث حسن
পরিচ্ছেদঃ রোগীকে সাক্ষাৎ করে জিজ্ঞাসাবাদ করার মাহাত্ম্য
(১২১২) উসামা বিন যায়দ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোন স্থানে প্লেগরোগ চলছে শুনলে সেখানে প্রবেশ করো না। আর সেখানে তোমাদের থাকাকালে তা শুরু হলে সেখান হতে বের হয়ে যেয়ো না।
عن أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ عَنِ النَّبِيِّ ﷺ أَنَّهُ قَالَ إِذَا سَمِعْتُمْ بِالطَّاعُونِ بِأَرْضٍ فَلَا تَدْخُلُوهَا وَإِذَا وَقَعَ بِأَرْضٍ وَأَنْتُمْ بِهَا فَلَا تَخْرُجُوا مِنْهَا