পরিচ্ছেদঃ ১৯. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - নম্রতা, লজ্জাশীলতা ও উত্তম স্বভাব
৫০৯০-[২৩] যায়দ ইবনু ত্বলহাহ্ (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রতিটি দীন (ধর্ম) বা জীবন বিধানের একটি উত্তম সিফাত আছে। ইসলামি জীবন বিধানে ঐ সিফাত বা গুণটি হলো লজ্জাশীলতা। [ইমাম মালিক (রহিমাহুল্লাহ) ’’মুরসাল’’ হিসেবে বর্ণনা করেন।[1]
عَنْ زَيْدِ
بْنِ طَلْحَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ لِكُلِّ دِينٍ خُلُقًا وَخُلُقُ الْإِسْلَامِ الْحَيَاءُ» . رَوَاهُ مَالِكٌ مُرْسلا
পরিচ্ছেদঃ ১৯. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - নম্রতা, লজ্জাশীলতা ও উত্তম স্বভাব
৫০৯১-[২৪], ৫০৯২-[২৫] আর ইমাম ইবনু মাজাহ ও ইমাম বায়হাক্বী (রহিমাহুল্লাহ) শু’আবুল ঈমানে আনাস ও ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন।
وَرَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ وَالْبَيْهَقِيُّ فِي «شُعَبِ الْإِيمَانِ» عَن أنس وَابْن عَبَّاس
পরিচ্ছেদঃ ১৯. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - নম্রতা, লজ্জাশীলতা ও উত্তম স্বভাব
৫০৯২-[২৫] দেখুন পূর্বের হাদীস।
وَرَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ وَالْبَيْهَقِيُّ فِي «شُعَبِ الْإِيمَانِ» عَن أنس وَابْن عَبَّاس
পরিচ্ছেদঃ ১৯. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - নম্রতা, লজ্জাশীলতা ও উত্তম স্বভাব
৫০৯৩-[২৬] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ লজ্জা ও ঈমানকে এক স্থানে রাখা হয়েছে (অর্থাৎ- এরা পরস্পর অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত)। যখন তাদের মধ্য থেকে একটিকে উঠিয়ে নেয়া হয়, তখন অপরটিকেও উঠিয়ে নেয়া হয়।[1]
وَعَنِ ابْنِ
عُمَرَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ الْحَيَاءَ وَالْإِيمَانَ قُرَنَاءُ جَمِيعًا فإِذا رفع أَحدهمَا رفع الآخر»
পরিচ্ছেদঃ ১৯. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - নম্রতা, লজ্জাশীলতা ও উত্তম স্বভাব
৫০৯৪-[২৭] ইবনু ’আব্বাস (রাঃ)-এর বর্ণনায় এ মর্মে উল্লেখ আছে যে, যখন লজ্জা ও ঈমানের মধ্য থেকে যে কোন একটি দূর করা হয়, তখন অপরটিও চলে যায়। (বায়হাক্বী শু’আবুল ঈমানে)
وَفِي رِوَايَةِ
ابْنِ عَبَّاسٍ: «فَإِذَا سُلِبَ أَحَدُهُمَا تَبِعَهُ الْآخَرُ» . رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي «شُعَبِ الْإِيمَانِ»
পরিচ্ছেদঃ ১৯. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - নম্রতা, লজ্জাশীলতা ও উত্তম স্বভাব
৫০৯৫-[২৮] মু’আয (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি যখন রিকাবে পা রাখলাম, তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে শেষ উপদেশ দিলেন, হে মু’আয! মানুষের তালিম ও তরবিয়তের জন্য নিজের চরিত্রকে ভালো করো। (মালিক)[1]
হাদীসটি য‘ঈফ হওয়ার কারণ, হিদায়াতুর্ রুওয়াতে আলবানী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ মুওয়াত্ত্বা মালিকের সানাদ ছাড়া চারটি হাদীস বর্ণিত হয়েছে। আর এ ব্যাপারে ‘উলামাগণ বলেছেন, কোন কিতাবে তার সানাদ পাওয়া যায় না। হিদায়াতুর্ রুওয়াত ৪/৪৬৯ পৃঃ। তবে আলবানী য‘ঈফ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব ১৬০৩ নম্বরে য‘ঈফ হিসেবে হাদীসটি উল্লেখ করেছেন।
وَعَن مُعاذٍ
قَالَ: كانَ آخرُ مَا وصَّاني بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ وَضَعْتُ رِجْلِي فِي الْغَرْزِ أَنْ قَالَ: «يَا مُعَاذُ أحسُنْ خُلُقكَ للنَّاس» . رَوَاهُ مَالك
পরিচ্ছেদঃ ১৯. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - নম্রতা, লজ্জাশীলতা ও উত্তম স্বভাব
৫০৯৬-[২৯] মালিক (রহিমাহুল্লাহ) হতে বর্ণিত। তিনি এ হাদীস সম্বন্ধে জানতে পেরেছেন যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ উত্তম চরিত্রকে পূর্ণতা দান করার জন্য আমি আদিষ্ট হয়েছি। (’’মুওয়াত্ত্বা’’ গ্রন্থে এ হাদীসটিকে মুরসাল হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে)[1]
وَعَن مَالك
بَلَغَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «بُعِثْتُ لِأُتَمِّمَ حُسْنَ الْأَخْلَاقِ» رَوَاهُ الْمُوَطَّأ
পরিচ্ছেদঃ ১৯. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - নম্রতা, লজ্জাশীলতা ও উত্তম স্বভাব
৫০৯৭-[৩০] ইমাম আহমাদ (রহিমাহুল্লাহ) এ হাদীসটিকে আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন।[1]
হাদীসটি জাল হওয়ার কারণ, এর সনদে ‘‘আমর ইবনু হুসায়ন ও ইয়াহইয়া ইবনু আল ‘আলা’’ উভয়েই মিথ্যুক। ইরওয়া ১/১১৪ হাঃ ৭৪ মুসনাদে আবূ ইয়া‘লা ২৬১১, ‘ত্ববারানী’র আল মু‘জামুল কাবীর ১০৬১৪।
وَرَوَاهُ
أَحْمد عَن أبي هُرَيْرَة
পরিচ্ছেদঃ ১৯. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - নম্রতা, লজ্জাশীলতা ও উত্তম স্বভাব
৫০৯৮-[৩১] জা’ফার ইবনু মুহাম্মাদ (রহিমাহুল্লাহ) তাঁর পিতার নিকট থেকে বর্ণনা করেন। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন আয়না দেখতেন, তখন বলতেন, সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ তা’আলার জন্য, যিনি আমার গঠন-আকৃতিকে সুন্দর করেছেন এবং আমার স্বভাবকেও উত্তম করেছেন। আর যেসব গঠন আকৃতি এবং স্বভাব ত্রুটিযুক্ত, আমাকে সেগুলো থেকে মুক্ত করেছেন। (বায়হাক্বী’র ’’শু’আবুল ঈমানে’’ মুরসাল হিসেবে বর্ণনা করেছেন।)
وَعَنْ جَعْفَرِ
بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا نَظَرَ فِي الْمِرْآةِ قَالَ: «الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي حَسَّنَ خُلُقِي وَخَلْقِي وَزَانَ مِنِّي مَا شَانَ مِنْ غَيْرِي» . رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي «شُعَبِ الْإِيمَان» مُرْسلا
পরিচ্ছেদঃ ১৯. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - নম্রতা, লজ্জাশীলতা ও উত্তম স্বভাব
৫০৯৯-[৩২] আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রায়ই বলতেন : হে আল্লাহ! তুমি আমাকে উত্তমরূপে সৃষ্টি করেছ এবং আমার চরিত্রকেও তুমি উত্তম করো। (আহমাদ)[1]
وَعَنْ
عَائِشَةَ قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «اللَّهُمَّ حسَّنَت خَلقي فأحسِنْ خُلقي» . رَوَاهُ أَحْمد
পরিচ্ছেদঃ ১৯. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - নম্রতা, লজ্জাশীলতা ও উত্তম স্বভাব
৫১০০-[৩৩] আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি কি বলে দেব না যে, তোমাদের মধ্যে উত্তম ব্যক্তি কে? সাহাবায়ে কিরাম বললেনঃ জ্বী হ্যাঁ, হে আল্লাহর রসূল! তিনি বললেনঃ তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তি সর্বোত্তম, যার বয়স বেশি এবং যার চরিত্র ভালো। (আহমাদ)[1]
وَعَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَلَا أُنْبِئُكُمْ بِخِيَارِكُمْ؟» قَالُوا: بَلَى. قَالَ: «خِيَارُكُمْ أَطْوَلُكُمْ أَعْمَارًا وَأَحْسَنُكُمْ أَخْلَاقًا» رَوَاهُ أَحْمد
পরিচ্ছেদঃ ১৯. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - নম্রতা, লজ্জাশীলতা ও উত্তম স্বভাব
৫১০১-[৩৪] উক্ত রাবী [আবূ হুরায়রা (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যাদের চরিত্র উত্তম, তারাই পূর্ণ ঈমানদার। (আবূ দাঊদ ও দারিমী)[1]
وَعَنْهُ
قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَكْمَلُ الْمُؤْمِنِينَ إِيمَانًا أَحْسَنُهُمْ خُلُقًا» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد والدارمي
ব্যাখ্যাঃ (أَكْمَلُ الْمُؤْمِنِينَ إِيمَانًا أَحْسَنُهُمْ خُلُقًا) ‘‘পরিপূর্ণ ঈমানদার সেই ব্যক্তি যে ব্যক্তি সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী।’’ এ প্রসঙ্গে ইবনু রাসলান (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ ‘‘এখানে মানবজাতির ঐ সকল আচরণের কথা বলা হয়েছে যেই আচরণগুলো দৈনন্দিন জীবনে একজন অপরজনের সাথে প্রকাশ করে থাকে।’’ এ আচরণগুলো দু’ প্রকার : প্রশংসনীয় এবং নিন্দনীয়। প্রশংসনীয় আচরণ, যেমন : মানুষের সাথে সদাচরণ করা, নম্র ও ভদ্র সুরে কথা বলা, বিপদে ধৈর্যধারণ করা, কষ্ট ও অত্যাচার সহ্য করা, সকল পাপ ও অনিষ্ট থেকে দূরে থাকা ইত্যাদি।
প্রখ্যাত ফকীহ হাসান বাসরী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ উত্তম চরিত্রের হাক্বীকাত হলো সৎ কাজ করা, কাউকে কষ্ট না দেয়া এবং হাসিমুখে কথা বলা। (‘আওনুল মা‘বূদ ৮ম খন্ড, হাঃ ৪৬৭০)
পরিচ্ছেদঃ ১৯. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - নম্রতা, লজ্জাশীলতা ও উত্তম স্বভাব
৫১০২-[৩৫] উক্ত রাবী [আবূ হুরায়রা (রাঃ)] হতে বর্ণিত। একদিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বসেছিলেন, এমতাবস্থায় জনৈক ব্যক্তি আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ)-কে গালিগালাজ করতে লাগল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এটা শুনে আশ্চর্যান্বিত হলেন এবং মৃদু হাসতে লাগলেন। লোকটি যখন খুব বেশি মন্দ বকল, তখন আবূ বকর সিদ্দীক(রাঃ) তার কোন কথার প্রতি-উত্তর দিলেন। এতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুব রাগান্বিত হলেন এবং উঠে গেলেন। আবূ বকর সিদ্দীক(রাঃ) তাঁর পিছন পিছন গেলেন এবং বললেনঃ হে আল্লাহর রসূল! লোকটি আমাকে মন্দ বলছিল আর আপনি বসেছিলেন। যখন আমি তার কোন কথার প্রতি-উত্তর করলাম, আপনি রাগ করে উঠে এলেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ তোমার সাথে একজন মালাক (ফেরেশতা) ছিলেন, যিনি ঐ লোকটির জবাব দিচ্ছিলেন। যখন তুমি নিজেই তার জবাব দিলে, তখন তোমাদের মাঝে শয়তান উপস্থিত হলো। তারপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ হে আবূ বকর! তিনটি কথা আছে, সেগুলোর প্রত্যেকটি হক।
প্রথমতঃ যদি কোন বান্দার ওপর জুলুম করা হয় এবং ঐ ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য জুলুমের বিরুদ্ধে কোন প্রকার প্রতিবাদ না করে চুপ করে থাকে, তাহলে আল্লাহ তা’আলা খুব সাহায্য করেন।
দ্বিতীয়তঃ যে ব্যক্তি তার দানের দরজা খুলে দেয় এবং ঐ দানের সাহায্যে তার স্বজন-প্রতিবেশীর সাথে অনুগ্রহের ইচ্ছা পোষণ করে, আল্লাহ তা’আলা তার ধন-সম্পদ আরো বৃদ্ধি করে দেন।
তৃতীয়তঃ যে ব্যক্তি ভিক্ষার দরজা খুলে দিয়ে নিজের ধন-সম্পদ বৃদ্ধি করতে চায়। এতে আল্লাহ তা’আলা তার ধন-সম্পদ আরো কমিয়ে দেন। (আহমাদ)[1]
وَعَنْهُ
أَنَّ رَجُلًا شَتَمَ أَبَا بَكْرٍ وَالنَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَالِسٌ يَتَعَجَّبُ وَيَتَبَسَّمُ فَلَمَّا أَكْثَرَ رَدَّ عَلَيْهِ بَعْضَ قَوْلِهِ فَغَضِبَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَامَ فَلَحِقَهُ أَبُو بَكْرٍ وَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ كَانَ يَشْتُمُنِي وَأَنْتَ جَالِسٌ فَلَمَّا رَدَدْتُ عَلَيْهِ بَعْضَ قَوْلِهِ غَضِبْتَ وَقُمْتَ. قَالَ: «كَانَ مَعَكَ مَلَكٌ يَرُدُّ عَلَيْهِ فَلَمَّا رَدَدْتَ عَلَيْهِ وَقَعَ الشَّيْطَانُ» . ثُمَّ قَالَ: يَا أَبَا بَكْرٍ ثَلَاثٌ كُلُّهُنَّ حقٌّ: مَا منْ عبدٍ ظلم بمظلمة فِي غضي عَنْهَا لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ إِلَّا أَعَزَّ اللَّهُ بِهَا نَصْرَهُ وَمَا فَتَحَ رَجُلٌ بَابَ عَطِيَّةٍ يُرِيدُ بِهَا صِلَةً إِلَّا زَادَ اللَّهُ بِهَا كَثْرَةً وَمَا فَتَحَ رَجُلٌ بَابَ مَسْأَلَةٍ يُرِيدُ بِهَا كَثْرَةً إِلَّا زَادَ اللَّهُ بِهَا قِلَّةً . رَوَاهُ أَحْمد
পরিচ্ছেদঃ ১৯. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - নম্রতা, লজ্জাশীলতা ও উত্তম স্বভাব
৫১০৩-[৩৬] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা যে ঘরের বাসিন্দাদের জন্য কোমলতা পছন্দ করেন, ঐ কোমলতার সাহায্যে তাদের অনেক উপকার করেন। আর যে ঘরের বাসিন্দাদেরকে কোমলতা থেকে বঞ্চিত রাখেন, তাদেরকে সেটা দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত করেন। (বায়হাক্বী’’র ’’শু’আবুল ঈমান’’)[1]
وَعَنْ عَائِشَةَ
قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا يُرِيدُ اللَّهُ بِأَهْلِ بَيْتٍ رِفْقًا إِلَّا نَفَعَهُمْ وَلَا يَحْرِمُهُمْ إِيَّاهُ إِلَّا ضَرَّهُمْ «. رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي» شُعَبِ الْإِيمَانِ