পরিচ্ছেদঃ ৬. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - হাঁচি দেয়া এবং হাই তোলা
৪৭৪৪-[১৩] নাফি’ (রহিমাহুল্লাহ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ)-এর পাশে হাঁচি দিলো এবং বলল, ’’আলহামদুলিল্লা-হ ওয়াসসালা-মু ’আলা রসূলিল্লা-হ’’ (অর্থাৎ- সকল প্রশংসা আল্লাহ তা’আলার এবং সালাম রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ওপর)। ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) বললেনঃ আমি বলছি- ’’আলহামদুলিল্লা-হ ওয়াস্সালা-মু ’আলা রসূলিল্লা-হ’’; পদ্ধতি নয়। রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে শিখিয়েছেন যে, (যদি আমাদের কারো হাঁচি আসে) যেন আমরা বলি, ’’আলহামদুলিল্লা-হি ’আলা কুল্লি হাল’’ অর্থাৎ- সর্বাবস্থায় প্রশংসা আল্লাহরই জন্য। (ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং তিনি বলেন, এ হাদীসটি গরীব।)[1]
عَنْ نَافِعٍ: أَنَّ رَجُلًا عَطَسَ إِلَى جَنْبِ ابْن عمَرَ فَقَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ وَالسَّلَامُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ ابْنُ عُمَرَ: وَأَنَا أَقُولُ: الْحَمْدُ لِلَّهِ وَالسَّلَامُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ وَلَيْسَ هَكَذَا. عَلَّمَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ نَقُولَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ عَلَى كُلِّ حَالٍ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ
ব্যাখ্যাঃ উল্লেখিত হাদীসে বর্ণিত রয়েছে যে, ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এর পাশে জনৈক ব্যক্তি হাঁচি দিয়ে বলল, ‘‘আলহামদুলিল্লা-হ ওয়াসসালা-মু ‘আলা রসূলিল্লা-হ’’। মিরক্বাতুল মাফাতীহ গ্রন্থের প্রণেতা বলেছেনঃ সম্ভাবনা রয়েছে যে, জনৈক ব্যক্তিটি এই শারী‘আতের বিধান সম্পর্কে মুস্তাহাব মনে করে ছিল। ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) বলেছেন, আমি হাঁচি দিয়ে ‘‘আলহামদুলিল্লা-হ ওয়াসসালা-মু ‘আলা রসূলিল্লা-হ’’ বলি। কিন্তু প্রকৃতপক্ষ এটা রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর শিক্ষার পরিপন্থী। কেননা রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে যেমন বর্ণিত হয়েছে তার থেকে কম-বেশি, যোজন-বিয়োজন না করে হুবহু সেভাবে বলা উত্তম। হাঁচি দেয়ার সময় হাঁচিদাতার আরাম অনুভব হোক কিংবা দুঃখ-বেদনা অনুভব হোক সর্বাবস্থায় আল্লাহর প্রশংসা আদায় করতে হবে। এজন্য আল্লাহ তা‘আলা হাঁচিকে পছন্দ করেন যে, বান্দা সুখে থাক বা দুঃখের মাঝে থাক সর্বদা আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)