পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মৃত্যু কামনা ও মৃত্যুকে স্মরণ করা

১৬০৬-[৯] মু’আয ইবনু জাবাল (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (আমাদেরকে উদ্দেশ করে) বললেন, আল্লাহ তা’আলা কিয়ামতের (কিয়ামতের) দিন মু’মিনদেরকে সর্বপ্রথম যে কথাটি বলবেন, তোমরা চাইলে আমি তা’ তোমাদের বলে দিতে পারি। আমরা বললাম, অবশ্যই বলবেন, হে আল্লাহর রসূল! তিনি বললেন, আল্লাহ মু’মিনদেরকে বলবেন, তোমরা কি আমার সাক্ষাৎকে ভালবাসতে? মু’মিনগণ আরয করবেন, হে আমাদের রব অবশ্যই (আমরা আপনার সাক্ষাতকে ভালবাসতাম)! আল্লাহ তা’আলা বলবেন, তোমরা কেন আমার সাক্ষাৎকে ভালবাসতে? মু’মিনরা বলবে, আমরা আপনার ক্ষমা ও মাগফিরাত কামনা করেছি, তাই। এ কথা শুনে আল্লাহ বলবেন, তোমাদের জন্য মাগফিরাত মঞ্জুর করা আমার ওপর ওয়াজিব হয়ে গেছে।’’ (শারহুস্ সুন্নাহ্- আবূ নু’আয়ম হিলই্য়াহ্)[1]

عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِن شِئْتُم أنبأتكم مَا أَوَّلُ مَا يَقُولُ اللَّهُ لِلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ؟ وَمَا أَوَّلُ مَا يَقُولُونَ لَهُ؟» قُلْنَا: نَعَمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ: إِنَّ اللَّهَ يَقُول للْمُؤْمِنين هَل أَحْبَبْتُم لقائي؟ فَيَقُولُونَ نَعَمْ يَا رَبَّنَا فَيَقُولُ: لِمَ؟ فَيَقُولُونَ: رَجَوْنَا عَفْوَكَ وَمَغْفِرَتَكَ. فَيَقُولُ: قَدْ وَجَبَتْ لَكُمْ مَغْفِرَتِي . رَوَاهُ فِي شَرْحِ السُّنَّةِ وَأَبُو نُعَيْمٍ فِي الْحِلْية

عن معاذ بن جبل رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «ان شىتم انباتكم ما اول ما يقول الله للمومنين يوم القيامة؟ وما اول ما يقولون له؟» قلنا: نعم يا رسول الله قال: ان الله يقول للمومنين هل احببتم لقاىي؟ فيقولون نعم يا ربنا فيقول: لم؟ فيقولون: رجونا عفوك ومغفرتك. فيقول: قد وجبت لكم مغفرتي . رواه في شرح السنة وابو نعيم في الحلية

ব্যাখ্যা: (فَيَقُولُ: لِمَ؟ فَيَقُولُونَ: رَجَوْنَا عَفْوَكَ وَمَغْفِرَتَكَ) আল্লাহ বলবেন, কেন? অতঃপর বান্দারা বলবে, আমরা আপনার ক্ষমা ও মার্জনার আশা করছিলাম। এতে প্রতিফলিত হয় যে, আল্লাহ সম্পর্কে সুধারণা হল আল্লাহর সাক্ষাৎ লাভের ভালোবাসা। আর বান্দার গোপন বিষয় জানা সত্ত্বেও আল্লাহর প্রশ্ন করার উদ্দেশ্য হল শ্রোতাদের জানানো তাদের সাক্ষাতের ভালোবাসার কারণ।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৫: জানাযা (كتاب الجنائز) 5. Funerals

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মৃত্যু কামনা ও মৃত্যুকে স্মরণ করা

১৬০৭-[১০] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা দুনিয়ার ভোগবিলাস বিনষ্টকারী জিনিস, মৃত্যুকে বেশী বেশী স্মরণ করো। (তিরমিযী, নাসায়ী, ইবনু মাজাহ)[1]

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَكْثِرُوا ذِكْرَ هَاذِمِ اللَّذَّاتِ الْمَوْتِ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه

وعن ابي هريرة رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «اكثروا ذكر هاذم اللذات الموت» . رواه الترمذي والنساىي وابن ماجه

ব্যাখ্যা: হাদীসটি প্রমাণ করে যে, মানুষের জন্য উচিত নয় যে, সবচেয়ে বড় উপদেশের স্মরণ হতে উদাসীন থাকা আর তা হল মৃত্যু তথা মৃত্যুর স্মরণ।


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৫: জানাযা (كتاب الجنائز) 5. Funerals

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মৃত্যু কামনা ও মৃত্যুকে স্মরণ করা

১৬০৮-[১১] ইবনু মাস্’ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীদের উদ্দেশে বললেন, আল্লাহর সাথে লজ্জা করার মতো লজ্জা করো। সাহাবীগণ বললেন, আমরা আল্লাহর সাথে লজ্জা করছি, হে আল্লাহর রসূল! সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ লজ্জার মতো লজ্জা এটা নয় যা তোমরা বলছ। বরং প্রকৃত লজ্জা এমন যে, যখন ব্যক্তি লজ্জার হক আদায় করে সে যেন মাথা ও মাথার সাথে যা কিছু আছে তার হিফাযাত করে। পেট ও পেটের সাথে যা কিছু আছে তারও হিফাযাত করে। তার উচিত মৃত্যু ও তার হাড়গুলো পঁচে গলে যাবার কথা স্মরণ করে। যে ব্যক্তি পরকালের কল্যাণ চায়, সে যেন দুনিয়ার চাকচিক্য ও জৌলুশ ছেড়ে দেয়। অতএব, যে ব্যক্তি এসব কাজ করল, সে ব্যক্তিই আল্লাহর সাথে লজ্জার হক আদায় করল। (আহমাদ, তিরমিযী; তারা বলেছেন, এ হাদীসটি গরীব।)[1]

وَعَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ ذَاتَ يَوْمٍ لِأَصْحَابِهِ: «اسْتَحْيُوا مِنَ اللَّهِ حَقَّ الْحَيَاءِ» قَالُوا: إِنَّا نَسْتَحْيِي مِنَ اللَّهِ يَا نَبِيَّ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ قَالَ: «لَيْسَ ذَلِكَ وَلَكِنَّ مَنِ اسْتَحْيَى مِنَ اللَّهِ حَقَّ الْحَيَاءِ فَلْيَحْفَظِ الرَّأْسَ وَمَا وَعَى وَلْيَحْفَظِ الْبَطْنَ وَمَا حَوَى وَلْيَذْكُرِ الْمَوْتُ وَالْبِلَى وَمَنْ أَرَادَ الْآخِرَةَ تَرَكَ زِينَةَ الدُّنْيَا فَمَنْ فَعَلَ ذَلِكَ فَقَدِ اسْتَحْيَى مِنَ اللَّهِ حَقَّ الْحَيَاءِ» . رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ

وعن ابن مسعود ان نبي الله صلى الله عليه وسلم قال ذات يوم لاصحابه: «استحيوا من الله حق الحياء» قالوا: انا نستحيي من الله يا نبي الله والحمد لله قال: «ليس ذلك ولكن من استحيى من الله حق الحياء فليحفظ الراس وما وعى وليحفظ البطن وما حوى وليذكر الموت والبلى ومن اراد الاخرة ترك زينة الدنيا فمن فعل ذلك فقد استحيى من الله حق الحياء» . رواه احمد والترمذي وقال: هذا حديث غريب

ব্যাখ্যা: (فليحفظ رأسه) সে যেন আপন মাথাকে হিফাযাত করে আল্লাহর আনুগত্য ছাড়া অন্য কোন কর্মে ব্যবহার হতে তথা তিনি ব্যতীত অন্য কারও উদ্দেশে সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) না করে এবং লোক দেখানোর উদ্দেশে সালাত আদায় না করে আর মাথাকে আল্লাহ ছাড়া কারও জন্য বিনয়ী না করে আর মাথাকে আল্লাহর বান্দার জন্য অহংকার উদ্দেশে না উঠায়।

(وَمَا وَعى) আর মাথা তার যাকে সংরক্ষণ করছে তথা যে সমস্তকে মাথা একত্রিত করেছে যেমন জিহবা চক্ষু কান এগুলোকে সংরক্ষণ করেছে যা হালাল না তা হতে।

(وَلْيَحْفَظِ الْبَطْنَ وَمَا حَوى) আপন পেটকে হারাম ভক্ষণ হতে রক্ষা করেছে এবং পেটের সাথে সংশ্লিষ্ট বস্ত্তকেও যেমন লজ্জাস্থান দু’পা, দু’হাত এবং হৃদয় আর এদের সংরক্ষণ বা হিফাযাতের বিষয় হল এগুলোকে গুনাহের কাজে ব্যবহার করবে না বরং আল্লাহর সন্তুষ্টির কাজে ব্যবহার করবে। ত্বীবী বলেন, তোমরা যা মনে করছ তা প্রকৃত লজ্জা নয় আল্লাহর হতে বরং প্রকৃত লজ্জা হল যে নিজেকে সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দ্বারা হিফাযাত করা।


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৫: জানাযা (كتاب الجنائز) 5. Funerals

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মৃত্যু কামনা ও মৃত্যুকে স্মরণ করা

১৬০৯-[১২] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মৃত্যু হল মু’মিনের উপহার। (বায়হাক্বী’র শু’আবুল ঈমান)[1]

وَعَن عبد الله بن عَمْرو قَالَ ك قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «تُحْفَةُ الْمُؤْمِنِ الْمَوْتُ» . رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي شُعَبِ الْإِيمَان

وعن عبد الله بن عمرو قال ك قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «تحفة المومن الموت» . رواه البيهقي في شعب الايمان

ব্যাখ্যা: মৃত্যুর মাধ্যমে ব্যক্তি বিশ্রাম গ্রহণ করে সকল প্রকার কষ্ট-ক্লেশ হতে আর এর মাধ্যমে তার ভালোবাসার বস্ত্তর কাছে পৌঁছে। আর জীবনটা জেলখানা সে মতে মৃত্যু হল উপহার। কারও মতে, তুহফা বলতে কল্যাণ, অনুগ্রহ এবং দর্শনেন্দ্রিয়। সুতরাং মৃত্যু হল আল্লাহর পক্ষ হতে অনুগ্রহ মু’মিনের জন্য আর কল্যাণ ও তৃপ্তিকর নি‘আমাত তার জন্য যা তাকে পৌঁছে দেয় আল্লাহর জান্নাত ও তার নৈকট্যের দিকে এবং এর মাধমে দুনিয়া সকল কষ্ট-দুঃখ দূরীভূত হয়।

ত্বীবী বলেন, জেনে রাখ মৃত্যু হল বড় সৌভাগ্যে পৌঁছার মাধ্যম এবং সর্বোচ্চ মর্যাদায় অধিকারী হওয়ার উপায় আর এটা অন্যতম মাধ্যম হল স্থায়ী নি‘আমাতে পৌঁছার আর তা হলে এক বাড়ি হতে অন্য বাড়িতে স্থানান্তর যদি মৃত্যুকে বাস্তবে এক প্রকার ধ্বংস দেখায় কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তা দ্বিতীয়বার জন্ম এবং তা জান্নাতের দরজাসমূহের মধ্যে দরজা যা তার দিকে পৌঁছায় আর যদি মৃত্যু না হত তা হলে জান্নাত হত না।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৫: জানাযা (كتاب الجنائز) 5. Funerals

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মৃত্যু কামনা ও মৃত্যুকে স্মরণ করা

১৬১০-[১৩] বুরায়দাহ্ (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মু’মিন কপালের ঘামের সাথে মৃত্যুবরণ করে। (তিরমিযী, নাসায়ী, ইবনু মাজাহ)[1]

وَعَنْ بُرَيْدَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُؤْمِنُ يَمُوتُ بِعَرَقِ الْجَبِينِ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه

وعن بريدة قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «المومن يموت بعرق الجبين» . رواه الترمذي والنساىي وابن ماجه

ব্যাখ্যা: মু’মিন মৃত্যুবরণ করে ঘামের সাথে কথাটির তাৎপর্য হলঃ

* মৃত্যুর কষ্টের মুখোমুখি হওয়ায় কপালের ঘাম ঝড়ে আর এর মাধ্যমে গুনাহ হতে মৃত ব্যক্তি মুক্ত হয়ে উঠে।

* মৃত্যুর সময় মু’মিন ব্যক্তির এ কাঠিন্যতার কারণে তার মর্যাদা বৃদ্ধি পায়।

* মু’মিন ব্যক্তির এমনটি হয় তার লজ্জার কারণে যখন সুসংবাদ আসে তার নিকট অথচ সে পাপকাজ করেছে এর জন্য সে লজ্জিত হয় আর এই লজ্জার কারণে তার কপালে ঘাম ঝড়ে।

* আর এটা মু’মিনের মৃত্যুর আলামত বা চিহ্ন যদিও সে না বুঝে তা।

* কারও মতে এটা কিনায়া তথা রূপক আর হালাল রুযী উপার্জনে কষ্টের কারণে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৫: জানাযা (كتاب الجنائز) 5. Funerals

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মৃত্যু কামনা ও মৃত্যুকে স্মরণ করা

১৬১১-[১৪] ’উবায়দুল্লাহ ইবনু খালিদ (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আকস্মিক মৃত্যু (আল্লাহর গযবের) পাকড়াও। (আবূ দাঊদ; বায়হাক্বী’র শু’আবুল ঈমানে এবং রযীন তাঁর কিতাবে অতিরিক্ত করে নকল করেছেন যে, আকস্মিক মৃত্যু কাফিরের জন্য গযবের পাকড়াও। কিন্তু মু’মিনের জন্য রহমত।)[1]

وَعَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ خَالِدٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَوْتُ الْفُجَاءَة أَخْذَةُ الْأَسَفِ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَزَادَ الْبَيْهَقِيُّ فِي شُعَبِ الْإِيمَانِ وَرَزِينٌ فِي كِتَابِهِ: «أَخْذَةُ الأسف للْكَافِرِ وَرَحْمَة لِلْمُؤمنِ»

وعن عبيد الله بن خالد قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «موت الفجاءة اخذة الاسف» . رواه ابو داود وزاد البيهقي في شعب الايمان ورزين في كتابه: «اخذة الاسف للكافر ورحمة للمومن»

ব্যাখ্যা: হঠাৎ মৃত্যু আল্লাহর গযব স্বরূপ, কেননা এ মৃত্যু মৃত ব্যক্তিকে তাওবার মাধ্যমে আখিরাতের প্রস্ত্ততি গ্রহণের সুযোগ দেয় না। হাদীসটি খাস কাফিরদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য যা অন্য হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।


হাদিসের মানঃ সহিহ/যঈফ [মিশ্রিত]
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৫: জানাযা (كتاب الجنائز) 5. Funerals

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মৃত্যু কামনা ও মৃত্যুকে স্মরণ করা

১৬১২-[১৫] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন এক যুবকের কাছে গেলেন। যুবকটি সে সময় মৃত্যুশয্যায় শায়িত ছিল। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, এখন তোমার মনের অবস্থা কী? যুবকটি উত্তর দিলো, আমি আল্লাহর রহমতের প্রত্যাশী হে আল্লাহর রসূল! কিন্তু এরপরও আমি আমার গুনাহখাতার জন্য ভয় পাচ্ছি। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, এ সময়ে এ যুবকের মতো যে আল্লাহর বান্দার মনে ভয় ও আশার সঞ্চার হয় আল্লাহ তা’আলা তাকে তাই দান করেন, সে গুনাহকে ভয় করে এবং আশা পোষণ করে। (তিরমিযী, ইবনু মাজাহ; ইমাম তিরমিযী বলেন এ হাদীসটি গরীব।)[1]

وَعَن أنس قَالَ: دخل النَّبِي عَلَى شَابٍّ وَهُوَ فِي الْمَوْتِ فَقَالَ: «كَيْفَ تجدك؟» قَالَ: أرجوالله يَا رَسُولَ اللَّهِ وَإِنِّي أَخَافُ ذُنُوبِي فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَجْتَمِعَانِ فِي قَلْبِ عَبْدٍ فِي مِثْلِ هَذَا الْمَوْطِنِ إِلَّا أَعْطَاهُ اللَّهُ مَا يَرْجُو وَآمَنَهُ مِمَّا يَخَافُ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ هَذَا حَدِيث غَرِيب

وعن انس قال: دخل النبي على شاب وهو في الموت فقال: «كيف تجدك؟» قال: ارجوالله يا رسول الله واني اخاف ذنوبي فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «لا يجتمعان في قلب عبد في مثل هذا الموطن الا اعطاه الله ما يرجو وامنه مما يخاف» . رواه الترمذي وابن ماجه وقال الترمذي هذا حديث غريب

ব্যাখ্যা: সিনদী বলেন, হাদীস প্রমাণ করে প্রত্যেকের জন্য দু’টি বিষয় পাওয়া সর্বদা প্রয়োজন আর তা আশা ও ভয় এমনকি মৃত্যুর সময়ও। আর এমনটি যেন না হয় যে মৃত্যুর সময় শুধু আশা বেশি থাকে আর ভয় একেবারে শূন্যের কোঠায়। আর হাদীসে প্রতিবাদ করা হয়েছে তাদের যারা মৃত্যুর সময় আশাকে সংক্ষিপ্ত করা মুস্তাহাব মনে করে।


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৫: জানাযা (كتاب الجنائز) 5. Funerals
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৭ পর্যন্ত, সর্বমোট ৭ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে