পরিচ্ছেদঃ ১০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - অংশীদারিত্ব ও ওয়াকালাহ্ (দায়িত্ব প্রদান)
২৯৩৩-[৪] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা বলেন, আমি দুই অংশীদারদের মধ্যে তৃতীয়, যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা একে অপরের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করে। যখন তাদের কেউ অপরের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে, আমি তাদের মধ্যে হতে সরে পড়ি। (আবূ দাঊদ; কিন্তু রযীনে বর্ণিত হয়েছে, ’শায়ত্বন এসে পৌঁছে’)[1]
عَن أبي هُرَيْرَة رَفَعَهُ قَالَ: إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ يَقُولُ: أَنا ثَالِث الشَّرِيكَيْنِ مَا لم يخن صَاحِبَهُ فَإِذَا خَانَهُ خَرَجْتُ مِنْ بَيْنِهِمَا . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَزَاد رزين: «وَجَاء الشَّيْطَان»
ব্যাখ্যা: ‘আল্লামা ত্বীবী (রহঃ) বলেনঃ শরীক হলো একে অন্যের সম্পদের এমন সংমিশ্রণ, যা আলাদা করা যায় না।
আলোচ্য হাদীস থেকে এটা প্রমাণিত হয় যে, শরীক ব্যবসা মুস্তাহাব। কারণ বরকত তো আল্লাহর পক্ষ হতে নাযিল হয়। একক ব্যবসায় যার সম্পূর্ণ বিপরীত। আর দু’জন শারীকের প্রত্যেকই একে অন্যের ভালোর আশা করে, আল্লাহ তা‘আলা সর্বদাই বান্দার সাহায্যে এগিয়ে আসেন, যতক্ষণ সে তার মুসলিম ভাইয়ের সাহায্যে এগিয়ে আসে। সুতরাং আল্লাহ তা‘আলার শরীক ব্যবসার তৃতীয়জন। কারণ তিনি বরকত অনুগ্রহ ও লাভ দিয়ে মালের মধ্যে শরীক হন। (‘আওনুল মা‘বূদ ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ৩৩৮১)
পরিচ্ছেদঃ ১০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - অংশীদারিত্ব ও ওয়াকালাহ্ (দায়িত্ব প্রদান)
২৯৩৪-[৫] উক্ত রাবী [আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমানত আদায় করবে, যে তোমার কাছে আমানত রেখেছে এবং তোমার সাথে যে খিয়ানাত করেছে, তার সাথেও খিয়ানাত করবে না। (তিরমিযী, আবূ দাঊদ ও দারিমী)[1]
وَعَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «أَدِّ الْأَمَانَةَ إِلَى مَنِ ائْتَمَنَكَ وَلَا تَخُنْ مَنْ خَانَكَ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَالدَّارِمِيُّ
ব্যাখ্যা: আন্ নাহলে রয়েছে যে, আলোচ্য হাদীস এ মর্মে দলীল, খিয়ানাতকারীর খিয়ানাতের জবাব অনুরূপ কর্ম দিয়ে দেয়া জায়িয নেই। (‘আওনুল মা‘বূদ ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ৩৫৩২)
পরিচ্ছেদঃ ১০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - অংশীদারিত্ব ও ওয়াকালাহ্ (দায়িত্ব প্রদান)
২৯৩৫-[৬] জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি খায়বারের দিকে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করলাম। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে গিয়ে তাঁকে সালাম দিয়ে বললাম, হে আল্লাহর নবী! আমি খায়বারের দিকে যেতে চাই। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, যখন সেখানে আমার উকিলের নিকট পৌঁছবে, তার থেকে পনের ’ওয়াসাক’ (খেজুর) নিবে। সে যদি তোমার কাছে আমার কোনো নিদর্শন খোঁজ করে, তখন তুমি কোনো কাজের জন্য কাউকে তার গলার হাঁসুলির (অলঙ্কারের) উপর হাত রেখ। (আবূ দাঊদ)[1]
وَعَنْ جَابِرٍ قَالَ: أَرَدْتُ الْخُرُوجَ إِلَى خَيْبَرَ فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ وَقُلْتُ: إِنِّي أَرَدْتُ الْخُرُوجَ إِلَى خَيْبَرَ فَقَالَ: «إِذَا أَتَيْتَ وَكِيلِي فَخُذْ مِنْهُ خَمْسَةَ عَشَرَ وَسْقًا فَإِنِ ابْتَغَى مِنْكَ آيَةً فَضَعْ يدك على ترقوته» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যা : আলোচ্য হাদীসে দলীল রয়েছে যে, উকিল বা মাধ্যম নিযুক্ত করা বৈধ এবং এতে উকিল ও মু’কিল (যার কাছে উকিল পাঠানো হয়) দু’জনের মাঝে এমন নিদর্শন রাখার দলীল পাওয়া যায়, যে নিদর্শন সম্পর্কে তারা দু’জন ছাড়া আর কেউ জানবে না। যাতে করে একে অপরের ওপর নির্ভর করতে পারে। (‘আওনুল মা‘বূদ ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ৩৬২৯)