পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৩৪১৮-[১৩] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলার নাম ব্যতীত তোমরা তোমাদের বাপ-দাদা, মা এবং প্রতীমার নামে শপথ করো না। যদি তোমরা তাতে সত্যবাদী হয়ে থাক। (আবূ দাঊদ ও নাসায়ী)[1]
اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَحْلِفُوا بِآبَائِكُمْ وَلَا بِأُمَّهَاتِكُمْ وَلَا بِالْأَنْدَادِ وَلَا تَحْلِفُوا بِاللَّهِ إِلَّا وَأَنْتُمْ صَادِقُونَ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ
ব্যাখ্যা: (وَلَا بِالْأَنْدَادِ) মূর্তির কসম খেও না। ফাতহুল বারীতে এসেছে, এ কসম খাওয়ার নিষেধাজ্ঞা কি হারাম- এ ব্যাপারে দু’টি মত মালিকীদের নিকট অনুরূপ, ইবনু দাক্বীকও বলেন। প্রসিদ্ধ হলো, এটা ঘৃণিত আর হাম্বালীদের নিকট মতানৈক্য রয়েছে তবে প্রসিদ্ধ হলো হারাম যা জাহিরীরাও হারাম হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইবনুল বার বলেন, আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও নামে শপথ করা বৈধ না- এ ব্যাপারে ইজমা হয়েছে। (‘আওনুল মা‘বূদ ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ৩২৪৬)
পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৩৪১৯-[১৪] ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত অন্য কারো নামে শপথ করল, সে শির্ক (অংশী স্থাপন) করল। (তিরমিযী)[1]
اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ حَلَفَ بِغَيْرِ اللَّهِ فَقَدْ أَشْرَكَ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
ব্যাখ্যা: অনেক আহলে ‘ইলমের নিকট হাদীসের ব্যাখ্যাটি এরূপ সে কাফির হলো বা শির্ক করল। বক্তব্যটি কঠিনতার জন্য বলা হয়েছে। দলীল হিসেবে ইবনু ‘উমার-এর হাদীস:
أن النبى ﷺ سمع عمر يَقُولُ وَأَبِي وَأَبِي فَقَالَ أَلَا إِنَّ اللّٰهَ يَنْهَاكُمْ أَنْ تَحْلِفُوا بِآبَائِكُمْ
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘উমার -কে বলতে শুনলেন আমার পিতার কসম রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, খবরদার নিঃসন্দেহে আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের বাপ-দাদার কসম খেতে নিষেধ করেছেন। আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন: (من قال في حلفه باللات وَالْعُزّٰى فَلْيَقُلْ لَا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ) যে ব্যক্তি লাত্ ‘উয্যার কসম খায় সে যেন لَا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ বলেন। (তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৪র্থ খন্ড, হাঃ ১৫৩৫)
যে ব্যক্তি সম্মানপ্রদর্শন ও তা‘যীমের নিয়্যাতে আল্লাহ ব্যতীত অন্য কিছুর কসম খায় সে সুস্পষ্ট মুশরিক। ইবনু হুমাম বলেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ ব্যতিরেকে যেমন নাবী এবং কা‘বাহ্ ঘরের কসম খায় সে কসমকারী নয়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সে ব্যক্তি কসমকারী হবে সে যেন আল্লাহর কসম খায় অথবা চুপ থাকে। (বুখারী, মুসলিম)
হিদায়াহ্ প্রণেতা বলেনঃ যদি কেউ কুরআনের কসম খায় আর সে জানে না এটা আল্লাহর সিফাত বা গুণ, তাহলে তার কসম সাব্যস্ত হবে না আর যদি জানে তাহলে কসম সাব্যস্ত হবে। আর কুরআনের শপথ করা তিন ইমামের নিকট বৈধ। জীবনের কসম বা শরীরে কোনো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের খাওয়াকে কল্যাণকর বিশ্বাস করে তাহলে কাফির হবে। ইবনু মাস্‘ঊদ বলেনঃ (لَأَنْ أَحْلِفَ بِاللّٰهِ كَاذِبًا أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ أَحْلِفَ بِغَيْرِ اللّٰهِ صَادِقًا) আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারও সত্য কসম খাওয়ার চেয়ে আল্লাহর মিথ্যা কসম খাওয়া আমি বেশী পছন্দ করি। (মিরকাতুল মাফাতীহ)
পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৩৪২০-[১৫] বুরায়দাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ’আমানত’ শব্দের দ্বারা কসম করল, সে আমাদের দলের অন্তর্ভুক্ত নয়। (আবূ দাঊদ)[1]
اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ
وَعَنْ بُرَيْدَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ حَلَفَ بِالْأَمَانَةِ فَلَيْسَ منا» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যা: (فَلَيْسَ مِنَّا) সে আমাদের দলভুক্ত নয় তথা যারা আমাদের ত্বরীকাকে অনুসরণ করে তাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। কাযী বলেনঃ যারা আমাদের পরিবারের অন্তর্ভুক্ত বরং সে আমাদের ব্যতিরেকে অন্যদের সাদৃশ্য রাখে সে আসলে কিতাবের আদর্শে আদর্শিত। সম্ভবত এর দ্বারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শাস্তির ইচ্ছা ব্যক্ত করেছেন।
নিহায়াহতে বলেছেন, আমানত-এর নামে কসম খাওয়া ঘৃণিত। কেননা নির্দেশ হলো, ব্যক্তি কসম খাবে আল্লাহর নামে এবং তার গুণাবলী দ্বারা আর আমানত হলো আদেশসমূহের মধ্যে এক আদেশ। সুতরাং এটা দ্বারা কসম খাওয়াকে নিষেধ করা হয়েছে আল্লাহর নামসমূহ ও তার মাঝে সমতা হওয়ার (অথচ দু’টি আলাদা বিষয়)। যেমন নিষেধ করা হয়েছে বাপ-দাদাদের কসম খাওয়া আর যখন কসম খাওয়া ব্যক্তি বলবে, আল্লাহর আমানাতের কসম। আবূ হানীফাহ্-এর নিকট কসম বলে ধর্তব্য হবে আর ইমাম শাফি‘ঈ-এর নিকট গণ্য হবে না।
আর ‘আমানত’ শব্দটি ব্যবহার হয় ‘ইবাদাত আনুগত্য গচ্ছিত সম্পদ টাকা-পয়সা ইত্যাদির ক্ষেত্রে। (‘আওনুল মা‘বূদ ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ৩২৫১)
পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৩৪২১-[১৬] উক্ত রাবী [বুরায়দাহ্ (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি বলল ’আমি ইসলাম হতে বিচ্ছিন্ন’ যদিও সে মিথ্যাবাদী হয়, তাহলেও সে যা বলছে তা-ই। আর যদি সে সত্যবাদী হয়, তবুও সে নিশ্চিন্ত-নিরাপদে কক্ষনো ইসলামে ফিরে আসতে পারবে না। (আবূ দাঊদ, নাসায়ী, ইবনু মাজাহ)[1]
اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ قَالَ: إِنِّي بَرِيءٌ مِنَ الْإِسْلَامِ فَإِنْ كَانَ كَاذِبًا فَهُوَ كَمَا قَالَ وَإِنْ كَانَ صَادِقًا فَلَنْ يَرْجِعَ إِلَى الْإِسْلَامِ سَالِمًا . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ
ব্যাখ্যা: (فَإِنْ كَانَ كَاذِبًا) সে যদি কসমে মিথ্যাবাদী হয়। (فَهُوَ كَمَا قَالَ) যেরূপ বলেছে ‘তা-ই হবে’ বাক্যটি অধিকভাবে ধমকানো উদ্দেশ্য। ইবনু ‘আব্বাস, আবূ হুরায়রাহ্, ‘আত্বা, কাতাদাহ ও বিভিন্ন অঞ্চলের জুমহূর ফুকাহার মতে, এ ধরনের কসমে যদি অন্তর হতে বলে, তাহলে কাফির হবে।
আর আওযা‘ঈ, সাওরী, আবূ হানীফাহ্, আহমাদ ও ইসহক-এর মতে তা কসম এবং কাফফারা অবশ্যই লাগবে। ইবনু মুনযির বলেনঃ প্রথম অভিমতই অধিক সহীহ। যেমন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণী : (مَنْ حَلَف بِاَللَّاتِي وَالْعُزّٰى فَلْيَقُلْ لَا إِلٰه إِلَّا اللّٰه) যে ব্যক্তি লাত ও ‘উয্যার কসম খায় সে যেন لَا إِلٰه إِلَّا اللّٰه বলে। আর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাফ্ফারার কথা বলেননি। অন্য কেউ বদ্ধি করে বলেছেন এজন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (مَنْ حَلَف بِاَللَّاتِي وَالْعُزّٰى فَلْيَقُلْ لَا إِلٰه إِلَّا اللّٰه) যে ব্যক্তি ইসলাম ব্যতীত অন্য কোনো ধর্মের কসম করে সে যেরূপ বলেছেন তাই হবে। মূলত এর দ্বারা উদ্দেশ্য কঠোরতা আরোপ করা কসমের ব্যাপারে যাতে অন্য কেউ এ ধরনের পদক্ষেপ না নেয়। খত্ত্বাবী বলেনঃ হাদীসে দলীল সাব্যস্ত হয় যে, যে ব্যক্তি ইসলাম হতে বিচ্ছিন্ন কসম খায় সে গুনাহগার হবে আর এর জন্য তার ওপর কাফফারা লাগবে না। কেননা শাস্তি তার দীনদারীতে করা হয়েছে মালের উপর কোনো কিছু আরোপ করা হয়নি। (‘আওনুল মা‘বূদ ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ৩২৫৫)
পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৩৪২২-[১৭] আবূ সা’ঈদ আল খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কসমের উপর অটল থাকতে চাইতেন, তখন বলতেন, ’লা- ওয়াল্লাযী নাফসু আবিল ক-সিমি বিয়াদিহী’’ অর্থাৎ- এরূপ নয়! সে পবিত্র সত্তার শপথ, যাঁর হাতে আবুল কাসিম (মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর প্রাণ। (আবূ দাঊদ)[1]
اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ
وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا اجْتَهَدَ فِي الْيَمِينِ قَالَ: «لَا وَالَّذِي نفس أَبُو الْقَاسِم بِيَدِهِ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যা: (إِذَا اجْتَهَدَ فِى الْيَمِينِ) কসমে যখন আরও অধিক দৃঢ় করতে চাইতেন।
(وَالَّذِىْ نَفْسُ أَبُو الْقَاسِمِ) তথা তার রূহ ও সত্তা। (بِيَدِه) তার হস্তক্ষেপ, যথেচ্ছভাব ক্ষমতা ও তার ইচ্ছার অধীনে। (‘আওনুল মা‘বূদ ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ৩২৬১)
পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৩৪২৩-[১৮] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোনো শপথ করলে বলতেন, ’লা- ওয়া আসতাগফিরুল্লা-হ’ অর্থাৎ- এটা নয়, এবং আমি আল্লাহ তা’আলার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি। (আবূ দাঊদ ও ইবনু মাজাহ)[1]
اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ
وَعَن أبي هُرَيْرَة قَالَ: كَانَتْ يَمِينُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا حَلَفَ: «لَا وَأَسْتَغْفِرُ اللَّهَ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه
ব্যাখ্যা: (وَأَسْتَغْفِرُ اللّٰهَ) ‘‘আর আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাচ্ছি’’ যদি বিষয়টি এটার বিপরীত হয় ‘‘আস্থাগফিরুল্লাহ’’ বাক্যটি শপথ বাক্য নয়। অতএব তার দ্বারা কসম হয় না শুধুমাত্র কসমের সাথে সাদৃশ্যের কারণে এ ধরনের উক্তিকে কসম বলে উল্লেখ করা হয়েছে। (‘আওনুল মা‘বূদ ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ৩২৬২)
পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৩৪২৪-[১৯] ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো ব্যক্তি যদি কোনো কসম করে এবং ইনশা-আল্লা-হ বলে, তখন সে ঐ কসমের বিপরীত করলে গুনাহগার হবে না। (তিরমিযী, আবূ দাঊদ, নাসায়ী, ইবনু মাজাহ, দারিমী)[1] তবে ইমাম তিরমিযী (রহঃ) বলেছেন, জুমহূর ’উলামাগণের একটি দল হাদীসটিকে ইবনু ’উমার-এর ওপর মাওকূফ করেছেন (অর্থাৎ- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত পৌঁছেনি)।
اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ
مَرْفُوع وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى الله ليه وَسَلَّمَ قَالَ: مَنْ حَلَفَ عَلَى يَمِينٍ فَقَالَ: إِنْ شَاءَ اللَّهُ فَلَا حِنْثَ عَلَيْهِ . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَالدَّارِمِيُّ وَذَكَرَ التِّرْمِذِيُّ جَمَاعَةً وَقَفُوهُ عَلَى ابْنِ عُمَرَ
ব্যাখ্যা: (عَلٰى يَمِينٍ) যার ওপর কসম খাওয়া হয়েছে তা করুক আর না করুক কসমে ইনশা-আল্লা-হ সংযুক্ত হলে ব্যক্তি গুনাহগার হবে না। হাদীসে দলীল সাব্যস্ত হয় যে, আল্লাহর ইচ্ছা সংযোজনে কসম সংঘটিত হওয়াতে বাধা দেয়। (‘আওনুল মা‘বূদ ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ৩২৫৮)