পরিচ্ছেদঃ ১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - যেসব জিনিসের যাকাত দিতে হয়
১৮১৩-[২০] ’আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তরি-তরকারী ও দান করে দেয়া গাছপালার কোন যাকাত নেই। পাঁচ ওয়াসাকে চেয়ে কম পরিমাণ শস্যে যাকাত নেই, কাজে-কর্মে ব্যবহার্য জানোয়ারের যাকাত নেই, ’জাবহাহ্’তেও যাকাত নেই। সাকর (রহঃ) বলেন, ’জাবহাহ্’ হচ্ছে ঘোড়া, খচ্চর ও গোলাম। (দারাকুত্বনী)[1]
عَنْ عَلِيٍّ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَيْسَ فِي الْخَضْرَاوَاتِ صَدَقَةٌ وَلَا فِي الْعَرَايَا صَدَقَةٌ وَلَا فِي أَقَلَّ مِنْ خَمْسَةِ أَوْسُقٍ صَدَقَةٌ وَلَا فِي الْعَوَامِلِ صَدَقَةٌ وَلَا فِي الْجَبْهَةِ صَدَقَةٌ» . قَالَ الصَّقْرُ: الْجَبْهَةُ الْخَيل وَالْبِغَال وَالْعَبِيد. رَوَاهُ الدَّارَقُطْنِيّ
ব্যাখ্যা: উক্ত হাদীস থেকে প্রমাণ হয় যে, তরি-তরকারীর মধ্যে, দান করা জিনিসের মধ্যে পাঁচ ওয়াসাকের নিচে যাকাত নেই। আর গোলাম ও ঘোড়ার মধ্যে যাকাত নেই। ষাট সা‘তে এক ওয়াসাক হয়। আর পাঁচ ওয়াসাকে তিনশত সা' হয়। তবে ইমাম আবূ হানীফার মতে যাকাত সকল প্রকার মালের মধ্যে ওয়াজিব হয় যা জমিন হতে বের হয়। চাই সেটা ফসল থেকে হোক বা ফলমূল থেকে হোক, শাক-সবজী থেকে হোক। আর এটা দাঊদ জাহরী-এর মত। তারা দলীল পেশ করেন আল্লাহর বাণী হতেঃ
خُذْ مِنْ أَمْوَالِهِمْ صَدَقَةً
‘‘তুমি ওদের মাল হতে যাকাত নাও।’’ (সূরাহ্ আত্ তাওবাহ্ ৯ : ১০৩)
আল্লাহর বাণীঃ
وَمِمَّا أَخْرَجْنَا لَكُمْ مِنَ الْأَرْضِ
‘‘যা কিছু আমি জমিন থেকে উৎপন্ন করেছি।’’ (সূরাহ্ আল বাক্বারাহ্ ২ : ২৬৭)
আরো আল্লাহর বাণীঃ
وَاتُوْا حَقَّهٗ يَوْمَ حَصَادِه
‘‘ফসল কাটার দিন তার হক আদায় করো।’’ (সূরাহ্ আল আন্‘আম ৬ : ১৪১)
আর তারা উল্লেখিত হাদীসের মধ্যে তরি-তরকারী থেকে উদ্দেশ্য ফুল ও ফল বলে উল্লেখ করেন।
পরিচ্ছেদঃ ১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - যেসব জিনিসের যাকাত দিতে হয়
১৮১৪-[২১] ত্বাউস (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার (ইয়ামানের শাসক) মু’আয ইবনু জাবাল (রাঃ)-এর নিকট (যাকাত উসূল করার জন্য) ওয়াক্বাস গাভী আনা হয়েছিল। তিনি (তা দেখে) বললেন, এসবের থেকে (যাকাত উসূলের জন্য) আমাকে আদেশ দেয়া হয়নি। (দারাকুত্বনী, শাফি’ঈ; ইমাম শাফি’ঈ বলেন, ’ওয়াক্বাস’ এসব জানোয়ারকে বলা হয়, যা প্রাথমিকভাবে যাকাতের নিসাবের সীমায় পৌঁছেনি।)[1]
وَعَنْ طَاوُسٍ أَنَّ مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ أَتَى بِوَقَصِ الْبَقَرِ فَقَالَ: لَمْ يَأْمُرْنِي فِيهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِشَيْءٍ. رَوَاهُ الدَّارَقُطْنِيُّ وَالشَّافِعِيُّ وَقَالَ: الْوَقَصُ مَا لَمْ يَبْلُغِ الْفَرِيضَةَ