পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - (বিবাহের প্রস্থাবিত) পাত্রী দেখা ও সতর (পর্দা) প্রসঙ্গে

৩০৯৮-[১] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন জনৈক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বলল যে, আমি জনৈকা আনসারী নারীকে বিয়ে করার ইচ্ছা করেছি (আপনার কী অভিমত?)। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, (বিয়ের পূর্বে) তাকে দেখে নাও। কেননা, আনসারী নারীদের চক্ষুতে কিছু দোষ থাকে। (মুসলিম)[1]

بَابُ النَّظِرِ إِلَى الْمَخْطُوْبَةِ وَبَيَانِ الْعَوْرَاتِ

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: إِنِّي تَزَوَّجْتُ امْرَأَةً مِنَ الْأَنْصَارِ قَالَ: «فَانْظُرْ إِلَيْهَا فَإِنَّ فِي أَعْيُنِ الْأَنْصَارِ شَيْئًا» . رَوَاهُ مُسْلِمٌ

عن ابي هريرة قال: جاء رجل الى النبي صلى الله عليه وسلم فقال: اني تزوجت امراة من الانصار قال: «فانظر اليها فان في اعين الانصار شيىا» . رواه مسلم

ব্যাখ্যা: আলোচ্য হাদীসে রয়েছে যে, বিবাহের জন্য মনোনীত মহিলাকে দেখা মুস্তাহাব। আর এটাই আমাদের মালিকী, হানাফী, কুফী, আহমাদ ও জুমহূর ‘উলামাগণের মত। আর মহিলার চেহারা ও দু’ হাতের কব্জি পর্যন্ত দেখা বৈধ। কেননা চেহারাতেই প্রমাণ পাওয়া যাবে যে, মহিলাটি সুন্দরী নাকি এর বিপরীত। আর হাত দেখার মাধ্যমে মহিলার দেহের নমুনা পাওয়া যাবে যে, দেহ কোমল নাকি এর বিপরীত। আর এটাই অধিকাংশ ‘উলামাগণের মত। (শারহে মুসলিম ৯/১০ খন্ড, হাঃ ১৪২৪)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৩: বিবাহ (كتاب النكاح) 13. Marriage

পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - (বিবাহের প্রস্থাবিত) পাত্রী দেখা ও সতর (পর্দা) প্রসঙ্গে

৩০৯৯-[২] ইবনু মাস্’ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো নারী যেন অপর কোনো নারীর সাথে ঘনিষ্ঠতার সাথে সাক্ষাতের পরে স্বীয় স্বামীর সামনে উক্ত নারীর (রূপের) এরূপ বর্ণনা না করে, যাতে স্বামী যেন তাকে দেখছে। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابُ النَّظِرِ إِلَى الْمَخْطُوْبَةِ وَبَيَانِ الْعَوْرَاتِ

وَعَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تُبَاشِرُ الْمَرْأَةُ الْمَرْأَةَ فَتَنْعَتُهَا لِزَوْجِهَا كَأَنَّهُ ينظر إِلَيْهَا»

وعن ابن مسعود رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «لا تباشر المراة المراة فتنعتها لزوجها كانه ينظر اليها»

ব্যাখ্যা: আলোচ্য হাদীসে উল্লেখিত নিষেধাজ্ঞা দ্বারা হিকমাত হলো, স্বামী উক্ত বর্ণনাকৃত নারীর গুণাবলীর প্রতি আসক্ত হয়ে যেতে পারে। এর ফলশ্রুতিতে স্বামী-স্ত্রীর বিচ্ছেদ হয়ে যেতে পারে, কিংবা দাম্পত্য জীবনে কলহ সৃষ্টি হতে পারে। নাসায়ীর বর্ণনায় ইবনু মাস্‘ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত রয়েছে, যে কোনো মহিলা অপর কোনো মহিলার সঙ্গে শরীর মিলে এক কাপড়ের নিচে রাত যাপন করবে না এবং পুরুষ পুরুষের সাথেও এভাবে রাত যাপন করবে না। (ফাতহুল বারী ৯ম খন্ড, হাঃ ৫২৪০)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৩: বিবাহ (كتاب النكاح) 13. Marriage

পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - (বিবাহের প্রস্থাবিত) পাত্রী দেখা ও সতর (পর্দা) প্রসঙ্গে

৩১০০-[৩] আবূ সা’ঈদ আল খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো পুরুষ যেন অপর পুরুষের এবং কোনো নারী যেন অপর নারীর সতর (লজ্জাস্থান) না দেখে। আর কোনো পুরুষ যেন অপর পুরুষের সাথে এক কাপড়ের নিচে না ঘুমায় (পৌঁছে)। আর কোনো নারীও যেন অপর নারীর সাথে এক কাপড়ের নিচে না থাকে। (মুসলিম)[1]

بَابُ النَّظِرِ إِلَى الْمَخْطُوْبَةِ وَبَيَانِ الْعَوْرَاتِ

وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَنْظُرُ الرَّجُلُ إِلَى عَوْرَةِ الرَّجُلِ وَلَا الْمَرْأَةُ إِلَى عَوْرَةِ الْمَرْأَةِ وَلَا يُفْضِي الرَّجُلُ إِلَى الرَّجُلِ فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ وَلَا تُفْضِي الْمَرْأَةُ إِلَى الْمَرْأَةِ فِي ثوب وَاحِد» . رَوَاهُ مُسلم

وعن ابي سعيد قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «لا ينظر الرجل الى عورة الرجل ولا المراة الى عورة المراة ولا يفضي الرجل الى الرجل في ثوب واحد ولا تفضي المراة الى المراة في ثوب واحد» . رواه مسلم

ব্যাখ্যা: স্বামী-স্ত্রী ছাড়া অন্যদের ক্ষেত্রে একে অন্যের লজ্জাস্থানের দিকে দেখা হারাম। তবে স্বামী-স্ত্রী একে অপরের সবকিছুই দেখতে পারে, তবে যৌনাঙ্গ দেখার ব্যাপারে তিনটি অবস্থা রয়েছে; তার মধ্যে বিশুদ্ধ মত হলো, স্বামী-স্ত্রীর একে অপরের লিঙ্গের দিকে অপ্রয়োজনীয় দৃষ্টিপাত করা মাকরূহ, তবে হারাম নয়। তবে স্বামী-স্ত্রী ছাড়া অন্যদের একে অন্যের লজ্জাস্থানের দিকে দেখাটা যদি শারী‘আত আবশ্যকীয় কোনো বিষয় হয় তবে তা জায়িয। যেমন- ক্রয়-বিক্রয়, চিকিৎসা ইত্যাদি বিষয়। তবে নির্জনস্থানে পুরুষের লজ্জাস্থান উন্মুক্ত করা যেখানে কোনো মানুষ তাকে দেখবে না এমন স্থানে লজ্জাস্থান উন্মুক্ত করা প্রয়োজনীয় হলে তা জায়িয। আর যদি প্রয়োজন না থাকে, তবে এ ক্ষেত্রে ‘উলামাগণের মাঝে মতবিরোধ আছে। কারো মতে মাকরূহ, আবার কারো কারো মতে তা হারাম। অধিক বিশুদ্ধ মত হলো, তা হারাম। (শারহে মুসলিম ৩/৪ খন্ড, হাঃ ৩৩৮)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৩: বিবাহ (كتاب النكاح) 13. Marriage

পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - (বিবাহের প্রস্থাবিত) পাত্রী দেখা ও সতর (পর্দা) প্রসঙ্গে

৩১০১-[৪] জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো বিবাহিতা নারীর নিকটে স্বামী অথবা মাহরাম ছাড়া (বিবাহ নিষিদ্ধ যাদের সাথে) কেউ যেন রাত্রি যাপন না করে। (মুসলিম)[1]

بَابُ النَّظِرِ إِلَى الْمَخْطُوْبَةِ وَبَيَانِ الْعَوْرَاتِ

وَعَنْ جَابِرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِلَّا لَا يبتن رَجُلٌ عِنْدَ امْرَأَةٍ ثَيِّبٍ إِلَّا أَنْ يَكُونَ ناكحا أَو ذَا محرم» . رَوَاهُ مُسلم

وعن جابر رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «الا لا يبتن رجل عند امراة ثيب الا ان يكون ناكحا او ذا محرم» . رواه مسلم

ব্যাখ্যা: ‘উলামাগণ বলেছেন, এখানে সাইয়িবা মহিলাকে খাস করার কারণ হলো, অধিকাংশ ক্ষেত্রে সাইয়িবা মহিলার সংকোচবোধের কমতি থাকায় তার কাছে অন্য পুরুষের প্রবেশ করাটা সহজ হয়। কিন্তু বাকেরা বা কুমারী মহিলার অত্যধিক লজ্জাবোধ ও সংকোচবোধের ফলে তার কাছে বেগানা পুরুষের প্রবেশ করা অনেক কঠিন। তাই হাদীসে সাইয়িবা-কে নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করা হয়েছে। (শারহে মুসলিম ১৩/১৪ খন্ড, হাঃ ২১৭১)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৩: বিবাহ (كتاب النكاح) 13. Marriage

পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - (বিবাহের প্রস্থাবিত) পাত্রী দেখা ও সতর (পর্দা) প্রসঙ্গে

৩১০২-[৫] ’উকবা ইবনু ’আমির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা কোনো নারীদের নিকট গমন (নিঃসঙ্গভাবে গৃহে প্রবেশ) করো না। (এটা শুনে) জনৈক ব্যক্তি প্রশ্ন করল, হে আল্লাহর রসূল! দেবর সম্পর্কে আপনি কি বলেন? (উত্তরে) তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, দেবর তো মরণসম বা মরণের ন্যায়। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابُ النَّظِرِ إِلَى الْمَخْطُوْبَةِ وَبَيَانِ الْعَوْرَاتِ

وَعَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِيَّاكُمْ وَالدُّخُولَ عَلَى النِّسَاءِ فَقَالَ رَجُلٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ الْحَمْوَ؟ قَالَ: «الْحَمْوُ الْمَوْتُ»

وعن عقبة بن عامر قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: اياكم والدخول على النساء فقال رجل: يا رسول الله ارايت الحمو؟ قال: «الحمو الموت»

ব্যাখ্যা : সহীহ মুসলিমে ইবনু ওয়াহ্ব তাঁর বর্ণনায় বৃদ্ধি করেছেন যে, আমি আল লায়স-এর কাছে শুনেছি حَمْوُ (হাম্ওয়া) হলো স্বামীর ভাই বা তার নিকট আত্মীয়গণ।

আলোচ্য হাদীসে দেবর বা স্বামীর নিকট আত্মীয়কে মৃত্যু বলা হয়েছে। এর উদ্দেশ্য হলো দেবরের সাথে নির্জন একাকী থাকা দীনের ধ্বংস আবশ্যক করে, যদি তারা নাফরমানীতে পতিত হয়। আর যিনায় পতিত হলে রজম আবশ্যক হয়ে যাবে অথবা স্বামীর সাথে বিচ্ছেদ হওয়ার মাধ্যমে নারী নিজের ধ্বংস ডেকে আনবে। কারণ ঈর্ষা স্বামীকে তালাক প্রদানে উৎসাহিত করবে। কোনো পুরুষের তার ভাইয়ের স্ত্রীর সাথে নির্জন বাস করা যা মৃত্যুর সমান। ‘আরবীগণ ঘৃণিত কাজকে মৃত্যুর সাথে তুলনা করে থাকেন। ইবনুল আরাবী বলেন যে, এটা এমন কথা যা ‘আরবীগণ বলেন; যেমন আপনি এটা বলবেন ‘‘সিংহই মৃত্যু’’। অর্থাৎ- সিংহের আক্রমণে পরা মানে মৃত্যু। অর্থাৎ- তোমরা তা থেকে বেঁচে থাক যেমন মৃত্যু থেকে বেঁচে থাক। (ফাতহুল বারী ৯ম খন্ড, হাঃ ৫২৩২)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৩: বিবাহ (كتاب النكاح) 13. Marriage

পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - (বিবাহের প্রস্থাবিত) পাত্রী দেখা ও সতর (পর্দা) প্রসঙ্গে

৩১০৩-[৬] জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, উম্মুল মু’মিনীন উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) শরীরে শিঙ্গা লাগানোর অনুমতি চাইলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ ত্বয়বাহ্ (রাঃ)-কে অনুমতি দিলেন। রাবী (জাবির) বলেন, আমার জানামতে, আবূ ত্বয়বাহ্ উম্মু সালামাহ্ (রাঃ)-এর দুধ-ভাই ছিল, অথবা (অপ্রাপ্তবয়স্ক) বালক ছিল। (মুসলিম)[1]

بَابُ النَّظِرِ إِلَى الْمَخْطُوْبَةِ وَبَيَانِ الْعَوْرَاتِ

وَعَن جَابِرٍ: أَنَّ أُمَّ سَلَمَةَ اسْتَأْذَنَتْ رَسُولَ اللَّهِ فِي الْحِجَامَةِ فَأَمَرَ أَبَا طَيْبَةَ أَنْ يَحْجُمَهَا قَالَ: حَسِبْتُ أَنَّهُ كَانَ أَخَاهَا مِنَ الرَّضَاعَةِ أَو غُلَاما لم يَحْتَلِم. رَوَاهُ مُسلم

وعن جابر: ان ام سلمة استاذنت رسول الله في الحجامة فامر ابا طيبة ان يحجمها قال: حسبت انه كان اخاها من الرضاعة او غلاما لم يحتلم. رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৩: বিবাহ (كتاب النكاح) 13. Marriage

পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - (বিবাহের প্রস্থাবিত) পাত্রী দেখা ও সতর (পর্দা) প্রসঙ্গে

৩১০৪-[৭] জারীর ইবনু ’আব্দুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে (কোনো নারীর প্রতি) আকস্মিক দৃষ্টি নিক্ষেপ হওয়ার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তদুত্তরে তৎক্ষণাৎ দৃষ্টি ফিরিয়ে নেয়ার আদেশ দিলেন। (মুসলিম)[1]

بَابُ النَّظِرِ إِلَى الْمَخْطُوْبَةِ وَبَيَانِ الْعَوْرَاتِ

وَعَن جرير بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: سَأَلَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ نَظَرِ الْفُجَاءَةِ فَأمرنِي أَن أصرف بَصرِي. رَوَاهُ مُسلم

وعن جرير بن عبد الله قال: سالت رسول الله صلى الله عليه وسلم عن نظر الفجاءة فامرني ان اصرف بصري. رواه مسلم

ব্যাখ্যা: হঠাৎ তাকানোর অর্থ হলো, কোনো বেগানা নারীর দিকে অনিচ্ছাবশত দৃষ্টি যাওয়া, প্রথমবার হঠাৎ দৃষ্টি পড়ায় কোনো পাপ হবে না। অবস্থায় দৃষ্টি ফেরানো আবশ্যক হয়ে যাবে। যদি দৃষ্টি ফিরিয়ে নেয় তবে পাপ হবে না। কিন্তু নারীর দিকে সর্বদা দৃষ্টি দিয়ে রাখলে অবশ্যই পাপ হবে।

‘উলামাগণ বলেন, এ হাদীসে দলীল রয়েছে যে, নারীর চেহারা ঢাকা আবশ্যক নয় বরং এটা তার জন্য মুস্তাহাব এবং পুরুষের দৃষ্টি সর্বাবস্থায় নিম্নমুখী রাখা আবশ্যক। তবে সাক্ষীপ্রদান, চিকিৎসা, নারীকে বিবাহের প্রস্তাব, কিংবা কেনা-বেচা ইত্যাদি বিষয়ে নারীর দিকে দেখা যাবে। (শারহে মুসলিম ১৩/১৪ খন্ড, হাঃ ২১৫৯)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৩: বিবাহ (كتاب النكاح) 13. Marriage

পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - (বিবাহের প্রস্থাবিত) পাত্রী দেখা ও সতর (পর্দা) প্রসঙ্গে

৩১০৫-[৮] জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (ভিন্ন পুরুষের জন্য) যার সঙ্গে বিবাহ বৈধ এমন নারীর আগমন-প্রত্যাগমন শায়ত্বনরূপী। যখন তোমাদের কারো নিকট কোনো নারী ভালো লাগে (বা তার প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে) এবং তোমাদের কারো হৃদয়ে চাঞ্চল্যের (কামভাব) সৃষ্টি হয়, তখন সে যেন নিজ স্ত্রীর নিকট গমন করে সহবাস করে নেয়। এটা তার অন্তরের সব অবস্থা দূর করে দেবে। (মুসলিম)[1]

بَابُ النَّظِرِ إِلَى الْمَخْطُوْبَةِ وَبَيَانِ الْعَوْرَاتِ

وَعَنْ جَابِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ الْمَرْأَةَ تُقْبِلُ فِي صُورَةِ شَيْطَانٍ وَتُدْبِرُ فِي صُورَةِ شَيْطَانٍ إِذَا أَحَدَكُمْ أَعْجَبَتْهُ الْمَرْأَةُ فَوَقَعَتْ فِي قَلْبِهِ فَلْيَعْمِدْ إِلَى امْرَأَتِهِ فَلْيُوَاقِعْهَا فَإِنَّ ذَلِكَ يَرُدُّ مَا فِي نَفسه» . رَوَاهُ مُسلم

وعن جابر قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «ان المراة تقبل في صورة شيطان وتدبر في صورة شيطان اذا احدكم اعجبته المراة فوقعت في قلبه فليعمد الى امراته فليواقعها فان ذلك يرد ما في نفسه» . رواه مسلم

ব্যাখ্যা : ‘উলামাগণ বলেন, এর অর্থ হলো কু-বাসনার দিকে ইঙ্গিত করা। পুরুষের অন্তরে নারীর প্রতি দুর্বলতার যে এক ফিতনা দিয়েছেন সে দিকে ডাকা, নারীর প্রতি দেখার যে এক স্বাদ এবং এ সংক্রান্ত বিষয়ে পুরুষকে আকৃষ্ট করা- এ সবই আলোচ্য হাদীসের অন্তর্ভুক্ত। আর এটা শায়ত্বনের খারাপ কাজের দিকে মানুষকে ডাকা বা কুমন্ত্রণা দেয়ার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। আর কোনো মহিলার প্রয়োজন ছাড়া পুরুষের মাঝে বের হওয়া উচিত নয় এবং পুরুষেরও উচিত নারীর পোশাক ও তার ইজ্জত-আব্রু থেকে দৃষ্টি নিচু রাখা। (শারহে মুসলিম ৯/১০ খন্ড, হাঃ ১৪০৩)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৩: বিবাহ (كتاب النكاح) 13. Marriage
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৮ পর্যন্ত, সর্বমোট ৮ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে