পরিচ্ছেদঃ ১৭. প্রথম অনুচ্ছেদ - হাদিয়া (উপহার) ও হিবার (অনুদান) প্রসঙ্গে
৩০১৬-[১] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তিকে সুগন্ধি দান করা হয়, সে যেন তা ফিরিয়ে না দেয়। কেননা, এটা ওযনে হালকা, অথচ সুঘ্রাণযুক্ত। (মুসলিম)[1]
بَابٌ فِى الْهِبَةِ وَالْهَدِيَّةِ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ عُرِضَ عَلَيْهِ رَيْحَانٌ فَلَا يَرُدُّهُ فَإِنَّهُ خَفِيفُ الْمَحْمَلِ طَيِّبُ الرّيح» . رَوَاهُ مُسلم
ব্যাখ্যা: (الرَيْحَانٌ) ভাষাবিদ এবং হাদীসের অপরিচিত শব্দ সম্পর্কে জ্ঞাত ব্যক্তিরা এ হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেন, (رَيْحَانٌ) প্রত্যেক সুগন্ধিময় জাতীয় উদ্ভিদ।
মুসলিম-এর ব্যাখ্যাকার বলেনঃ আমরা যা উল্লেখ করেছি তা বর্ণনার পর কাযী ‘ইয়ায বলেন, এ হাদীস দ্বারা আমার কাছে সকল ধরনের সুগন্ধি উদ্দেশ্য হওয়ার সম্ভাবনা রাখছে। এ হাদীসের ক্ষেত্রে আবূ দাঊদ-এর বর্ণনাতে (مَنْ عُرِضَ عَلَيْهِ طِيبٌ) অর্থাৎ- ‘‘যার কাছে সুগন্ধি উপস্থাপন করা হবে’’। আর সহীহুল বুখারীতে এসেছে, (كَانَ النَّبِيُّ ﷺ لَا يَرُدُّ الطِّيبَ) ‘‘নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুগন্ধি ফেরত দিতেন না’’। এ হাদীসটিতে আছে- যার কাছে সুগন্ধি উপস্থাপন করা হবে বিনা আপত্তিতে তা ফেরত দেয়া অপছন্দনীয়।
(كَانَ بْنُ عُمَرَ اِذَا اِسْتَجْمَرَ اِسْتِجْمَرَ بِأَلْوَةِ غَيْرَ مُطَرَّاةٍ أَوْ بِكَافُورٍ يَطْرَحُه مَعَ الْأَلُوَّةِ ثُمَّ قَالَ هٰكَذَا كَانَ يَسْتَجْمِرُ رَسُولُ اللّٰهِ ﷺ) এখানে استجمر বলতে সুগন্ধি ব্যবহার করা, গ্রহণ করা বুঝানো হয়েছে। (শারহে মুসলিম ১৪/১৫শ খন্ড, হাঃ ২২৫৩)
মিরকাতুল মাফাতীহে এসেছে, (خَفِيفُ الْمَحْمَلِ) অর্থাৎ- বহন করা কঠিন নয়। (طَيِّبُ الرِّيْحِ) কেননা এ থেকে জান্নাতের সুগন্ধি শোকা যায়। আর বর্ণিত হয়েছে, নিশ্চয় তা জান্নাত হতে এসেছে যেমন অচিরেই হাদীসে আসবে। (হাদীসটি মুরসাল)
ত্বীবী বলেন, উপঢৌকন ফেরত দেয়া সম্পর্কে নিষেধাজ্ঞার কারণ হলো- উপঢৌকন যখন অল্প হয় এবং তা যে কোনো উপকারকে শামিল করে তখন তোমরা তা ফেরত দিবে না, যাতে উপঢৌকনদাতা কষ্ট না পায়..... শেষ পর্যন্ত। এতে মানুষের উপঢৌকন গ্রহণের মাধ্যমে তাদের অন্তরসমূহ সংরক্ষণের ব্যাপারে ইঙ্গিত রয়েছে। বর্ণিত হয়েছে, তোমরা একে অপরকে উপঢৌকন দাও, পরস্পর একে অপরকে ভালোবাস। (মিরকাতুল মাফাতীহ)
পরিচ্ছেদঃ ১৭. প্রথম অনুচ্ছেদ - হাদিয়া (উপহার) ও হিবার (অনুদান) প্রসঙ্গে
৩০১৭-[২] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুগন্ধি জাতীয় দ্রব্য ফিরিয়ে দিতেন না। (বুখারী)[1]
بَابٌ فِى الْهِبَةِ وَالْهَدِيَّةِ
وَعَنْ أَنَسٍ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ لَا يَرُدُّ الطِّيبَ. رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ
ব্যাখ্যা: আবূ নু‘আয়ম বিশর বিন মু‘আয-এর সানাদে ‘আব্দুল ওয়ারিস থেকে বর্ণনা করেন, ‘আব্দুল ওয়ারিস ‘আযরাহ্ বিন সাবিত হতে বর্ণনা করেন, ‘আযরাহ্ বলেন, (دَخَلْتُ عَلٰى ثُمَامَةَ فَنَاوَلَنِي طِيبًا قُلْتُ قَدْ تَطَيَّبْتُ فَقَالَ كَانَ أَنَسٌ لَا يَرُدُّ الطِّيبَ) ‘‘আমি সুমামার কাছে পৌঁছলে, সে আমাকে সুগন্ধি দিল, আমি বললাম, আমি সবেমাত্র সুগন্ধি লাগিয়েছি, তখন সে বলল, আনাস সুগন্ধিকে ফেরত দিতেন না।’’ (ফাতহুল বারী ৫ম খন্ড, হাঃ ২৫৮২)
পরিচ্ছেদঃ ১৭. প্রথম অনুচ্ছেদ - হাদিয়া (উপহার) ও হিবার (অনুদান) প্রসঙ্গে
৩০১৮-[৩] ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি দান করে ফেরত নেয়, সে কুকুরের সদৃশ; সে স্বীয় বমি পুনরায় খায়। আমাদের মাঝে এই নিকৃষ্ট দৃষ্টান্ত কাম্য নয়। (বুখারী)[1]
بَابٌ فِى الْهِبَةِ وَالْهَدِيَّةِ
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْعَائِدُ فِي هِبَتِهِ كَالْكَلْبِ يَعُودُ فِي قَيْئِهِ لَيْسَ لَنَا مَثَلُ السوء» . رَوَاهُ البُخَارِيّ
ব্যাখ্যা: (لَيْسَ لَنَا مَثَلُ السُّوْءِ) একমতে বলা হয়েছে- যার মাধ্যমে মন্দের উপমা পেশ করা হয় সে ব্যাপারে কাজ করা আমাদের জাতির জন্য মানায় না। কাযী বলেন, আমাদের জন্য ঐ নিন্দনীয় গুণ দ্বারা গুণান্বিত হওয়া উচিত না যে ক্ষেত্রে সর্বাধিক নিকৃষ্ট প্রাণী সর্বাধিক নিকৃষ্ট অবস্থায় আমাদের অংশীদার হবে। অথচ উপমা পেশ করা হয়- অবাক অভিনব বৈশিষ্ট্যের ক্ষেত্রে চাই তা প্রশংসাজ্ঞাপক হোক অথবা নিন্দাজ্ঞাপক হোক।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘‘যারা পরকালের প্রতি বিশ্বাস রাখে না তাদের জন্য রয়েছে মন্দ দৃষ্টান্ত আর আল্লাহর জন্য রয়েছে সুউচ্চ দৃষ্টান্ত’’- (সূরা আন্ নাহল ১৬ : ৬০) এর মাধ্যমে দান করা বস্তু গ্রহীতা আয়ত্তে নেয়ার পর দানকারীর তা ফিরিয়ে নেয়া বৈধ না হওয়ার ব্যাপারে দলীল গ্রহণ করা হয়েছে। নববী (রহঃ) বলেন, দান-সাদাকা গ্রহণ করার পর তা গ্রহীতার কাছ থেকে ফিরিয়ে নেয়া হারাম হওয়ার ব্যাপারে দৃষ্টান্তটি স্পষ্ট। তবে কোনো ব্যক্তি তার সন্তানকে এবং তার সন্তানের সন্তানকে যা দান করেছে তা উদ্দেশ্য নয়, যেমন এ ব্যাপারে নু‘মান বিন বাশীর-এর হাদীসে স্পষ্ট করে দেয়া হয়েছে। এটা শাফি‘ঈ, মালিক ও আওযা‘ঈ-এর অভিমত। আবূ হানীফাহ্ এবং অন্যান্যরা বলেন, পিতা এবং মাহরাম ছাড়া প্রত্যেক দাতা ফিরিয়ে নিতে পারবে। অনাত্মীয়দের থেকে দান ফিরিয়ে নেয়া যাবে বলে যারা মনে করে তাদের কাছে এ হাদীসটিতে যে নিষেধাজ্ঞা এসেছে তা মাকরূহ অর্থে হারাম অর্থে নয়। আর তিনি ‘উমার -এর হাদীস দ্বারা দলীল গ্রহণ করে থাকেন। যখন তিনি ঐ ঘোড়া ক্রয় করতে চেয়েছিলেন, আল্লাহর পথে যার উপর তিনি কাউকে আরোহণ করতে দিয়েছিলেন। অতঃপর তিনি ঐ সম্পর্কে আল্লাহর রসূলকে প্রশ্ন করলে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যদিও সে তা তোমাকে এক দিরহামের বিনিময়ে দেয়, তথাপিও তা ক্রয় করবে না। তুমি তোমার দান ফিরিয়ে নিবে না। কেননা দানকে ফেরত গ্রহণকারী ঐ কুকুরের মতো, যে বমি করার পর পুনরায় তা চেটে নেয়। তূরিবিশতী বলেনঃ এ উক্তি যখন দান করা বস্তুর ক্রয় করার হুরমাতকে আবশ্যক সাব্যস্ত করতে পারল না, তখন এভাবে এ হাদীস কোনো বস্তু দান করার পর তা ফিরিয়ে নেয়া হারাম হওয়াকে আবশ্যক সাব্যস্ত করতে পারবে না। কিন্তু ত্বীবী এমন এক মাধ্যমে এর সমালোচনা করেছেন যাতে বিস্ময় রয়েছে।
জামি‘উস্ সগীরে আছে, (الْعَائِدُ فِىْ هِبَتِه كَالْكَلْبِ يَعُوْدُ فِىْ قَيْئِه) অর্থাৎ- ‘‘দান করে তা ফেরত গ্রহণকারী বমি করে পুনরায় তা ভক্ষণকারীর মতো।’’ (মিরকাতুল মাফাতীহ)
পরিচ্ছেদঃ ১৭. প্রথম অনুচ্ছেদ - হাদিয়া (উপহার) ও হিবার (অনুদান) প্রসঙ্গে
৩০১৯-[৪] নু’মান ইবনু বাশীর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা তাঁর পিতা তাঁকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট নিয়ে গেলেন, অতঃপর বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আমার এই সন্তানকে আমি একটি ক্রীতদাস দান করেছি। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তুমি কি তোমার সব সন্তানকে এরূপে দান করেছ? তিনি বললেন, না। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তবে তুমি তা ফেরত নাও।
অপর এক বর্ণনায় রয়েছে- তুমি কি চাও যে, তোমার সকল সন্তানেরা তোমার সাথে সমভাবে সদ্ব্যবহার করুক? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তবে এরূপ জায়িয হবে না। অপর বর্ণনায় আছে, নু’মান বলেছেনঃ আমার পিতা আমাকে কিছু দান করলেন। তখন (আমার মা) ’আম্রাহ্ বিনতু রওয়াহাহ্ (রাঃ) (আমার পিতাকে) বললেন, আমার এতে সম্মতি নেই যতক্ষণ না এতে আপনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সাক্ষী রাখেন। অতঃপর আমার পিতা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট গিয়ে বললেন, আমি ’আম্রাহ্ বিনতু রওয়াহাহ্’র গর্ভজাত আমার এই সন্তানকে একটি উপহার প্রদান করেছি।
কিন্তু ’আমরাহ্ আমাকে বলেছে, হে আল্লাহর রসূল! আপনাকে যেন সাক্ষী রাখি। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তুমি কি তোমার সকল সন্তানকে এর অনুরূপ দান করেছ? তিনি বললেন, না। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তবে আল্লাহকে ভয় কর এবং তোমার সকল সন্তান-সন্ততিদের মধ্যে সমানভাবে সদ্ব্যবহার কর। বর্ণনাকারী (নু’মান ) বলেন, সুতরাং তিনি ফিরে এসে স্বীয় দান ফিরিয়ে নিলেন। অপর বর্ণনায় আছে, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, আমি অন্যায়ের কাজে সাক্ষী হই না। (বুখারী ও মুসলিম)[1]
بَابٌ فِى الْهِبَةِ وَالْهَدِيَّةِ
وَعَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ أَنَّ أَبَاهُ أَتَى بِهِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: إِنِّي نَحَلْتُ ابْنِي هَذَا غُلَامًا فَقَالَ: «أَكُلَّ وَلَدِكَ نَحَلْتَ مِثْلَهُ؟» قَالَ: لَا قَالَ: «فَأَرْجِعْهُ» . وَفِي رِوَايَةٍ: أَنَّهُ قَالَ: «أَيَسُرُّكَ أَنْ يَكُونُوا إِلَيْكَ فِي الْبِرِّ سَوَاءً؟» قَالَ: بَلَى قَالَ: «فَلَا إِذن» . وَفِي رِوَايَةٍ: أَنَّهُ قَالَ: أَعْطَانِي أَبِي عَطِيَّةً فَقَالَتْ عَمْرَةُ بِنْتُ رَوَاحَةَ: لَا أَرْضَى حَتَّى تشهد رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَتَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: إِنِّي أَعْطَيْتُ ابْنِي مِنْ عَمْرَةَ بِنْتِ رَوَاحَةَ عَطِيَّةً فَأَمَرَتْنِي أَنْ أُشْهِدَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ: «أَعْطَيْتَ سَائِرَ وَلِدِكَ مِثْلَ هَذَا؟» قَالَ: لَا قَالَ: «فَاتَّقُوا اللَّهَ وَاعْدِلُوا بَيْنَ أَوْلَادِكُمْ» . قَالَ: فَرَجَعَ فَرَدَّ عَطِيَّتَهُ. وَفِي رِوَايَةٍ: أَنَّهُ قَالَ: «لَا أشهد على جور»
ব্যাখ্যা: নু‘মান বিন বাশীর (রাঃ) হতে বর্ণিত, নিশ্চয় তার পিতা তাকে নিয়ে আল্লাহর রসূলের কাছে আসলো। অতঃপর বলল, নিশ্চয় আমি আমার এ সন্তানকে আমার একটি দাস দান করেছি। অতঃপর আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমার প্রত্যেক সন্তানকে কি এরূপ দান করেছ? তিনি বললেন, না। আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, (فَأَرْجِعْهُ)। এক বর্ণনায় বলেন, (فاردده) অর্থাৎ- তুমি তা ফিরিয়ে নাও। অন্য বর্ণনায় তাদের প্রত্যেকের প্রতি এরূপ করেছ? তিনি বললেন, না। আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং তোমাদের সন্তানদের মাঝে ন্যায়-ইনসাফ কর। নু‘মান বিন বাশীর (রাঃ) বলেন, ‘‘অতঃপর আমার পিতা ফিরে গিয়ে ঐ দান ফিরিয়ে নিলেন।’’ অন্য বর্ণনাতে আছে- আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘‘তাহলে তুমি আমাকে সাক্ষী রেখো না। কেননা আমি অন্যায়ের ব্যাপারে সাক্ষী হই না।’’ অন্য বর্ণনায় আছে- ‘‘তুমি আমাকে অন্যায়ের ব্যাপারে সাক্ষী রেখো না।’’ অন্য বর্ণনায় আছে, ‘‘আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এ ব্যাপারে আমাকে ছাড়া অন্যকে সাক্ষী রাখো।’’ অন্য বর্ণনাতে আছে, ‘‘আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, কেননা আমি সাক্ষী দেই না।’’ অন্য বর্ণনাতে আছে, ‘‘তিনি বলেন, আমার জন্য এটা উপযোগী না। নিশ্চয় আমি সত্য ছাড়া অন্য ক্ষেত্রে সাক্ষী দেই না।’’
অত্র হাদীস প্রমাণ করে যে, দানের ক্ষেত্রে ব্যক্তির উচিত তার সন্তানসমূহের মাঝে সমতা রক্ষা করা, তাদের প্রত্যেককে অন্যের মতো দান করা, কাউকে অতিরিক্ত না দেয়া। ছেলে-মেয়ের মাঝে সমতা রক্ষা করা। আমাদের কতক সাথীবর্গ বলেন, ছেলের জন্য মেয়ের দিগুণ থাকবে। বিশুদ্ধ ও প্রসিদ্ধ কথা হলো- হাদীসের বাহ্যিকতার দিকে লক্ষ্য করে উভয়কেই মাঝে সমানভাবে দান করবে। (শারহে মুসলিম ১১/১২শ খন্ড, হাঃ ১৬২৩)