পরিচ্ছেদঃ আযানের ফযীলত
(৬০৪) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, লোকেরা যদি জানত যে, আযান দেওয়া ও নামাযের প্রথম সারিতে দাঁড়াবার কী মাহাত্ম্য আছে, অতঃপর (তাতে অংশগ্রহণের জন্য) যদি লটারি ব্যতিরেকে অন্য কোন উপায় না পেত, তবে তারা অবশ্যই সে ক্ষেত্রে লটারির সাহায্য নিত। (অনুরূপ) তারা যদি জানত যে, আগে আগে মসজিদে আসার কি ফযীলত, তাহলে তারা সে ব্যাপারে প্রতিযোগিতা করত। আর তারা যদি জানত যে, এশা ও ফজরের নামায (জামাতে) পড়ার ফযীলত কত বেশি, তাহলে মাটিতে হামাগুড়ি দিয়ে বা পাছা ছেঁচড়ে আসতে হলেও তারা অবশ্যই আসত।
عَنْ أَبيْ هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ لَوْ يَعْلَمُ النَّاسُ مَا فِي النِّدَاءِ وَالصَّفِ الأَوَّلِ ثُمَّ لَمْ يَجِدُوا إِلاَّ أنْ يَسْتَهِمُوا عَلَيْهِ لاَسْتَهَمُوا عَلَيْهِ ولو يَعْلَمُونَ مَا فِي التَّهْجِيرِ لاَسْتَبَقُوا إِلَيْهِ وَلَوْ يَعْلَمُونَ مَا فِي العَتَمَةِ وَالصُّبْحِ لأَتَوْهُمَا وَلَوْ حَبْواً متفقٌ عَلَيْهِ
পরিচ্ছেদঃ আযানের ফযীলত
(৬০৫) মুআবিয়াহ ইবনে আবূ সুফয়ান (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ কথা বলতে শুনেছি, কিয়ামতের দিনে সমস্ত লোকের চাইতে মুআযযিনদের গর্দান লম্বা হবে।
وَعَن مُعَاوِيَةَ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ ﷺ يَقُوْلُ المُؤَذِّنُونَ أَطْوَلُ النَّاسِ أَعَناقاً يَوْمَ القِيَامَةِ رواه مسلم
পরিচ্ছেদঃ আযানের ফযীলত
(৬০৬) আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুর রহমান ইবনে স্বা’স্বাআহ হতে বর্ণিত, একদা আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) তাঁকে বললেন, আমি তোমাকে দেখছি যে, তুমি ছাগল ও মরুভূমি ভালবাসো। সুতরাং তুমি যখন তোমার ছাগলে বা মরুভূমিতে থাকবে আর নামাযের জন্য আযান দেবে, তখন উচ্চ স্বরে আযান দিয়ো। কারণ মুআযযিনের আযান ধ্বনি যতদূর পর্যন্ত মানব-দানব ও অন্যান্য বস্তু শুনতে পাবে, কিয়ামতের দিন তারা তার জন্য সাক্ষ্য দেবে। আবূ সাঈদ (রাঃ) বলেন, আমি এটি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট শুনেছি।
وَعَن عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبدِ الرَّحْمَانِ بنِ أَبي صَعْصَعَة : أَنَّ أَبَا سَعِيدٍ الخُدرِيَّ قَالَ لَهُ إنِّي أَرَاكَ تُحبُّ الغَنَمَ وَالبَادِيَةَ فَإِذَا كُنْتَ فِي غَنَمِك أَوْ بَادِيتِكَ فَأذَّنْتَ لِلصَّلاَةِ فَارْفَعْ صَوْتَكَ بِالنِّدَاءِ فَإِنَّهُ لاَ يَسْمَعُ مَدَى صَوْتِ المُؤَذِّنِ جِنٌّ وَلاَ إِنْسٌ وَلاَ شَيْءٌ إِلاَّ شَهِدَ لَهُ يَومَ القِيَامَةِ قَالَ أَبُو سَعِيدٍ : سَمِعتُهُ مِنْ رَسُولِ اللهِ ﷺ رواه البخاري
পরিচ্ছেদঃ আযানের ফযীলত
(৬০৭) বারা’ বিন আযেব (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহ প্রথম কাতারের (নামাযীদের) উপর রহমত বর্ষণ করেন এবং ফিরিশতাগণ তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে থাকেন। মুআযযিনকে তার আযানের আওয়াযের উচ্চতা অনুযায়ী ক্ষমা করা হয়। তার আযান শ্রবণকারী প্রত্যেক সরস বা নীরস বস্তু তার কথার সত্যায়ন করে থাকে। তার সাথে যারা নামায পড়ে তাদের সকলের নেকীর সমপরিমাণ তার নেকী লাভ হয়।
عَن الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ أَنَّ نَبِيَّ اللهِ ﷺ قَالَ إِنَّ اللهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى الصَّفِّ الْمُقَدَّمِ وَالْمُؤَذِّنُ يُغْفَرُ لَهُ مَدَّ صَوْتِهِ وَيُصَدِّقُهُ مَنْ سَمِعَهُ مِنْ رَطْبٍ وَيَابِسٍ وَلَهُ مِثْلُ أَجْرِ مَنْ صَلَّى مَعَهُ
পরিচ্ছেদঃ আযানের ফযীলত
(৬০৮) ইবনে উমার (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি বারো বৎসর আযান দেবে তার জন্য জান্নাত ওয়াজেব হয়ে যাবে। আর প্রত্যেক দিন আযানের দরুন তার আমলনামায় ষাটটি নেকী লিপিবদ্ধ করা হবে এবং তার ইকামতের দরুন লিপিবদ্ধ হবে ত্রিশটি নেকী।
عَنْ اِبْنِ عُمَرَ أَنَّ النَّبِىَّ ﷺ قَالَ مَنْ أَذَّنَ اثْنَتَىْ عَشْرَةَ سَنَةً وَجَبَتْ لَهُ الْجَنَّةُ وَكُتِبَ لَهُ بِتَأْذِينِهِ فِى كُلِّ مَرَّةٍ سِتُّونَ حَسَنَةً وَبِإِقَامَتِهِ ثَلاَثُونَ حَسَنَةً
পরিচ্ছেদঃ আযানের ফযীলত
(৬০৯) আবূ হুরাইরা (রাঃ) বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ইমাম (লোকেদের) যামিন, আর মুআযযিন হল তাদের (নামায-রোযার) জিম্মেদার। হে আল্লাহ! তুমি ইমামগণকে পথপ্রদর্শন কর এবং মুআযযিনগণকে ক্ষমা করে দাও। এক ব্যক্তি বলল, এ কথা শুনিয়ে আপনি তো আমাদেরকে আযানে প্রতিযোগিতা করতে লাগিয়ে দিলেন। তিনি বললেন, তোমাদের পরে এমন যুগ আসবে, যে যুগের নিকৃষ্ট শ্রেণীর মানুষরাই হবে মুআযযিন।
عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ الإِمَامُ ضَامِنٌ وَالْمُؤَذِّنُ مُؤْتَمَنٌ اَللّٰهُمَّ أَرْشِدِ الأَئِمَّةَ وَاغْفِرْ لِلْمُؤَذِّنِينَ فَقَالَ رَجُلٌ : يَا رَسُولَ اللهِ لَقَدْ تَرَكْتَنَا وَنَحْنُ نَتَنَافَسُ الأَذَانَ بَعْدَكَ زَمَانًا قَالَ إِنَّ بَعْدَكُمْ زَمَانًا سَفِلَتُهُمْ مُؤَذِّنُوهُمْ
পরিচ্ছেদঃ আযানের ফযীলত
(৬১০) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন নামাযের জন্য আযান দেওয়া হয়, তখন শয়তান বাতকর্ম করতে করতে পিঠ ঘুরিয়ে পলায়ন করে, যাতে সে আযান শুনতে না পায়। তারপর আযান শেষ হলে ফিরে আসে। শেষ পর্যন্ত যখন ’তাকবীর’ দেওয়া হয়, তখন আবার পিঠ ঘুরিয়ে পালায়। অতঃপর যখন ’তাকবীর’ শেষ হয়, তখন আবার ফিরে আসে। পরিশেষে (নামাযী) ব্যক্তির মনে এই কুমন্ত্রণা প্রক্ষেপ করে যে, অমুক জিনিসটা স্মরণ কর, অমুক বস্তুটা খেয়াল কর। সে সমস্ত বিষয় (স্মরণ করায়) যা পূর্বে তার স্মরণে ছিল না। শেষ পর্যন্ত এ ব্যক্তি এরূপ পরিস্থিতির সম্মুখীন হয় যে, সে বুঝতে পারে না, কত রাকআত নামায সে আদায় করল।
وَعَنْ أَبيْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ إِذَا نُودِيَ بِالصَّلاَةِ أَدْبَرَ الشَّيْطَانُ وَلَهُ ضُرَاطٌ حَتَّى لاَ يَسْمَعَ التَّأذِينَ فَإِذَا قُضِيَ النِّدَاءُ أقْبَلَ حَتَّى إِذَا ثُوِّبَ للصَّلاةِ أَدْبَرَ حَتَّى إِذَا قُضِيَ التَّثْوِيبُ أَقْبَلَ حَتَّى يَخْطِرَ بَيْنَ المَرْءِ وَنَفْسِهِ يَقُوْلُ : اذْكُرْ كَذَا وَاذْكُرْ كَذَا – لِمَا لَمْ يَذْكُرْ مِنْ قَبْلُ – حَتَّى يَظَلَّ الرَّجُلُ مَا يَدْرِيْ كَمْ صَلَّى متفقٌ عَلَيْهِ
পরিচ্ছেদঃ আযানের ফযীলত
(৬১১) আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আ’স (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ কথা বলতে শুনেছেন যে, তোমরা যখন আযান শুনবে, তখন (আযানের উত্তরে) মুআযযিন যা কিছু বলবে, তোমরাও ঠিক তাই বলবে। তারপর আযান শেষে আমার উপর দরূদ পাঠ করবে। কেননা, যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরূদ পাঠ করবে, তার বিনিময়ে তার প্রতি আল্লাহ দশটি রহমত নাযেল করবেন। অতঃপর তোমরা আল্লাহর নিকট আমার জন্য ’অসীলা’ প্রার্থনা করবে। কারণ, ’অসীলা’ হচ্ছে জান্নাতের এমন একটি স্থান, যা সমস্ত বান্দার মধ্যে কেবল আল্লাহর একটি বান্দা (তার উপযুক্ত) হবে। আর আশা করি, আমিই সেই বান্দা হব। সুতরাং যে ব্যক্তি আমার জন্য অসীলা প্রার্থনা করবে, তার জন্য (আমার) সুপারিশ অনিবার্য হয়ে যাবে।
وَعَن عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمرِو بنِ العَاصِ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا : أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللهِ ﷺ يَقُوْلُ إِذَا سَمِعْتُمُ النِّدَاءَ فَقُولُوا مِثْلَ مَا يَقُوْلُ ثُمَّ صَلُّوا عَلَيَّ فَإِنَّهُ مَنْ صَلَّى عَلَيَّ صَلاَةً صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ بِهَا عَشْراً ثُمَّ سَلُوا اللهَ لِيَ الوَسِيلَةَ فَإِنَّهَا مَنْزِلَةٌ فِي الجَنَّةِ لاَ تَنْبَغِي إِلاَّ لِعَبْدٍ مِنْ عِبَادِ اللهِ وَأرْجُو أَنْ أَكُونَ أَنَا هُوَ فَمَنْ سَأَلَ لِيَ الوَسِيلَةَ حَلَّتْ لَهُ الشَّفَاعَةُ رواه مسلم
পরিচ্ছেদঃ আযানের ফযীলত
(৬১২) আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন তোমরা আযান ধ্বনি শুনবে, তখন (আযানের উত্তরে) মুআযযিন যা কিছু বলবে, তোমরাও ঠিক তাই বলো।
وَعَنْ أَبيْ سَعِيدٍ الخُدرِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ إِذَا سَمِعْتُمُ النِّدَاءَ فَقُولُوا مِثلَ مَا يَقُوْلُ المُؤَذِّنُ متفقٌ عَلَيْهِ
পরিচ্ছেদঃ আযানের ফযীলত
(৬১৩) আবু হুরাইরা (রাঃ) বলেন, একদা আমরা আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে ছিলাম। এমতাবস্থায় বিলাল উঠে আযান দিলেন। অতঃপর তিনি চুপ হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এ যা বলল, অনুরূপ যে অন্তরের একীনের (প্রত্যয়ের) সাথে বলবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
عَنْ أَبيْ هُرَيْرَةَ رضي الله عَنه قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَامَ بِلاَلٌ يُنَادِي فَلَمَّا سَكَتَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ قَالَ مِثْلَ مَا قَالَ هَذَا يَقِينًا دَخَلَ الْجَنَّةَ
পরিচ্ছেদঃ আযানের ফযীলত
(৬১৪) জাবের (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি আযান শুনে (আযানের শেষে) এই দু’আ বলবে, ’আল্লা-হুম্মা রাব্বা হা-যিহিদ দা’অতিত্ তা-ম্মাহ, অস্স্বলা-তিল ক্বা-য়িমাহ, আ-তি মুহাম্মাদানিল অসীলাতা অলফাযীলাহ, অবআসহু মাক্বা-মাম মাহমূদানিল্লাযী অআত্তাহ।
অর্থাৎ, হে আল্লাহ এই পূর্ণাঙ্গ আহবান ও প্রতিষ্ঠা লাভকারী নামাযের প্রভু! মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে তুমি অসীলা (জান্নাতের এক উচ্চ স্থান) ও মর্যাদা দান কর এবং তাঁকে সেই প্রশংসিত স্থানে পৌঁছাও, যার প্রতিশ্রুতি তুমি তাঁকে দিয়েছ। সে ব্যক্তির জন্য কিয়ামতের দিন আমার সুপারিশ অনিবার্য হয়ে যাবে।
وَعَن جَابِرٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ مَنْ قَالَ حِيْنَ يَسْمَعُ النِّدَاءَ : اَللّٰهُمَّ رَبَّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ وَالصَّلاَةِ القَائِمَةِ آتِ مُحَمَّداً الوَسِيلَةَ وَالفَضِيلَةَ وَابْعَثْهُ مَقَامَاً مَحْمُوداً الَّذِيْ وَعَدْتَهُ حَلَّتْ لَهُ شَفَاعَتي يَوْمَ القِيَامَةِ رواه البخاري
পরিচ্ছেদঃ আযানের ফযীলত
(৬১৫) সা’দ ইবনে আবী অক্কাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আযান শুনে যে ব্যক্তি এই দু’আ পড়বে, ’আশহাদু আল লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু অহদাহু লা শারীকা লাহ, অ আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু অরাসূলুহ, রায্বীতু বিল্লা-হি রাব্বাঁউ অ বিমুহাম্মাদির রাসূলাঁউ অ বিলইসলা-মি দ্বীনা।’
অর্থাৎ, আমিও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য মাবুদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই এবং মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁর দাস ও প্রেরিত রসূল। আল্লাহকে প্রতিপালক বলে মেনে নিতে, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে নবীরূপে স্বীকার করতে এবং ইসলামকে দ্বীন হিসাবে গ্রহণ করতে আমি সম্মত ও তুষ্ট হয়েছি।
সে ব্যক্তির (ছোট ছোট) গুনাহ ক্ষমা ক’রে দেওয়া হবে।
وَعَن سَعدِ بنِ أَبي وَقَّاصٍ عَنِ النَّبِيِّ ﷺ أنَّه قَالَ مَنْ قَالَ حِيْنَ يَسْمَعُ المُؤَذِّنَ : أَشْهَدُ أَنْ لاَ إلَه إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ وَأَنَّ مُحَمَّداً عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ رَضِيتُ بِاللهِ رَبّاً وَبِمُحَمَّدٍ رَسُولاً وَبِالإِسْلامِ دِيناً غُفِرَ لَهُ ذَنْبُهُ رواه مسلم
পরিচ্ছেদঃ আযানের ফযীলত
(৬১৬) আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আযান ও ইকামতের মধ্য সময়ে কৃত প্রার্থনা রদ করা হয় না। (অর্থাৎ, এ সময়ের দু’আ কবুল হয়)।
وَعَن أَنَسٍ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ الدُّعَاءُ لاَ يُرَدُّ بَيْنَ الأَذَانِ وَالإقَامَةِ رواه أَبُو داود والترمذي