পরিচ্ছেদঃ সেহরী খাওয়ার ফযীলত যদি ফজর উদয়ের আশংকা না থাকে, তাহলে তা বিলম্ব করে খাওয়া উত্তম
(১০৫৬) আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা সেহরী খাও। কেননা, সেহরীতে বরকত নিহিত আছে।
عَن أَنَسٍ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ تَسَحَّرُوا ؛ فَإِنَّ فِي السُّحُورِ بَرَكَةً متفقٌ عليه
পরিচ্ছেদঃ সেহরী খাওয়ার ফযীলত যদি ফজর উদয়ের আশংকা না থাকে, তাহলে তা বিলম্ব করে খাওয়া উত্তম
(১০৫৭) ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, অবশ্যই আল্লাহ তাদের প্রতি করুণা বর্ষণ করেন, যারা সেহরী খায়, আর ফিরিশতাবর্গও তাদের জন্য দু’আ করে থাকেন।
عَنِ ابنِ عُمَرَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ إِنَّ اللهَ وَمَلائِكَتُهُ يُصَلُّونَ عَلَى الْمُتَسَحِّرِينَ
পরিচ্ছেদঃ সেহরী খাওয়ার ফযীলত যদি ফজর উদয়ের আশংকা না থাকে, তাহলে তা বিলম্ব করে খাওয়া উত্তম
(১০৫৮) আমর বিন আস (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমাদের সিয়াম ও কিতাবধারীদের (ইয়াহুদী ও খ্রিষ্টানদের) সিয়ামের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে, সেহরী খাওয়া।
وَعَنْ عَمرِو بنِ العَاصِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ فَصْلُ مَا بَيْنَ صِيَامِنَا وصِيَامِ أَهْلِ الكِتَابِ أَكْلَةُ السَّحَرِ رواه مسلم
পরিচ্ছেদঃ সেহরী খাওয়ার ফযীলত যদি ফজর উদয়ের আশংকা না থাকে, তাহলে তা বিলম্ব করে খাওয়া উত্তম
(১০৫৯) যায়েদ ইবনে সাবেত (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে সেহরী খেয়েছি, অতঃপর নামাযে দাঁড়িয়েছি। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হল, ওই দুয়ের (নামায ও সেহরীর) মাঝখানে ব্যবধান কতক্ষণ ছিল? তিনি বললেন, (প্রায়) পঞ্চাশ আয়াত পড়ার মত সময়।
وَعَنْ زَيدِ بنِ ثَابِتٍ قَالَ : تَسَحَّرْنَا مَعَ رَسُولِ اللهِ ﷺ ثُمَّ قُمْنَا إِلَى الصَّلاَةِ قِيلَ : كَمْ كَانَ بَينَهُمَا ؟ قَالَ : قَدْرُ خَمْسِينَ آيةً متفقٌ عَلَيْهِ
পরিচ্ছেদঃ সেহরী খাওয়ার ফযীলত যদি ফজর উদয়ের আশংকা না থাকে, তাহলে তা বিলম্ব করে খাওয়া উত্তম
(১০৬০) ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দু’জন মুআযযিন ছিলেন; বিলাল ও ইবনে উম্মে মাকতূম। একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, বিলাল যখন রাতে আযান দেবে, তখন তোমরা পানাহার (সেহরী ভক্ষণ) কর; যতক্ষণ পর্যন্ত না ইবনে উম্মে মাকতূম আযান দেবে। (ইবনে উমার) বলেন, আর তাঁদের উভয়ের আযানের মাঝে এতটুকু ব্যবধান ছিল যে, উনি নামতেন, আর ইনি চড়তেন।
(বুখারী ১৯১৮, মুসলিম ২৫৯০)
وَعَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ: كَانَ لِرَسُولِ اللهِ ﷺ مُؤَذِّنَانِ : بِلاَلٌ وَابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ إِنَّ بِلاَلاً يُؤَذِّنُ بِلَيْلٍ فَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يُؤَذِّنَ ابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ قَالَ : وَلَمْ يَكُنْ بَيْنَهُمَا إِلاَّ أَنْ يَنْزِلَ هَذَا وَيَرْقَى هَذَا متفقٌ عَلَيْهِ