পরিচ্ছেদঃ ফিরিশতার প্রতি ঈমান

(৫২) আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ফিরিশতাদেরকে জ্যোতি থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। জিন জাতিকে সৃষ্টি করা হয়েছে অগ্নিশিখা হতে। আর আদমকে সৃষ্টি করা হয়েছে সেই বস্তু থেকে, যা তোমাদেরকে বর্ণনা করা হয়েছে। (অর্থাৎ, মাটি থেকে)।

وَعَن عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهَا قَالَتْ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ خُلِقَتِ المَلاَئِكَةُ مِنْ نُورٍ وَخُلِقَ الجَانُّ مِنْ مَارِجٍ مِنْ نَارٍ وَخُلِقَ آدَمُ مِمَّا وُصِفَ لَكُمْ رواه مسلم

وعن عاىشة رضي الله عنها قالت : قال رسول الله ﷺ خلقت الملاىكة من نور وخلق الجان من مارج من نار وخلق ادم مما وصف لكم رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১/ ঈমান

পরিচ্ছেদঃ ফিরিশতার প্রতি ঈমান

(৫৩) মালিক বিন স্বা’স্বাআহ কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, অতঃপর (সপ্তম আসমান অতিক্রম করার পর) আমার জন্য ’বায়তুল মা’মূর’ পেশ করা হল। আমি বললাম হে জিবরীল এটা কি? তিনি বললেন, এটা ’বায়তুল মা’মূর’ তাতে প্রত্যহ সত্তর হাজার ফিরিশতা প্রবেশ করেন। যখন সেখান থেকে বের হয় অতঃপর তার প্রতি ফিরে আসার আর সুযোগ পান না। সেটাই তাঁদের সর্বশেষ প্রবেশ হয়।

عَن مَالِكِ بْنِ صَعْصَعَةَ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ ﷺ ثُمَّ رُفِعَ لِىَ الْبَيْتُ الْمَعْمُورُ فَقُلْتُ يَا جِبْرِيلُ مَا هَذَا قَالَ هَذَا الْبَيْتُ الْمَعْمُورُ يَدْخُلُهُ كُلَّ يَوْمٍ سَبْعُونَ أَلْفَ مَلَكٍ إِذَا خَرَجُوا مِنْهُ لَمْ يَعُودُوا فِيهِ آخِرُ مَا عَلَيْهِمْ

عن مالك بن صعصعة قال قال النبي ﷺ ثم رفع لى البيت المعمور فقلت يا جبريل ما هذا قال هذا البيت المعمور يدخله كل يوم سبعون الف ملك اذا خرجوا منه لم يعودوا فيه اخر ما عليهم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১/ ঈমান

পরিচ্ছেদঃ ফিরিশতার প্রতি ঈমান

(৫৪) আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই, যার সাথে সঙ্গী জ্বিন এবং সঙ্গী ফিরিশতা নিযুক্ত নেই।

عَن عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ إِلاَّ وَقَدْ وُكِّلَ بِهِ قَرِينُهُ مِنَ الْجِنِّ

عن عبد الله بن مسعود قال قال رسول الله ﷺ ما منكم من احد الا وقد وكل به قرينه من الجن

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১/ ঈমান

পরিচ্ছেদঃ ফিরিশতার প্রতি ঈমান

(৫৫) আয়েশা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, (তাঁর দর্শন লাভের ব্যাপারে) বলেছেন, তিনি হলেন জিবরীল। তাঁকে ঐ দুইবার ছাড়া অন্য বারে তাঁর সৃষ্টিগত আসল রূপে দর্শন করিনি। যখন তিনি আসমানে অবতরণরত ছিলেন, তাঁর বিরাট সৃষ্টি-আকৃতি আকাশ-পৃথিবীর মধ্যবর্তী স্থানকে ঘিরে রেখেছিল!

عَن عَائِشَةَ قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ إِنَّمَا هُوَ جِبْرِيلُ لَمْ أَرَهُ عَلَى صُورَتِهِ الَّتِى خُلِقَ عَلَيْهَا غَيْرَ هَاتَيْنِ الْمَرَّتَيْنِ رَأَيْتُهُ مُنْهَبِطًا مِنَ السَّمَاءِ سَادًّا عِظَمُ خَلْقِهِ مَا بَيْنَ السَّمَاءِ إِلَى الأَرْضِ

عن عاىشة قالت قال رسول الله ﷺ انما هو جبريل لم اره على صورته التى خلق عليها غير هاتين المرتين رايته منهبطا من السماء سادا عظم خلقه ما بين السماء الى الارض

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১/ ঈমান

পরিচ্ছেদঃ ফিরিশতার প্রতি ঈমান

(৫৬) এক বর্ণনায় মা আয়েশা (রাঃ) বলেন, এ ছিলেন জিবরীল (আঃ)। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে পুরুষদের বেশে আসতেন। কিন্তু উক্ত সময়ে তিনি নিজ প্রকৃত বেশে এসেছিলেন, ফলে আকাশের দিকচক্রবাল বন্ধ করে ফেলেছিলেন।

وفي رِوَايَةٍ قَالَتْ: إِنَّمَا ذَاكَ جِبْرِيلُ ﷺ كَانَ يَأْتِيهِ فِى صُورَةِ الرِّجَالِ وَإِنَّهُ أَتَاهُ فِى هَذِهِ الْمَرَّةِ فِى صُورَتِهِ الَّتِى هِىَ صُورَتُهُ فَسَدَّ أُفُقَ السَّمَاءِ

وفي رواية قالت: انما ذاك جبريل ﷺ كان ياتيه فى صورة الرجال وانه اتاه فى هذه المرة فى صورته التى هى صورته فسد افق السماء

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১/ ঈমান

পরিচ্ছেদঃ ফিরিশতার প্রতি ঈমান

(৫৭) আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিবরীলকে দেখেছেন, তাঁর ছয় শত ডানা রয়েছে।

عَن ابْنِ مَسْعُوْدٍ أَنَّ النَّبِىَّ ﷺ رَأَى جِبْرِيلَ لَهُ سِتُّمِائَةِ جَنَاحٍ

عن ابن مسعود ان النبى ﷺ راى جبريل له ستماىة جناح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১/ ঈমান

পরিচ্ছেদঃ ফিরিশতার প্রতি ঈমান

(৫৮) ইবনে মাসঊদ আরো বলেছেন, তিনি সবুজ রেশমী (ডানাবিশিষ্ট জিবরীল) কে দেখেছেন দিগন্ত ঢেকে রেখেছেন।

عَن عَبْدِ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنهُ لَقَدْ رَأَى مِنْ آيَاتِ رَبِّهِ الْكُبْرَى: قَالَ رَأَى رَفْرَفًا أَخْضَرَ سَدَّ أُفُقَ السَّمَاءِ

عن عبد الله رضي الله عنه لقد راى من ايات ربه الكبرى: قال راى رفرفا اخضر سد افق السماء

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১/ ঈমান

পরিচ্ছেদঃ ফিরিশতার প্রতি ঈমান

(৫৯) জাবের বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আরশ বহনকারী ফিরিশতামণ্ডলীর অন্যতম ফিরিশতা সম্বন্ধে বর্ণনা দিতে আমাকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে যে, তাঁর কানের লতি থেকে কাঁধ পর্যন্ত মধ্যবর্তী স্থানের দূরত্ব হল সাতশত বছরের পথ।

عَن جَابِرٍ بْنِ عَبْدِ اللهِ عَن النَّبِىِّ ﷺ قَالَ أُذِنَ لِى أَنْ أُحَدِّثَ عَن مَلَكٍ مِنْ مَلاَئِكَةِ اللهِ مِنْ حَمَلَةِ الْعَرْشِ إِنَّ مَا بَيْنَ شَحْمَةِ أُذُنِهِ إِلَى عَاتِقِهِ مَسِيرَةُ سَبْعِمِائَةِ عَامٍ

عن جابر بن عبد الله عن النبى ﷺ قال اذن لى ان احدث عن ملك من ملاىكة الله من حملة العرش ان ما بين شحمة اذنه الى عاتقه مسيرة سبعماىة عام

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১/ ঈমান

পরিচ্ছেদঃ ফিরিশতার প্রতি ঈমান

(৬০) জাবের বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, একদা আমার নিকট নবীগণকে পেশ করা হল। দেখলাম, মূসা (আঃ) হাল্কা দেহবিশিষ্ট (মধ্যম ধরনের) পুরুষ, যেন তিনি (ইয়ামানের) শানূআহ গোত্রের লোক। ঈসা বিন মারয়্যাম (আঃ)-কে দেখলাম, আমার দেখার মধ্যে সাদৃশ্যে তাঁর সবচেয়ে বেশি কাছাকাছি ছিল উরওয়াহ বিন মাসঊদ। ইব্রাহীম (আঃ) কে দেখলাম, আমার দেখার মধ্যে সাদৃশ্যে তাঁর সবচেয়ে বেশি কাছাকাছি ছিল তোমাদের সঙ্গী (উদ্দেশ্য তিনি নিজে)। আর জিবরীল (আঃ) কে দেখলাম, আমার দেখার মধ্যে সাদৃশ্যে তাঁর সবচেয়ে বেশি কাছাকাছি ছিল দিহয়্যাহ।

عَن جَابِرٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ عُرِضَ عَلَىَّ الأَنْبِيَاءُ فَإِذَا مُوسَى ضَرْبٌ مِنَ الرِّجَالِ كَأَنَّهُ مِنْ رِجَالِ شَنُوءَةَ وَرَأَيْتُ عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ عَلَيْهِ السَّلاَمُ فَإِذَا أَقْرَبُ مَنْ رَأَيْتُ بِهِ شَبَهًا عُرْوَةُ بْنُ مَسْعُودٍ وَرَأَيْتُ إِبْرَاهِيمَ صَلَوَاتُ اللهِ عَلَيْهِ فَإِذَا أَقْرَبُ مَنْ رَأَيْتُ بِهِ شَبَهًا صَاحِبُكُمْ يَعَنى نَفْسَهُ - وَرَأَيْتُ جِبْرِيلَ عَلَيْهِ السَّلاَمُ فَإِذَا أَقْرَبُ مَنْ رَأَيْتُ بِهِ شَبَهًا دِحْيَةُ

عن جابر ان رسول الله ﷺ قال عرض على الانبياء فاذا موسى ضرب من الرجال كانه من رجال شنوءة ورايت عيسى ابن مريم عليه السلام فاذا اقرب من رايت به شبها عروة بن مسعود ورايت ابراهيم صلوات الله عليه فاذا اقرب من رايت به شبها صاحبكم يعنى نفسه - ورايت جبريل عليه السلام فاذا اقرب من رايت به شبها دحية

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১/ ঈমান

পরিচ্ছেদঃ ফিরিশতার প্রতি ঈমান

(৬১) বদরী সাহাবী রিফাআহ ইবনে রাফে’ যুরাক্বী (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট জিবরীল এসে বললেন, বদর যুদ্ধে অংশ গ্রহণকারীদেরকে আপনাদের মাঝে কীরূপ গণ্য করেন? তিনি বললেন, সর্বশ্রেষ্ঠ মুসলিমদের শ্রেণীভুক্ত গণ্য করি। অথবা অনুরূপ কোন বাক্যই তিনি বললেন। (জিবরীল) বললেন, বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ফিরিশতাগণও অনুরূপ (সর্বশ্রেষ্ঠ ফিরিশতাগণের শ্রেণীভুক্ত)।

عَن رِفَاعَةَ بْنِ رَافِعٍ الزُّرَقِيِّ وَكَانَ مِنْ أَهْلِ بَدْرٍ قَالَ جَاءَ جِبْرِيلُ إِلَى النَّبِيِّ ﷺ فَقَالَ مَا تَعُدُّونَ أَهْلَ بَدْرٍ فِيكُمْ قَالَ مِنْ أَفْضَلِ الْمُسْلِمِينَ أَوْ كَلِمَةً نَحْوَهَا قَالَ وَكَذَلِكَ مَنْ شَهِدَ بَدْرًا مِنْ الْمَلَائِكَةِ

عن رفاعة بن رافع الزرقي وكان من اهل بدر قال جاء جبريل الى النبي ﷺ فقال ما تعدون اهل بدر فيكم قال من افضل المسلمين او كلمة نحوها قال وكذلك من شهد بدرا من الملاىكة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১/ ঈমান

পরিচ্ছেদঃ ফিরিশতার প্রতি ঈমান

(৬২) আবূ যার্র (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, অবশ্যই আমি দেখি, যা তোমরা দেখতে পাও না এবং শুনি, যা তোমরা শুনতে পাও না। আকাশ কট্‌কট্ করে শব্দ করছে। আর এ শব্দ তার করা সাজে। এতে চার আঙ্গুল পরিমাণ এমন জায়গা নেই, যেখানে কোন ফিরিশতা আল্লাহর জন্য সিজদায় নিজ কপাল অবনত রাখেননি। আল্লাহর কসম! তোমরা যদি জানতে যা আমি জানি, তবে তোমরা কম হাসতে এবং বেশী কাঁদতে এবং বিছানায় তোমরা স্ত্রীদের সাথে আনন্দ উপভোগ করতে না। (বরং) তোমরা আল্লাহর আশ্রয় নেওয়ার জন্য পথে পথে বের হয়ে যেতে।

عَنْ أَبيْ ذَرٍّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ إِنِّي أَرَى مَا لَا تَرَوْنَ وَأَسْمَعُ مَا لَا تَسْمَعُونَ أَطَّتْ السَّمَاءُ وَحَقَّ لَهَا أَنْ تَئِطَّ مَا فِيهَا مَوْضِعُ أَرْبَعِ أَصَابِعَ إِلَّا عَلَيْهِ مَلَكٌ سَاجِدٌ لَوْ عَلِمْتُمْ مَا أَعْلَمُ لَضَحِكْتُمْ قَلِيلًا وَلَبَكَيْتُمْ كَثِيرًا وَلَا تَلَذَّذْتُمْ بِالنِّسَاءِ عَلَى الْفُرُشَاتِ وَلَخَرَجْتُمْ عَلَى أَوْ إِلَى الصُّعُدَاتِ تَجْأَرُونَ إِلَى اللهِ

عن ابي ذر قال قال رسول الله ﷺ اني ارى ما لا ترون واسمع ما لا تسمعون اطت السماء وحق لها ان تىط ما فيها موضع اربع اصابع الا عليه ملك ساجد لو علمتم ما اعلم لضحكتم قليلا ولبكيتم كثيرا ولا تلذذتم بالنساء على الفرشات ولخرجتم على او الى الصعدات تجارون الى الله

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১/ ঈমান

পরিচ্ছেদঃ ফিরিশতার প্রতি ঈমান

(৬৩) হাকীম বিন হিযাম (রাঃ) বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবাগণের মাঝে ছিলেন। অকস্মাৎ তিনি বলে উঠলেন, তোমরা কি তা শুনতে পাচ্ছ, যা আমি শুনতে পাচ্ছি? সকলে বলল, ’আমরা তো কিছু শুনতে পাচ্ছি না। তিনি বললেন, আমি তো আকাশের কট্‌কট্ শব্দ শুনতে পাচ্ছি। আর এ শব্দ করায় তার দোষ নেই। তার মাঝে অর্ধ হাত পরিমাণ এমন জায়গা নেই, যাতে কোন ফিরিশতা সিজদা অথবা কিয়াম অবস্থায় নেই।

عَن حَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ قَالَ : بَيْنَمَا رَسُولُ اللهِ ﷺ فِي أَصْحَابِهِ إِذْ قَالَ لَهُمْ تَسْمَعُونَ مَا أَسْمَعُ قَالُوْا : مَا نَسْمَعُ مِنْ شَيْءٍ قَالَ إِنِّي لأَسْمَعُ أَطِيطَ السَّمَاءِ وَمَا تُلامُ أَنْ تَئِطَّ وَمَا فِيهَا مَوْضِعُ شِبْرٍ إِلا وَعَلَيْهِ مَلَكٌ سَاجِدٌ أَوْ قَائِمٌ

عن حكيم بن حزام قال : بينما رسول الله ﷺ في اصحابه اذ قال لهم تسمعون ما اسمع قالوا : ما نسمع من شيء قال اني لاسمع اطيط السماء وما تلام ان تىط وما فيها موضع شبر الا وعليه ملك ساجد او قاىم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১/ ঈমান

পরিচ্ছেদঃ ফিরিশতার প্রতি ঈমান

(৬৪) ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, বদর যুদ্ধে মুসলিমদের এক আনসারী ব্যক্তি মুশরিকদের এক ব্যক্তির পিছনে ধাওয়া করছিল। হঠাৎ সে তার উপরে চাবুকের শব্দ শুনতে পেল এবং অশ্বারোহীর শব্দ (ঘোড়া হাঁকানোর শব্দ) শুনতে পেল, ’অগ্রসর হও হাইযূম।’ অতঃপর সে মুশরিককে তার সামনে দেখতে পেল, সে চিৎ হয়ে পড়ে গেল। লক্ষ্য করল, মুশরিকের নাক বিক্ষত হয়েছে এবং তার মুখমণ্ডল ছিঁড়ে গেছে। যেন চাবুকের আঘাত পড়েছে, ফলে পুরোটা সবুজ (বা কালো) হয়ে গেছে। আনসারী এসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ঘটনা খুলে বললে তিনি বললেন, ঠিক বলেছ, এ ছিল তৃতীয় আসমান থেকে সাহায্য।

عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: بَيْنَمَا رَجُلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ يَوْمَئِذٍ يَشْتَدُّ فِى أَثَرِ رَجُلٍ مِنَ الْمُشْرِكِينَ أَمَامَهُ إِذْ سَمِعَ ضَرْبَةً بِالسَّوْطِ فَوْقَهُ وَصَوْتَ الْفَارِسِ يَقُولُ أَقْدِمْ حَيْزُومُ فَنَظَرَ إِلَى الْمُشْرِكِ أَمَامَهُ فَخَرَّ مُسْتَلْقِيًا فَنَظَرَ إِلَيْهِ فَإِذَا هُوَ قَدْ خُطِمَ أَنْفُهُ وَشُقَّ وَجْهُهُ كَضَرْبَةِ السَّوْطِ فَاخْضَرَّ ذَلِكَ أَجْمَعُ فَجَاءَ الأَنْصَارِىُّ فَحَدَّثَ بِذَلِكَ رَسُولَ اللهِ ﷺ فَقَالَ صَدَقْتَ ذَلِكَ مِنْ مَدَدِ السَّمَاءِ الثَّالِثَةِ

عن ابن عباس قال: بينما رجل من المسلمين يومىذ يشتد فى اثر رجل من المشركين امامه اذ سمع ضربة بالسوط فوقه وصوت الفارس يقول اقدم حيزوم فنظر الى المشرك امامه فخر مستلقيا فنظر اليه فاذا هو قد خطم انفه وشق وجهه كضربة السوط فاخضر ذلك اجمع فجاء الانصارى فحدث بذلك رسول الله ﷺ فقال صدقت ذلك من مدد السماء الثالثة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১/ ঈমান

পরিচ্ছেদঃ ফিরিশতার প্রতি ঈমান

(৬৫) আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খন্দক থেকে ফিরে এসে অস্ত্র নামিয়ে রেখে গোসল করলে জিবরীল (আঃ) এসে নিজ মাথা থেকে ধুলো ঝাড়তে ঝাড়তে তাঁকে বললেন, আপনি অস্ত্র নামিয়ে রেখেছেন? আল্লাহর কসম! আমরা রাখিনি। ওদের দিকে বের হয়ে চলুন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, কাদের দিকে? জিবরীল (আঃ) বানূ কুরাইযার প্রতি ইঙ্গিত করলেন।

عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: لَمَّا رَجَعَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مِنَ الْخَنْدَقِ وَضَعَ السِّلاَحَ فَاغْتَسَلَ فَأَتَاهُ جِبْرِيلُ وَهُوَ يَنْفُضُ رَأْسَهُ مِنَ الْغُبَارِ فَقَالَ وَضَعْتَ السِّلاَحَ وَاللهِ مَا وَضَعَناهُ اخْرُجْ إِلَيْهِمْ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ فَأَيْنَ فَأَشَارَ إِلَى بَنِى قُرَيْظَةَ

عن عاىشة قالت: لما رجع رسول الله ﷺ من الخندق وضع السلاح فاغتسل فاتاه جبريل وهو ينفض راسه من الغبار فقال وضعت السلاح والله ما وضعناه اخرج اليهم فقال رسول الله ﷺ فاين فاشار الى بنى قريظة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১/ ঈমান

পরিচ্ছেদঃ ফিরিশতার প্রতি ঈমান

(৬৬) আনাস (রাঃ) বলেন, আমি যেন বানূ গানমের গলিতে জিবরীল-বাহিনীর (গমনে উত্থিত) ধুলো উড়তে দেখছি, যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বানূ কুরাইযার দিকে চলতে লাগলেন।

عَن أَنَسٍ رَضِيَ اللهُ عَنهُ قَالَ كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى الْغُبَارِ سَاطِعًا فِي زُقَاقِ بَنِي غَنْمٍ مَوْكِبَ جِبْرِيلَ صَلَوَاتُ اللهِ عَلَيْهِ حِينَ سَارَ رَسُولُ اللهِ ﷺ إِلَى بَنِي قُرَيْظَةَ

عن انس رضي الله عنه قال كاني انظر الى الغبار ساطعا في زقاق بني غنم موكب جبريل صلوات الله عليه حين سار رسول الله ﷺ الى بني قريظة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১/ ঈমান

পরিচ্ছেদঃ ফিরিশতার প্রতি ঈমান

(৬৭) ইবনে আব্বাস (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, রা’দ আল্লাহর ফিরিশতাসমূহের মধ্যে একজন ফিরিশতা। তাঁর সাথে আছে আগুনের চাবুক। তার দ্বারা তিনি মেঘ পরিচালনা করেন; যেদিকে আল্লাহ চান।

عَن ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ الرَّعْدُ مَلَكٌ مِنْ مَلاَئِكَةِ الله مُوَكَّلٌ بالسَّحَابِ مَعَهُ مَخَارِيقُ مِنْ نَارٍ يَسُوقُ بِها السَّحابَ حَيْثُ شاءَ الله

عن ابن عباس قال قال رسول الله ﷺ الرعد ملك من ملاىكة الله موكل بالسحاب معه مخاريق من نار يسوق بها السحاب حيث شاء الله

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১/ ঈমান
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১৬ পর্যন্ত, সর্বমোট ১৬ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে