পরিচ্ছেদঃ ২৭. লি‘আন সম্পর্কে
২২৪৫। ইবনু শিহাব (রহ.) সূত্রে বর্ণিত। সাহল ইবনু সা’দ আস-সাঈদী (রাযি.) তাকে জানিয়েছেন যে, একদা ’উয়াইমির ইবনু আশকার আল-আজলানী (রাযি.) ’আসিম ইবনু ’আদী (রাযি.)-এর নিকট এসে বলেন, হে ’আসিম! যদি কোনো ব্যক্তি স্বীয় স্ত্রীর সাথে অন্য পুরুষকে পায়, এ বিষয়ে তোমার কি অভিমত? সে কি তাকে হত্যা করবে এবং তোমরা তাকে হত্যা করবে বা সে কী করবে? হে আসিম! আমার এ বিষয়ে আপনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করুন। ’আসিম (রাযি.) এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করলে তিনি তা খারাপ ও অশোভন মনে করলেন।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে ’আসিম (রাযি.) যা শুনলেন সেটা তার জন্য ভয়ানক মনে হলো। ’আসিম (রাযি.) তার বাড়ি ফিরে এলে ’উয়াইমির এসে তাকে বলেন, হে ’আসিম! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাকে কি বলেছেন? ’আসিম বললেন, তুমি আমাকে খুব একটা ভালো কাজ দাওনি। আমি তোমার বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করলে তিনি তা অপছন্দ করেন। তখন ’উয়াইমির (রাযি.) আল্লাহর শপথ করে বললেন, আমি এ সম্পর্কে তাঁকে জিজ্ঞেস না করে ক্ষান্ত হবো না।
এই বলে ’উয়াইমির (রাযি.) উঠে সরাসরি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকটে উপস্থিত হলেন। এ সময় তিনি চতুর্দিক থেকে লোকজন পরিবেষ্টিত ছিলেন। তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কি বলেন, যদি কোনো ব্যক্তি নিজ স্ত্রীর সাথে অন্য পুরুষকে পায় তবে সে কি তাকে হত্যা করবে? অতঃপর আপনারা তাকে হত্যা করবেন বা সে কী করবে?
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমার ও তোমার সঙ্গিনীর ব্যাপারে আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে। তাকে নিয়ে এসো! সাহল (রাযি.) বলেন, তারা আসলো এবং উভয়েই লি’আন করলো। তখন আমি অন্যান্য লোকদের সঙ্গে সাথে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছেই উপস্থিত ছিলাম। তারা লি’আন থেকে অবসর হলে ’উয়াইমির (রাযি.) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! এরপর যদি আমি তাকে স্ত্রী হিসাবে রাখি তবে প্রমাণ হবে আমি মিথ্যা বলেছি। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নির্দেশ দেয়ার আগেই তিনি তাকে তিন তালাক দিলেন। ইবনু শিহাব (রহ.) বলেন, তখন থেকে লি’আনকারীদের জন্য এটাই বিধান হয়ে যায়।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي اللِّعَانِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ سَهْلَ بْنَ سَعْدٍ السَّاعِدِيَّ أَخْبَرَهُ، أَنَّ عُوَيْمِرَ بْنَ أَشْقَرَ الْعَجْلَانِيَّ جَاءَ إِلَى عَاصِمِ بْنِ عَدِيٍّ، فَقَالَ لَهُ: يَا عَاصِمُ أَرَأَيْتَ رَجُلًا وَجَدَ مَعَ امْرَأَتِهِ رَجُلًا، أَيَقْتُلُهُ فَتَقْتُلُونَهُ، أَمْ كَيْفَ يَفْعَلُ؟ سَلْ لِي يَا عَاصِمُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ ذَلِكَ، فَسَأَلَ عَاصِمٌ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَكَرِهَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَسَائِلَ وَعَابَهَا، حَتَّى كَبُرَ عَلَى عَاصِمٍ مَا سَمِعَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا رَجَعَ عَاصِمٌ إِلَى أَهْلِهِ، جَاءَهُ عُوَيْمِرٌ، فَقَالَ لَهُ: يَا عَاصِمُ، مَاذَا قَالَ لَكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَقَالَ عَاصِمٌ: لَمْ تَأْتِنِي بِخَيْرٍ، قَدْ كَرِهَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَسْأَلَةَ الَّتِي سَأَلْتُهُ عَنْهَا، فَقَالَ عُوَيْمِرٌ: وَاللَّهِ لَا أَنْتَهِي حَتَّى أَسْأَلَهُ عَنْهَا، فَأَقْبَلَ عُوَيْمِرٌ حَتَّى أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ وَسْطَ النَّاسِ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَرَأَيْتَ رَجُلًا وَجَدَ مَعَ امْرَأَتِهِ رَجُلًا أَيَقْتُلُهُ فَتَقْتُلُونَهُ، أَمْ كَيْفَ يَفْعَلُ؟، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: قَدْ أُنْزِلَ فِيكَ وَفِي صَاحِبَتِكَ قُرْآنٌ، فَاذْهَبْ فَأْتِ بِهَا. قَالَ سَهْلٌ: فَتَلَاعَنَا وَأَنَا مَعَ النَّاسِ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا فَرَغَا، قَالَ عُوَيْمِرٌ: كَذَبْتُ عَلَيْهَا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنْ أَمْسَكْتُهَا، فَطَلَّقَهَا عُوَيْمِرٌ ثَلَاثًا، قَبْلَ أَنْ يَأْمُرَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ ابْنُ شِهَابٍ: فَكَانَتْ تِلْكَ سُنَّةُ الْمُتَلَاعِنَيْنِ
صحيح
Sahl bin Sa’ad Al Sa’idi said that ‘Uwaimir bin Ashqar Al Ajilani came to ‘Asim bin Adl and said to him “Asim tell me about a man who finds a man along with his wife. Should he kill him and then be killed by you, or how should he act? Ask the Apostle of Allaah(ﷺ) ‘Asim, for me about it. ‘Asim then asked the Apostle of Allaah(ﷺ) about it. The Apostle of Allaah(ﷺ) disliked the question and denounced it. What ‘Asim heard from the Apostle of Allaah(ﷺ) fell heavy on him. When ‘Asim returned to his family ‘Uwaimr came to him and asked ‘Asim “What did the Apostle of Allaah(ﷺ) say to you”? Asim replied “You did not do good to me”. The Apostle of Allaah(ﷺ) disliked the question that I asked him. Thereupon ‘Uwaimir said “I swear by Allaah, I shall not leave until I ask him about it. So, ‘Uwaimir came to the Apostle of Allaah(ﷺ) while he was sitting in the midst of the people.” He said “Apostle of Allaah(ﷺ) tell me about a man who finds a man along with his wife. Should he kill him and then be killed by you, or how should he act?” The Apostle of Allaah(ﷺ) said “A revelation has been sent down about you and your wife so go away and bring her. Sahl said “So we cursed one another while I was along with the people who were with the Apostle of Allaah(ﷺ). Then when they finished, ‘Umamir said “I shall have lied against her, Apostle of Allaah(ﷺ) if I keep her. He pronounced her divorce three times before the Apostle of Allaah(ﷺ)commanded him (to do so).
Ibn Shihab said “Then this became the method of invoking curses.”
পরিচ্ছেদঃ ২৭. লি‘আন সম্পর্কে
২২৪৬। ’আব্বাস ইবনু সাহল (রহ.) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ’আসিম ইবনু ’আদী (রাযি.)-কে বললেনঃ তুমি মহিলাকে সন্তান প্রসবকাল পর্যন্ত নিজের কাছে রেখে দাও।[1]
হাসান।
بَابٌ فِي اللِّعَانِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنِي مُحَمَّدٌ يَعْنِي ابْنَ سَلَمَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي عَبَّاسُ بْنُ سَهْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِعَاصِمِ بْنِ عَدِيٍّ: أَمْسِكِ الْمَرْأَةَ عِنْدَكَ حَتَّى تَلِدَ
حسن
‘Abbas bin Sahl reported on the authority of his father “The Prophet (ﷺ) said to ‘Asim bin ‘Adl. Keep the woman with you till she begets the child.
পরিচ্ছেদঃ ২৭. লি‘আন সম্পর্কে
২২৪৭। সাহল ইবনু সা’দ আস-সাঈদী (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি তাদের দু’জনের লি’আন করার সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে উপস্থিত ছিলাম। তখন আমার বয়স ছিলো পনের বছর। অতঃপর বর্ণনাকারী পূর্ণ হাদীস বর্ণনা করেন। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর মহিলাটি গর্ভধারণ করে এবং সন্তানটিকে তার মায়ের সাথে সম্পৃক্ত করে ডাকা হতো।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي اللِّعَانِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ السَّاعِدِيِّ، قَالَ: حَضَرْتُ لِعَانَهُمَا عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَنَا ابْنُ خَمْسَ عَشْرَةَ سَنَةً، وَسَاقَ الْحَدِيثَ، قَالَ فِيهِ: ثُمَّ خَرَجَتْ حَامِلًا فَكَانَ الْوَلَدُ يُدْعَى إِلَى أُمِّهِ
صحيح
Sahl bin Sa’d Al Sa’idi said “I attended the invoking of the curses with the Messenger of Allah (ﷺ) when I was fifteen. He then narrated the rest of the tradition. In this version he said “She then came out pregnant and the child was ascribed to its mother.
পরিচ্ছেদঃ ২৭. লি‘আন সম্পর্কে
২২৪৮। সাহল ইবনু সা’দ (রাযি.) উভয় লি’আনকারীর ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা ঐ মহিলার প্রতি দৃষ্টি রাখো। যদি সে খুব কালো চক্ষু ও বড় নিতম্ববিশিষ্ট সন্তান প্রসব করে, তবে আমি বুঝে নিবো, সে (স্বামী) সত্যই বলেছে। আর যদি সে সান্ডার মতো রক্তিমাভ সন্তান প্রসব করে তাহলে ধারণা করবো যে, সে মিথ্যাবাদী ছিলো। বর্ণনাকারী বলেন, সে অপছন্দনীয় বৈশিষ্টযুক্ত সন্তান প্রসব করলো।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي اللِّعَانِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ الْوَرَكَانِيُّ، أَخْبَرَنَا إِبْرَاهِيمُ يَعْنِي ابْنَ سَعْدٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، فِي خَبَرِ الْمُتَلَاعِنَيْنِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَبْصِرُوهَا، فَإِنْ جَاءَتْ بِهِ أَدْعَجَ الْعَيْنَيْنِ عَظِيمَ الْأَلْيَتَيْنِ فَلَا أُرَاهُ إِلَّا قَدْ صَدَقَ، وَإِنْ جَاءَتْ بِهِ أُحَيْمِرَ كَأَنَّهُ وَحَرَةٌ، فَلَا أُرَاهُ إِلَّا كَاذِبًا، قَالَ: فَجَاءَتْ بِهِ عَلَى النَّعْتِ الْمَكْرُوه
صحيح
Sahl bin Sa’ad reported the Apostle of Allaah(ﷺ) as saying - in the tradition of spouses who invoked curses to each other “Look if she bears a child which has very black eyes, large buttocks, I cannot but imagine that he (i.e., ‘Uwaimir) has spoken the truth. But, if she bears a reddish child like the lizard with red spots (waharah), I cannot imagine that ‘Uwaimir has lied against her. She gave birth to a child (like that described the Prophet (ﷺ) ) in a detestable manner.
পরিচ্ছেদঃ ২৭. লি‘আন সম্পর্কে
২২৪৯। সাহল ইবনু সা’দ আস-সাঈদী (রাযি.) সূত্রে উক্ত ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেছেন, সন্তাটিকে তার মায়ের সাথে সম্পৃক্ত করে ডাকা হতো।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي اللِّعَانِ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا الْفِرْيَابِيُّ، عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ السَّاعِدِيِّ، بِهَذَا الْخَبَرِ قَالَ: فَكَانَ يُدْعَى يَعْنِي الْوَلَدَ لِأُمِّهِ
صحيح
The tradition mentioned above has also been transmitted by Sahl bin Sa’d Al Sa’idi through a different chain of narrators. This version adds the child was attributed to its mother.
পরিচ্ছেদঃ ২৭. লি‘আন সম্পর্কে
২২৫০। সাহল ইবনু সা’দ আস-সাঈদী (রাযি.) সূত্রে উক্ত ঘটনা প্রসঙ্গে বর্ণিত। তিনি বলেন, অতঃপর উমাইর তার স্ত্রীকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপস্থিতিতে তিন তালাক প্রদান করলো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা কার্যকর করলেন। আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপস্থিতিতে যা করা হয় তাই সুন্নাতে পরিণত হয়। সাহল (রাযি.) বলেন, তখন আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিকটে উপস্থিত ছিলাম। অতঃপর উভয় লি’আনকারীর জন্য এই নিয়ম চলে আসছে যে, তাদেরকে বিচ্ছিন্ন করা হবে এবং পুনরায় কখনো তারা উভয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে না।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي اللِّعَانِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ عِيَاضِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْفِهْرِيِّ، وَغَيْرِهِ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، فِي هَذَا الْخَبَرِ، قَالَ: فَطَلَّقَهَا ثَلَاثَ تَطْلِيقَاتٍ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَنْفَذَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانَ مَا صُنِعَ عِنْدَ النَّبِيِّ صلّى الله عليه وسلم سُنَّةٌ، قَالَ سَهْلٌ: حَضَرْتُ هَذَا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَمَضَتِ السُّنَّةُ بَعْدُ فِي الْمُتَلَاعِنَيْنِ أَنْ يُفَرَّقَ بَيْنَهُمَا ثُمَّ لَا يَجْتَمِعَانِ أَبَدًا
صحيح
The tradition mentioned above has also been transmitted by Sahl bin Sa’d Al Sa’idi through a different chain of narrators. This version has “He divorced her three times before the Messenger of Allah (ﷺ). The Messenger of Allah (ﷺ) implemented it and what is done before the Prophet (ﷺ) is sunnah(model behavior of the Prophet).
Sahl said “I attended this before the Messenger of Allah(ﷺ). Afterwards the sunnah about those who invoked curses on each other was established that they (the spouses) were separated from each other and they would never be united.”
পরিচ্ছেদঃ ২৭. লি‘আন সম্পর্কে
২২৫১। সাহল ইবনু সা’দ (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। মুসাদ্দাদ বলেন, সাহল বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে ঐ দু’জন লি’আনকারীর ঘটনাস্থলে আমি উপস্থিত ছিলাম। তখন আমার বয়স ছিলো পনের বছর। তারা উভয়ে যখন লি’আন থেকে অবসর হলো তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের উভয়ের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটালেন। মুসাদ্দাদের বর্ণনা এখানেই শেষ।
অন্য বর্ণনাকারীগণ বলেছেন, যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লি’আনকারীদ্বয়ের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটান তখন তিনি (সাহল) সেখানে উপস্থিত ছিলেন। অতঃপর সে ব্যক্তি (’উয়াইমির) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি তাকে স্ত্রী হিসাবে রেখে দিলে এটাই প্রমাণিত হবে যে, আমি তার বিরুদ্ধে মিথ্যা বলেছি। কোনো কোনো বর্ণনাকারী ’আলাইহা’ শব্দটি বলেননি।[1]
সহীহ।
ইমাম আবূ দাঊদ (রহ.) বলেন, ’’অতঃপর তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লি’আনকারীদের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটান’’ কোনো বর্ণনাকারী ইবনু ’উয়াইনার এ বাক্যটির মুতাবি’আত করেননি।
بَابٌ فِي اللِّعَانِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، وَوَهْبُ بْنُ بَيَانٍ، وَأَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ، وَعَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ، قَالُوا: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ مُسَدَّدٌ: قَالَ: شَهِدْتُ الْمُتَلَاعِنَيْنِ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَنَا ابْنُ خَمْسَ عَشْرَةَ فَفَرَّقَ بَيْنَهُمَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ تَلَاعَنَا، وَتَمَّ حَدِيثُ مُسَدَّدٍ، وَقَالَ الْآخَرُونَ: إِنَّهُ شَهِدَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَرَّقَ بَيْنَ الْمُتَلَاعِنَيْنِ، فَقَالَ الرَّجُلُ: كَذَبْتُ عَلَيْهَا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنْ أَمْسَكْتُهَا، لَمْ يَقُلْ بَعْضُهُمْ عَلَيْهَا، قَالَ أَبُو دَاوُدَ: لَمْ يُتَابِعْ ابْنَ عُيَيْنَةَ أَحَدٌ عَلَى أَنَّهُ فَرَّقَ بَيْنَ الْمُتَلَاعِنَيْنِ
(و قال الأخرون : أنه شهد ... عليها) صحيح
Sahl bin Sa’ad said “The version of Musaddad has “I witnessed the invoking of curses by the two spouses during the life time of the Apostle of Allaah(ﷺ) when I was fifteen years old. When they finished invoking curses, the Apostle of Allaah(ﷺ) separated them from each other. Here ends the version of Musaddad. Others said “He was present when the Prophet (ﷺ) separated the spouses who invoked curses on each other. The man (Sahl) said “I shall have lied against her, Apostle of Allaah(ﷺ) if I keep her.
Abu Dawud said “Some narrators did not mention the word ‘alaiha(against her).”
Abu Dawud said “No one supported Ibn ‘Uyainah that he separated the spouses who invoked curses.”
পরিচ্ছেদঃ ২৭. লি‘আন সম্পর্কে
২২৫২। সাহল ইবনু সা’দ (রাযি.) থেকে এ হাদীস সম্পর্কে বর্ণিত। উক্ত মহিলা গর্ভবতী ছিলো। স্বামী তার গর্ভ অস্বীকার করায় সন্তানটিকে তার মায়ের সাথে সম্পৃক্ত করে ডাকা হতো। অতঃপর মিরাসের ক্ষেত্রে এ নিয়ম বিধিবদ্ধ হয় যে, এ সন্তান তার মায়ের ওয়ারিস হবে এবং আল্লাহর বিধান অনুযায়ী মাতাও সন্তানের ওয়ারিস হবে।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي اللِّعَانِ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْعَتَكِيُّ، حَدَّثَنَا فُلَيْحٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، فِي هَذَا الْحَدِيثِ، وَكَانَتْ حَامِلًا، فَأَنْكَرَ حَمْلَهَا، فَكَانَ ابْنُهَا يُدْعَى إِلَيْهَا، ثُمَّ جَرَتِ السُّنَّةُ فِي الْمِيرَاثِ: أَنْ يَرِثَهَا وَتَرِثَ مِنْهُ مَا فَرَضَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ لَهَا
صحيح
The tradition mentioned above has also been transmitted by Sahl bin Sa’d through a different chain of narrators. This version has “She was pregnant, he denied pregnancy from him. So her son was attributed to her. In the law of succession the practice (sunnah) was established that the son gets a share in the inheritance of his mother and the mother gets the share in the inheritance of her son according to the shares prescribed by Allaah the Exalted.
পরিচ্ছেদঃ ২৭. লি‘আন সম্পর্কে
২২৫৩। আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক জুমু’আহর রাতে আমি মসজিদে উপস্থিত ছিলাম। তখন এক আনসারী ব্যক্তি মসজিদে এসে বললো, যদি কোনো ব্যক্তি তার স্ত্রীর সাথে অন্য পুরুষকে অবৈধ কাজে লিপ্ত পায় এবং সে যদি তা প্রকাশ করে তাহলে অভিযোগকারীকে তোমরা মিথ্যাবাদীতার শাস্তি দিবে নাকি তাকে (যিনাকারীকে) হত্যা করার কারণে তাকেও হত্যা করবে? আর সে যদি নীরব থাকে তবে ক্ষোভ নিয়েই নীরব থাকবে। আল্লাহর শপথ! আমি এ বিষয়ে অবশ্যই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করবো। অতঃপর ভোর বেলায় সে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞেস করলো, যদি কোনো ব্যক্তি তার স্ত্রীর সাথে অন্য পুরুষকে অবৈধ কাজে লিপ্ত পায়, তাহলে আপনারা কি তাকে তা বলার অপরাধে মিথ্যাবাদীতার শাস্তি দিবেন? নাকি সে (যিনাকারীকে) হত্যা করলে (কিসাসস্বরূপ) তাকেও হত্যা করবেন, নাকি সে ক্ষোভ নিয়ে চুপ থাকবে?
তার কথা শুনে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ ’হে আল্লাহ! সঠিক তথ্য প্রকাশ করে দিন’ এবং তিনি দু’আ করতে থাকলেন। অতঃপর লি’আনের আয়াত অবতীর্ণ হলোঃ ’’এবং যারা নিজেদের স্ত্রীদের উপর যিনার অভিযোগ দেয় অথচ তাদের কাছে তারা ছাড়া অন্য কেউ সাক্ষী নেই...’’ (সূরা আন-নূরঃ ৬) বস্তুত লোকটিই এ গুরুতর ব্যাপারে জড়িয়ে পড়েছিল।
পরে সে ও তার স্ত্রী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে লি’আন করলো এবং সে ব্যক্তি আল্লাহর শপথ দ্বারা চারবার শপথ করলো যে, সে তার দাবীতে সত্যবাদী। আর পঞ্চমবারে সে বললো, তার উপর আল্লাহর অভিশাপ বর্ষিত হোক যদি সে মিথ্যাবাদী হয়ে থাকে। অতঃপর উক্ত মহিলা লি’আন করতে উদ্যত হলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ থামো! কিন্তু সে বিরত থাকতে অস্বীকার করলো এবং লি’আন করলো। উভয় লি’আনকারী চলে গেলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সম্ভবত সে কালো ও স্থুলদেহী সন্তান প্রসব করবে। পরে তাই হলো, সে কালো ও স্থুলদেহী সন্তানই প্রসব করলো।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي اللِّعَانِ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: إِنَّا لَلَيْلَةُ جُمُعَةٍ فِي الْمَسْجِدِ، إِذْ دَخَلَ رَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ فِي الْمَسْجِدِ، فَقَالَ: لَوْ أَنَّ رَجُلًا وَجَدَ مَعَ امْرَأَتِهِ رَجُلًا فَتَكَلَّمَ بِهِ جَلَدْتُمُوهُ، أَوْ قَتَلَ قَتَلْتُمُوهُ؟ فَإِنْ سَكَتَ سَكَتَ عَلَى غَيْظٍ، وَاللَّهِ لَأَسْأَلَنَّ عَنْهُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا كَانَ مِنَ الْغَدِ أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَأَلَهُ، فَقَالَ: لَوْ أَنَّ رَجُلًا وَجَدَ مَعَ امْرَأَتِهِ رَجُلًا فَتَكَلَّمَ بِهِ جَلَدْتُمُوهُ، أَوْ قَتَلَ قَتَلْتُمُوهُ أَوْ سَكَتَ سَكَتَ عَلَى غَيْظٍ؟، فَقَالَ: اللَّهُمَّ افْتَحْ، وَجَعَلَ يَدْعُو، فَنَزَلَتْ آيَةُ اللِّعَانِ: وَالَّذِينَ يَرْمُونَ أَزْوَاجَهُمْ وَلَمْ يَكُنْ لَهُمْ شُهَدَاءُ إِلَّا أَنْفُسُهُمْ هَذِهِ الْآيَةَ، فَابْتُلِيَ بِهِ ذَلِكَ الرَّجُلُ مِنْ بَيْنِ النَّاسِ، فَجَاءَ هُوَ وَامْرَأَتُهُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَتَلَاعَنَا: فَشَهِدَ الرَّجُلُ أَرْبَعَ شَهَادَاتٍ بِاللَّهِ إِنَّهُ لَمِنَ الصَّادِقِينَ، ثُمَّ لَعَنَ الْخَامِسَةَ عَلَيْهِ إِنْ كَانَ مِنَ الْكَاذِبِينَ، قَالَ: فَذَهَبَتْ لِتَلْتَعِنَ، فَقَالَ لَهَا: النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَهْ، فَأَبَتْ، فَفَعَلَتْ، فَلَمَّا أَدْبَرَا، قَالَ: لَعَلَّهَا أَنْ تَجِيءَ بِهِ أَسْوَدَ جَعْدًا فَجَاءَتْ بِهِ أَسْوَدَ جَعْدًا
صحيح
‘Abd Allah (bin Mas’ud) said “We were in the mosque on the night of a Friday, suddenly a man from the Ansar entered the mosque”. And said “If a man finds a man along with wife and declares (about her adultery) you will flog him. Or if he kills you, you will kill him or if keeps silence he will keep silence in anger. I swear by Allaah, I shall ask the Apostle of Allaah(ﷺ) about it”. On the next day he came to the Apostle of Allaah(ﷺ) and said “If a man finds a man along with wife and declares (about her adultery) you will flog him. Or if he kills you, you will kill him or if keeps silence he will keep silence in anger.” He said “O Allaah, disclose”. He kept on praying until the verses regarding invoking curses (li’an) came down “As for those who accuse their wives but have no witnesses except themselves.” So, the man was first involved in this trial among the people. He and his wife came to the Apostle of Allaah(ﷺ). They invoked curses on each other. The man bore witness before Allaah four times that the thing he said was indeed true. He then invoked curse of Allaah on him for the fifth time if he was a liar. She then wanted to invoke curses of Allaah on him. The Prophet (ﷺ) said “Do not do that. Bust she refused and did so (i.e., invoked curses). When they returned he said “Perhaps she will give birth to a black child with curly hair.
পরিচ্ছেদঃ ২৭. লি‘আন সম্পর্কে
২২৫৪। ইবনু ’আব্বাস (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। একদা হিলাল ইবনু উমাইয়্যাহ (রাযি.) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট শারীক ইবনু সাহমার সাথে তার স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ করলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি প্রমাণ পেশ করো অন্যথায় তোমার পিঠে হদ্দ কার্যকর হবে। তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! এটা কিভাবে সম্ভব? এক ব্যক্তি তার স্ত্রীর সাথে অন্য পুরুষকে অবৈধ কাজে লিপ্ত দেখে সে সাক্ষীর খোঁজে বের হবে?
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবারও বললেনঃ তুমি সাক্ষী পেশ করো, অন্যথায় তোমার পিঠে হদ্দ কার্যকর হবে। হিলাল বললেন, সেই সত্তার শপথ যিনি আপনাকে সত্য দীনসহ পাঠিয়েছেন। আমি আমার দাবীতে অবশ্যই সত্যবাদী। নিশ্চয় আল্লাহ আমার বিষয়ে অবতীর্ণ করবেন। যা আমার পিঠকে শাস্তি থেকে রক্ষা করবে। তখন এ আয়াত অবতীর্ণ হলোঃ ’’এবং যারা নিজেদের স্ত্রীদের উপর যিনার অভিযোগ দেয় অথচ তাদের কাছে তারা ছাড়া অন্য কেউ সাক্ষী নেই ... হতে সত্যবাদী পর্যন্ত’’ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাঠ করে শুনালেন।
অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে লোক মারফত ডাকালেন। তারা উপস্থিত হলো এবং হিলাল (রাযি.) উঠে তার শপথ বাক্য পাঠ করলেন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আল্লাহই অবগত, তোমাদের দু’জনের মধ্যে একজন অবশ্যই মিথ্যাবাদী। সুতরাং তোমাদের মধ্যে কে তওবা করবে? পরে মহিলাটি উঠে শপথ বাক্য পড়লো। মহিরাটি পঞ্চমবারের বাক্য ’’আল্লাহর গযব তার নিজের উপর বর্ষিত হোক, যদি স্বামী তার দাবীতে সত্যবাদী হয়’’ বলার সময় উপস্থিত লোকেরা তাকে বলেছিল, এ বাক্যে অবশ্যই আল্লাহর ’গযব’ নাযিল হবে। কাজেই ভেবে-চিন্তে বলো।
ইবনু ’আব্বাস (রাযি.) বলেন, একথা শুনে মহিলাটি কিছুক্ষণ থমকে দাঁড়ালো এবং পেছনের দিকে সরে এলো। আমাদের ধারণা হলো, সম্ভবত সে বিরত থাকবে। কিন্তু সে "আমি আমার বংশকে চিরদিনের জন্য কলংকিত করবো না" বলে পঞ্চম বাক্যটিও পাঠ করলো। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা এ মহিলাটির প্রতি নযর রাখো, যদি সে কুচকুচে কালো চোখ, বড় নিতম্ব ও মোটা নলাওয়ালা সন্তান প্রসব করে, তবে তা হবে শারীক ইবনু সাহমার। পরে সে এরূপ সন্তানই প্রসব করে। পরবর্তীতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহর কিতাবে লি’আনের নির্দিষ্ট বিধান অবতীর্ণ না হলে আমার ও এই নারীর মধ্যকার ফায়সালার বিষয়টি সংকটজনক হতো।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي اللِّعَانِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ حَسَّانَ، حَدَّثَنِي عِكْرِمَةُ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ هِلَالَ بْنَ أُمَيَّةَ قَذَفَ امْرَأَتَهُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِشَرِيكِ بْنِ سَحْمَاءَ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: الْبَيِّنَةُ أَوْ حَدٌّ فِي ظَهْرِكَ. قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِذَا رَأَى أَحَدُنَا رَجُلًا عَلَى امْرَأَتِهِ يَلْتَمِسُ الْبَيِّنَةَ؟ فَجَعَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: الْبَيِّنَةُ وَإِلَّا فَحَدٌّ فِي ظَهْرِكَ. فَقَالَ هِلَالٌ: وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ نَبِيًّا، إِنِّي لَصَادِقٌ، وَلَيُنْزِلَنَّ اللَّهُ فِي أَمْرِي مَا يُبْرِئُ بِهِ ظَهْرِي مِنَ الحَدِّ. فَنَزَلَتْ: (وَالَّذِينَ يَرْمُونَ أَزْوَاجَهُمْ وَلَمْ يَكُنْ لَهُمْ شُهَدَاءُ إِلَّا أَنْفُسُهُمْ) [النور: ٦]، فَقَرَأَ حَتَّى بَلَغَ (مِنَ الصَّادِقِينَ) [النور: ٩] فَانْصَرَفَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَرْسَلَ إِلَيْهِمَا، فَجَاءَا، فَقَامَ هِلَالُ بْنُ أُمَيَّةَ، فَشَهِدَ، وَالنَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: اللَّهُ يَعْلَمُ أَنَّ أَحَدَكُمَا كَاذِبٌ، فَهَلْ مِنْكُمَا مِنْ تَائِبٍ؟، ثُمَّ قَامَتْ فَشَهِدَتْ، فَلَمَّا كَانَ عِنْدَ الْخَامِسَةِ أَنَّ غَضَبَ اللَّهِ عَلَيْهَا إِنْ كَانَ مِنَ الصَّادِقِينَ، وَقَالُوا لَهَا: إِنَّهَا مُوجِبَةٌ، قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: فَتَلَكَّأَتْ وَنَكَصَتْ حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهَا سَتَرْجِعُ، فَقَالَتْ: لَا أَفْضَحُ قَوْمِي سَائِرَ الْيَوْمِ، فَمَضَتْ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَبْصِرُوهَا، فَإِنْ جَاءَتْ بِهِ أَكْحَلَ الْعَيْنَيْنِ، سَابِغَ الْأَلْيَتَيْنِ، خَدَلَّجَ السَّاقَيْنِ، فَهُوَ لِشَرِيكِ بْنِ سَحْمَاءَ، فَجَاءَتْ بِهِ كَذَلِكَ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَوْلَا مَا مَضَى مِنْ كِتَابِ اللَّهِ، لَكَانَ لِي وَلَهَا شَأْنٌ، قَالَ أَبُو دَاوُدَ: وَهَذَا مِمَّا تَفَرَّدَ بِهِ أَهْلُ الْمَدِينَةِ حَدِيثُ ابْنِ بَشَّارٍ حَدِيثُ هِلَالٍ
صحيح
Ibn ‘Abbas said “Hilal bin Umayyah accused his wife in the presence of Prophet (ﷺ) of having committed adultery with Sharik bin Sahma’”. The Prophet (ﷺ) said “Produce evidence or you must receive punishment on your back.” He said “Apostle of Allaah(ﷺ) when one of us sees a man having intercourse with his wife should he go and seek evidence?” But the Prophet (ﷺ) merely said “You must produce evidence or you must receive punishment on your back.” Hilal then said “By Him Who sent you with the Truth, I am speaking Truly. May Allaah send down something which will free my back from punishment. Then the following Qur’anic verses were revealed “And those who make charges against their spouses but have no witnesses except themselves” reciting till he reached “one of those who speak the truth”. The Prophet (ﷺ) then returned and sent for them and they came (to him). Hilal bin Umayyah stood up and testified and the Prophet (ﷺ) was saying “Allaah knows that one of you is lying. Will one of you repent?” Then the woman got up and testified, but when she was about to do it a fifth time saying that Allaah’s anger be upon her if he was one of those who spoke the truth, they said to her “this is the deciding one”. Ibn ‘Abbas said “She then hesitated and drew back so that we thought the she would withdraw(what she said) “Look and see whether she gives birth to a child with eyes looking as if they have antimony in them, wide buttocks and fat legs, if she did. Sharik bin Sahma’ will be its father. She then gave birth to a child of a similar description. The Prophet (ﷺ) thereupon said “If it were not for what has already been stated in Allaah’s book I would have dealt severely with her.”
Abu Dawud said “This tradition has been transmitted by the people of Medina alone. They narrated the tradition of Hilal on the authority of Ibn Bashshar.”
পরিচ্ছেদঃ ২৭. লি‘আন সম্পর্কে
২২৫৫। ইবনু ’আব্বাস (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন লি’আনকারীদেরকে লি’আন করার আদেশ দিলেন তখন এক ব্যক্তিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, লি’আনকারীর পঞ্চমবারের বাক্যটি পাঠ করার প্রাক্কালে তিনি তার মুখের উপর যেন হাত রেখে বলেন, নিশ্চয়ই এতে শাস্তি অনিবার্য।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي اللِّعَانِ
حَدَّثَنَا مَخْلَدُ بْنُ خَالِدٍ الشُّعَيْرِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَ رَجُلًا حِينَ أَمَرَ الْمُتَلَاعِنَيْنِ، أَنْ يَتَلَاعَنَا أَنْ يَضَعَ يَدَهُ عَلَى فِيهِ عِنْدَ الْخَامِسَةِ، يَقُولُ: إِنَّهَا مُوجِبَةٌ
صحيح
Narrated Abdullah ibn Abbas:
When the Prophet (ﷺ) ordered a man and his wife to invoke curses on each other, he ordered a man to put his hand on his mouth when he came to the fifth utterance, saying that it would be the deciding one.
পরিচ্ছেদঃ ২৭. লি‘আন সম্পর্কে
২২৫৬। ইবনু ’আব্বাস (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, হিলাল ইবনু উমাইয়্যাহ (রাযি.), যিনি (তাবূক অভিযানে পিছনে পড়ে থাকা) তিনজনের একজন। আল্লাহ পরবর্তীতে তাদের তওবা কবুল করেছেন। একদা রাতের প্রথম অংশে তিনি খামার থেকে ফিরে এসে তার স্ত্রীর সাথে অন্য এক পুরুষকে দেখতে পান। তিনি তাদের অবৈধ কাজ স্বচক্ষে দেখলেন এবং তাদের কথাবার্তাও নিজ কানে শুনলেন। তথাপি কোনোরূপ বাড়াবাড়ি না করে রাত কাটালেন। তিনি সকাল বেলায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! রাতের প্রথমভাগ আমি আমার খামার থেকে ফিরে এসে আমার স্ত্রীর সাথে এক পুরুষকে দেখতে পেলাম।
তাদের অবৈধ মেলামেশা আমি চাক্ষুষ দেখেছি এবং নিজ কানে তাদের কথাবার্তা শুনেছি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কথায় অসন্তুষ্ট হলেন এবং তাঁর কাছে বিষয়টি গুরুতর মনে হলো। অতঃপর এ আয়াত অবতীর্ণ হলোঃ ’’এবং যারা নিজেদের স্ত্রীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেশ করে এবং তারা নিজেরা ছাড়া অন্য কোনো সাক্ষীও নেই, তাদের প্রত্যেককে শপথ করতে হবে...’’ পূর্ণ দু’টি আয়াত অবতীর্ণ হলো।
অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর উপর ওয়াহী অবতীর্ণ হওয়ার কঠিন অবস্থা প্রশমিত হলে বললেনঃ হে হিলাল! সুসংবাদ গ্রহণ করো। অবশ্যই আল্লাহ তোমাকে দুশ্চিন্তা ও বিপদ থেকে মুক্ত করেছেন। হিলাল (রাযি.) বললেন, আমি আমার প্রতিপালকের কাছে এমনই আশা করেছিলাম। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা তার স্ত্রীর কাছে লোক পাঠিয়ে তাকে আসতে বলো। সে আসলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে আয়াতটি পাঠ করে শুনান, নসিহত করেন এবং তাদেরকে বললেনঃ পরকালের আযাব দুনিয়ার আযাবের চেয়ে খুবই ভয়াবহ।
হিলাল (রাযি.) বললেন, আল্লাহর শপথ! স্ত্রীর বিরুদ্ধে আমি যে তুলনায় খুবই ভয়াবহ। হিলাল (রাযি.) বললেন, আল্লাহর শপথ! স্ত্রীর বিরুদ্ধে আমি যে অভিশাপ পেশ করেছি, তা অবশ্যই সত্য। কিন্তু মহিলাটি বললো, সে মিথ্যা বলছে। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা এদের উভয়ের মধ্যে লি’অঅন করাও।
অতঃপর হিলালকে সাক্ষ্য দিতে বলা হলে তিনি চারবার শপথ করেন যে, তিনি তার দাবীতে সত্যবাদী। পঞ্চম শপথটি পড়ার সময় তাকে বলা হলো, হে হিলাল! আল্লাহকে ভয় করো। কেননা দুনিয়ায় শাস্তি আখিরাতের শাস্তির চেয়ে অনেক কম। আর যদি তুমি মিথ্যাবাদী হও তাহলে এ শপথ অবশ্যই তোমার উপর বিপদ আনবেই। তিনি বললেন, আল্লাহর শপথ! তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেশ করার কারণে আল্লাহ আমার পিঠে যেমন দোররা লাগাননি, তেমনি এ বিষয়ে আমাকে শাস্তি থেকেও বাঁচাবেন। এ বলে তিনি পঞ্চম শপথ করলেন যে, ’তার নিজের উপর আল্লাহর গযব নামবে যদি সে মিথ্যাবাদী হয়।’
অতঃপর মহিলাটিকে বলা হলো, তুমিও শপথ করো। সেও চারবার আল্লাহর শপথ করলো যে, স্বামী তার দাবীতে মিথ্যাবাদী। আর পঞ্চমবার শপথের সময় হলে তাকেও বলা হলো যে, আল্লাহকে ভয় করো। কেননা দুনিয়ার শাস্তি আখিরাতের শাস্তির তুলনায় অনেক হালকা। এ পঞ্চম শপথ অবশ্যই তোমার উপর আযাব এনে ছাড়বে। একথা শুনে সে কিছুক্ষণ থমকে দাঁড়ালো, এবং কিছুক্ষণ পর বললো, আল্লাহর শপথ! আমি আমার খান্দানকে কলঙ্কিত করবো না এবং এই বলে পঞ্চমবারে শপথটি করলো যে, তার নিজের উপর আল্লাহর অভিশাপ বর্ষিত হোক, যদি সে (স্বামী) সত্যবাদী হয়ে থাকে।
পরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের উভয়ে মধ্যে বিচ্ছেদ করালেন এবং জানিয়ে দিলেন যে, তার গর্ভস্থ সন্তানের পরিচয় তার পিতা থেকে হবে না, মহিলাটির উপর যিনার অপবাদ দেয়া যাবে না এবং সন্তানটিকে জারজ বরে কলঙ্কিত করা যাবে না। আর যে ব্যক্তি উক্ত মহিলা ও তার সন্তানকে অপবাদ দিবে, তার উপর মিথ্যা বলার শাস্তি প্রয়োগ হবে। এ মহিলা তার স্বামী থেকে খোরাকী পাবে না। কারণ তারা তালাক ছাড়াই বিচ্ছেদ হয়েছে, এবং তার স্বামী মারা যায়নি।
তিনি আরো বললেনঃ যদি মহিলাটি বাজ পাখির মতো লাল-কালো বর্ণের, হালকা নিতম্ব, সামান্য কুঁজো এবং সরু নলাবিশিষ্ট সন্তান প্রসব করে, তাহলে সেটা হবে হিলালের ঔরসজাত। আর যদি সে গমের রং, কোঁকড়া চুল, মোটা বাহু, মোটা নলাওয়ালা ও বড় নিতম্ববিশিষ্ট সন্তান প্রসব করে, তাহলে তা ঐ ব্যক্তির ঔরসের যাকে সম্পর্কিত করে অপবাদ দেয়া হয়েছে। সন্তান জন্মের পর দেখা গেলো, সে মহিলাটি গমের রং, কোঁকড়া চুল, ভারী বাহু, মোটা নলাওয়ালা ও বড় নিতম্ববিশিষ্ট সন্তান প্রসব করেছে। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ শপথের আয়াত অবতীর্ণ না হলে আমি অবশ্যই তাকে পাথর মেরে হত্যা করতাম। ইকরিমা (রহ.) বলেন, পরবর্তীতে ঐ সন্তানটি মুদার গোত্রের প্রশাসক নিযুক্ত হয়। কিন্তু তাকে পিতার সাথে সম্পৃক্ত করে ডাকা হতো না।[1]
দুর্বল।
بَابٌ فِي اللِّعَانِ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ مَنْصُورٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: جَاءَ هِلَالُ بْنُ أُمَيَّةَ وَهُوَ أَحَدُ الثَّلَاثَةِ، الَّذِينَ تَابَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ، فَجَاءَ مِنْ أَرْضِهِ عَشِيًّا فَوَجَدَ عِنْدَ أَهْلِهِ رَجُلًا، فَرَأَى بِعَيْنِهِ وَسَمِعَ بِأُذُنِهِ، فَلَمْ يَهِجْهُ حَتَّى أَصْبَحَ، ثُمَّ غَدَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنِّي جِئْتُ أَهْلِي عِشَاءً، فَوَجَدْتُ عِنْدَهُمْ رَجُلًا، فَرَأَيْتُ بِعَيْنَيَّ، وَسَمِعْتُ بِأُذُنَيَّ، فَكَرِهَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا جَاءَ بِهِ، وَاشْتَدَّ عَلَيْهِ، فَنَزَلَتْ: (وَالَّذِينَ يَرْمُونَ أَزْوَاجَهُمْ وَلَمْ يَكُنْ لَهُمْ شُهَدَاءُ إِلَّا أَنْفُسُهُمْ فَشَهَادَةُ أَحَدِهِمْ) [النور: ٦] الْآيَتَيْنِ كِلْتَيْهِمَا، فَسُرِّيَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: أَبْشِرْ يَا هِلَالُ، قَدْ جَعَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ لَكَ فَرَجًا وَمَخْرَجًا، قَالَ هِلَالٌ: قَدْ كُنْتُ أَرْجُو ذَلِكَ مِنْ رَبِّي، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَرْسِلُوا إِلَيْهَا، فَجَاءَتْ، فَتَلَاهَا عَلَيْهِمَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَذَكَّرَهُمَا وَأَخْبَرَهُمَا أَنَّ عَذَابَ الْآخِرَةِ أَشَدُّ مِنْ عَذَابِ الدُّنْيَا، فَقَالَ هِلَالٌ: وَاللَّهِ لَقَدْ صَدَقْتُ عَلَيْهَا، فَقَالَتْ: قَدْ كَذَبَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَاعِنُوا بَيْنَهُمَا، فَقِيلَ لِهِلَالٍ: اشْهَدْ، فَشَهِدَ أَرْبَعَ شَهَادَاتٍ بِاللَّهِ إِنَّهُ لَمِنَ الصَّادِقِينَ، فَلَمَّا كَانَتِ الْخَامِسَةُ قِيلَ لَهُ يَا هِلَالُ: اتَّقِ اللَّهَ، فَإِنَّ عَذَابَ الدُّنْيَا أَهْوَنُ مِنْ عَذَابِ الْآخِرَةِ، وَإِنَّ هَذِهِ الْمُوجِبَةُ الَّتِي تُوجِبُ عَلَيْكَ الْعَذَابَ، فَقَالَ: وَاللَّهِ لَا يُعَذِّبُنِي اللَّهُ عَلَيْهَا كَمَا لَمْ يُجَلِّدْنِي عَلَيْهَا، فَشَهِدَ الْخَامِسَةَ أَنَّ لَعْنَةَ اللَّهِ عَلَيْهِ إِنْ كَانَ مِنَ الْكَاذِبِينَ، ثُمَّ قِيلَ لَهَا: اشْهَدِي، فَشَهِدَتْ أَرْبَعَ شَهَادَاتٍ بِاللَّهِ، إِنَّهُ لَمِنَ الْكَاذِبِينَ، فَلَمَّا كَانَتِ الْخَامِسَةُ قِيلَ لَهَا: اتَّقِي اللَّهَ، فَإِنَّ عَذَابَ الدُّنْيَا أَهْوَنُ مِنْ عَذَابِ الْآخِرَةِ، وَإِنَّ هَذِهِ الْمُوجِبَةُ الَّتِي تُوجِبُ عَلَيْكِ الْعَذَابَ، فَتَلَكَّأَتْ سَاعَةً، ثُمَّ قَالَتْ: وَاللَّهِ لَا أَفْضَحُ قَوْمِي، فَشَهِدَتِ الْخَامِسَةَ أَنَّ غَضَبَ اللَّهِ عَلَيْهَا إِنْ كَانَ مِنَ الصَّادِقِينَ، فَفَرَّقَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَهُمَا، وَقَضَى أَنْ لَا يُدْعَى وَلَدُهَا لِأَبٍ، وَلَا تُرْمَى، وَلَا يُرْمَى وَلَدُهَا، وَمَنْ رَمَاهَا أَوْ رَمَى وَلَدَهَا فَعَلَيْهِ الْحَدُّ، وَقَضَى أَنْ لَا بَيْتَ لَهَا عَلَيْهِ، وَلَا قُوتَ مِنْ أَجْلِ أَنَّهُمَا يَتَفَرَّقَانِ مِنْ غَيْرِ طَلَاقٍ، وَلَا مُتَوَفَّى عَنْهَا، وَقَالَ: إِنْ جَاءَتْ بِهِ أُصَيْهِبَ أُرَيْصِحَ أُثُيْبِجَ حَمْشَ السَّاقَيْنِ فَهُوَ لِهِلَالٍ، وَإِنْ جَاءَتْ بِهِ أَوْرَقَ جَعْدًا جُمَالِيًّا خَدَلَّجَ السَّاقَيْنِ سَابِغَ الْأَلْيَتَيْنِ فَهُوَ لِلَّذِي رُمِيَتْ بِهِ، فَجَاءَتْ بِهِ أَوْرَقَ جَعْدًا جَمَالِيًّا خَدَلَّجَ السَّاقَيْنِ سَابِغَ الْأَلْيَتَيْنِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَوْلَا الْأَيْمَانُ لَكَانَ لِي وَلَهَا شَأْنٌ، قَالَ عِكْرِمَةُ: فَكَانَ بَعْدَ ذَلِكَ أَمِيرًا عَلَى مُضَرَ وَمَا يُدْعَى لِأَبٍ
ضعيف
Ibn ‘Abbas said “Hilal bin Umayyah was one of the three persons whose repentance was accepted by Allaah. One night he returned from his land and found a man along with his wife. He witnessed with his eyes and heard with his ears. He did not threaten him till the morning.” Next day he went to the Apostle of Allaah(ﷺ) in the morning and said Apostle of Allaah(ﷺ) “I came to my wife in the night and found a man along with her. I saw with my own eyes and heard with my own ears. The Apostle of Allaah(ﷺ) disliked what he described and he took it seriously. There upon the following Qur’anic verse came down “And those who make charges against their spouses but have no witnesses except themselves, let the testimony of one of them ....” When the Apostle of Allaah(ﷺ) came to himself (after the revelation ended) he said “Glad tidings to you Hilal, Allaah the exalted has made ease and a way out for you.” Hilal said “I expected that from my Lord. The Apostle of Allaah(ﷺ) said “Send for her. She then came.” The Apostle of Allaah(ﷺ) recited the verses to them and he reminded them and told them that the punishment in the next world was more severe than that in n this world. Hilal said “I swear by Allah I spoke the truth against her.” She said “He told a lie.” The Apostle of Allaah(ﷺ) said “Apply the method of invoking curses on one another. Hilal was told “Bear witness. So he bore witness before Allaah four times that he spoke the truth.” When he was about to utter the fifth time he was told “Hilal fear Allah, for the punishment in this world is easier than that in the next world and this is the deciding one, that will surely cause punishment to you.” He said “I swear by Allaah. Allah will not punish me for this (act), as He did not cause me to be flogged for this (act).” So he bore witness a fifth time invoking the curse of Allah on him if he was of those who tell a lie. Then the people said to her, Testify. So she gave testimony before Allaah that he was a liar. When she was going to testify the fifth time she was told “Fear Allah, for the punishment in this world is easier than that in the next world. This is the deciding one that will surely cause punishment to you.” She hesitated for a moment. And then said “By Allah, I will not disgrace my people.” So she testified a fifth time invoking the curse of Allah on her if he spoke the truth. Apostle of Allaah(ﷺ) separated them from each other and decided that the child will not be attributed to its father. Neither she nor her child will be accused of adultery. He who accuses her or her child will be liable to punishment. He also decided that there will be no dwelling and maintenance for her (from the husband) as they were separated without divorce and death. He then said “If she gives birth to a child with reddish hair, light buttocks, wide belly and light shins he will be the child of Hilal. If she bears a dusky child with curly hair, fat limbs, fat shins and fat buttocks he will be the child of the one who was accused of adultery. She gave birth to a child with curly hair, fat limbs, fat shins and fat buttocks. The Apostle of Allaah(ﷺ) said “Had there been no oaths, I would have dealt with her severely.”
‘Ikrimah said “Later on he became the chief of the tribe of Mudar. He was not attributed to his father.”
পরিচ্ছেদঃ ২৭. লি‘আন সম্পর্কে
২২৫৭। ইবনু উমার (রাযি.) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লি’আনকারীদের সম্পর্কে বলেছেনঃ আল্লাহ তোমাদের দু’জনেরই হিসাব নিবেন। তোমাদের একজন অবশ্যই মিথ্যাবাদী। স্ত্রীর উপর তোমার কোনো অধিকার নেই। স্বামী বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমার সম্পদ? তিনি বললেনঃ তুমি সম্পদ ফেরত পাবে না যদিও তুমি তার বিরুদ্ধে সঠিক অভিযোগ করো, কেননা এর বিনিময়ে তুমি তার লজ্জাস্থানকে হালাল করে নিয়েছিলে। আর তুমি তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে থাকলে তোমার মাল তোমার থেকে অনেক দূরে চলে গেছে।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي اللِّعَانِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، قَالَ: سَمِعَ عَمْرٌو، سَعِيدَ بْنَ جُبَيْرٍ يَقُولُ: سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلْمُتَلَاعِنَيْنِ: حِسَابُكُمَا عَلَى اللَّهِ، أَحَدُكُمَا كَاذِبٌ، لَا سَبِيلَ لَكَ عَلَيْهَا، قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَالِي؟ قَالَ: لَا مَالَ لَكَ، إِنْ كُنْتَ صَدَقْتَ عَلَيْهَا فَهُوَ بِمَا اسْتَحْلَلْتَ مِنْ فَرْجِهَا، وَإِنْ كُنْتَ كَذَبْتَ عَلَيْهَا فَذَلِكَ أَبْعَدُ لَكَ
صحيح
Ibn ‘Umar said “The Apostle of Allaah(ﷺ) said to the spouses who invoked curses on each other. Your reckoning is in Allaah’s hands for one of you is liar there is no way for you to (remarry) her. He then asked Apostle of Allaah(ﷺ) what about my property? He replied “There is no property for you. If you have spoken the truth, it is the price for your having had the right to intercourse with her and if you have lied against her it is still more remote for you.
পরিচ্ছেদঃ ২৭. লি‘আন সম্পর্কে
২২৫৮। সাঈদ ইবনু যুবায়র (রহ.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি ইবনু উমার (রাযি.)-কে জিজ্ঞেস করি, এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে যিনার অপবাদ দিয়েছে। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল-’আজলান সম্প্রদায়ের এক দম্পতিকে পৃথক করে দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেনঃ আল্লাহ জানেন, তোমাদের দু’জনের একজন অবশ্যই মিথ্যাবাদী। তোমাদের দুই জনের মধ্যে কেউ তওবা করতে সম্মত আছো কি? তিনি কথাটি তিনবার বললেন। কিন্তু উভয়ই তওবা করতে অস্বীকার করলো। অতঃপর তিনি উভয়কে পৃথক করে দেন।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي اللِّعَانِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، قَالَ: قُلْتُ لِابْنِ عُمَرَ: رَجُلٌ قَذَفَ امْرَأَتَهُ، قَالَ: فَرَّقَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ أَخَوَيْ بَنِي الْعَجْلَانِ، وَقَالَ: اللَّهُ يَعْلَمُ أَنَّ أَحَدَكُمَا كَاذِبٌ، فَهَلْ مِنْكُمَا تَائِبٌ؟، يُرَدِّدُهَا ثَلَاثَ مَرَّاتٍ، فَأَبَيَا فَفَرَّقَ بَيْنَهُمَا
صحيح
Sa’d bin Jubair said I asked Ibn ‘Umar A man accused his wife of adultery? He said “The Apostle of Allaah(ﷺ) separated the brother and the sister of Banu Al ‘Ajilan (i.e., husband and wife). He said Allaah knows that one of you is a liar, will one of you repent? He repeated these words three times, but they refused. So he separated them from each other.
পরিচ্ছেদঃ ২৭. লি‘আন সম্পর্কে
২২৫৯। ইবনু উমার (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে লি’আন করলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটালেন এবং সন্তানটিকে মায়ের সাথে সম্পর্কিত করলেন। ইমাম আবূ দাঊদ (রহ.) বলেন, ’তিনি সন্তানটির তার মায়ের সাথে সম্পর্কিত করলেন’ কথাটি কেবল ইমাম মালিক (রহ.) বর্ণনা করেছেন। আর ইউনুস (রহ.) আয-যুহরী থেকে সাহল ইবনু সা’দ (রাযি.) সূত্রে লি’আনের হাদীস সম্পর্কে বলেন, স্বামী স্ত্রীর গভস্থিত সন্তান অস্বীকার করলো। তাই ঐ পুত্রকে মায়ের সাথে সম্পৃক্ত করে ডাকা হতো।[1]
সহীহ। এটি মাওসুলভাবে গত হয়েছে হা/২২৪৭।
بَابٌ فِي اللِّعَانِ
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَجُلًا لَاعَنَ امْرَأَتَهُ فِي زَمَانِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَانْتَفَى مِنْ وَلَدِهَا فَفَرَّقَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَهُمَا، وَأَلْحَقَ الْوَلَدَ بِالْمَرْأَةِ، قَالَ أَبُو دَاوُدَ: الَّذِي تَفَرَّدَ بِهِ مَالِكٌ قَوْلُهُ: وَأَلْحَقَ الْوَلَدَ بِالْمَرْأَةِ، وَقَالَ يُونُسُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، فِي حَدِيثِ اللِّعَانِ وَأَنْكَرَ حَمْلَهَا فَكَانَ ابْنُهَا يُدْعَى إِلَيْهَا
صحيح و قد مضوصولا
Ibn ‘Umar said A man invoked curses on his wife (charging her of adultery) during the time of Apostle of Allaah(ﷺ) and disowned the child. The Apostle of Allaah(ﷺ) therefore separated them and attributed the child to the woman. Abu Dawud said “The words narrated by Malik alone are “and he attributed the child to the woman.”"
Abu Dawud said:
The words narrated by Malik alone are: "and he attributed the child to the woman."
Yunus narrated from Al Zuhri on the authority of Sahl bin Sa’d in the tradition regarding li’an(invoking curses). He disowned her conception hence her child was attributed to her.