পরিচ্ছেদঃ রুকনদ্বয়ের মাহাত্ম্য

(১১৬৪) আব্দুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট শুনেছি, তিনি বলেছেন, হাজরে আসওয়াদ ও মাকামে ইবরাহীম জান্নাতের পদ্মরাগরাজির দুই পদ্মরাগ। আল্লাহ এ দু’য়ের নূর (প্রভা) কে নিষ্প্রভ করে দিয়েছেন। যদি উভয়মণির প্রভাকে তিনি নিষ্প্রভ না করতেন, তাহলে উদয় ও অস্তাচল (দিগদিগন্ত) কে উভয়ে জ্যোতির্ময় করে রাখত।

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنَ عَمْرٍو يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ ﷺ يَقُولُ إِنَّ الرُّكْنَ وَالْمَقَامَ يَاقُوتَتَانِ مِنْ يَاقُوتِ الْجَنَّةِ طَمَسَ اللهُ نُورَهُمَا وَلَوْ لَمْ يَطْمِسْ نُورَهُمَا لَأَضَاءَتَا مَا بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ

عن عبد الله بن عمرو يقول سمعت رسول الله ﷺ يقول ان الركن والمقام ياقوتتان من ياقوت الجنة طمس الله نورهما ولو لم يطمس نورهما لاضاءتا ما بين المشرق والمغرب

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১০/ হজ্জ

পরিচ্ছেদঃ রুকনদ্বয়ের মাহাত্ম্য

(১১৬৫) ইবনে আব্বাস (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, হাজারে আসওয়াদ জান্নাত থেকে অবতীর্ণ হয়েছে। তখন তা দুধের চেয়েও সাদা ছিল। পরবর্তীতে আদম সন্তানের পাপ তাকে কালো ক’রে দিয়েছে।

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ نَزَلَ الْحَجَرُ الْأَسْوَدُ مِنْ الْجَنَّةِ وَهُوَ أَشَدُّ بَيَاضًا مِنْ اللَّبَنِ فَسَوَّدَتْهُ خَطَايَا بَنِي آدَمَ

عن ابن عباس قال قال رسول الله ﷺ نزل الحجر الاسود من الجنة وهو اشد بياضا من اللبن فسودته خطايا بني ادم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১০/ হজ্জ

পরিচ্ছেদঃ রুকনদ্বয়ের মাহাত্ম্য

(১১৬৬) ইবনে আব্বাস (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’অবশ্যই এই পাথর (হাজরে আসওয়াদ) কে কিয়ামতের দিন আল্লাহ উপস্থিত করবেন; এর হবে দুটি চক্ষু, যদ্দবারা সে দর্শন করবে। এর হবে জিহ্বা, যদ্দ্বারা সে কথা বলবে; সেদিন সেই ব্যক্তির জন্য সাক্ষ্য দান করবে, যে ব্যক্তি যথার্থরূপে তাকে চুম্বন বা স্পর্শ করবে।’’ (তিরমিযী ৯৬১, ইবনে মাজাহ ২৯৪৪, দারেমী, ইবনে খুযাইমাহ ২৩৮২)

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ فِي الْحَجَرِ وَاللهِ لَيَبْعَثَنَّهُ اللهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ لَهُ عَيْنَانِ يُبْصِرُ بِهِمَا وَلِسَانٌ يَنْطِقُ بِهِ يَشْهَدُ عَلَى مَنْ اسْتَلَمَهُ بِحَقٍّ

عن ابن عباس قال قال رسول الله ﷺ في الحجر والله ليبعثنه الله يوم القيامة له عينان يبصر بهما ولسان ينطق به يشهد على من استلمه بحق

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১০/ হজ্জ

পরিচ্ছেদঃ রুকনদ্বয়ের মাহাত্ম্য

(১১৬৭) ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, (হাজরে আসওয়াদ ও রুকনে য়্যামানী) উভয়কে স্পর্শ পাপ মোচন করে।

عَنِ ابنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ إِنَّ مَسْحَهُمَا يَحُطَّانِ الْخَطِيئَةَ

عن ابن عمر قال قال رسول الله ﷺ ان مسحهما يحطان الخطيىة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১০/ হজ্জ

পরিচ্ছেদঃ রুকনদ্বয়ের মাহাত্ম্য

(১১৬৮) উমার (রাঃ) পাথর চুম্বন দেওয়ার সময় বলেছিলেন, (হে পাথর!) আমি জানি তুমি একটি পাথর। তুমি কোন উপকার করতে পার না, অপকারও না। যদি আমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে তোমাকে চুম্বন দিতে না দেখতাম, তাহলে আমি তোমাকে চুম্বন দিতাম না।

عَنْ عُمَرَ أَنَّهُ جَاءَ إِلَى الْحَجَرِ فَقَبَّلَهُ فَقَالَ إِنِّى أَعْلَمُ أَنَّكَ حَجَرٌ لاَ تَنْفَعُ وَلاَ تَضُرُّ وَلَوْلاَ أَنِّى رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ ﷺ يُقَبِّلُكَ مَا قَبَّلْتُكَ

عن عمر انه جاء الى الحجر فقبله فقال انى اعلم انك حجر لا تنفع ولا تضر ولولا انى رايت رسول الله ﷺ يقبلك ما قبلتك

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১০/ হজ্জ

পরিচ্ছেদঃ রুকনদ্বয়ের মাহাত্ম্য

(১১৬৯) নাফে’ (রহঃ) বলেন, আমি দেখেছি, একদা ইবনে উমার (রাঃ) হাজারে আসওয়াদ স্পর্শ করে হাত চুম্বন দিলেন অতঃপর বললেন, আমি যখন থেকে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তা চুম্বন দিতে দেখেছি, তখন থেকে চুম্বন দিতে ছাড়িনি।

عَنْ نَافِعٍ قَالَ رَأَيْتُ ابْنَ عُمَرَ يَسْتَلِمُ الْحَجَرَ بِيَدِهِ ثُمَّ قَبَّلَ يَدَهُ وَقَالَ مَا تَرَكْتُهُ مُنْذُ رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ ﷺ يَفْعَلُهُ

عن نافع قال رايت ابن عمر يستلم الحجر بيده ثم قبل يده وقال ما تركته منذ رايت رسول الله ﷺ يفعله

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ নাফি‘ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১০/ হজ্জ

পরিচ্ছেদঃ রুকনদ্বয়ের মাহাত্ম্য

(১১৭০) আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞাসা করলাম, হিজর কি কা’বার অংশ? উত্তরে তিনি বললেন, হ্যাঁ। আমি বললাম, তাহলে তা কা’বার মধ্যে শামিল নয় কেন? বললেন, তোমার সম্প্রদায়ের অর্থ কম পড়ে গিয়েছিল।

عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَسسنْهَا قَالَتْ سَأَلْتُ النَّبِيَّ ﷺ عَنْ الْجَدْرِ أَمِنَ الْبَيْتِ هُوَ؟ قَالَ نَعَمْ قُلْتُ: فَمَا لَهُمْ لَمْ يُدْخِلُوهُ فِي الْبَيْتِ قَالَ إِنَّ قَوْمَكِ قَصَّرَتْ بِهِمْ النَّفَقَةُ

عن عاىشة رضي الله عسسنها قالت سالت النبي ﷺ عن الجدر امن البيت هو؟ قال نعم قلت: فما لهم لم يدخلوه في البيت قال ان قومك قصرت بهم النفقة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১০/ হজ্জ

পরিচ্ছেদঃ রুকনদ্বয়ের মাহাত্ম্য

(১১৭১) আয়েশা (রাঃ) বলেন, একদা আমি আগ্রহ প্রকাশ করলাম যে, কা’বাগৃহে প্রবেশ করে নামায পড়ব। সুতরাং আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার হাত ধরে হিজরে প্রবেশ করালেন এবং বললেন, কা’বাগৃহের ভিতরে নামায পড়তে চাইলে এখানে নামায পড়। যেহেতু এটিও কা’বাগৃহের একটি অংশ। কিন্তু তোমার সম্প্রদায় কা’বা নির্মাণের সয়ম সংক্ষেপ করে মূল অংশ থেকে বের করে দিয়েছে। (তিরমিযী ৮৭৬, নাসাঈ ২৯১৫)

অন্য এক বর্ণনায় আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমি বললাম,

يَا رَسُولَ اللهِ أَلَا أَدْخُلُ الْبَيْتَ؟ قَالَ ادْخُلِي الْحِجْرَ فَإِنَّهُ مِنْ الْبَيْتِ

হে আল্লাহর রসূল! কা’বা ঘরে প্রবেশ করব না কি? তিনি বললেন, তুমি হিজরে প্রবেশ কর। তা কা’বা ঘরেরই অংশ। (নাসাঈ ২৯১৪)

عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: كُنْتُ أُحِبُّ أَنْ أَدْخُلَ الْبَيْتَ فَأُصَلِّيَ فِيهِ، فَأَخَذَ رَسُول اللهِ ﷺ بِيَدِي فَأَدْخَلَنِي الْحِجْرَ، فَقَالَ صَلِّي فِي الْحِجْرِ إِنْ أَرَدْتِ دُخُولَ الْبَيْتِ فَإِنَّمَا هُوَ قِطْعَةٌ مِنْ الْبَيْتِ وَلَكِنَّ قَوْمَكِ اسْتَقْصَرُوهُ حِينَ بَنَوْا الْكَعْبَةَ فَأَخْرَجُوهُ مِنْ الْبَيْتِ

عن عاىشة قالت: كنت احب ان ادخل البيت فاصلي فيه، فاخذ رسول الله ﷺ بيدي فادخلني الحجر، فقال صلي في الحجر ان اردت دخول البيت فانما هو قطعة من البيت ولكن قومك استقصروه حين بنوا الكعبة فاخرجوه من البيت

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১০/ হজ্জ
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৮ পর্যন্ত, সর্বমোট ৮ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে