পরিচ্ছেদঃ ৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - পানীয় দ্রব্যের বর্ণনা
৪২৮৫-[২৩] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সোনা-রূপার পাত্রে অথবা এমন পাত্রে পান করল যাতে সোনা-রূপার কিছু অংশ মিশ্রিত আছে, সে যেন নিজের পেটে জাহান্নামের আগুনের ঢোক গিলল। (দারাকুত্বনী)[1]
হাদীসটি য‘ঈফ হওয়ার কারণ ‘‘ইয়াহ্ইয়া’’। ‘‘ইয়াহ্ইয়া ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু মিহরান আল জারী’’ নামক রাবী য‘ঈফ, দেখুন- তাহযীবুল কামাল, রাবী নং ৬৯১৩। আরেকজন রাবী ‘‘যাকারিয়্যা ইবনু ইবরাহীম ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু মুতি’’, তিনি তার পিতার নিকট থেকে বর্ণনা করেছেন, কিন্তু তার পিতার পরিচয় জানা যায় না (مجهول الحال)। আল জারহু ওয়াত্ তা‘দীল।
عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ شَرِبَ فِي إِنَاءِ ذَهَبٍ أَوْ فِضَّةٍ أَوْ إِنَاءٍ فِيهِ شَيْءٌ مِنْ ذَلِكَ فَإِنَّمَا يُجَرْجِرُ فِي بَطْنِهِ نَارَ جهنمَ» . رَوَاهُ الدَّارَقُطْنِيّ
ব্যাখ্যাঃ ইমাম নাবাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ তাতে বিভিন্ন কারণ রয়েছে সবচেয়ে বিশুদ্ধ ও প্রসিদ্ধ কারণ হলো যদি তা প্রয়োজনের চেয়ে ছোট পাত্র হয় তাহলে হারাম হবে না। আর যদি প্রয়োজনের চেয়ে বেশি বড় হয় তাহলে হারাম হবে। আর স্বর্ণ ও রৌপ্যের পাত্রে ব্যবহারে পুরুষ নারী সকলের জন্য হারাম।
অনুরূপ সুরমাদানী হিসেবে ব্যবহার করাও। স্বর্ণের ও রৌপ্যের খাট ও চেয়ার ব্যবহার করাও মাকরূহ।
ইমাম আবূ হানীফাহ্ (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ পাত্রের মুখ যদি কাঠ দ্বারা নির্মিত হয় তাহলে ব্যবহারে সমস্যা না। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)