পরিচ্ছেদঃ ইমামতি বিষয়ক হাদীসসমূহ
(৭১৯) আনাস বিন মালিক (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তিন ব্যক্তির নামায আল্লাহ কবুল করেন না, তাদের নামায আকাশের দিকে ওঠে না, এমনকি তাদের মাথাও অতিক্রম করে না; (এদের মধ্যে প্রথম হল) সেই ব্যক্তি, যে কোন জামাআতের ইমামতি করে অথচ তারা তাকে অপছন্দ করে। দ্বিতীয় হল সেই ব্যক্তি, যে কোন জানাযার নামায পড়ায় অথচ তাকে পড়তে আদেশ করা হয়নি এবং তৃতীয় হল সেই মহিলা, যাকে রাত্রে তার স্বামী (সঙ্গমের উদ্দেশ্যে) ডাকে অথচ সে যেতে অস্বীকার করে।
عَن أنس بن مالك قال قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ ثَلاَثَةٌ لاَ تُقْبَلُ مِنْهُمْ صَلاَةٌ وَلاَ تَصْعَدُ إِلَى السَّمَاءِ وَلاَ تُجَاوِزُ رُؤُوسَهُمْ : رَجُلٌ أَمَّ قَوْمًا وَهُمْ لَهُ كَارِهُونَ وَرَجُلٌ صَلَّى عَلَى جَِنَازَةٍ وَلَمْ يُؤْمَرْ وَامْرَأَةٌ دَعَاهَا زَوْجُهَا مِنَ اللَّيْلِ فَأَبَتْ عَلَيْهِ
পরিচ্ছেদঃ ইমামতি বিষয়ক হাদীসসমূহ
(৭২০) আবূ উমামা (রাঃ) হতে বর্ণিত আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তিন ব্যক্তির নামায তাদের কান অতিক্রম করে না; প্রথম হল, পলাতক ক্রীতদাস; যতক্ষণ না সে ফিরে আসে। দ্বিতীয় হল, এমন মহিলা যার স্বামী তার উপর রাগান্বিত অবস্থায় রাত্রিযাপন করে এবং তৃতীয় হল, সেই জামাআতের ইমাম যাকে ঐ লোকেরা অপছন্দ করে।
عَنْ أَبيْ أُمَامَةَ قال : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلاَثَةٌ لاَ تُجَاوِزُ صَلاَتُهُمْ آذَانَهُمُ الْعَبْدُ الآبِقُ حَتَّى يَرْجِعَ وَامْرَأَةٌ بَاتَتْ وَزَوْجُهَا عَلَيْهَا سَاخِطٌ وَإِمَامُ قَوْمٍ وَهُمْ لَهُ كَارِهُونَ
পরিচ্ছেদঃ ইমামতি বিষয়ক হাদীসসমূহ
(৭২১) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের কেউ যখন ইমামের আগে মাথা তোলে, তখন তার মনে কি ভয় হয় না যে, মহান আল্লাহ তার মাথা, গাধার মাথায় পরিণত ক’রে দেবেন অথবা তার আকৃতি গাধার আকৃতি ক’রে দেবেন।
عَنْ أَبيْ هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ قَالَ أَمَا يَخْشَى أَحَدُكُمْ إِذَا رَفَعَ رَأسَهُ قَبْلَ الإمَامِ أَنْ يَجْعَلَ اللهُ رَأسَهُ رَأسَ حِمَارٍ أَوْ يَجْعَلَ اللهُ صُورَتَهُ صُورَةَ حِمَارٍ متفق عَلَيْهِ
পরিচ্ছেদঃ ইমামতি বিষয়ক হাদীসসমূহ
(৭২২) আবূ মাসঊদ আনসারী (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, লোকেদের ইমামতি করবে সেই ব্যক্তি যে তাদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা অধিক কুরআন (উত্তম ও বেশীরূপে) পাঠ করে। কুরআন পাঠে তারা সমমানের হলে যে ব্যক্তি সুন্নাহ বিষয়ে অধিক জ্ঞান রাখে সে ইমামতি করবে। এতেও তারা সমমানের হলে প্রথম হিজরতকারী তাতেও সমান হলে প্রথম যে মুসলিম হয়েছে সে ইমামতি করবে। আর কোন ব্যক্তি যেন কারো ইমামতির জায়গায় ইমামতি না করে এবং কারো আসনে তার বিনা অনুমতিতে না বসে।
عَن أَبِى مَسْعُودٍ الأَنْصَارِىِّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ يَؤُمُّ الْقَوْمَ أَقْرَؤُهُمْ لِكِتَابِ اللهِ فَإِنْ كَانُوا فِى الْقِرَاءَةِ سَوَاءً فَأَعْلَمُهُمْ بِالسُّنَّةِ فَإِنْ كَانُوا فِى السُّنَّةِ سَوَاءً فَأَقْدَمُهُمْ هِجْرَةً فَإِنْ كَانُوا فِى الْهِجْرَةِ سَوَاءً فَأَقْدَمُهُمْ سِلْمًا وَلاَ يَؤُمَّنَّ الرَّجُلُ الرَّجُلَ فِى سُلْطَانِهِ وَلاَ يَقْعُدْ فِى بَيْتِهِ عَلَى تَكْرِمَتِهِ إِلاَّ بِإِذْنِهِ
পরিচ্ছেদঃ ইমামতি বিষয়ক হাদীসসমূহ
(৭২৩) মুগীরাহ বিন শু’বাহ (রাঃ) বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে আবেদন করলাম, তিনি যেন আমাকে আমার সম্প্রদায়ের ইমাম বানিয়ে দেন। সুতরাং তিনি বললেন, জামাআতের সবচেয়ে দুর্বল ব্যক্তির খেয়াল করে নামায পড়াও। আর এমন মুআযযিন রেখো না, যে আযানের জন্য পারিশ্রমিক চায়।
عَن الْمُغِيرَةِ بن شُعْبَةَ قَالَ: سَأَلْتُ النَّبِيَّ ﷺ أَنْ يَجْعَلَنِي إِمَامَ قَوْمِي فَقَالَ صَلِّ صَلاةَ أَضْعَفِ الْقَوْمِ وَلا تَتَّخِذْ مُؤَذِّنًا يَأْخُذُ عَلَى أَذَانِهِ أَجْرًا
পরিচ্ছেদঃ ইমামতি বিষয়ক হাদীসসমূহ
(৭২৪) উসমান (রাঃ) ফিতনার সময় যখন স্বগৃহে অবরুদ্ধ ছিলেন, তখন উবাইদুল্লাহ বিন আদী বিন খিয়ার তাঁর নিকট উপস্থিত হয়ে বললেন, আপনি জনসাধারণের ইমাম। আর আপনার উপর যে বিপদ এসেছে, তা তো দেখতেই পাচ্ছেন। ফিতনার ইমাম আমাদের নামাযের ইমামতি করছে; অথচ তার পশ্চাতে নামায পড়তে আমরা দ্বিধাবোধ করি। তিনি বললেন, নামায হল মানুষের সর্বশ্রেষ্ঠ আমল। সুতরাং লোকে ভালো ব্যবহার করলে তাদের সাথেও ভালো ব্যবহার কর। আর মন্দ ব্যবহার করলে তাদের সাথে মন্দ ব্যবহার করা থেকে দূরে থাক।
عَن عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَدِيِّ بْنِ خِيَارٍ أَنَّهُ دَخَلَ عَلَى عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ رَضِيَ اللهُ عَنهُ وَهُوَ مَحْصُورٌ فَقَالَ إِنَّكَ إِمَامُ عَامَّةٍ وَنَزَلَ بِكَ مَا نَرَى وَيُصَلِّي لَنَا إِمَامُ فِتْنَةٍ وَنَتَحَرَّجُ فَقَالَ الصَّلَاةُ أَحْسَنُ مَا يَعْمَلُ النَّاسُ فَإِذَا أَحْسَنَ النَّاسُ فَأَحْسِنْ مَعَهُمْ وَإِذَا أَسَاءُوا فَاجْتَنِبْ إِسَاءَتَهُمْ
পরিচ্ছেদঃ ইমামতি বিষয়ক হাদীসসমূহ
(৭২৫) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ইমামগণ তোমাদের নামায পড়ায়। সুতরাং তারা যদি নামায সঠিকভাবে পড়ায়, তাহলে তোমাদের নেকী অর্জিত হবে। আর যদি ভুল করে, তাহলে তোমাদের নেকী (যথারীতি) অর্জিত হবে এবং ভুলের খেসারত তাদের উপরেই বর্তাবে।
وَعَنْ أَبيْ هُرَيْرَةَ : أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ يُصَلُّونَ لَكُمْ فَإِنْ أَصَابُوا فَلَكُمْ وَإِنْ أَخْطَئُوا فَلَكُمْ وَعَلَيْهِمْ رواه البخاري