পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ফিত্বরার বর্ণনা
১৮১৭-[৩] ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। একবার তিনি রমাযানের শেষ দিকে লোকদের উদ্দেশে বললেন, তোমরা তোমাদের সিয়ামের সদাক্বাহ্ (সাদাকা) দাও। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাদের প্রত্যেক মুসলিম, স্বাধীন-অধীন, গোলাম-বাঁদী, পুরুষ-মহিলা, ছোট-বড় সকলের পক্ষে ’এক সা’ খেজুর ও যব অথবা ’এক সা’-এর অর্ধেক গম সদাক্বাতুল ফিত্বর ফরয করে দিয়েছেন। (আবূ দাঊদ, নাসায়ী)[1]
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: فِي آخِرِ رَمَضَانَ أخرجُوا صَدَقَة صومكم. فرض رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَذِهِ الصَّدَقَةَ صَاعًا مِنْ تَمْرٍ أَوْ شَعِيرٍ أَوْ نِصْفَ صَاعٍ مِنْ قَمْحٍ عَلَى كُلِّ حُرٍّ أَوْ مَمْلُوكٍ ذَكَرٍ أَوْ أُنْثَى صَغِيرٍ أَوْ كَبِيرٍ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ
ব্যাখ্যা: ইবনু ‘আব্বাস-এর এ হাদীসে অর্ধ সা‘ গমের কথা বলা হয়েছে। উক্ত হাদীস আবূ দাঊদ ও নাসায়ীতে বর্ণিত হয়েছে। আর এটিই ইমাম আবূ হানীফার মত।
তবে তিন ইমাম এর বিরোধিতা করেছেন।
আসলে হাদীসটি মুনক্বাতি' যা ইবনু তুরকামানী স্বীকার করেছেন। উক্ত হাদীস হাসান ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন। তবে ‘উলামাগণ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে হাসান-এর শ্রবণের প্রমাণ নিয়ে কথা উঠিয়েছেন যা সহীহ হাদীসের খিলাফ।
হাসান-এর সেমা বা শ্রবণ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে প্রমাণ বা সাবিত নেই বলে দৃঢ়তার সাথে ব্যক্ত করেছেন ইমাম নাসায়ী, ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বাল, ইবনুল মাদানী, আবূ হাতিম, বাহয ইবনু আসাদ ও বাযযার।
পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ফিত্বরার বর্ণনা
১৮১৮-[৪] ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে এ হাদীসটিও বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সওমকে অযথা কথা, খারাপ আলাপ-আলোচনা থেকে পবিত্র করার ও গরীব মিসকীনকে খাদ্যবস্তু দেবার উদ্দেশে সদাক্বায়ে ফিত্বর ফরয করে দিয়েছেন। (আবূ দাঊদ)[1]
وَعَن ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: فَرَضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَكَاةَ الْفِطْرِ طُهْرَ الصِّيَامِ مِنَ اللَّغْوِ وَالرَّفَثِ وَطُعْمَةً لِلْمَسَاكِينِ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যা: যাকাতুল ফিত্বরের নির্ধারণের উদ্দেশ্য সিয়ামকে পবিত্র করা বেহুদা ও অশ্লীল কাজ ও কর্ম হতে। আর এতে রয়েছে মিসকীনদের খাদ্যের উৎস। এ হাদীস থেকে অনেকেই দলীল গ্রহণ করেন যে, ফিত্বরাহ্ একস্থান থেকে অন্যস্থানে পাঠানো মুবাহ, যেমন যাকাতের ক্ষেত্রে জায়িয আছে। কেউ বলেন, যাকাতের মতো ফিত্বরাও আট শ্রেণীদের মধ্যে বণ্টন করা যাবে। কারণ আল্লাহ তা‘আলা সকলের উদ্দেশে বলেন যে, ‘‘নিশ্চয়ই সদাক্বাহ্সমূহ ফকীর.....’’- (সূরাহ্ আত্ তাওবাহ্ ৯ : ২৬০)।