পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ক্রয়-বিক্রয়ে পছন্দের স্বাধীনতা (অবকাশ থাকা)
২৮০৪-[৪] ’আমর ইবনু শু’আয়ব হতে বর্ণিত। তিনি তার পিতার মাধ্যমে দাদা হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ক্রেতা বিক্রেতা একে অপর থেকে পৃথক হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত উভয়ের জন্য (ক্রয়-বিক্রয় প্রত্যাখ্যান করার) অবকাশ থাকবে। তবে যদি অবকাশের শর্তে বিক্রয় হয়ে থাকে তবে ভিন্ন কথা। ক্রয়-বিক্রয় প্রত্যাখ্যান হয়ে যায় কিনা- এ আশঙ্কায় ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ে একে অপর হতে দ্রুত পৃথক হওয়া ঠিক নয়। (তিরমিযী, আবূ দাঊদ, নাসায়ী)[1]
عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الْبَيِّعَانِ بِالْخِيَارِ مَا لَمْ يَتَفَرَّقَا إِلَّا أَنْ يَكُونَ صَفْقَةَ خِيَارٍ وَلَا يَحِلُّ لَهُ أَنْ يُفَارِقَ صَاحِبَهُ خَشْيَةَ أَنْ يَسْتَقِيلَهُ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَأَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ
ব্যাখ্যা: (لَا يَحِلُّ لَه أَنْ يُّفَارِقَ صَاحِبَه خَشْيَةَ أَنْ يَسْتَقِيلَه) ‘‘বেচা-কেনার চুক্তি বাতিল করার দাবী করতে পারে- এই ভয়ে মাজলিস থেকে চলে যাওয়া কারো জন্য বৈধ নয়’’ এ হাদীস প্রমাণ করে যে, يفارق দ্বারা উদ্দেশ্য হলো মাজলিস পরিত্যাগ করা। অর্থাৎ বেচা-কেনার চুক্তি সম্পাদন হওয়ার পর তা কোনো একপক্ষ বাতিল করতে পারে এই ভয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ক্রেতা-বিক্রেতাকে মাজলিস পরিত্যাগ করতে নিষেধ করেছেন। এ থেকে জানা গেল যে, মাজলিস ত্যাগ করার পূর্ব পর্যন্ত এ চুক্তি ভঙ্গ করার অধিকার রয়েছে। (তুহফাতুল আহওয়াযী ৪র্থ খন্ড, হাঃ ১২৪৭)
পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ক্রয়-বিক্রয়ে পছন্দের স্বাধীনতা (অবকাশ থাকা)
২৮০৫-[৫] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ক্রেতা-বিক্রেতা লেনদেনের বিষয়ে তাদের উভয়ের সম্মতি ব্যতীত যেন একে অপর থেকে পৃথক হয়ে না যায়। (আবূ দাঊদ)[1]
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا يَتَفَرَّقَنَّ اثْنَانِ إِلَّا عنْ تراضٍ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যা: (إِلَّا عَنْ تَرَاضٍ) ‘‘সন্তুষ্টি ব্যতীত’’। ‘আল্লামা ত্বীবী বলেনঃ ক্রেতা ও বিক্রেতা একে অপর থেকে পৃথক হয়ে যাবে না অনুমতি ব্যতীত। ‘আল্লামা কারী বলেনঃ ক্রেতা পণ্য গ্রহণ না করে এবং বিক্রেতা তার মূল্য গ্রহণ না করে একে অপর থেকে পৃথক হয়ে যাবে না, কেননা এতে ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। অথবা একে অপরের সাথে পরামর্শ ব্যতীত পৃথক হয়ে যাবে না। আর নিষেধ দ্বারা পৃথক হওয়া হারাম বুঝায় না। কেননা এতে ঐকমত্য রয়েছে যে, চুক্তি সম্পাদনে একে অপরের অনুমতি ব্যতীত পৃথক হয়ে যাওয়া বৈধ। ‘আল্লামা আশরাফ (রহঃ) বলেনঃ অত্র হাদীস প্রমাণ করে যে, চুক্তি সম্পাদনের পরও মাজলিস থেকে পৃথক হওয়া পর্যন্ত চুক্তি বাতিলের স্বাধীনতা রয়েছে। (তুহফাতুল আহওয়াযী ৪র্থ খন্ড, হাঃ ১২৪৮; মিরকাতুল মাফাতীহ)