পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - যাকাত যাদের জন্য হালাল নয়

১৮২১-[১] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন পথে পড়ে থাকা একটি খেজুরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ এ খেজুর যাকাত বা সদাক্বাহ্ (সাদাকা) হবার সন্দেহ না থাকলে আমি উঠিয়ে খেয়ে নিতাম। (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَابٌ مِمَّنْ لَا تَحِلُّ لَهُ الصَّدَقَةُ

عَنْ أَنَسٍ قَالَ: مَرَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِتَمْرَةٍ فِي الطَّرِيقِ فَقَالَ: «لَوْلَا أَنِّي أَخَافُ أَنْ تَكُونَ مِنَ الصَّدَقَةِ لأكلتها»

عن انس قال: مر النبي صلى الله عليه وسلم الله عليه وسلم بتمرة في الطريق فقال: «لولا اني اخاف ان تكون من الصدقة لاكلتها»

ব্যাখ্যা: রাস্তায় পড়ে থাকা খেজুর বা অনুরূপ বস্ত্ত যা লুকতাহ বলে সেটা ব্যবহার করা জায়িয। তবে সেটা রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য দেয়া ঠিক নয়। এ জন্য যে, সেটা সদাক্বাহ্ (সাদাকা) এর হতে পারে। আর সদাক্বার মাল রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য হারাম ছিল। পরহেযগারিতার দিক থেকে সেটি বর্জন করা তাঁর জন্য উত্তম। আর এরূপ বর্ণনা সহীহুল বুখারীতেও উল্লেখ আছে। এর থেকে প্রমাণ হয় যে, সদাক্বার অল্প বস্ত্তও তাঁর জন্য হারাম ছিল।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৬: যাকাত (كتاب الزكاة) 6. Zakat

পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - যাকাত যাদের জন্য হালাল নয়

১৮২২-[২] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নাতি হাসান ইবনু ’আলী (রাঃ) সদাক্বার খেজুর হতে একটি খেজুর উঠিয়ে মুখে পুরলেন। (তা দেখে) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, খেজুরটি মুখ থেকে বের করে ফেলো, বের করে ফেলো। (তিনি এ কথাটি এভাবে বললেন যেন হাসান তা মুখ থেকে বের করে ফেলে দেয়)। তারপর তিনি তাঁকে বললেন, তুমি কি জানো না যে, আমরা (বানী হাশিম) সদাক্বার মাল খেতে পারি না। (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَابٌ مِمَّنْ لَا تَحِلُّ لَهُ الصَّدَقَةُ

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: أَخَذَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ تَمْرَةً مِنْ تَمْرِ الصَّدَقَةِ فَجَعَلَهَا فِي فِيهِ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كِخْ كِخْ» لِيَطْرَحَهَا ثُمَّ قَالَ: «أما شَعرت أَنا لَا نَأْكُل الصَّدَقَة؟»

وعن ابي هريرة قال: اخذ الحسن بن علي تمرة من تمر الصدقة فجعلها في فيه فقال النبي صلى الله عليه وسلم: «كخ كخ» ليطرحها ثم قال: «اما شعرت انا لا ناكل الصدقة؟»

ব্যাখ্যা: হাসান ইবনু ‘আলী (রাঃ) ফাত্বিমার ছেলে। সদাক্বার খেজুর মুখে দেয়ায় নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফেলতে ইশারা করলেন। কারণ সদাক্বার মাল ‘আলি মুহাম্মাদ-এর ওপর হারাম ছিল। আর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসানকে বলেন, আমরা সদাক্বাহ্ (সাদাকা) এর মাল খাই না। কিসমিস শব্দটি দু’বার তাকিদের জন্য ব্যবহার আর তা ইসমে ফে‘ল।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৬: যাকাত (كتاب الزكاة) 6. Zakat

পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - যাকাত যাদের জন্য হালাল নয়

১৮২৩-[৩] ’আবদুল মুত্ত্বালিব ইবনু রবী’আহ্ (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এ সদাক্বাহ্ (সাদাকা) অর্থাৎ যাকাত মানুষের সম্পদের ময়লা ব্যতীত কিছু নয়। তাই এটা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য এবং তাঁর বংশধরদের জন্যও হালাল নয়। (মুসলিম)[1]

بَابٌ مِمَّنْ لَا تَحِلُّ لَهُ الصَّدَقَةُ

وَعَنْ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ بْنِ رَبِيعَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم: «إِن هَذِهِ الصَّدَقَاتِ إِنَّمَا هِيَ أَوْسَاخُ النَّاسِ وَإِنَّهَا لَا تَحِلُّ لِمُحَمَّدٍ وَلَا لِآلِ مُحَمَّدٍ» . رَوَاهُ مُسلم

وعن عبد المطلب بن ربيعة قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «ان هذه الصدقات انما هي اوساخ الناس وانها لا تحل لمحمد ولا لال محمد» . رواه مسلم

ব্যাখ্যা: হাদীসটির মধ্যে একটি ক্বিসসা আছে। সর্বপ্রকার যাকাত বা সদাক্বার মাল মানুষের ময়লা। যে কারণে সেটা বানী তামীম-এর ওপর হারাম ছিল। যেমন আল্লাহ তা‘আলা সূরাহ্ আত্ তাওবার ১০৩ নং আয়াতে বলেছেনঃ ‘‘তুমি তাদের মাল থেকে যাকাত গ্রহণ কর এবং তাদেরকে পবিত্র কর।’’


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৬: যাকাত (كتاب الزكاة) 6. Zakat

পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - যাকাত যাদের জন্য হালাল নয়

১৮২৪-[৪] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট কোন খাবার এলে তিনি জিজ্ঞেস করতেন, এটা হাদিয়্যাহ্ না সদাক্বাহ্ (সাদাকা)? ’সদাক্বাহ্ (সাদাকা)’ বলা হলে তিনি তাঁর সাথীদেরকে বলতেন, তোমরা খাও। তিনি নিজে খেতেন না। আর ’হাদিয়্যাহ্’ বলা হলে তিনি তাঁর হাত বাড়াতেন ও সাহাবীদেরকে সাথে নিয়ে খেতেন। (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَابٌ مِمَّنْ لَا تَحِلُّ لَهُ الصَّدَقَةُ

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أُتِيَ بِطَعَامٍ سَأَلَ عَنْهُ: «أَهَدْيَةٌ أَمْ صَدَقَةٌ؟» فَإِنْ قِيلَ: صَدَقَةٌ: قَالَ لِأَصْحَابِهِ: «كُلُوا» وَلَمْ يَأْكُلْ وَإِنْ قِيلَ: هَدِيَّةٌ ضَرَبَ بِيَدِهِ فَأَكَلَ مَعَهم

وعن ابي هريرة قال: كان رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا اتي بطعام سال عنه: «اهدية ام صدقة؟» فان قيل: صدقة: قال لاصحابه: «كلوا» ولم ياكل وان قيل: هدية ضرب بيده فاكل معهم

ব্যাখ্যা: রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট কোন খাদ্য এলে জিজ্ঞেস করতেন যে, সেটা হাদিয়্যাহ্ না সদাক্বাহ্ (সাদাকা)? সেটা সদাক্বাহ্ (সাদাকা) হলে সাথীদের খেতে বলতেন। তিনি খেতেন না, কারণ সদাক্বাহ্ তাঁর ওপর হারাম ছিল। আর হাদিয়্যাহ্ হলে সেটা হাত বাড়িয়ে তাড়াতাড়ি খেতেন। সদাক্বাহ্ (সাদাকা) ফকীর ও মিসকীনদের ওপর খরচ করা হয়।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৬: যাকাত (كتاب الزكاة) 6. Zakat

পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - যাকাত যাদের জন্য হালাল নয়

১৮২৫-[৫] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, বারীরাহ্ (ক্রীতদাসীর) ব্যাপারে তিনটি নির্দেশনা দেয়া হয়। (প্রথম) সে স্বাধীন হবে, তার স্বামীর সাথে বিবাহ সম্পর্ক বহাল রাখা বা না রাখার ক্ষেত্রে তার স্বাধীনতা থাকবে। (দ্বিতীয়) রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ মীরাসের অধিকার তারই থাকবে, যে তাকে আযাদ করেছে। (তৃতীয়) [একদিন] রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরে এলেন। তখন মাংস (মাংস/মাংস/গোসত) রান্না করা হচ্ছিল। ঘরে বানানো রুটি ও তরকারী তাঁর সামনে আনা হলে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি একটি পাতিলে মাংস দেখলাম। বলা হলো, জি হ্যাঁ। তবে এ মাংস বারীরাকে সদাক্বাহ্ (সাদাকা) দেয়া হয়েছে, আপনি তো সদাক্বাহ্ (সাদাকা) খান না। এ কথা শুনে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এ মাংস বারীরার জন্য সদাক্বাহ্ (সাদাকা) হলে আমাদের জন্য হাদিয়্যাহ্। (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَابٌ مِمَّنْ لَا تَحِلُّ لَهُ الصَّدَقَةُ

وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: كَانَ فِي بَرِيرَةَ ثَلَاثُ سُنَنٍ: إِحْدَى السُّنَنِ أَنَّهَا عُتِقَتْ فَخُيِّرَتْ فِي زَوْجِهَا وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْوَلَاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ» . وَدَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالْبُرْمَةُ تَفُورُ بِلَحْمٍ فَقُرِّبَ إِلَيْهِ خُبْزٌ وَأُدْمٌ مِنْ أُدْمِ الْبَيْتِ فَقَالَ: «أَلَمْ أَرَ بُرْمَةً فِيهَا لَحْمٌ؟» قَالُوا: بَلَى وَلَكِنَّ ذَلِكَ لَحْمٌ تُصُدِّقَ بِهِ عَلَى بَرِيرَةَ وَأَنْتَ لَا تَأْكُلُ الصَّدَقَةَ قَالَ: «هُوَ عَلَيْهَا صَدَقَةٌ وَلنَا هَدِيَّة»

وعن عاىشة رضي الله عنها قالت: كان في بريرة ثلاث سنن: احدى السنن انها عتقت فخيرت في زوجها وقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «الولاء لمن اعتق» . ودخل رسول الله صلى الله عليه وسلم والبرمة تفور بلحم فقرب اليه خبز وادم من ادم البيت فقال: «الم ار برمة فيها لحم؟» قالوا: بلى ولكن ذلك لحم تصدق به على بريرة وانت لا تاكل الصدقة قال: «هو عليها صدقة ولنا هدية»

ব্যাখ্যা: ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর দাসী বারীরার মধ্যে শারী‘আতের তিনটি সুন্নাত পাওয়া যায়। একটি হলো ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) তাকে আযাদ করেছেন। আর তাকে তার স্বামীর ব্যাপারে ইখতিয়ার দেয়া হয়েছিল।

দ্বিতীয় হল রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন, দাস-দাসীর ওলার মাল আযাদকারী হকদার হয়।

তৃতীয় হল রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বারীরার সদাক্বার পাকানো গোশ্‌ত (গোশত/গোস্ত/গোসত) খান। আর বলেনঃ এটা তার জন্য সদাক্বাহ্ (সাদাকা) আর আমার জন্য হাদিয়্যাহ্।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৬: যাকাত (كتاب الزكاة) 6. Zakat

পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - যাকাত যাদের জন্য হালাল নয়

১৮২৬-[৬] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে এ হাদীসটিও বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদিয়্যাহ্ গ্রহণ করতেন এবং বিনিময়ে তিনি তাকেও (হাদিয়্যাহ্) দিতেন। (বুখারী)[1]

بَابٌ مِمَّنْ لَا تَحِلُّ لَهُ الصَّدَقَةُ

وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُقَبِّلُ الْهَدِيَّة ويثيب عَلَيْهَا. رَوَاهُ البُخَارِيّ

وعن عاىشة رضي الله عنها قالت: كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يقبل الهدية ويثيب عليها. رواه البخاري

ব্যাখ্যা: রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদিয়্যাহ্ গ্রহণ করতেন। তিনি সদাক্বাহ্ (সাদাকা) খেতেন না। তিনি হাদিয়্যাহ্ গ্রহণ করতেন এবং তার উপর বদলা দিতেন। ইমাম খাত্ত্বাবী মা‘আলিম কিতাবে বলেছেনঃ রসূলের হাদিয়্যাহ্ কবূল করাটাও এক প্রকার বদান্যতা ও সৎচরিত্রের অংশ যাতে অন্তরের মধ্যে মুহা্ব্বত সৃষ্টি হয়। আর অন্য হাদীসে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ পরস্পর হাদিয়্যাহ্ দাও তাহলে মুহাব্বতও সৃষ্টি হবে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৬: যাকাত (كتاب الزكاة) 6. Zakat

পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - যাকাত যাদের জন্য হালাল নয়

১৮২৭-[৭] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমাকে যদি বকরীর একটি খুরের জন্যও দা’ওয়াত দেয়া হয় আমি তা গ্রহণ করব। আর আমার কাছে যদি হাদিয়্যাহ্ হিসেবে ছাগলের একটি বাহুও আসে আমি তাও গ্রহণ করব। (বুখারী)[1]

بَابٌ مِمَّنْ لَا تَحِلُّ لَهُ الصَّدَقَةُ

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَوْ دُعِيتُ إِلَى كُرَاعٍ لَأَجَبْتُ وَلَوْ أُهْدِيَ إِلَيَّ ذِرَاع لقبلت» . رَوَاهُ البُخَارِيّ

وعن ابي هريرة رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «لو دعيت الى كراع لاجبت ولو اهدي الي ذراع لقبلت» . رواه البخاري

ব্যাখ্যা: রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদিয়্যাহ্ কবূল করতেন; তা সামান্য বস্ত্ত হলেও। এমনকি গরুর বা উটের খুর হলেও কবূল করতেন। দা‘ওয়াত দানকারীর সাথে ভালোবাসা ও মুহাব্বাত গভীর করার জন্য। আর হাদিয়্যাহ্ কবূল না করা অভক্তির ও মুহাব্বাতের উপর প্রমাণ করে। সুতরাং দা‘ওয়াত কবূল করা মুস্তাহাব, যদি সামান্য হয়।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৬: যাকাত (كتاب الزكاة) 6. Zakat

পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - যাকাত যাদের জন্য হালাল নয়

১৮২৮-[৮] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে এ হাদীসটিও বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সে ব্যক্তি মিসকীন নয়, যে লোকের কাছে হাত পাতে। আর তারা তাকে এক বা দু’ মুষ্টি অথবা একটি কি দু’টি খেজুর দান করে। বরং মিসকীন ওই ব্যক্তি যে কপর্দকহীন। কিন্তু তার বাহ্যিক বেশভূষার কারণে মানুষেরা বুঝতে পারে না সে মুখাপেক্ষী। তাকে সদাক্বাহ্ (সাদাকা) দেয়া যায়। আর সেও কোন কিছুর জন্য লোকদের কাছে হাত বাড়াতে পারে না। (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَابٌ مِمَّنْ لَا تَحِلُّ لَهُ الصَّدَقَةُ

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَيْسَ الْمِسْكِينُ الَّذِي يَطُوفُ عَلَى النَّاسِ تَرُدُّهُ اللُّقْمَةُ وَاللُّقْمَتَانِ وَالتَّمْرَةُ وَالتَّمْرَتَانِ وَلَكِنَّ الْمِسْكِينَ الَّذِي لَا يَجِدُ غِنًى يُغْنِيهِ وَلَا يُفْطَنُ بِهِ فَيُتَصَدَّقَ عَلَيْهِ وَلَا يَقُومُ فَيَسْأَلَ النَّاس»

وعن ابي هريرة رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «ليس المسكين الذي يطوف على الناس ترده اللقمة واللقمتان والتمرة والتمرتان ولكن المسكين الذي لا يجد غنى يغنيه ولا يفطن به فيتصدق عليه ولا يقوم فيسال الناس»

ব্যাখ্যা: যারা মানুষের দ্বারে দ্বারে চেয়ে বেড়ায়, এক লোকমা বা দু’ লোকমার জন্য, তারা আসলে মিসকীন নয়। আসল মিসকীন ওরাই যাদের সঙ্গতি নেই। তাদের অভাবের কথা জানা যায় না এবং মানুষের কাছে চায় না। এরাই আসল মিসকীন। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ ‘‘তারা লোকের কাছে ব্যাকুলভাবে ভিক্ষা চায় না’’- (সূরাহ্ আল বাক্বারাহ্ ২ : ২৭৩)।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৬: যাকাত (كتاب الزكاة) 6. Zakat
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৮ পর্যন্ত, সর্বমোট ৮ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে