পরিচ্ছেদঃ নফল নামাযের ফযীলত

(৮৫০) আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ বলেন, যে ব্যক্তি আমার অলীর বিরুদ্ধে শত্রুতা পোষণ করবে, আমি তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করব। বান্দা যা কিছু দিয়ে আমার নৈকট্য লাভ করে থাকে তার মধ্যে আমার নিকট প্রিয়তম হল সেই ইবাদত, যা আমি তার উপর ফরয করেছি। আর সে নফল ইবাদত দ্বারা আমার নৈকট্য অর্জন করতে থাকে। পরিশেষে আমি তাকে ভালোবাসি।

অতঃপর আমি তার শোনার কান হয়ে যাই, তার দেখার চোখ হয়ে যাই, তার ধরার হাত হয়ে যাই, তার চলার পা হয়ে যাই! সে আমার কাছে কিছু চাইলে আমি অবশ্যই তাকে তা দান করি। সে আমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করলে আমি অবশ্যই তাকে আশ্রয় দিয়ে থাকি। আর আমি যে কাজ করি তাতে কোন দ্বিধা করি না—যতটা দ্বিধা করি এজন মুমিনের জীবন সম্পর্কে; কারণ, সে মরণকে অপছন্দ করে। আর আমি তার (বেঁচে থেকে) কষ্ট পাওয়াকে অপছন্দ করি।

عَنْ أَبيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ إِنَّ اللهَ قَالَ مَنْ عَادَى لِي وَلِيًّا فَقَدْ آذَنْتُهُ بِالْحَرْبِ وَمَا تَقَرَّبَ إِلَيَّ عَبْدِي بِشَيْءٍ أَحَبَّ إِلَيَّ مِمَّا افْتَرَضْتُ عَلَيْهِ وَمَا يَزَالُ عَبْدِي يَتَقَرَّبُ إِلَيَّ بِالنَّوَافِلِ حَتَّى أُحِبَّهُ فَإِذَا أَحْبَبْتُهُ كُنْتُ سَمْعَهُ الَّذِي يَسْمَعُ بِهِ وَبَصَرَهُ الَّذِي يُبْصِرُ بِهِ وَيَدَهُ الَّتِي يَبْطِشُ بِهَا وَرِجْلَهُ الَّتِي يَمْشِي بِهَا وَإِنْ سَأَلَنِي لَأُعْطِيَنَّهُ وَلَئِنْ اسْتَعَاذَنِي لَأُعِيذَنَّهُ وَمَا تَرَدَّدْتُ عَن شَيْءٍ أَنَا فَاعِلُهُ تَرَدُّدِي عَن نَفْسِ الْمُؤْمِنِ يَكْرَهُ الْمَوْتَ وَأَنَا أَكْرَهُ مَسَاءَتَهُ

عن ابي هريرة قال قال رسول الله ﷺ ان الله قال من عادى لي وليا فقد اذنته بالحرب وما تقرب الي عبدي بشيء احب الي مما افترضت عليه وما يزال عبدي يتقرب الي بالنوافل حتى احبه فاذا احببته كنت سمعه الذي يسمع به وبصره الذي يبصر به ويده التي يبطش بها ورجله التي يمشي بها وان سالني لاعطينه ولىن استعاذني لاعيذنه وما ترددت عن شيء انا فاعله ترددي عن نفس المومن يكره الموت وانا اكره مساءته

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৬/ স্বলাত (নামায)

পরিচ্ছেদঃ নফল নামাযের ফযীলত

(৮৫১) সাওবান (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বলেছেন, তুমি আল্লাহর জন্য অধিকাধিক সিজদা করাকে অভ্যাস বানিয়ে নাও; কারণ যখনই তুমি আল্লাহর জন্য একটি সিজদা করবে তখনই আল্লাহ তার বিনিময়ে তোমাকে একটি মর্যাদায় উন্নীত করবেন এবং তার দরুন একটি গোনাহ মোচন করবেন।

عَنْ ثَوْبَانَ قَالَ قاَلَ لَهُ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ عَلَيْكَ بِكَثْرَةِ السُّجُودِ لِلهِ فَإِنَّكَ لاَ تَسْجُدُ لِلهِ سَجْدَةً إِلاَّ رَفَعَكَ اللهُ بِهَا دَرَجَةً وَحَطَّ عَنكَ بِهَا خَطِيئَةً

عن ثوبان قال قال له رسول الله ﷺ عليك بكثرة السجود لله فانك لا تسجد لله سجدة الا رفعك الله بها درجة وحط عنك بها خطيىة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাওবান (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৬/ স্বলাত (নামায)

পরিচ্ছেদঃ নফল নামাযের ফযীলত

(৮৫২) রবীআহ বিন কা’ব আসলামী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে রাত্রিবাস করতাম এবং তাঁর ওযুর পানি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস হাজির করে দিতাম। একদা তিনি আমাকে বললেন, তুমি আমার নিকট কিছু চাও। আমি বললাম, আমি জান্নাতে আপনার সংসর্গ চাই। তিনি বললেন, এ ছাড়া আর কিছু? আমি বললাম, ওটাই (আমার বাসনা)। তিনি বললেন, তাহলে অধিক অধিক সিজদা করে (নফল নামায পড়ে) এ ব্যাপারে আমার সহায়তা কর।

عَن رَبِيعَةَ بْنِ كَعْبٍ الأَسْلَمِىُّ قَالَ كُنْتُ أَبِيتُ مَعَ رَسُولِ اللهِ ﷺ فَأَتَيْتُهُ بِوَضُوئِهِ وَحَاجَتِهِ فَقَالَ لِى سَلْ فَقُلْتُ أَسْأَلُكَ مُرَافَقَتَكَ فِى الْجَنَّةِ قَالَ أَوَغَيْرَ ذَلِكَ قُلْتُ هُوَ ذَاك قَالَ فَأَعَنى عَلَى نَفْسِكَ بِكَثْرَةِ السُّجُودِ

عن ربيعة بن كعب الاسلمى قال كنت ابيت مع رسول الله ﷺ فاتيته بوضوىه وحاجته فقال لى سل فقلت اسالك مرافقتك فى الجنة قال اوغير ذلك قلت هو ذاك قال فاعنى على نفسك بكثرة السجود

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৬/ স্বলাত (নামায)

পরিচ্ছেদঃ নফল নামাযের ফযীলত

(৮৫৩) উক্ত রবীআহ বিন কা’ব বলেন, আমি দিনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খেদমত করতাম এবং রাতে তাঁরই দরজার চৌকাঠে (মাথা রেখে) ঘুমিয়ে পড়তাম। এভাবে তাঁর নিকট এক রাত্রি যাপনকালে আমি শুনছিলাম, তিনি অনবরত বলে যাচ্ছিলেন, ’সুবহা-নাল্লা-হ’ ’সুবহা-নাল্লা-হ’ সুবহা-নাল্লা-হ’ ’সুবহা-না রাব্বী’ (আমি আমার মহান আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি। আমি আমার মহান আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি। আমি আমার মহান প্রভুর পবিত্রতা বর্ণনা করছি।) পরিশেষে আমি ক্লান্ত হয়ে পড়লাম অথবা ঘুম পেয়ে বসলে আমি ঘুমিয়ে পড়লাম। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) একদা আমাকে বললেন, হে রাবীআ’! আমার কাছে কিছু চাও, আমি তোমাকে দেবো। তখন আমি বললাম, আমাকে একটু সময় দিন যাতে ভেবে নিতে পারি (কী চাওয়া যায়)।

অতঃপর আমি ভেবে দেখলাম যে, দুনিয়া ধ্বংসশীল ও ক্ষণস্থায়ী। তাই বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি চাই যে, আপনি আমার জন্য আল্লাহর নিকট দু’আ করে দিন, যাতে তিনি আমাকে জাহান্নাম থেকে নিষ্কীতি দেন এবং জান্নাতে প্রবেশ করান। (এ কথা শুনে) তিনি চুপ করে গেলেন। অতঃপর বললেন, এ জিনিস চাওয়ার কথা তোমাকে কে শিখিয়ে দিয়েছে? তিনি বললেন, এটা আমাকে কেউ শিখিয়ে দেয়নি, তবে আমি যখন জানলাম যে, দুনিয়া ক্ষণস্থায়ী ও ধ্বংসশীল আর আল্লাহর পক্ষ থেকে আপনার রয়েছে বিশেষ মর্যাদা তাই এটাই ভালো মনে করলাম যে, আপনি আমার জন্য আল্লাহর কাছে দু’আ করে দেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, আমি দু’আ করবো, কিন্তু তুমি অধিকাধিক সিজদা করে (অর্থাৎ প্রচুর নফল নামায পড়ে) তোমার (এ আশা পূরণের) জন্য আমাকে সাহায্য করো।

عَن رَبِيعَةَ بن كَعْبٍ قَالَ : كُنْتُ أَخْدُمُ رَسُولَ اللهِ ﷺ نَهَارِي فَإِذَا كَانَ اللَّيْلُ أَوَيْتُ إِلَى بَابِ رَسُولِ اللهِ ﷺ فَبَتُّ عَندَهُ فَلا أَزَالُ أَسْمَعُهُ يَقُولُ : سُبْحَانَ اللهِ سُبْحَانَ رَبِّي حَتَّى أَمَلُّ أَوْ تَغْلِبَنِي عَيْنِي فَأَنَامُ فَقَالَ ذَاتَ يَوْمٍ : يَا رَبِيعَةُ سَلْنِي فَأُعْطِيَكَ قُلْتُ : أَنْظِرْنِي حَتَّى أَنْظُرَ وتَذَكَرْتُ أَنَّ الدُّنْيَا فَانِيَةٌ مُنْقَطِعَةٌ فَقُلْتُ : يَا رَسُولَ اللهِ أَسْأَلُكَ أنْ تَدْعُوَ اللهَ أَنْ يُجَنِّبَنِي مِنَ النَّارِ وَيُدْخِلَنِي الْجَنَّةَ فَسَكَتَ رَسُولُ اللهِ ﷺ ثُمَّ قَالَ : مَنْ أَمَرَكَ بِهَذَا ؟ قُلْتُ : مَا أَمَرَنِي بِهِ أَحَدٌ وَلَكِنِّي عَلِمْتُ أَنَّ الدُّنْيَا مُنْقَطِعَةٌ فَانِيَةٌ وَأَنْتَ مِنَ اللهِ بِالْمَكَانِ الَّذِي أَنْتَ بِهِ أَحْبَبْتُ أنْ تَدْعُوَ اللهَ قَالَ : إِنِّي فَاعِلٌ فَأَعَني بِكَثْرَةِ السُّجُودِ

عن ربيعة بن كعب قال : كنت اخدم رسول الله ﷺ نهاري فاذا كان الليل اويت الى باب رسول الله ﷺ فبت عنده فلا ازال اسمعه يقول : سبحان الله سبحان ربي حتى امل او تغلبني عيني فانام فقال ذات يوم : يا ربيعة سلني فاعطيك قلت : انظرني حتى انظر وتذكرت ان الدنيا فانية منقطعة فقلت : يا رسول الله اسالك ان تدعو الله ان يجنبني من النار ويدخلني الجنة فسكت رسول الله ﷺ ثم قال : من امرك بهذا ؟ قلت : ما امرني به احد ولكني علمت ان الدنيا منقطعة فانية وانت من الله بالمكان الذي انت به احببت ان تدعو الله قال : اني فاعل فاعني بكثرة السجود

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৬/ স্বলাত (নামায)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৪ পর্যন্ত, সর্বমোট ৪ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে